জার্মানির নির্বাচনে অংশ নিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সন্তান ড. আব্দুল হাই
জার্মানির সাবেক রাজধানী বন নগরীর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদসহ তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বাংলাদেশী-জার্মান সাংবাদিক ও উন্নয়ন গবেষক ড. আব্দুল হাই। তার জন্ম চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীর তীরে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বন শহরের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ফলাফল ঘোষণা হতে আরো দুইতিন সময় লাগবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ড. আব্দুল হাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর সেখান থেকেই সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা নেন। তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন ২০০১ সালে ডেইলি স্টার পত্রিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) রাজশাহী প্রতিনিধি হিসেবে ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। টেলিভিশন সাংবাদিকতায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য ২০০৫ ও ২০০৬ সালে বিটিভি থেকে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পান।
২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগ ও টেলিভিশন শাখায় কাজ করেন। ২০১৪ সালে জার্মানির বন ইউনিভার্সিটি, হোকশুলে বন-রাইন-জিগ ও ডয়চে ভেলে একাডেমির যৌথ মাস্টার্স প্রোগ্রাম অন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া স্টাডিজ সফলভাবে সম্পন্ন করেন। পরে ২০২৩ সালে বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি গবেষণা সম্পন্ন করেন তিনি।
গবেষণার পাশাপাশি তার নেশা আছে কবিতা আর গল্প লেখার। তার কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ ইতোমধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, জার্মানি এবং ফ্রান্স থেকে প্রকাশিত সাহিত্য সংকলন, সাময়িকী, পত্রিকা ও অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে জার্মান, বাংলা ও ইংরেজি তিন ভাষায় প্রকাশিত অনলাইন গণমাধ্যম ‘আওয়ার ভয়েস’ এবং বাংলা ও জার্মান ভাষায় প্রকাশিত প্রিন্ট ম্যাগাজিন ‘সীমান্ত’ সম্পাদনা করেন। ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি জার্মান উন্নয়ন সংস্থা ওয়ান ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২০ সাল থেকে জার্মানির অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল সামাজিক গণতান্ত্রিক পার্টির (এসপিডি) সামনের সারির একজন নেতা হিসেবে বন নগরীতে দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর, হার্টবার্গ জেলা কাউন্সিলে প্রতিনিধি ও বন সিটির ইন্টেগ্রেশন কাউন্সিলের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।
সংবাদটি ঢাকা পোস্ট অনলাইন এর।