জোড়া খুনের আলামত উদ্ধার অভিযান, ৩৮ ককটেল ও ১৪ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

 

শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের রানীহাটী এলাকায় গত বৃহস্পতিবার ২৭জুন রাতে প্রতিপক্ষের গুলি, ককটেল ও ধারাল অস্ত্রের হামলায় জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ আব্দুস সালাম ও হরিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের  সহকারী শিক্ষক আব্দুল মতিনকে হত্যা মামলায় আরও ৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এদের মধ্যে ১ জন এজাহারনামীয় ও ৩ জন তদন্তেপ্রাপ্ত আসামী। এনিয়ে এমামলায় ৫ জন এজাহারনামীয় ও ৬ জন তদন্তেপ্রাপ্তসহ ১১ আসামী গ্রেপ্তার হল। গত রবিবার সন্ধ্যায় চট্রগ্রামের কর্নফুলী থানা এলাকা থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যেই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 গ্রেপ্তাররা হল শিবগঞ্জের ঢোড়বোনা গ্রামের জেন্টু আলীর ছেলে আজম আলী, একই গ্রামের ময়েজ আলীর ছেলে সাহেব আলী, রশিকনগর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে ফিরোজ ও সদর উপজেলার বোলতলা চকবহরম গ্রামের জুবায়ের রহমানের ছেলে তাজ হাসান হৃদয়। আজ বিকালে গ্রেপ্তার ৪ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দু’জনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এদিকে চট্রগ্রামে আটকদের দেয়া তথ্যে গ্রেপ্তার আজমকে সাথে নিয়ে নিয়ে গত গতকাল সন্ধ্যা থেকে ঘিরে রাখার পর আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের ঢোড়বোনা গ্রামের একটি গোরস্থানে আলামত উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। অভিযানে গোরস্থানের দুটি স্থানে মাটিতে গর্ত করে বালতিতে পুঁতে রাখা ৩৮টি ককটেল উদ্ধার হয়। ককটেলগুলো তাজা নিশ্চিত হবার পর সেগুলি ধ্বংস করে রাজশাহী মেটোপলিটন পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। এছাড়া অভিযানে হাসুয়া, কাতা, চাইনিজ কুড়াল ও রড সহ ১৪টি ধারাল ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার হয়। অপরদিকে আসামী আজমের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি টর্চলাইট।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) আসগার আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, চাঞ্চল্যকর এই জোড়াখুনের পরদিন গত শুক্রবার(২৮জুন) শিবগঞ্জ থানায় ৫২ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামী করে মামলা করেন নিহত সালামের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম। এরপর থেকেই পুলিশের একাধিক দল গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে। আজকের অভিযানকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নুরুজ্জামান ও জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।