ফুটবলে নতুন ইতিহাস: সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে কুরাসাও

ছোট্ট ক্যারিবীয় দ্বীপ কুরাসাও লিখে ফেলল ইতিহাস। স্টিভ ম্যাকলারেনের জামাইকার সঙ্গে ড্র করেই তারা হয়ে গেল বিশ্বকাপে ওঠা সবচেয়ে ছোট দেশ। আগে এই রেকর্ড ছিল আইসল্যান্ডের, যারা খেলেছিল ২০১৮ বিশ্বকাপে। কিন্তু কুরাসাওয়ের তুলনায় তাদের দেশ অনেক বড়। মাত্র দেড় লাখের কিছু বেশি জনসংখ্যা কুরাসাওয়ের (যা কেমব্রিজ বা হাডার্সফিল্ডের সমান)। আর আয়তন মাত্র ১৭১ বর্গমাইল। ম্যান দ্বীপের চেয়েও ছোট। জামাইকার কোচ হিসেবে নিজের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সাবেক ইংল্যান্ড ম্যানেজার স্টিভ ম্যাকলারেন। ঘরের মাঠ কিংস্টনে জিতলেই ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে উঠত জামাইকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র। ইনজুরি টাইমে পাওয়া পেনাল্টিটিও ভিএআরের সিদ্ধান্তে বাতিল হয়ে যায়।
অন্যদিকে, ব্যক্তিগত কারণে মাঠে উপস্থিত না থাকলেও কুরাসাওয়ের কোচ ডিক অ্যাডভোকাট বয়সের দিক থেকে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। ৭৮ বছর বয়সে তিনি হবেন বিশ্বকাপের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ কোচ। এর আগে এই রেকর্ড ছিল গ্রিসের দায়িত্ব নেওয়া অটো রেহাগেলের। যার বয়স ছিল ২০১০ সালে ৭১।
৪৮ দল নিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের বর্ধিত ফরম্যাট এবং আয়োজক কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বয়ংক্রিয় যোগ্যতা অর্জন; সব মিলিয়ে কুরাসাওয়ের জন্য পথটা অনেকটাই সহজ হয়েছে। কেপ ভার্দে, উজবেকিস্তান ও জর্ডানের সঙ্গে তারা হয়ে গেল আগামী বিশ্বকাপের চতুর্থ নবাগত দল। ম্যাচের আগে কুরাসাওয়ের মিডফিল্ডার জুনিনহো বাকুনা (হাডার্সফিল্ড, রেঞ্জার্স ও বার্মিংহামের সাবেক খেলোয়াড়) অভিভূত হয়ে বলেছিলেন, “এটা অবিশ্বাস্য। কুরাসাওয়ের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জনের একটি। কয়েক বছর আগেও এমন কিছু কল্পনাই করা যেত না। দলের অংশ হতে পারাটাই নিজের জন্য এক বিশাল স্বপ্নপূরণ হবে।”
১০টি ম্যাচে সাত জয় ও অপরাজিত অবস্থায় বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে তারা।