ঊর্দ্ধমুখি মুদি বাজার, স্থিতিশীল সবজির দাম

250

আজ (গতকাল) জেলার নিউমার্কেট বাজারে গিয়ে দেখাযায় স্থিতিশীল রয়েছে প্রায় সকল সবজির দাম, বেড়েছে ছোটবড় সকল মাছের দাম। সকল মুরগির অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে প্যারেন্স মুরগীর দাম, ঊর্দ্ধমুখি মুদি বাজার। বাজার করতে আসা ক্রেতা রেজাউলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন সবজির দাম এখন কিছুটা স্বাভাবিক আছে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে, যেমন গত সপ্তাহে পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৯০ টাকা কেজি দরে সে পেঁয়াজ আজ কিনলাম ১৩০ টাকা কেজি। জিনিসের দাম বেড়েছে কিন্তু আমাদের বেতন তো বাড়েনি। মেসে রান্না করা তাজকেরা বলেন মাছের দাম এসপ্তাহে একটু বেশি বলে মনে হচ্ছে, তবে এর থেকেও বেশি হচ্ছে চাল, তেল, চিনি, মসলা, পেঁয়াজে, রশুনের দাম। আমরা কাজ করে যে টাকা পাই তাদিয়ে সংসার চালানোটা সমস্যা হয়ে পরেছে। তবু কি করার আছে, কিনতে হবে খেতে হবে। চাকুরিজীবি আবু কালাম বলেন আমাদের সমস্যা খরচ একটু বেশি হচ্ছে তবে খারাপ অবস্থা খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের। পণ্যের দাম বাড়লেও তাদেরতো আয় বাড়ছে না। যার কারণে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদেরকে।

সবজি বাজারে সবজি বিক্রেতা আব্দুল রশিদ ও বাদসা বলেন ফুলকপি ২০ টাকা কেজি থেকে কমে ১৫-১৬ টাকা কেজি, ভালো কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা কেজি। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত। শশা ৪০ টাকা কেজি, গাজর ২৫ টাকা কেজি, বেগুন ৩০-৪০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা পিস, মটরশুটি ৬০ টাকা কেজি, করলা ৮০-৯০ টাকা কেজি, লাউ ৩০ টাকা পিস, আলু ২০ টাকা কেজি, টমেটো সর্বোচ্চ ৭০ টাকা কেজি সর্বনিম্ন ৩০ টাকা কেজি, শিম ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ২০-২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, মাছ বিক্রেতা সাবের আলী ও জয়নুল আবেদিন বলেন আজকে (গতকাল) মাছবাজারে অন্যান্য সপ্তাহের চেয়ে মাছের দাম ৪০ শতাংশ বেশি । আমদানি কম থাকায় ছোট-বড় সকল মাছের দাম বেশি । নদীর মাছের দাম কেজি প্রতি প্রায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি ও চাষ করা পুকুরের মাছের দাম কেজি প্রতি প্রায় ২০ থেকে ৫০ টাকা বেশি। ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের রুই ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি, ৬০০-৭০০ গ্রামের মিরকা ১৮০ থকে ২০০ টাকা কেজি, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের শিলভর ১৪০ টাকা কেজি, চিংড়ি মাছ ৬০০ টাকা কেজি, টাকি মাছ ৪০০ টাকা কেজি, গ্লাসকাপ ২১০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া মাছ ১৭০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরেক মাছ বিক্রেতা শুকুরউদ্দিন বলেন আজ অন্যান্য মাছের থেকে ইলিশ মাছের দাম কম আছে। কেজির ইলিশ ৮৫০ টাকা কেজি, ৯০০ গ্রামের ইলিশ ৭৫০ টাকা কেজি, ৬০০ গ্রামের ইলিশ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি, আর ২৫০ গ্রামের ইলিশ ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি।
মাংস বাজারে খাসির মাংস ৭৫০ টাকা এবং গরুর মাংস ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানায় মাংস বিক্রিতা আব্দুল হাকিম, ও মাসুদ রানা। অন্যদিকে, গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে প্যারেন্স মুরগীর দাম। কমেছে লাল লেয়ারের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছের দেশি মুরগি, ব্রয়ালর, সোনালি ও পাকিস্তানি মুরগীর দাম। লাল লেয়ার ১৮০ টাকা থেকে কমে ১৭০ টাকা কেজি, প্যারেন্স ১৯০ টাকা থেকে বেড়ে টাকা ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, ব্রয়লার ১১০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৩৫০ টাকা কেজি, সোনালি ১৮০টাকা কেজি, পাকিস্তানি মুরগি ১৮০ টাকা কেজি, রাজ হাঁস ১০০০-১২০০ পাতি হাস ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানায় মুরগী বিক্রেতা সেলিম রেজা ও মাসুম।

মুদি পণ্য বিক্রেতা সাদিরুল ইসলাম ও শাহালাল আলী বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে পেঁয়াজ, রশুন, চিনি, চিকন চাল, মিনিকেট চাল আতপ চালের দাম। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও মাঝে দাম বেড়ে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় কিন্তু এখন দাম কমে ১১০-১২০ টাকা কেজি দওে বিক্রে হচ্ছে। খোলা চিনির দাম ৬০ থেকে ৬২ টাকা থেকে বেড়ে ৬২-৬৪ টাকা কেজি, চিকন চাল ৩৬-৩৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি, মিনিকেট চাল ছিল ৪২ টাকা কজি সে চাল এখন ৪৫ টাকা কেজি, আতপ চাল ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকা কেজি, রশুনের দাম ১৪০-১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৬০-১৭০ টাকা কেজি, চায়না রশুন ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কমেছে খোলা সয়াবিনতেলের দাম। সয়াবিন তেলের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৫ টাকা কেজি। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দাম। এ সপ্তাহে ডিম ৩০ টাকা হালি।