আমাকে এমন আরও চরিত্রে দেখতে চায় অমিত হাসান
এক সময়ের ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক ছিলেন অমিত হাসান। ধীরে ধীরে সিনেমার কাজ যায় কমে। অভিনেতা হিসেবে এক প্রকার অবসরে চলে যান তিনি। হঠাৎ একদিন তাকে পর্দায় পাওয়া যায় খলনায়ক হিসেবে! নায়ক যখন ভিলেনের চরিত্র পান, কেমন ছিল তার প্রতিক্রিয়া? আজ ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার অমিত হাসানের জন্মদিন। ১৯৬৮ সালের আজকের দিনে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার বানিয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার প্রকৃত নাম খন্দকার সাইফুর রহমান। ১৯৮৬ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অমিত হাসান চলচ্চিত্রে আসেন। ১৯৯০ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘চেতনা’। ছবিটি পরিচালনা করেন ছটকু আহমেদ। কেন্দ্রিয় চরিত্রে একক নায়ক হিসেবে তিনি প্রথম অভিনয় করেন মনোয়ার খোকনের ‘জ্যোতি’ সিনেমায়। এরপর ‘প্রেমের সমাধি’, ‘শেষ ঠিকানা’, ‘জিদ্দী’, ‘বিদ্রোহী প্রেমিক’, ‘তুমি শুধু তুমি’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘রঙিন উজান ভাটি’, ‘ভালবাসার ঘর’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। নায়ক থেকে হঠাৎ খলনায়ক হলেন কীভাবে? এক সাক্ষাৎকারে অমিত হাসান বলেন, ‘চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে একটা পরিবর্তনের পর আমিও নিজেকে বদলে নিয়েছি।
২০২১ সালে “ভালোবাসার রং” সিনেমা দিয়ে ভিলেন হিসেবে পর্দায় আসি। নির্মাতা শাহিন সুমন যখন আমাকে ভিলেনের চরিত্র অফার করেছিলেন, তখন আমি ভীষণ মাইন্ড করেছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম, “আমি দুই থেকে আড়াই শ ছবির নায়ক, তুমি আমাকে ভিলেনের অফার করছো।” পরে সে আমাকে বলে, “ভাইয়া করেন। এতে আপনার নায়িকা নেই, গান নেই, সিনেমাটিতে আপনার কিছুই নেই, এখানে আপনি একজন মন্দ লোক।” এই কথা শুনে আমি ভাবনায় পড়ে যাই। শাহিন সুমনের কাছ থেকে এমন প্রস্তাব পাওয়ার পর অমিত হাসান বেশ কয়েক দিন চিন্তা করেন। এরপর সিদ্ধান্ত নিলেন ভিলেন হিসেবে অভিনয় করবেন। তিনি বলেন, ‘চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম, দেখি এই চরিত্রে অভিনয় করে কী হয়। কারণ আমি একজন অভিনেতা। যে কোনো চরিত্রে অভিনয় করতে পারি। কাজটি করলাম। দর্শকদের কাছ থেকেও বেশ সাড়া পেয়েছি। এখন নির্মাতা, প্রযোজক ও দর্শকরা আমাকে এমন আরও চরিত্রে দেখতে চায়।