চেলসির মাঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ জয়ে অ্যাস্টন ভিলার স্বপ্নযাত্রা

স্বপ্নের মতোই এগোচ্ছে অ্যাস্টন ভিলার মৌসুম। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারানোর পর এবার আরেক জায়ান্ট চেলসিকেও মাটিতে নামাল বার্মিংহামের ক্লাবটি। বেঞ্চ থেকে নেমে ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিলেন ইংলিশ স্ট্রাইকার ওলি ওয়াটকিন্স। শনিবার রাতে চেলসির মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে অ্যাস্টন ভিলা। এই জয়ে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা দৌড়ে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করল উনাই এমেরির দল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি অ্যাস্টন ভিলার টানা ১১তম জয়। ক্লাব ইতিহাসে এর আগে কেবল ১৮৯৭ ও ১৯১৪ সালে এমন ধারাবাহিকতা দেখাতে পেরেছিল তারা। প্রিমিয়ার লিগে টানা আট ম্যাচ জয়ের কীর্তিও গড়েছে ভিলা, যা সর্বশেষ হয়েছিল ১৯১০ সালে। ম্যাচের প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল স্বাগতিক চেলসি। ৩৭ মিনিটে রিস জেমসের কর্নার থেকে জোয়াও পেদ্রো গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। প্রথমার্ধে খেলায় দাপট দেখালেও সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি তারা। বিরতির পরও ভিলার ওপর চাপ ধরে রাখে চেলসি। তবে ৫৯ মিনিটে একসঙ্গে তিনটি বদলি এনে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ভিলার কোচ উনাই এমেরি। মাঠে নামেন ওলি ওয়াটকিন্স, আমাদু ওনানা ও জ্যাডন সানচো। এর চার মিনিট পরই সমতা ফেরায় অ্যাস্টন ভিলা। মরগান রজার্সের পাস পেয়ে বক্সে ঢুকে শট নেন ওয়াটকিন্স। প্রথম শটটি ঠেকালেও ফিরতি বলে গোল হজম করেন চেলসির গোলরক্ষক রবার্ট সানচেজ। গোলের পর আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় ভিলার। একের পর এক আক্রমণে চেলসিকে চাপে রাখে তারা। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে ইউরি টিলেমানসের কর্নার থেকে হেডে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ওয়াটকিন্স। তাতেই নিশ্চিত হয় ভিলার জয়। প্রথম এক ঘণ্টা পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অ্যাস্টন ভিলা। এই হারে পয়েন্ট টেবিলে পাঁচ নম্বরে নেমে গেছে চেলসি। ১৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৯। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে এসেছে অ্যাস্টন ভিলা। ক্লাব ইতিহাসে ১৮ ম্যাচ শেষে প্রিমিয়ার লিগে এটিই তাদের সর্বোচ্চ পয়েন্ট সংগ্রহ। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে তারা মাত্র তিন পয়েন্ট পিছিয়ে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ব্যবধান এক পয়েন্ট।

আগামী মঙ্গলবার এমিরেটস স্টেডিয়ামে লিগের শীর্ষ দল আর্সেনালের বিপক্ষে খেলবে অ্যাস্টন ভিলা। সেই ম্যাচে জিততে পারলে ১৯১০ সালের রেকর্ড ভেঙে প্রিমিয়ার লিগে নতুন ইতিহাস গড়বে উনাই এমেরির দল।