যান্ত্রিক শিক্ষার ভিত্তিযন্ত্র আবিষ্কার করে পদার্থে নোবেল পেলেন দুজন
চলতি বছর পদার্থে নোবেল পেয়েছেন জন জে হোপফিল্ড এবং জিওফ্রে ই হিন্টন। মঙ্গলবার রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি তাদের নাম ঘোষণা করেছে। কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের সাথে যান্ত্রিক শিক্ষাকে সক্ষম করার জন্য তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। নোবেল কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নোবেল বিজয়ী দুইজন পদার্থবিদ্যাকে এমন পদ্ধতিগুলো তৈরি করতে ব্যবহার করেছেন, যা আজকের শক্তিশালী যান্ত্রিক শিক্ষার ভিত্তি। জন হপফিল্ড একটি সহযোগী মেমরি তৈরি করেছেন যা ডেটাতে চিত্র এবং অন্যান্য ধরণের নিদর্শন সংরক্ষণ এবং পুনর্গঠন করতে পারে। জিওফ্রে হিন্টন এমন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যা নিজে নিজে ডেটাতে বৈশিষ্ট্যগুলো খুঁজে পেতে পারে এবং তাই ছবিতে নির্দিষ্ট উপাদান সনাক্ত করার মতো কাজগুলো সম্পাদন করে।’ এতে আরো বলা হয়েছে, ‘আমরা যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে কথা বলি, তখন আমরা প্রায়ই কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে যান্ত্রিক শিক্ষাকে বোঝাই। এই প্রযুক্তিটি মূলত মস্তিষ্কের গঠন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। একটি কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কে, মস্তিষ্কের নিউরনের শাখাপ্রশাখায় উপস্থাপিত হয় যার বিভিন্ন মান রয়েছে। এই শাখাপ্রশাখাগুলো সংযোগের মাধ্যমে একে অপরকে প্রভাবিত করে যা সিন্যাপসের সাথে তুলনা করা যেতে পারে এবং যা শক্তিশালী বা দুর্বল করা যেতে পারে।’ জন জে হপফিল্ড ১৯৩৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিউজার্সির প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করছেন। জিওফ্রে ই হিন্টন ১৯৪৭ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করছেন। নোবেল পুরস্কারের ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার তারা সমান দুই ভাগে পাবেন।