অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে বিদ্যুতের দাম বাড়লে

584

আবারো বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করতে ছয়টি বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আজ সোমবার থেকে গণশুনানি শুরু করতে যাচ্ছে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) মনে করে, বিদ্যুতের পুনরায় মূল্য বৃদ্ধি করা হলে উৎপাদনমুখী শিল্প বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, স্টিল রি-রোলিং, টেক্সটাইল খাতে প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যেতে পারে। বিদ্যুৎ এর পুনরায় মূল্য বৃদ্ধির এ প্রস্তাবে ডিসিসিআই উদ্বেগ প্রকাশ করছে। যদি আবারো বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয় তাহলে প্রতিযোগী মূল্যে শিল্প উৎপাদন সক্ষমতা ব্যাহত হবে। এ ছাড়া বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পসমূহ, রপ্তানি সক্ষমতা, শিল্প বহুমুখীকরণ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে দেশের ক্রমবিকাশমান এসএমই খাতের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিদ্যুতের পুনরায় মূল্য বৃদ্ধি স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং সর্বোপরি মূল্যস্ফীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
এ মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি না করে বরং সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পরিচালন ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, সিস্টেম লস আরো হ্রাস করতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ কার্যক্রমে বেসরকারি খাতকে অধিক পরিমাণে অন্তর্ভুক্তকরণের জন্য ডিসিসিআই সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ঢাকা চেম্বার সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে বিদ্যুতের ট্যারিফ বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার এবং সকল সরকারি ও বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে একটি ‘জ¦ালানি মনিটরিং কমিটি’ গঠনসহ দীর্ঘমেয়াদি জ¦ালানি নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
ঢাকা চেম্বার মনে করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর ক্ষতি পুষিয়ে উঠার দাবির বিপরীতে বর্তমানে শিল্প ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রায় ১৮০ শতাংশ বেশি, যা প্রস্তাবিত মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।