এমপি প্রার্থী হলে সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে: জয়

আলোচিত অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। নানা ইস্যুতে কথা বলে থাকেন তিনি।

এবার সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন জয়। তার দাবি, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নিজের এলাকা থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে এমপি নির্বাচিত হবেন! এমনকি তার বিরোধী পক্ষের জামানতও বাজেয়াপ্ত হতে পারে।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে নিয়ে প্রকাশিত একটি সংবাদের ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করে ক্যাপশনে এসব দাবি করেন জয়।

তিনি বলেন, জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় আমাদের নুর ভাইকে। অবশ্যই উনি যদি ক্ষমতায় আসেন সবচেয়ে খুশি হব আমি। কারণ উনি প্রথম প্রতিবাদী ব্যক্তি, যিনি মানুষের কাছে সরল ইমেজ নিয়ে ভালোবাসার মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়েছেন। কিন্তু জনগণ সম্পর্কে কারো কোনো আইডিয়া নেই। আগামীবার কে যে ক্ষমতায় আসবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।

সুস্থ নির্বাচন হলে তিনি এমপি নির্বাচিত হবেন জানিয়ে জয় বলেন, সুস্থ নির্বাচন হলে শতভাগ বিএনপি ছাড়া আর কারো কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আবার ঠিক উল্টাটাও হতে পারে। বিএনপি যা ভাবছে তার উল্টা ঘটনা ফুটে উঠতে পারে। এবং এ কথাও বলে দিলাম- আমার এলাকায় আমি যদি এমপি প্রার্থী হই, তাহলে সব দলের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন হলে। আর ১৬ বছরের মতো নির্বাচন হলে আমার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। ভয় পাইয়েন না। কাউকে আন্ডারস্টিমিট কইরেন না।

নিজের পরিবারের রাজনৈতিক প্রভাব প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন জয়। তিনি বলেন, আমার দাদা ওই এলাকার তিনবারের এমপি ছিলেন মুসলিম লীগের। আমার চাচা ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। আওয়ামী লীগের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ভোটে দাঁড়ানোর আগে আমার দাদিকে সালাম করতেন। আব্দুর রাজ্জাকও সালাম করতেন। বিএনপির কিরণও সালাম করতেন। এই সালাম ছাড়া কেউ আগাতে পারতেন না। আমাদের অনুমতি ছাড়া ওই এলাকায় কেউ এমপি হতে পারেন না। এটাই বাস্তবতা। হাহাহাহাহাহা।

জয়ের এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে চর্চা চলছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে জয়ের মতো অনেকে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। অনেকে জয়কে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ তার কথার সমালোচনাও করেছেন।