এবার বাহরাইনের জালে ১০ গোল মেয়েদের

204

ঢাকায় এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বে বাহরাইনকে ১০-০ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। মেয়েদের বয়সভিত্তিক ফুটবলে বাহরাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের শক্তির ব্যবধানটাই আজ ফুটে উঠল কমলাপুরের শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ প্রতিযোগিতার বাছাইপর্বে আজ মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিকে ১০-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
প্রথমার্ধে ৫ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে হয়েছে আরও ৫ গোল। কোনো হ্যাটট্রিক না হলেও বাংলাদেশের পক্ষে জোড়া গোল করেছেন আনুচিং মগিনি ও শামসুন্নাহার জুনিয়র ও মারিয়া মান্দা। একটি করে গোল করেছেন আনাই মগিনি, সাজেদা, শামসুন্নাহার সিনিয়র ও তহুরা খাতুন।
প্রতিপক্ষ হিসেবে বাহরাইনের কিশোরীরা পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশের কাছে। বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপন চাকমাকে একটা বলও ধরতে হয়নি। গোটা ম্যাচে গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে শেষের প্রতীক্ষা করে গেছে বাহরাইনের মেয়েরা। আগের ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে ৮ গোল হজম করা বাহরাইনের মেয়েরা যে বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে দাঁড়াতে পারবে না, তা অনুমিতই ছিল। গোল কত বেশি হয়, সেটিই ছিল দেখার।
১২ মিনিটে গোলের মেলা শুরু করেন রাইটব্যাক আনাই মগিনি। ডান প্রান্ত থেকে তাঁর ক্রস সরাসরি জালে জড়িয়ে যায়। চার মিনিট পরে দূরপাল্লার শটে ব্যবধান ২-০ করেছেন অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। এর পরে আর গোল করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামনে কোনো প্রতিরোধ ছিল না। ১৯ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের শটে গোলমুখ থেকে পা লাগিয়ে ৩-০ আনুচিং মগিনি। ৩৫ মিনিটেও আনুচিংযের গোল। এক হালিতেও প্রথমার্ধ শেষ হলো না। বিরতিতে যাওয়ার আগে ৫-০ করেছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। দ্বিতীয়ার্ধে আবারও গোল উৎসব শুরু। ৫৫ মিনিটে ৬-০ করেছেন বদলি সাজেদা। দুই মিনিট পরেই ৭-০ করেছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। পরের মিনিটেই বক্সের মধ্যে শামসুন্নাহারকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বাহরাইনের মিডফিল্ডার ডানা বাসেম। স্পটকিক থেকে ৮-০ করেছেন শামসুন্নাহার সিনিয়র। ৭২ মিনিটে ব্যক্তিগত জোড়া গোলে দলীয় ৯-০ করেন অধিনায়ক মারিয়া। ৮৬ মিনিটে তহুরার গোল ১০-০ হয়ে যায় স্কোরলাইন। ২০১৬ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই অনূর্ধ্ব-১৬ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নাম লিখিয়েছিল বাংলাদেশ। বাছাইপর্বে গতবারের চেয়ে এবার দলসংখ্যা বেড়েছে। তাই গত আসরের মতো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেই চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার সুযোগ থাকছে না। ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা দুই রানার্সআপ দলকে খেলতে হবে দ্বিতীয় রাউন্ডে।