জেলা পুলিশ লাইন্সের নব-নির্মিত গেইটের উদ্বোধন, জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত

299

জেলা পুলিশ লাইন্সের নব-নির্মিত গেইট এর উদ্বোধন, জিপিএ-৫ পাওয়া পুলিশ সদস্যের সন্তানদের সংবর্ধনা ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে পুলিশ লাইন্সের নব-নির্মিত গেইট এর উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম, বিপিএম। জেলা পরিষদ ও জেলা পুলিশের আর্থিক সহযোগিতায় নব-নির্মিত এই গেইট’র নির্মাণ ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে জেলা পরিষদ প্রদান করেছে ৫ লক্ষ, বাকি অর্থ খরচ করেছে জেলা পুলিশ। এরপর মাসিক কল্যাণ সভার পূর্বে এবছর এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া পুলিশ সদস্যদের সন্তানদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। ৫ জন পুলিশ সদস্যদের সন্তানদের ফুল, সার্টিফিকেট দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করেন পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম, বিপিএম। এছাড়াও কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্যের জন্য জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৭ জন পুলিশ সদস্যকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এসময় মাসিক কল্যাণ সভার সভাপতি পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম সংবর্ধনা পাওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, হয়ত আজকের দেয়া সার্টিফিকেট কিছুই না। সারাজীবন পড়েই থাকবে। কিন্তু যখন এটি খুলবে তখন তোমার মনে পড়বে, তুমি তোমার সাফল্যের প্রথম স্বীকৃতি পেয়েছো। পুলিশ সদস্যের সবাই আমরা তোমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আছ্।ি দিনরাত অমানবিক পরিশ্রম করে চলেছে তোমাদের এমন সাফল্য দেখার জন্যই। যারা জিপিএ-৫ পায়নি তারাও আগামীতে ভাল করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। জিপিএ-৫ পেলেই ভাল মানুষ হওয়া যায় না। যে ছেলেটি ভাল গান করে, কবিতা পারে, খেলাধূলা করতে পারে, ভাল ইংরেজি বলতে পারে, বিতর্ক করতে পারে সেও কিন্তু ভাল সন্তান। এসব গুন না থাকলে শুধুমাত্র ভাল ফলাফল করলেই ভাল ছাত্র হওয়া যায় না। আমরা চাই আমাদের সন্তানরা ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক। এ সময় তিনি আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিহাদ ঘোষণা করেছি। আমরা মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদেরকে আটক ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদেরকে শাস্তির ব্যবস্থা করছি। এটি মহামারী আকারে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও তাদের সাথে বন্দুকযুদ্ধও হয়েছে এবং অনেক মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। আমরা জানি একসময় চীন, রাশিয়া, কম্বোডিয়া মাদক ব্যবসায়ের উপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। সেসব দেশ মাদকে সয়লাব হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে খারাপ অবস্থা থেকে তারা বর্তমানে মাদক থেকে উত্তরণ হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি আমাদের দেশও একসময় মাদকমুক্ত হবে। আমরা যে অভিযানে নেমেছি সমূলে নিঃশেষ করেই ছাড়ব। এসময় সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে থাকা যেকোন তথ্য আমাদের দিলে আমরা এই অভিযানে আরও সফলতা লাভ করতে পারব। সাথে সাথে পুলিশের কোন সদস্য এত জড়িত থাকলে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান, সহকারী পুলিশ সুপার হেড কোয়ার্টার আব্দুল হাই, সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ইকবাল হোসেনসহ জেলা পুলিশের শতাধিক সদস্য।