খুলনা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা ট্রেন পাঁচ মাস পর চালু

130

দীর্ঘ ৫ মাস পর খুলনা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে চালু হয়েছে মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া শনিবার থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর রুটে লোকাল ট্রেন চালুর কথা থাকলেও সেটি চলাচল শুরু হয়নি বলে বিকেলে জানিয়েছেন স্টেশন মাস্টার মনিরুজ্জামান। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ দুটিসহ নতুন করে আরো ১৯ জোড়া আন্তঃনগর, লোকাল, কমিউটার ট্রেন গতকাল শনিবার থেকে চলাচল শুরু করেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন) স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। পরবর্তীতে ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরো ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। গত ১৬ আগস্ট নতুন করে আরো ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেনের নতুন করে চলাচল শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ আগস্ট থেকে আরো ১৮ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরপরই ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তঃনগর, কমিউটার ও লোকালসহ আরো ১৯টি ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
শনিবার থেকে চলাচল শুরু করা ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের মহানগর গোধুলী/প্রভাতী, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা চট্টগ্রাম তুর্ণা এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-জামালপুর-ঢাকা জামালপুর এক্সপ্রেস, ঢাকা-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম-ঢাকা দ্রুতযান এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী ধুমকেতু এক্সপ্রেস, ঢাকা-রংপুর-ঢাকা রংপুর এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ বাজার-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ বাজার সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, খুলনা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা এক্সপ্রেস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর লোকাল, রহনপুর-খুলনা মহানন্দা এক্সপ্রেস, সান্তাহার-লালমনিহাট-সান্তাহার পদ্মরাগ কমিউটার, খুলনা-গোয়ালন্দঘাট-খুলনা নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম সাগরিকা কমিউটার, রাজশাহী-পার্বতীপুর-রাজশাহী উত্তরা এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা মহুয়া এক্সপ্রেস এবং খুলনা-বেনাপোল-খুলনা বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করবে।
এখন সবমিলিয়ে মোট ৬৭ জোড়া অর্থাৎ ১৩৪টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে বিভিন্ন রুটে।