চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার স্থানীয় গরু ছাগলেই মিটবে কোরবানির চাহিদা

202

চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় ১৭ লাখ মানুষের বসবাস। এর মধ্যে অধিকাংশই মুসলিম। আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের জন্য মুসলিম সম্প্রদায় প্রতিবছর গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ কোরবানি দিয়ে থাকেন। এবারো তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকেই হয়ত কোরবানি দিতে পারবে না।
জানা গেছে, এবার জেলায় সবমিলিয়ে ৯১ হাজার ৪১৭টি কোরবানির প্রাণীর চাহিদা রয়েছে। বিপরীতে ১২ হাজার ১৮৪ জন ছোট-বড় খামারি ৯৮ হাজার ৭৬৯টি কোরবানির পশু লালন-পালন করেছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, জেলায় এবার ষাঁড় রয়েছে ২৩ হাজার ৩৮৭টি, বলদ রয়েছে ১৭ হাজার ৫০২টি, গাভী ও বকনা রয়েছে ১৩ হাজার ৯৫২টি, মহিষ রয়েছে ৩ হাজার ৪০৬টি, ছাগল রয়েছে ২৯ হাজার ২৪৩টি, ভেড়া ও গাড়ল রয়েছে ১১ হাজার ২৭৯টি। তিনি বলেন- জেলায় চাহিদার চেয়ে ৭ হাজার ৩৫২টি পশু পরিসংখ্যান অনুযায়ী অতিরিক্ত রয়েছে। কাজেই এবার নিজ জেলায় লালন-পালন করা এইসব পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা পূরণ হবে।
তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে কোরবানি পশু কম বিক্রির আশঙ্কা করছেন খামারিরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নামো নিমগাছি মহল্লায় ৪৮টি দেশী জাতের গরু লালন-পালন করেছেন ওই মহল্লার ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানান, গরুগুলো কোরবানির উপযোগী। কিন্তু হাটে ক্রেতা না থাকা এবং বাইরের পাইকার না আসায় বিক্রি করতে পারছেন না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বটতলাহাটের ইজারাদার মো. নূরুজ্জামান জানান, অন্য বছর ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এই সময়ে কোরবানির পশু বিশেষ করে গরু ও ছাগল বেচাকেনা দেদারসে শুরু হয়। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে ঈদ ঘনিয়ে এলেও হাটের দিন গরুই নামে না। অন্যদিকে ক্রেতারাও আসে না। হয়ত ঈদের দুয়েক হাট আগে বেচাকেনা হতে পারে। তা ছাড়া এবার হয়ত করোনার কারণে অনলাইনেও গরু বেচাকেনা হতে পারে। ঈদের সময় ঘনিয়ে এলেও এখন পর্যন্ত পশুর হাটে গরু ছাগল না আসায় এবার অনেক টাকা লোকসান গুণতে হবে বলে জানান ইজারাদার নূরুজ্জমান।