কাতার সঙ্কট : মিত্রদের সঙ্গে বসছে সৌদি আরব

472

প্রতিবেশী আরব দেশ কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের এক মাস পর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মিশরের রাজধানী কায়রোতে বৈঠকে বসছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইন।
কাতারকে দেওয়া ১৩টি শর্ত মেনে নেয়ার আর না হলে আরো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার জন্য বেঁধে দেওয়া সময়সীমা গত মঙ্গলবার পার হয়ে যায়, পূর্ববর্তী ঘোষণা অনুযায়ী পরদিন গতকাল বুধবার কায়রোতে সৌদি আরব ও মিত্র দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কাতারকে দেওয়া শর্তগুলোর মধ্যে সংবাদ চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়া, কাতারে অবস্থিত তুরস্কের একটি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করা ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাস উল্লেখযোগ্য। পাশাপাশি মুসলিম ব্রাদারহুড ও ফিলিস্তিনের হামাসের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করার শর্তও দেওয়া হয়েছে।এসব শর্তের তালিকাকে ‘অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য’ অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে কাতার।কাতার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দিচ্ছে, ওই চারটি দেশের করা এমন অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেছে কাতার।কিন্তু এসব অভিযোগ তুলে কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করা ওই আরবদেশগুলো দেশটির ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এরপর থেকে পারস্য উপসাগরীয় আমির শাসিত ক্ষুদ্র রাষ্ট্রটি নজিরবিহীন কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে আছে। তেল-গ্যাসে সমৃদ্ধ ২৭ লাখ মানুষের দেশ কাতার আমদানি করেই তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটায়। তিন দিকে সাগর বেষ্টিত কিন্তু সমুদ্র বন্দরহীন দেশটি ভূখ-গতভাবেই সৌদি আরবের ওপর নির্ভরশীল। ফলে সৌদি আরব ও তার মিত্রদের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটিতে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাতার তাদের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এলএনজির উৎপাদন ৩০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে আগামি পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে তাদের এলএনজির বছরপ্রতি উৎপাদন ৭ কোটি ৭০ লাখ টন থেকে ১০ কোটি টনে পৌঁছাবে।বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবারের এ ঘোষণার মাধ্যমে কাতার আরব প্রতিবেশীদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বিরোধের সম্ভাবনায় নিজেদের প্রস্তুত করে রাখছে, যদিও দেশটির দাবি, তারা ‘সম্পর্ক ছিন্ন করা প্রতিবেশীদের সঙ্গে’ চুক্তিতে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।