চাঁপাইনবাবগঞ্জে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৩

566

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বিশ^রোড মোড় হতে নিয়োগ বানিজ্যের ফাঁদে ফেলে পরিচয় হওয়া সাদিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে প্রাইভেট কারে তুলে অপহরণ, অপহরণের পর সাথে থাকা ৫ লক্ষ টাকা কেড়ে নেয়া ও জিম্মি বানিয়ে নির্যাতণ করে আরও ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে দায়ের মামলায় বিভিন্ন বাহিনীতে নিয়োগ বানিজ্য জালিয়াতি চক্রের মূলহোতাসহ ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জব্দ হয়েছে নিয়োগ বাণিজ্যসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র, অপহরণে ও চক্রের কাজে ব্যবহৃত ওই কার ও ৭টি মোবাইল ফোন। গ্রেপ্তাররা হল- চক্রের হোতা ও একটি বাহিনী হতে ২০১৫ সালে অব্যহতিপ্রাপ্ত পাবনার সুজানগর থানার ভবানীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক খন্দকারের ছেলে মোতালেব খন্দকার, চক্রকে অবৈধ সিমকার্ড সরবরাহকারী রাজশাহীর পুঁঠিয়া থানার মৃত মোসলেম সরকারের ছেলে আলতাফ হোসেন ও দূর্গাপুর থানার গোপীনাথপুর পশ্চিমপাড়া খাসখামার গ্রামের মৃত আমান আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ওই ৩ জনকে বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রেপ্তার করে গতকাল চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় থানায় আনা হয়। আজ দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সদর থানায় ঘটনার বর্ননা দেন। তিনি বলেন, চক্রটি প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা সাদিকুলের নিকট থেকে নেয় ১ লক্ষ টাকা, পরে গত ২০২৩ সালের ২২ মার্চ দুপুরে সাদিকুলকে নিয়ে গাড়িতে রাজশাহী যাাবার পথে কেড়ে নেয় ৫ লক্ষ টাকা। তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে পরের দিন ২৩ মার্চ তাকে রাজশাহীর বানেশ^র বাজারে নিয়ে সেখানে কুরিয়ারের মাধ্যমে মুক্তিপণের ৪ লক্ষ টাকা আদায় করে ছেড়ে দেয়। পরে সাদিকুল ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। কিন্তু আদালত তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট না হয়ে ২০২৪ সালের ২ জানূয়ারী উর্ধতণ পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। পূণরায় তদন্তকালে ঘটনার ব্যাপারে ওইসব তথ্য জানা যায়। গ্রেপ্তার হয় ওই ৩ জন। আলামত জব্দ হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ঘটনার তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে পুরো বিষয়টি জানা যাবে। ওই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।