গাজায় শরণার্থী শিবিরের মসজিদে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ২২
পশ্চিম গাজা নগরীর আল শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি অস্থায়ী মসজিদে শনিবার (১৩ জুলাই) হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। খবর সিএনএনের। আল-আহলি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান আমজাদ আল-আহলি সিএনএনকে বলেছেন, শনিবার আল শাতি ক্যাম্পের অস্থায়ী মসজিদে ইসরায়েলি হামলায় ২০ জন নিহত হয়। এরপর গতকাল রোববার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল সিএনএনকে বলেছেন, জোহরের নামাজের সময় বোমা হামলা চালানো হয়েছে। তিনি জানান, আহত সবার অবস্থা গুরুতর। বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, নামাজের জন্য রাখা ‘মাদুরে’ লাশ পড়ে আছে। বহু হতাহতদের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় শনিবার তাদের দৈনিক ব্রিফিংয়ে এই ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করে বলেছে, ‘ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) পশ্চিম গাজা শহরের আল শাতি শরণার্থী শিবিরের ভিতরে একটি অস্থায়ী মসজিদে হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। একাধিক প্রতিবেদন বলছে, জোহরের নামাজের কিছুক্ষণ পরেই আইডিএফ হামলা চালায়, তখনও অনেক মানুষ মসজিদের ভিতরে বা কাছাকাছি ছিল।’ এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার (১৪ জুলাই) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, শনিবার গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের হামলায় ১৪১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে অন্তত ৪০০ জন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। নয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এ হামলা অব্যাহত আছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৫৮৪ জনে। পাশাপাশি এ সময় আহত হয়েছে আরও ৮৮ হাজার ৮৮১ জন।