পানি সংকটাপন্ন চাঁপাইনবাবঞ্জে বিনাধান চাষের তাগিদ

পানি সংকটাপন্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্রাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনিষ্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত খরা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্পমেয়াদী বিনাধান-১৯ এবং বিনাধান-২১ চাষের তাগিদ দিয়েছেন কৃষি বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা। আজ বিকালে সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের লক্ষীনারায়নপুর পোড়াগ্রাম ও দেবিনগর ইউনিয়নের নতুন গ্রাম এলাকায় পৃথক দু’টি মাঠ দিবসে বিনাধান চাষের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। সদর উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনিষ্টিটিউটের চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপকেন্দ্র মাঠ দিবস দুটির ব্যবস্থাপনা করে।
বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. আজাদুল হকের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে ভিডিও কনফারন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিনা মহাপরিচালক ড. আবুল কালম আজাদ। আরও বক্তব্য দেন বিনার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড, আশিকুর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ্উপ-পরিচালক ড. ইয়াছিন আলী, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সুনাইন বিন জামানসহ অন্যরা।
মাঠ দিবসে উপস্থিত কৃষক-কৃষানীদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানী ও কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, খরাপ্রবণ এলাকা হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের জন্য বিনার এই ধানের জাত দুটি কার্যকর। বিভিন্ন মাঠে চাষ করে ৯৫-১০০ দিনের মধ্যেই এসব জাতের ভাল ফলন পাওয়া গেছে। আগামীতে খরা সহিঞ্চু ও উচ্চ ফলনশীল জাত দুটির পর্যাপ্ত বীজ সরবরাহ করা হবে। তাঁরা কৃষকদের যে কোন ফসল চাষে পরিমানের বেশী সার না ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এত মাটির গুন নষ্ট হয়। তাঁরা আরও বলেন, এ অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্ত পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ভূ-গর্ভস্ত পানির ব্যবহার কমাতে কৃষকদের বিকল্প ফসল চাষাবাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি বন্যায় নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় এসব এলাকায় প্রণোদনার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তারা।