অধ্যক্ষকে অপমানের অভিযোগ : শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ

96

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ এ জে এম মাসুদুর রহমানকে টোলপ্লাজায় অপমানের অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করেছেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এসময় জেলাশহরের পিটিআই এলাকা থেকে চামাগ্রাম পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কে ট্রাক, বাস, মিনি বাস, বিয়ের গাড়ি, সিএনজি চালিত মাহেন্দ্র, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশা ভ্যানসহ শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় ওই রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। পরে সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওদুদ ও পুলিশের হস্তক্ষেপ এবং টোলপ্লাজার কর্মচারীরা অধ্যক্ষের নিকট ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়লে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঘটনাস্থলে থাকা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান সাংবাদিকদের বলেন, আজ  সকালে টোলপ্লাজায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ এ জে এম মাসুদুর রহমানের সঙ্গে টোল আদায়কারীদের এক কর্মচারী খারাপ ব্যবহার করে। সেই কথাটি অধ্যক্ষ সাহেব তার ছাত্রদের জানালে ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তা অবরোধ করে। পরে সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য অবরোধ তুলে নেয়ার জন্য অধ্যক্ষ সাহেবকে ফোন করেন এবং পুলিশের পক্ষ থেকেও অবরোধ তুলে নিতে শিক্ষার্থীদের বলা হয়। একপর্যায়ে অধ্যক্ষ সাহেব ঘটনাস্থলে আসলে টোল আদায়কারীরা ক্ষমা চেয়ে নিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ এ জে এম মাসুদুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার বারঘরিয়া থেকে পরীক্ষার খাতা নিয়ে তাদের একটি গাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের প্রধান ডাকঘরে যায়। এসময় বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গর সেতুর টোলপ্লাজায় টোল নিয়ে গাড়ির চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তাদের মধ্যে কথা হয় পরবর্তীতে উভয়পক্ষ বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। আজ  শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে আমি টোলপ্লাজায় টোল দিয়ে যাবার সময় সেখানে কর্তব্যরতরা আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ম্যানেজারের কাছে নিয়ে যাই এবং বৃহস্পতিবারের ঘটনায় আমাকে অপমান করে। একপর্যায়ে আমি চলে যাই। পরে খবর পাই কিছু শিক্ষার্থী কিভাবে বিষয়টি জানতে পেরে রাস্তা অবরোধ করে। আমি জানতে পেরে শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেয়ার জন্য ঘটনাস্থলে যাই। এসময় মাননীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওদুদ ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি জানতে পেরে আমকে ফোন করেন। এসময় আমি টোলঘরে গেলে তারা আমার কাছে ক্ষমা চান এবং শিক্ষার্থীরাও অবরোধ তুলে নেন।
টোলপ্লাজার ম্যানেজার ফাহিম রহমান বলেনÑ অধ্যক্ষ সাহেবের কাছে আমাদের কর্মচারী টোল চায়লে তিনি গাড়ি থেকে নেমে আমার কাছে আসেন এবং তাঁর পরিচয় দেন। টোল ছাড়াই যাতায়াতের ব্যাপারে অধ্যক্ষ সাহেবকে বলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র আনতে পারলে আমরাও বিনা টোলে ছেড়ে দেব। এসময় তিনি রাগান্বিত হয়ে টোল না দিয়েই চলে যান।
এদিকে অবরোধের খবর পেয়ে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম আলমগীর জাহানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে যানজট নিরসন করেন। প্রায় আধাঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।