চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র ও ফেনসিডিল মামলায় দু’জনের ২২ বছর কারাদন্ড

157

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত পৃথক দুটি মামলায় মাসুদ ও মোস্তফা কামাল নামে দুজনকে পৃথকভাবে ১২ ও ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সেই সাথে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় (ফেনসিডিল চোরাচালান) উভয়কে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। অবৈধ ৪টি বিদেশী পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি, ৮টি ম্যাগজিন ও ৭৩১ বোতল ফেনসিডিল বিক্রির উদেশ্যে একটি ট্রাকে লুকিয়ে নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে মামলা দুটিতে ওই সাজা দেয়া হয়। আজ দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ষ্পেশাল ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক শওকত আলী দন্ডিত মাসুদের উপস্থিতিতে উভয় মামলার রায় ঘোষণা করেন। এসময় দন্ডিত অপর আসামী মোস্তফা কামাল পলাতক ছিলেন। ওই দুই মামলায় দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় অপর পাঁচ আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। দন্ডিত মাসুদ রাজশাহী মহানগরের মতিহার থানার চরকাজলা এলাকার আবু তারেকের ছেলে। দন্ডিত পলাতক অপর আসামী মোস্তফা কামাল রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার টাংগন গ্রামের মৃত.বিচ্ছাদ সরদারের ছেলে। মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আঞ্জুমান আরা জানান, ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৫টায় জেলার শিবগঞ্জ কয়লাবাড়ী ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালায় শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। অভিযানে একটি ট্রাকে বিশেষ কায়দায় লুকানো ৪টি বিদেশী পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি, ৮টি ম্যাগজিন ও ৭৩১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। অভিযানে গ্রেফতার হন দন্ডিত মাসুদ ও মোস্তফা কামাল। এ ঘটনায় ওইদিনই শিবগঞ্জ থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার দুজনসহ সাতজনকে আসামী করে মামলা করেন শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রসুল। মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদশর্ক(এসআই) নুরে আলম সিদ্দিকী ২০১৬ সালের ৩০ জুন মামলায় উল্লেখিত সাত আসামীকেই অভিযুক্ত করে আদালতে পৃথক দুটি চার্যশীট দাখিল করেন।
৭ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানী শেষে আদালত আজ হাজির আসামী মাসুদ ও পলাতক আসামী মোস্তফা কামালকে দোষী সাব্যস্ত করে মামলা দুটির সাজা ঘোষনা করেন। রায়ে দুই মামলার অপর পাঁচ আসামীকে খালাস দেয়া হয়। আসামী পক্ষে উভয় মামলা পরিচালনা করেন এ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক।