জাপানের উপর দিয়ে উড়ে সাগরে পড়ল উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র

467

উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের উত্তর-পূর্বাংশের হোক্কাইডো প্রদেশের দ্বীপ এলাকা অতিক্রম করে প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার সকালে উত্তর কোরিয়া ওই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর জাপান জরুরি সতর্কতা জারি করলেও ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশেই ধ্বংস করার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। শুক্র ও শনিবার কয়েক দফা স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার উত্তেজনার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এ ঘটনাকে বর্ণনা করেছেন ‘নজিরবিহীন হুমকি’ হিসেবে। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে গেলেও তা জাপানের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার ঘটনা বিরল।
রয়টার্স লিখেছে, উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া এবারের ক্ষেপণাস্ত্রটি মাঝারি পাল্লার একটি হোয়াসং-১২ মিসাইল বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বার্ষিক সামরিক মহড়ার মধ্যেই এর পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া।
জাপানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার পশ্চিমাঞ্চল থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ার আগে প্রায় ১৪ মিনিট জাপানের লোকালয়ের ওপরে ছিল।
উত্তর কোরিয়া সুনান থেকে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে সাগরে পড়ার সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি তিনটি অংশে ভাগ হয়ে যায়। তার আগেই নাগরিকদের সতর্ক করে মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠানো হয় জাপান সরকারের পক্ষ থেকে।
জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়াশিদা সুগা টোকিওতে সাংবাদিকদের বলেন, “এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য বড় ধরনের হুমকি। এভাবে আর চুপ থাকা যায় না। আমরা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরও প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলব।”
পিয়ংইয়ং আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, “আমরা চাই বিশ্বনেতারা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সব ধরনের চাপ অব্যহত রাখুক।”
এর আগে ১৯৯৮ ও ২০০৯ সালে উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া দুটি রকেট জাপানের আকাশ সীমা অতিক্রম করে। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়েছিল, সেগুলো কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল, অস্ত্র হিসেবে নয়।