প্যারিস অলিম্পিকে ধর্মীয় আবেগে আঘাতের অভিযোগ, ক্ষমা চাইলো আয়োজকরা
প্যারিস অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে মঞ্চস্ত করা হয়েছিল ‘দ্য লাস্ট সাপার’ নামের একটি প্যারোডি মূকনাট্য। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ধর্মীয় আবেগে আঘাতের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল ক্যাথলিক ও অন্যান্য খ্রিষ্টান গোষ্ঠী। অবশেষে বিতর্কের মুখে ক্ষমা চাইলো আয়োজকরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড্র্যাগ কুইন থিমে প্যারোডি প্রদর্শন করা হয়েছিল। যার থিম ছিল যিশুখ্রিষ্টকে নিয়ে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা ‘দ্য লাস্ট সাপার’। বাইবেলের বর্ণনা অনুযায়ী আঁকা ছবিতে দেখা যায়, ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার আগে যিশু তার রারোজন শিষ্যের সঙ্গে নৈশভোজ করছেন। কিন্তু মূকনাট্যে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। দেখানো হয়েছে ট্রান্সজেন্ডার মডেল ড্র্যাগ কুইন্স এবং একজন নগ্ন গায়ককে। যাকে তুলে ধরা হয়েছে গ্রিক দেবতা ডায়োনিসাসের আদলে। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ও নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। অলিম্পিক কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, খ্রিষ্ট ধর্মকে অপমান করেছে তারা। সমালোচনা করেছেন শীর্ষ খ্রিষ্ট ধর্মগুরুরাও। ফরাসি ক্যাথলিক চার্চ এই মূকনাট্যকে ‘খ্রিষ্ট ধর্মের উপহাসের দৃশ্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। টেসলা ও এক্স-এর মালিক ইলন মাস্ক অভিহিত করেছেন, ‘খ্রিষ্টানদের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজক’ হিসেবে। ইতালির মন্ত্রী পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাত্তেও সালভিনি ফরাসি জনগণের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘বিশ্বের কোটি কোটি খ্রিষ্টানকে অপমান করে অলিম্পিক উদ্বোধন করা সত্যিই একটি বাজে সূচনা। ‘ শো-টির শৈল্পিক পরিচালক থমাস জলি বলেছিলেন, তাদের এই মূকনাট্যের উদ্দেশ্য ধ্বংসাত্মক কিছু করা, উপহাস করা বা কাউকে আঘাত করার মতো কিছু ছিল না। বরং, তিনি এই শো-এর মাধ্যমে দিতে চেয়েছিলেন ভালোবাসার বার্তা। কিন্তু তাতে ক্ষোভ প্রশমন হয়নি। বিতর্ক থামাতে শেষে মাঠে নামতে হয়েছে আয়োজকদেরকেই। ২০২৪ অলিম্পিক গেমসের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক অ্যান ডেসক্যাম্পস সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতি অসম্মান দেখানোর উদ্দেশ্য ছিল না। সব সম্প্রদায়ের প্রতি সহনশীলতা দেখানোর চেষ্টা ছিল আমাদের। আমরা মনে করি, আমাদের লক্ষ্য ইর্জিত হয়েছে। কিন্তু যদি কোনো কারণে কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন, তবে আমরা সত্যিই দুঃখিত।