চাঁপাইনবাবগঞ্জের হত্যা মামলার আসামি বগুড়ায় গ্রেপ্তার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের হত্যা মামলার এক আসামিকে বগুড়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মো. আমিরুল ইসলাম (২৪) একটি হত্যা মামলার ৫নং আসামি।
গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারে র‌্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও র‌্যাব-১২ বগুড়া যৌথ অভিযান চালায়।
গ্রেপ্তার আমিরুল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কামালপুর গ্রামের মো. আব্দুর রাকিবের ছেলে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৫ এই তথ্য জানিয়েছে।
র‌্যাব আরো জানায়, গত ৮ জুন পূর্ব শত্রুতার জেরে কামালপুর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানার (৪১) ওপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় এজাহারনামীয় আসামিরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাসুদ রানাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে র‌্যাব। এরই একপর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে, বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলা এলাকায় হত্যা মামলার ৫নং পলাতক আসামি আমিরুল ইসলাম অবস্থান করছে। এমন খবর পেয়ে র‌্যাব-৫, সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও র‌্যাব-১২, সিপিএসসি বগুড়ার যৌথ আভিযানিক দল সান্তাহার রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় রেলস্টেশন ওভারব্রিজের নিচ হতে উল্লেখিত হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি আমিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হত্যা চেষ্টা মামলার ২ জন গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাটি কলেজ মোড় এলাকা থেকে হত্যা চেষ্টা মামলার ২ ও ৩ নং আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বাবুপুর মিরাটুলি গ্রামের মো. একরামুল হকের ছেলে হত্যা চেষ্টা মামলার ২ নম্বর আসামি মো. রাশিদুল (২৮) ও মো. আলেকের ছেলে একই মামলার ৩নং আসামি মো. রিংকু (২৪)।
গত ১৩ জুন র‌্যাব-৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের আভিযানিক দল এই অভিযান চালায়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব এই তথ্য জানিয়েছে।
র‌্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা অন্য আসামিদের সঙ্গে নিয়ে বাদিনীর ছেলে মো. রানা বাবু (২৮)কে পূর্ব শত্রুতার জেরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরবর্তীতে বাদিনী ও স্থানীয় লোকজন রানা বাবুকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্ররণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।