অস্ট্রেলিয়ায় মুসলিমবিদ্বেষী গ্যাভিনের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার দাবি

278

মুসলিমবিদ্বেষী, নারীবাদী ও সমকামিতা সমর্থনের নেতিবাচক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মার্কিন নাগরিক গ্যাভিন ম্যাকইনসকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে না দেওয়ার পক্ষে জোর দাবি উঠেছে। আবার তাঁর অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের পক্ষেও রয়েছে বিপুল জনসমর্থন। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া এখন সরগরম। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন রাজ্যে সাম্প্রতিক বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার জের ধরে দেশটির মুসলিম কমিউনিটির প্রতি সন্দেহের তির উঠেছে। এ কারণে দেশটিতে মুসলিম অভিবাসীদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে আনার কথা ভাবছে সরকার। তবে মুসলিম অভিবাসীদের প্রবেশাধিকারে লাগাম না টেনে বরং মুসলিমবিদ্বেষীদের অস্ট্রেলিয়ায় আসতে না দেওয়ার কথা বলছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাবেক প্রধান রোমান কোয়েদলিগ। মার্কিন নাগরিক গ্যাভিনের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। গ্যাভিন একজন লেখক, কৌতুক অভিনেতা। তবে তিনি বেশি সমালোচিত তাঁর বিভিন্ন মুসলিমবিদ্বেষী, নারীবাদী ও সমকামিতা সমর্থনের নেতিবাচক কথার জন্য। এ ছাড়া তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংগঠন প্রাউড বয়েজের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলার জন্য সমালোচিত। গ্যাভিন প্রকাশ্যে নিজেই বলেছেন, হিংস্রতার চেয়ে বড় কোনো অস্ত্র নেই। আগামী ৫ থেকে ১৬ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়া সফরের কথা ৪৮ বছর বয়সী গ্যাভিনের। তাঁর এই সফর অস্ট্রেলিয়ার শান্তিপূর্ণ মুসলিম কমিউনিটির জন্য হুমকি বলে মনে করেন রোমান। অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে রোমান বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম কমিউনিটির নিরাপত্তার জন্য গ্যাভিন হুমকিস্বরূপ। হিংসা বিস্তারের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় তাঁকে একটা ক্ষেত্র দেওয়া উচিত নয়। অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসননীতি অনুযায়ী গ্যাভিন চারিত্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন না। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন আইনের ৫০১ অধ্যায় অনুযায়ী, জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক চরিত্রের কেউ অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অধিকার রাখেন না। অস্ট্রেলিয়ায় গ্যাভিনের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে জনগণের কাছ থেকে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর গ্রহণ করছে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৬৪ হাজার অস্ট্রেলিয়ান এই আবেদনপত্রে সই করেছেন। অন্যদিকে, ২২ হাজার অস্ট্রেলিয়ান গ্যাভিনের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের পক্ষে সই করেছেন।