গোমস্তাপুরে নারীকে গলাকেটে খুন, অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

গোমস্তাপুরে প্রায় অর্ধগলিত গলাকাটা নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নারী বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের শিশাটোলা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের মেয়ে। গতকাল সন্ধ্যায় বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের যোগিবাড়ি বুড়িতলা গ্রাম সংলগ্ন একটি বিলের ধারের নির্জন আমবাগানে মরদেহটি দেখতে পাবার পর পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে গোমস্তাপুর থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ বলছে, ওই নারীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহের ডান উরুতেও একটি ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাঁর শাড়ীতে বাড়ির চাবির গোছা বাঁধা পাওয়া গেছে। গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াদুদ আলম বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই নারীর ছেলে, মেয়ে ও ভাই তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করে। কে বা কারা এবং কেন ওই নারীকে খুন করেছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গত রবিবার সন্ধ্যা থেকে জেসমিন নিখোঁজ ছিলেন। পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। তাঁরা মরদেহ থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান ওসি। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ।
নিহতের ছেলে রাজমিস্ত্রী আলমগীর হোসেন(২৩) বলেন, তাঁর মা গত রোববার দুপুরের পর একই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কামাত গ্রামে একমাত্র মেয়ে নাইমুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের(১৭)বাড়ি বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন। কে বা কারা তাঁর মাকে হত্যা করতে পারেন সে সম্পর্কে কোন ধারণা দিতে পারেন নি আলমগীর। সংশ্লিস্ট ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বলেন, অন্য কোথাও হত্যা করে ওইস্থানে মরদেহ নিয়ে যাবার সম্ভাবনা প্রায় নেই। যা ঘটার ওই স্থানেই ঘটেছে। স্থানীয়রা সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই এলাকায় ঘাস কাটতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পায়। তিনি আরও বলেন, জেসমিনের প্রথম স্বামী ও সন্তানদের বাবা ৫ নং ওয়ার্ডের গোয়ালমোড় এলাকার আনারুল ইসলামের (১) সাথে ৮ বছর আগে ডিভোর্স হয়। পরে বাঙ্গবাড়ির ৮ নং ওয়ার্ডের ব্রজনাথপুরের আনারুল ইসলাম(২) নামে আরেক ব্যাক্তির সাথে বিয়ে হবার পর বছরাধিককাল পূর্বে তার সাথেও ডিভোর্স হয়। জেসমিনের প্রথম স্বামী আনারুল এখন প্রায় অসুস্থ। তবে শোনা যায় দ্বিতীয় স্বামী আনারুল (২) এর সাথে জেসমিনের কিছু সম্পর্ক ছিল। চেয়ারম্যান আরও বলেন, জেসমিন যে কামাত গ্রাম থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হন সেখান থেকে তাঁর মরদেহ পাবার স্থানটি সর্বোচ্চ দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।