জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা : খালেদার জামিন বাতিলের আবেদন নাকচ

300

জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিলের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলের করা আবেদন শুনে বৃহস্পতিবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। শুরুতেই খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪০(ক) ধারা মতে আসামির অনুপস্থিতিতে বিচার চালিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন বলে জানান তার আরেক আইনজীবী নূরুজ্জামান তপন। বিচারক জানতে চান, আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি দেশের বাইরে কি করে গেলেন? উত্তরে সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, তিনি লন্ডনে চিকিৎসার জন্য ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। এরপর দুদকের আইনজীবী খালেদা জিয়ার জামিন বাতিলের আবেদন জমা দিয়ে বলেন, বিচার বিলম্বিত করার অপকৌশল হিসেবে এই কাজ করা হয়েছে। এর আগেও এমন কাজ হয়েছে। উভয়পক্ষের বক্তব্য শেষে বিচারক জামিন বাতিলের আবেদন নামঞ্জুর করে আগামি ২৪ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন। ১৫ জুলাই খালেদা জিয়া চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন। জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে আংশিক জেরা করেন খালেদার অন্যতম আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে দুর্নীতির মামলা করা হয়। এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়উর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। মামলা হওয়ার প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। এরই মধ্যে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তেজগাঁও থানায় অন্য মামলাটি করে দুদক। তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এ মামলায় আসামির তালিকায় খালেদা জিয়া ছাড়া তার একান্ত রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএয়ের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানের নামও রয়েছে।