জয় দিয়েই শেষ হলো বাংলাদেশের সেরা টি-টোয়েন্টি বছর

দুশ্চিন্তার শুরু ছিল সিরিজের প্রথম ম্যাচেই। তবে শেষ পর্যন্ত হাসিমুখেই বছরটা শেষ করল বাংলাদেশ। আজ চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটের সহজ জয়ে হারিয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২–১ ব্যবধানে জিতল টাইগাররা। এর মধ্য দিয়ে একটি পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ১৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের জাতীয় রেকর্ডও গড়েছে দল।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। শুরুটা ভালো করেও শরীফুল, মোস্তাফিজ ও রিশাদের বোলিংঝড়ে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে অতিথিরা। ধারাবাহিক আক্রমণে আইরিশরা পঞ্চম ওভারের পর টানা ৪১ বল বাউন্ডারি পায়নি। শেষ পর্যন্ত এক বল বাকি থাকতে অলআউট হয় তারা।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন রিশাদ হোসেন। একাদশে ফিরেই নেন ৩ উইকেট। তার গুগলিতেই বোল্ড হন ক্যাম্পার। শরীফুলও তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু, আর মোস্তাফিজ সাফল্য এনে দেন নিয়মিত বিরতিতে।
ম্যাচের সবচেয়ে বড় নায়ক নিঃসন্দেহে তানজিদ হাসান। ব্যাট হাতে দারুণ হাফ সেঞ্চুরি (ছক্কায় শেষ করা) করার আগে তিনি গড়েছেন এক অনন্য রেকর্ড, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৫টি ক্যাচ! এর আগে কোনো বাংলাদেশি এ কীর্তি গড়তে পারেননি।
ব্যাট হাতে তাকে সঙ্গ দেন পারভেজ হোসেন। ওপেনিংয়ে সাইফ হাসানের ছোট ইনিংস ও লিটনের ব্যর্থতা কাটিয়ে চতুর্থ উইকেটে পারভেজ-তানজিদের অবিচ্ছিন্ন ৫০ বলে ৭৩ রানের জুটি বাংলাদেশকে এনে দেয় জয়ের বন্দরে।
এই বছর বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিক ছিলেন তানজিদ, দ্বিতীয় পারভেজ। আজ তিন ছক্কা হাঁকিয়ে তানজিদের বছরের মোট ছক্কা দাঁড়াল ৪১টি, পারভেজের ৩৪টি।