চাঁপাইনবাবগঞ্জে খুলে দেয়া হয়েছে প্রধান মার্কেটগুলো

342

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে খুলে দেযা হয়েছে প্রধান প্রধান বিপনী বিতান, মার্কেট ও শপিংমল। আজ সকাল ১০টা থেকেই অনেক মার্কেট খোলা হয়। আবার অনেক মার্কেট দুপুরের দিকে খোলে। দীর্ঘদিন পর দোকান খুলতে পেরে খুশী ব্যবসায়ীরা। তবে তাদের মধ্যে শংকাও কাজ করছে। শংকা যত না ভাইরোসের তার চাইতে বেশি প্রশাসনের কড়াকড়ি নিয়ে। আজ দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শহর কেন্দ্রে নিউমার্কেট, শিল্পকলা একাডেমি মার্কেট,ক্লাব সুপার মার্কেট, শহীদ সাটু হল মার্কেট,আব্দুল মান্নান সেন্টু মার্কেট ঘুরে ক্রেতাদের দেখা গেছে কিছুটা কম। হটাৎ সিদ্ধান্তে সব দোকান এখনও খুলে নি। ১০’মে থেকে সীমিত সময়ে মার্কেট খোলার সরকারী সিদ্ধান্ত থাকলেও গত ৮’মে চেম্বারের সাথে বৈঠকে করোনার জন্য মার্কেট বন্ধ অব্যহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ফলে ৪ দিন বন্ধ থাকে মার্কেটগুলো।
নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোখলেসুর রহমান বলেন, পুলিশ ও প্রশাসনের সাথে কথা বলেই মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে কোন নির্দিষ্ট দোকানের দায় তো সমিতি নিতে পারে না। ওই দোকানকেই দায়িত্ব নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সমিতি তাকে সহযোগিতা করবে। মার্কেটে দোকানের সামনে দূরত্বসূচক চিহ্ন আাঁকা, মাইকিং করে সকলকে অনবরত বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক করা, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা,জীবনুণাশক স্প্রে করা, থার্মাল স্ক্যানার চালু করা, স্বেচ্ছাসেবক নিয়ন্ত্রণ, সর্তকতামূলক প্রচার বোর্ড স্থাপন ইত্যাদি নিয়ে নিয়ে ব্যস্ত শিল্পকলা মার্কেট সমিতি সভাপতি আজিজুর রহমান বলেন, সচেতন সকল পক্ষকে হতে হবে। ক্রেতারা নিজেরা সচেতন না হলে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা কঠিন।
ক্লাব সুপার মার্কেটের সাবেক সভাপতি আব্দুল খালেক বললেন, প্রথম দিন হিসেবে বেচাকেনা মোটামুটি। নিউ মার্কেটের মাহির ফ্যাশনের মালিক মহির রহমান ব্যবসা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন। নিউ মার্কেটে স্যান্ডেল কিনতে আসা মাস্ক পরিহিত দুই তরুনী জানান, তারা ঈদ নয়, প্রয়োজনে এসেছেন। মার্কেট ঘুরে কিছু ক্রেতা দেখা গেছে কসমেটিক্স, কাপড়, গামেন্টস ও জুতার দোকানে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আর অর্থনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করা দুটোই দরকার। খুব সচেতন ভাবেই সকল পক্ষকে দুটি বিষয় একই সাথে বজায় রাখতে হবে। কারও দায় কেউ নেবে না। কাউকে দোকানে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে না। দোকান খুলতেও বাধ্য করা হচ্ছে না। জেলা প্রশাসক স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ৯’ তারিখে এক নির্দেশে দোকান খোলার শর্ত ঘোষণা করেন। এর আগে কোভিড-১৯ জেলা কমিটি দোকান বন্ধে চেম্বারের সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে। সদর থানার পরিদর্শক(অভিযান) ইদ্রিস আলী বলেন, মার্কেটের দিকে পুলিশের নজর রয়েছে। জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি দেখছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

তবে, গোমস্তাপুরে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে বিভিন্ন মার্কেট খোলা রাখায় এবং জনসমাগম আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনস্বার্থে অনিদিষ্টকালের জন্য দোকানপাট বন্ধ করেছে গোমস্তাপুর থানা পুলিশ। আজ দুপুরে উপজেলার চৌডালা, রহনপুর ষ্টেশনবাজার ও পুরাতন বাজারে গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসিম উদ্দিন ও রহনপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে পুলিশের দুটি টিম মার্কেটগুলোতে উপস্থিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। এ প্রসঙ্গে গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জসিম উদ্দিন জানান, সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট গুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। করোনা পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত সোমবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গোমস্তাপুরে মার্কেটগুলোতে জনসমাগম বৃদ্ধি সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এ ব্যবস্থা গ্রহন করে।