অপেক্ষা বাড়ছে জিম্মি উদ্ধারে

115

নাবিক ও জাহাজ মুক্ত করতে আমরা কাজ করছি। বিদেশি লবিস্টদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সুখবর দিতে পারব। তিনি বলেন, দস্যুরা এখনো কোনো ফোন করেনি। তবে নাবিকদের সবাই সুস্থ আছেন। তাদের সঙ্গে আমাদের ও তাদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সপ্তাহ পার হলেও মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি সোমালিয়ান জলদস্যুরা। এতে জিম্মি উদ্ধারের জন্য অপেক্ষা বাড়ছে। তবে দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং করপোরেশন। শান্তিপূর্ণ পন্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে জিম্মি ২৩ নাবিক ও জাহাজটি উদ্ধারে লন্ডন ভিত্তিক লবিস্ট সংস্থা এবং সোমালিয়ান ভিত্তিক কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ এবং এতে থাকা ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে সোমালিয়ার পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর সম্মিলিত দল। তবে এ ধরনের অভিযানকে সমর্থন করছে না জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, নাবিক ও জাহাজটি উদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক বাহিনীর অভিযানকে আমরা সমর্থন করব না। আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা। এখানে হামলা হলে আমাদের নাবিকদের প্রাণহানির শঙ্কা থেকে যায়। আমরা নাবিকদের জীবন বিপন্ন করে এমন কোনো অপারেশন চাই না। বরং শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। অন্যদিকে জাহাজটি উদ্ধারে সোশ্যাল প্ল্যাটফরমগুলোয় বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফরম টিকটকে ‘এইমাত্র পাওয়ার খবর আরও দুটি সাবমেরিন নিয়ে রওয়ানা হয়েছে বাংলাদেশের নৌবাহিনী সোমালিয়ার উদ্দেশে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সময় টিভির লোগোসংবলিত ভিডিওটি কয়েক লাখ মানুষ দেখেছে ও মন্তব্য করেছেন। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে বাংলাদেশ থেকে কোনো সাবমেরিন রওনা হয়নি বরং ২০২৩ সালে সময় টিভিতে প্রচারিত ভিন্ন ঘটনার পুরনো একটি ভিডিওকেই আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজে ২৩ নাবিক রয়েছেন, যাদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক।