জেলায় শুরু হয়েছে কৃষি শুমারি কার্যক্রম

236

সারাদেশের মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জেও ‘কৃষি শুমারি সফল করি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি’-এ সেøাগানে আজ থেকে শুরু হয়েছে কৃষি শুমারি। চলবে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত। কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ) শুমারি-২০১৯ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরো র‌্যালি ও প্রেস ব্রিফিং আয়োজন করে। আজ সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন ৩৩৮, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সংসদ সদস্য ফেরদৌসি ইসলাম জেসি, জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক, জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক উম্মে কুলসুম, সদর উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুনসহ অন্যরা। পরে দুপুর ১২টার দিকে জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ে কৃষি শুমারি উপলক্ষে প্রেস ব্রিফ্রিং অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক উম্মে কুলসুমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নাচোল উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলামসহ অন্যরা। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপ-পরিচালক উম্মে কুলসুম বলেন, কৃষি শুমারিতে তিনি নিজে জেলা সমন্বয়কারী হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় দায়িত্ব পালন করছেন। এ জেলায় জোনাল অফিসার হিসেবে ২৪ জন, সুপারভাইজার ২৪৮ জন ও তথ্য সংগ্রহকারী হিসেবে ১ হাজার ৬০৬ জন কৃষি শুমারির কাজে নিয়োজিত আছেন। প্রতিটি গণনা এলাকায় তথ্য সংগ্রহের জন্য স্থানীয়ভাবে শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের গণনাকারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। জেলায় ৪ লাখ ১২ হাজার ১৫০টি খানা আছে। তিনি বলেন, আজ থেকে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত এই শুমারির কাজ চলমান থাকবে। তিনি বলেন- সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে এ শুমারির কাজ শেষ করাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি আরো জানান, সারা দেশে কৃষি শুমারির কাজ সফল করার জন্য ১ জন প্রধান শুমারি সমন্বয়কারী, ১ জন জাতীয় শুমারি সমন্বয়কারী, ১ জন অতিরিক্ত জাতীয় শুমারি সমন্বয়কারী, ১০ জন বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারী, ৯০ জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী (ডিসিসি), ৪৯২ জন উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী (ইউসিসি), ২ হাজার ১২৭ জন জোনাল অফিসার, ২৩ হাজার ১৬৫ জন সুপারভাইজার ও ১ লাখ ৪৪ হাজার ২১১ জন তথ্য সংগ্রহকারী কাজ করছেন।