ঘুষের মামলায় অব্যাহতি পেলেন না ট্রাম্প
পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় যে মামলা দায়ের হয়েছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে, তা থেকে অব্যাহতি চেয়ে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে এক আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মাত্র এক মাস পরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন ট্রাম্প। তার আগে নিউ ইয়র্কের এক প্রাদেশিক আদালতে ধাক্কা খেলেন ট্রাম্প। পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পকে নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। ট্রাম্প যখন ২০১৭ সালে প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হন, তারও আগে এই বিতর্কের সূত্রপাত। স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্টর্মির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পরে ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময়ে তার মুখ বন্ধ রাখতে ওই ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রথমে ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন ওই পর্নো তারকাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন। পরে কোহেনকে সেই অর্থ মেটাতে গিয়ে ব্যবসায়িক নথি জাল করার অভিযোগ ওঠে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। যদিও বার বারই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন ট্রাম্প। এই মামলায় ম্যানহাটনের এক আদালত আগেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রাখে আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলা প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ট্রাম্প। তার আইনজীবীরা যুক্তি দেন, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চললে তার শাসন ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এরই সঙ্গে ট্রাম্পের আইনজীবীরা যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা তুলে ধরে জানান, সুপ্রিম কোর্টের আদাশের কারণে ট্রাম্প বিচারের আওতামুক্ত। তবে ৪১ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক জুয়ান মার্চেন বলেছেন, “ব্যবসায়িক নথি জাল করার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব ও কার্যক্রমে হস্তক্ষেপের কোনো ঝুঁকি তৈরি করে না।” আইনি রক্ষাকবচ এই মামলায় ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয় জানান বিচারক। ৪১ পাতার নির্দেশনামায় বিচারক মার্চেন লিখেছেন, “এই মামলার ক্ষেত্রে যে প্রমাণগুলো পাওয়া গিয়েছে, তা ব্যক্তিগত স্তরে নেওয়া সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।” ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেং নিউ ইয়র্কের আদালতের এই রায়ের সমালোচনা করেছেন। তার মতে, এই রায় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রক্ষাকবচের পরিপন্থি।