গ্রেট ব্রিটেনের দলে আট জোড়া ভাই-বোন, রয়েছে তিন যমজ

103

এবারের টোকিও অলিম্পিকে গ্রেট বিট্রেনের দলে ভাই-বোনদের ছড়াছড়ি। আট জোড়া ভাই-বোন এবার গ্রেট বিট্রেনের হয়ে টোকিও অলিম্পিকে অংশ্রগহণ করছে। সেখানে আবার তিন যমজ অ্যাথলেটও রয়েছে। ডেইলি মিরর এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দিয়েছে। জিমনাস্টিকস, রোয়িং, সুইমিং, বক্সিং, অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ইভেন্টে এই আট জোড়া ভাই বোন অংশগ্রহণ করবেন।

বলা হচ্ছে এর আগে অলিম্পিকের কোনো দলে একই সঙ্গে এতো ভাই-বোন অংশগ্রহণ করেনি। রিও অলিম্পিকে ছয় জোড়া ভাই-বোন ছিল। তখন সেটিকে রেকর্ড হিসেবে গণ্য করা হয়েছি। জেনিফার ও জেসিয়া গাডিরোভো যমজ বোন। খেলবেন জিমনাস্টিকস ইভেন্টে। এছাড়া বক্সিং ইভেন্টে দেখা যাবে যমজ ভাই লুক ও প্যাট ম্যাককর্ম্যাকে ও সাইক্লিংয়ে থাকবেন অ্যাডাম ও সিমন ইয়টস।

এছাড়া অন্য ভাই-বোনদের মধ্যে রয়েছে জিমনাস্টিকসে শার্লট এবং ম্যাথিল্ডা হজকিন্স-বাইর্ন, টিফানি পর্টার ও কিন্ডি সেম্বার, রোয়ার্স এমিলি ও টম ফোর্ড ও হান্নাহ ও জোডি উইলিয়ামস এবং সুইমিংয়ে জো এবং ম্যাক্স লিচফিল্ড।

গ্রেট ব্রিটেনের জোড়া ভাই-বোনদের তালিকা আরও লম্বা হতো যদি নারী হকিতে মূল দলে টিকে যেতেন হান্নাহ মার্টিন। তার ভাই দুইবারের অলিম্পিয়ান হ্যারি মার্টিন এবারও অংশগ্রহণ করছেন।

সুইমিংয়ে জো এবং ম্যাক্স লিচফিল্ডের ৬৪ বছর বয়সী বাবা ছিলেন একজন ফুটবলার। খেলেছেন নর্থ ইন্ড ও ব্র্যাডফোর্ডে। তার দুই ছেলে একই সঙ্গে অলিম্পিকে খেলতে পারছে বলে বেশ খুশি তিনি। ২২ বছর বয়সী জো ও ২৪ বছর বয়সী ম্যাক্স সুইমিংয়ে দেশের পতাকা উড়াতে পেরে উচ্ছ্বসিত। জো বলেন, ‘আমরা দুইজন একসঙ্গে আছি এটা অবশ্যই আনন্দের।’ ম্যাক্স রিওতে অংশ নিয়েছিলেন। এবার ভাইকে পেয়েও খুশি তিনি,‘দুইজন একসঙ্গে একই দলের হয়ে পানিতে নামবো এটা অনেক আনন্দের।’

গ্রেট ব্রিটেনের স্কোয়াডে বক্সিংয়ে আছেন যমজ ভাই লুক ও প্যাট ম্যাককর্ম্যাক। দুই ভাই রিংয়ের ভেতরে ও বাইরে বেশ মজার সময় কাটান বলে খবরে এসেছে। দুইজন এবার টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিততে মুখিয়ে। প্যাট ম্যাককর্ম্যাক এর আগে কমনওয়েলথে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা এবারও কাজে লাগাতে চান তিনি, ‘এটা অবিশ্বাস্য অনুভূতি। আমি শেষবার রিওতে একা গিয়েছিলাম। এবার একসঙ্গে টোকিও যাচ্ছি। আমরা দুইজন নিজেদের সঙ্গ বেশ পছন্দ করি। এবারও একই সঙ্গে বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করার সুযোগটি এলো।’

টোকিও অলিম্পিকের পর্দা উঠার অপেক্ষায়। আগামী ২৩ জুলাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াজজ্ঞ মাঠে গড়াবে। অংশ্রহণকারী দলগুলোর প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। আয়োজকরাও প্রস্তুত তাদের স্বাগত জানাতে। এরই মধ্যে অলিম্পিক ভিলেজের দরজা খুলে দিয়েছে আয়োজকরা।