জয়নাব হত্যার শুনানিতে ১২ মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে তলব

368

ধর্ষণের পর জয়নাবকে হত্যার মামলায় সহায়তা দিতে ১২ মিডিয়া ব্যক্তিত্বকে তলব করেছে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত। গতকাল রোববার পাঞ্জাবের ওই ৭ বছরের শিশুর হত্যাকা- সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে তাদের। তবে আদালতে তাদের ভূমিকা কী হবে, তা স্পষ্ট নয়। আইন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, জয়নাবের সন্দেহভাজন হত্যাকারী সম্পর্কে টেলিভিশন উপস্থাপক শহিদ মাসুদের তোলা অভিযোগ নিয়ে আলোচনার জন্যই তাদের ডাকা হয়েছে। আবার কারও কারও মত, জনয়াব ইস্যুতে সংবাদ উপস্থানের বিধি সম্পর্কে ধারণা দিতেই তাদের ডাকা হয়েছে। মূল সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারের পর উপস্থাপক শহিদ মাসুদ দাবি করেছিলেন, মন্ত্রী সমর্থিত একটি শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের সঙ্গে জড়িত সে। তবে সেই চক্রের সঙ্গে এখনও অভিযুক্তের সংশ্লিষ্টতা পায়নি তদন্তকারীরা। এই বছরের ৪ জানুয়ারি কোরআন ক্লাস থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হওয়ার পর ৯ জানুয়ারি পাকিস্তানের কাসুর শহরের একটি আবর্জনার স্তুপ থেকে পাওয়া যায় শিশু জয়নাবের মৃতদেহ। ময়না তদন্তে হত্যা ও ধর্ষণের তথ্য নিশ্চিতের পর ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায় একই অপরাধী আগেও সাতটি শিশু ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত। গত ২৩ জানুয়ারি পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শাহাবাজ শরিফ ঘোষণা দেন ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়ার পর এক অপরাধীকে ধরতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এরপরই পাকিস্তানের পরিচিত টেলিভিশন উপস্থাপক ড. শহিদ মাসুদ অভিযোগ তোলেন ইমরান নামের ওই অপরাধী পাঞ্জাবের একজন মন্ত্রী সমর্থিত শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের সঙ্গে যুক্ত। এরই ধারাবাহিকতায় সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে ডাকা হলো মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের। প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নেসারের আদালতে উপস্থিত থাকতে ডাক পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন, ডনের প্রধান নির্বাহী হামিদ হারুন, দ্য নিউজ এ- জাংয়ের প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক রমিজা মাজিদ নিজামি, টেলিভিশন উপস্থাপক হামিদ মিরসহ ১২জন।