মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দূর্ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুনের মৃত্যু; গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জে শোকের ছায়া

গত ২১ জুলাই উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দূর্ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ২৪ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া সিনিয়র শিক্ষিকা মাহফুজা খাতুন মারা গেছেন – ইন্না লিল্øাহি অইন্না ইলাহি রাজিউন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনিষ্টিটিউট অফ বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে পরিবার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃত্যুকালে তিনি একমাত্র মেয়ে নওশিন, মা, ১ ভাই ও ৩ বোনসহ বহু গূণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর পিতা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অব. ওয়ারেন্ট অফিসার মৃত মহসিন আলী শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দামুদিয়াড় গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।
মাহফুজার মৃত্যু সংবাদ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছুলে স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। গ্রামে রয়েছে মাহফুজার ২ চাচা, ৩ ফুপু সহ বহু নিকটাত্মীয়। শিবগঞ্জে বসবাসকারী মাহফুজার চাচা পুলিশের অব.উপ-পরিদর্শক(এসআই) আলাউদ্দিন আলী বলেন, মাহফুজার পিতা বিমান বাহিনী থেকে অবসরের পর ২০১৩ সালের দিকে মারা যান। তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন পরিবারটির সাথে গ্রামের স্বজনদের যোগাযোগ ভাল ছিল। তবে তিনি মারা যাবার পরও তাঁর সন্তানেরা গ্রামে যোগাযোগ রাখতেন। তিন বছর পূর্বে মাহফুজা শেষবার গ্রামে আসে। মাফুজার নানার বাড়িও দাদার বাড়ির পাশের গ্রাম বাবুপুরে। সেখানে তাঁর মামা,খালা সহ স্বজনরা রয়েছে। মাহফুজার চাচা আরও বলেন, মাহফুজার দূর্ঘটনার পর গ্রামের স্বজনরা নিয়মিত তাঁর অবস্থার খোঁজ রাখতেন। মাহফুজার পিতা ঢাকার বাউনিয়া এলাকায় একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। তবে মাহফুজা একমাত্র সন্তান ¯œাতক উত্তীর্ণ মেয়ে ওশিনকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।
মাহফুজার বড় বোন মাকসুদা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, মাইলস্টোনে নিহত শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী ও মাসুকা বেগমের সাথে একই কক্ষে শিশুদের রক্ষা করতে গিয়ে ৩৫-৪০ শতাংশ দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে সিএমএইচ ও পরে বার্ন ইনিষ্টিটিউটে নেয়া হয়। আশা ছিল সে হয়ত বেঁচে যাবে। কিন্তু বাঁচল না।তাঁকে ঢাকায় দাফনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মাহফুজার ছোন বোন ইতি খাতুন বলেন, শিশুদের জীবন বাঁচাতেই অন্য ২ শিক্ষকের মত দগ্ধ হয় মাহফুজা। সে ঢাকা জজকোর্টে আইনজীবী হিসাবেও তালিকাভূক্ত ছিল। সূযোগ পেলেই আদালতেও কাজ করত।