গোমস্তাপুরে জমি নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

236

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের ও নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শেষ সীমানা শেরপুর ও আড্ডা এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে জয়নাল (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত ব্যক্তি গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমানের ছেলে। উল্লেখ্য, এলকাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার শেষ সীমানা। গত ২৪ মার্চ থেকে আড্ডা এলাকায় এই দুই উপজেলার বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ওই দুই গ্রুপকে স্থানীয়ভাবে মেদনী ও খোঠঠা বংশ নামে ডেকে থাকে। মেদনী গ্রুপে রয়েছেন তরিক মাস্টার ও খোঠঠা বংশে রয়েছেন সাবিরুদ্দিন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, খোঠঠা বংশের সাবিররুদ্দিন আড্ডা এলাকার কয়েক বিঘা জমি দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করতেন। ওই জমির মালিকানার দাবিতে মেদনী বংশের তরিক মাস্টার আদালতে মামলা করলে কয়েক বছর সেটি পতিত ছিল। সম্প্রতি আদালতের ডিক্রি পেয়ে ওই জমির দখলে যান তরিক মাস্টার। এ নিয়েই আড্ডা বাজারে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। এছাড়াও ভাঙচুর করা হয় দোকানঘর, পিকআপ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাড়িঘর। ওই ঘটনার পর থেকে আড্ডা বাজারে দফায় দফায় সংঘর্ষের কারণে দোকানপাঠ বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কায় অনেক দোকানি ভয়ে দোকানপাট খুলছেন না। এই পরিস্থিতিতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন সাধারণ জনগণ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় গোমস্তাপুর ও নিয়ামতপুর থানা পুলিশ টহলে রয়েছে।
এদিকে  বুধবার ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘটনার তিন দিন হয়ে গেলেও এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এখনো আড্ডা বাজারের অনেক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। নিয়ামতপুর থানা ও গোমস্তাপুর থানার পুলিশ সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। নিহতের আত্মীয় শাহীন জানান, জয়নাল ঘটনার দিন বাড়ির পাশে বসে মোবাইলে কথা বলছিলেন। পরে তারা তাকে ধরে নিয়ে বেদম প্রহার করে জখম করে। এই ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তাকে দেখতে যাওয়ার পথে তিনি জানতে পারেন সকাল ৭টার দিকে জয়নাল মারা গেছেন। এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ বলেন, ঘটনার পর দুই পক্ষই মামলা করেছে। এলাকায় পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।