ডিআর কঙ্গোতে অগ্নিকাণ্ডের পর নৌকা ডুবে নিহত ১৪৩

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জ্বালানি বহনকারী একটি নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার পর অন্তত ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আরো বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে গতকাল শুক্রবার কর্মকর্তারা জানিয়েছে। উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের জাতীয় ডেপুটিদের একটি প্রতিনিধিদলের প্রধান জোসেফাইন-প্যাসিফিক লোকুমু জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার উত্তর-পশ্চিম কঙ্গো নদী দিয়ে কাঠের একটি নৌকায় শত শত যাত্রী মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ইকুয়েটুর প্রদেশের রাজধানী এমবান্ডাকা শহরের কাছে পৌঁছলে নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং ডুবে যায়।

লোকুমু এএফপিকে বলেন, গত বুধবার ১৩১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আরো ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের শরীর পুড়ে গেছে। স্থানীয় নাগরিক সমাজের নেতা জোসেফ লোকন্ডো বলেন, ১৪৫ জন নিহত হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে, কিছু পুড়ে গেছে, অন্যরা ডুবে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

মৃতদেহগুলো দাফন করতে সাহায্য চেয়েছেন তিনি। লোকুমু জানান, নৌকায় রান্না করার সময় আগুন থেকে জ্বালানি বিস্ফোরণের ফলে আগুন লেগেছে। যার ফলে অনেক শিশু এবং নারী নিহত হয়েছেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজটিতে মোট কতজন যাত্রী ছিল তা জানা যায়নি। তবে লোকুমু বলেছিলেন, শত শত যাত্রী ছিল। কিছু যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেশ কিছু পরিবার এখনো তাদের প্রিয়জনের খবর জানতে চাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তীর থেকে অনেক দূরে আটকে থাকা একটি লম্বা নৌকা থেকে আগুনের শিখা বের হচ্ছে এবং ছোট জাহাজে থাকা লোকজন তা দেখছে।

মধ্য আফ্রিকার একটি বিশাল দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো রাস্তার অভাবে ভুগছে। ফলস্বরূপ প্রায় সবাই হ্রদ, কঙ্গো নদী এবং এর উপনদী দিয়ে ভ্রমণ করে থাকেন। যেখানে প্রায়ই জাহাজডুবির ঘটনা ঘটে এবং বহু মানুষের মৃত্যু হয়। যাত্রীদের তালিকা না থাকায় অনুসন্ধান কার্যক্রম জটিল হয়ে পড়ে এসব ক্ষেত্রে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে, ইকুয়েডরে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ায় কমপক্ষে ৪৭ জন মারা যায়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের অক্টোবরে পূর্ব কঙ্গোর কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে ২০ জনেরও বেশি লোক মারা যায়। ২০১৯ সালে কিভু হ্রদে আরেকটি জাহাজডুবির ঘটনায় প্রায় ১০০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।