আসছে ঢাকার বিশেষজ্ঞ দল, জরুরীভাবে ব্যবস্থা হয়েছে ১১শ’ ব্যাগ কলেরা স্যালাইনের

187

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে হঠাৎ করে প্রাদূর্ভাব ঘটা ডায়ারিয়া রোগ পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিগত ১৫ ঘন্টায় ৭৬ জন রোগি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে গতকাল ২৪ ঘন্টায় ১৫৬ ও গত বৃহস্পতিবার ২৪ ঘন্টায় ১১০ জন রোগি হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টির মধ্যেই হাসপাতালে রোগি আসা অব্যাহত রয়েছে। অবশ্য ভর্তিকৃত রোগিরা বাড়ি যাবার মত সুস্থ হলে তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে হাসপাতালে ভর্তি রোগি ছাড়াও কিছু রোগি বাড়িতে, শহরের বেসরকারী হাসপাতালে ও কয়েকজন রাজশাহীতে চিকিৎসা নিয়েছেন ও নিচ্ছেন।
এদিকে, হাসপাতাল ও বাইরে বাজারে কলেরা স্যালাইনের সংকটের মধ্যে জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হকের জরুরী হস্তক্ষেপে জেলা প্রশাসনের নিজস্ব তহবিল থেকে গতকাল জরুরীভাবে ৭শ’ ব্যাগ কলেরা স্যালাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ থেকে তা রোগিদের দেয়া শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী। তিনি বলেন, এছাড়া আরও ৪শ’ ব্যাগ স্যালাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীকাল সেগুলি এসে পৌঁছাবে। অতিরিক্ত আরও স্যালাইনের জন্য ঢাকায় খবর দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ঠিক কি কারনে হটাৎ ডায়রিয়ার এই প্রকোপ তা নির্ণয়ে ঢাকা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল আসবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। আগামীকাল ওই দলের সফরসূচী চূড়ান্ত হতে পারে। এদিকে আক্রান্ত এলাকাগুলোর পানি পরিক্ষার রিপোর্ট আজ বিকেল পর্যন্ত আসেনি। সিভিল সার্জন জানান,রোগটির কারণ নির্ণয়ে অবিলম্বে অন্তত: আরও দুই স্থানে তাদের উদ্যোগে ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে পানি পরিক্ষা করা হবে। এদিকে হাসপাতালের মূল ভবনের মেঝেতেও রোগির স্থান সংকুলান না হওয়ায় শুক্রবার থেকে তাদের হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় যেখানে ডেঙ্গু কর্ণার ছিল সেখানে রাখা হচ্ছে। এদিকে পৌরসভার সরবরাহ পানি থেকে এ রোগ ছড়িয়েছে বলে রোগিদের দাবি ও চিকিৎসকদের সন্দেহের পরও পৌর কর্তৃপক্ষ তা স্বীকার করেনি। তবে তারা গত ৩দিন ধরেই কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। আক্রান্ত রোগিদের বেশিরভাগই শহরের উপরাজারামপুর, হরিপুর, দারিয়াপুর, নামোনিমগাছি ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা।