সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দ্বিতীয় দিনে ১৫ ট্রাকে  আমদানী আরও ৪১৯ টন ভারতীয় পেঁয়াজ

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানীর অন্যতম রুট চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দর পথে সোমবার(৮ডিসেম্বর) আরও ১৫টি ট্রাকে বিপরীতে ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দর দিয়ে আরও ৪১৯ মে.টন পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে। সোনামসজিদ বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার কামাল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্দর সূত্র জানায়, এর আগে সরকার দেশে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ৬ ডিসেম্বর সীমীত আকারে পেয়াজ আমদানীনর অনুমতির  দেবার পর গত রোববার(৭ ডিসেম্বর) সোনামসজিদ  বন্দর দিয়ে  প্রায় ৩ মাস পর ২ ট্রাকে ৬০ টন পেয়াজ আমদানী হয়। এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর  শেষ এ পথে  পেঁয়াজ আমদানীর পর আমদানী বন্ধ ছিল। সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র উপ-পরিচালক্য(ডিডি) কৃুষিবিদ সমীর চন্দ্র ঘোষ বলেন, সোমবার দেশের ৫০ জন আমদানীকারকের প্রত্যেককে ৩০ টন করে দেড় হাজার টন  আমদানীর অনুমতি (আইপি বা ইমপোর্ট পামিট) দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সোনামসজিদের আমদানীকারক রয়েছেন ২৭ জন। গত রোববার প্রথম যে ৫০ জনকে আইপি দেয়া হয় তার ৩০ জন ছিলেন সোনামসজিদের। প্রতিদিন এভাবে ৫০ জনকে দেড় হাজার টন আমদানীর আইপি দেয়া হচ্ছে। যা  পরবর্তী নির্দেশণা না দেয়া পর্যন্ত আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত অব্যহত থাকবে। অর্থাৎ ইস্যুকৃত প্রতিটি আইপির মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
এদিকে পেঁয়াজ আমদানীর খবরে জেলার স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দরপতন হয়েছে। গত  শনিবার পর্যন্তও যে পেয়াজ মানভেদে ১০০ থেকে -১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে তা  সোমবার ৬৫-৭০( বাজারে নতুন  উঠতে শুরু করা মুড়িকাটা) থেকে  সর্বোচ্চ ৮০-৮৫ টাকা(দেশী সংরক্ষণযোগ্য ভাল মানের ছাঁচি পেঁয়াজ) কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে জেলার বৃহত্তম পাইকারী ও খুচরা বাজার সূত্রে জানা গেছে। অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত ভারতীয় পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে তেমনভাবে বিক্রি শুরু না হলেও  বাজারে গত ৩ দিনে পেঁয়াজের দাম মানভেদে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন  আমদানী ও  মুড়ি কাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের দাম আরও কমতে পারে। তবে আমদানীকারকরা অবাধ পেঁয়াজ আমদানীর দাবী করছেন। জেলার বড় পেঁয়াজ আমদানীকারক মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের (সোমবার এই আমদানীকারকের পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে) স্বত্বাধিকারী মাসুদ রানা বলেন, এভাবে খুচরা আমদানীর স্থলে  একসাথে বড় চালান এলসি করা গেলে আমদানী খরচ কম হত। ভোক্তরা  আরও কমদামে পেঁয়াজ কিনতে পারত।