ইসরায়েলের নির্বাচনে পঞ্চম মেয়াদের জন্য লড়ছেন নেতানিয়াহু

163

দশককালের মধ্যে সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ইসরায়েলের ভোটাররা। এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে রেকর্ড পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছেন ডানপন্থি লিকুদ পার্টির নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। বর্তমান এ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল বেনি গান্টজের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করা হচ্ছে, জানিয়েছে বিবিসি। মধ্যপন্থি নীল-সাদা জোটের প্রধান গান্টজ নিরাপত্তা ও রাজনীতিকে পরিশুদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নেতানিয়াহুর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। আরেগ নির্বাচনগুলোতে ইসরায়েলের ১২০ সদস্যবিশিষ্ট পার্লামেন্ট নেসেটে কোনো দলেরই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেনি। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হলেই দলগুলোর মধ্যে জোট সরকার গঠনের আলোচনা শুরু হয়ে যাবে। নির্বাচনের আগে সোমবার জেরুজারেলেমে এক নির্বাচনী সমাবেশে নেতানিয়াহু লিকুদ সমর্থকদের ‘আত্মতুষ্টিতে’ না ভুগে ভোট কেন্দ্রগুলোতে হাজির হওয়ার তাগাদা দিয়েছেন। বিরোধী ‘বামপন্থিরা’ জিতে যেতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকা ডানপন্থি ভোটারদের মধ্যে নেতানিয়াহু বেশ জনপ্রিয়, বলছেন পর্যবেক্ষকরা।প্রচারের শেষ দিনগুলোতে লিকুদ পার্টির এ শীর্ষ নেতা জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে শক্ত বার্তা দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার দিকে বেশি মনোযোগী ছিলেন। ফের নির্বাচিত হলে অধিকৃত পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিকে ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। পশ্চিম তীরের দখল করা অংশে ইসরায়েলের বসতি আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হলেও, তেল আবিবের এতে আপত্তি আছে। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ এবং গাজাকে ঘিরে ফিলিস্তিনি সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঘটনা নেতানিয়াহুকে নির্বাচনী দৌড়ে খানিকটা অস্বস্তিতে ফেলেছে বলে ভাষ্য পর্যবেক্ষকদের। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, নির্বাচনকে লক্ষ্য করে আয়োজিত ‘উইচ হান্টিং’ এর শিকার তিনি। তেল আবিবের নির্বাচনী সমাবেশে গান্টজ তার নীল-সাদা জোটের সমর্থকদের বলেছেন, বিচারের হাত থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী আইনই বদলে ফেলতে চাইছেন। ভোটে এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে; লিকুদ এবং নীল-সাদা উভয় পক্ষই ৩০টি করে আসন জিততে যাচ্ছে বলেও ভোটের আগে হওয়া সর্বশেষ জনমত জরিপগুলোতে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।