জাতিসংঘের তহবিলে ২৮ কোটি ডলার বরাদ্দ কমানোর ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

210

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস হওয়ার পরেই বরাদ্দ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী অর্থ বছরে জাতিসংঘের তহবিলে সাড়ে ২৮ কোটি ডলার বরাদ্দ কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। জাতিসংঘের মোট ব্যয়ের ২২ শতাংশ বা প্রায় ৩৩০ কোটি ডলার প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্র। গত রোববার শেষ রাতের দিকে জাতিসংঘের নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালি এই ঘোষণা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে নিকি হ্যালি বলেন, জাতিসংঘের অদক্ষতা ও অতিরিক্ত ব্যয়ের কথা সবাই জানে। আমেরিকার জনগণের অর্থ কোনও জবাবদিহি ছাড়া ব্যয়ের কোনও সুবিধা আর আমরা রাখতে চাই না। মার্কিন দূত বলেন, এই ঐতিহাসিক বরাদ্দ ব্যয় কমানো জাতিসংঘকে আরও কার্যকর ও জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপের একটি। সঠিক পথে এটি বড় পদক্ষেপ। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খুব শিগগিরই মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। তার এই সিদ্ধান্তে সারাবিশ্বে নিন্দার ঝড় ওঠে। এনিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভোট হলে মার্কিন স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যানের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১২৮টি দেশ। বিপরীতে ট্রাম্পের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় মাত্র ৯টি দেশ। ভোটদান থেকে বিরত ছিল ৩৫ দেশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশকে দেওয়া সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকির একদিন পর জাতিসংঘে হুমকি দেন দেশটির দূত নিকি হ্যালি। তিনি হুমকি দেন, জাতিসংঘে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল বন্ধ করে তা অন্য লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করার অধিকার রয়েছে তাদের। বলেন, জাতিসংঘ ও এর বিভিন্ন সংস্থায় সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয় আমেরিকা। ফলে এ সংস্থায় তাদের চাহিদা বা প্রত্যাশাও বেশি থাকবে। অথচ তার বদলে এখানে যুক্তরাষ্ট্রকে অপমানজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। নিকি হ্যালি বলেন, ‘আমাদের বিনিয়োগের জন্য আরও বেশি চাওয়ার অধিকার রয়েছে। যদি আমাদের বিনিয়োগ ব্যর্থ হয় তাহলে আরও লাভজনক খাতে আমাদের বিনিয়োগ কাজে লাগানোর বাধ্যকতা আছে। যারা এই প্রস্তাবের পক্ষে যারা ভোট দেবে তাদের বিষয়টি মনে রাখা উচিত।’