আজকাল দম্পতিরা প্রতি মাসে ডিভোর্স লেটার পাঠায়: আশা ভোঁসলে
উপ-মহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে। ৯১ বছর বয়সী এই শিল্পীকে এখনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়। কয়েক দিন আগে আধ্যাত্মিক নেতা রবি শঙ্করের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠানে যোগ দেন আশা ভোঁসলে। এ আলাপচারিতায় বর্তমান প্রজন্মের প্রেম পড়া, প্রেম ভাঙা এবং বিবাহবিচ্ছেদের কারণ আশা ভোঁসলের কাছে জানতে চান রবি শঙ্কর। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ব্যক্তিগত জীবন টেনে আনেন এই গায়িকা। আশা ভোঁসলে জানান, স্বামী আরডি বর্মনের সঙ্গে তার সমস্যা হতো। এ নিয়ে বিরক্তও হতেন। কিন্তু খুব বেশি হলে রাগ করে মায়ের কাছে চলে যেতেন। তবে কখনো ডিভোর্সের চিন্তাও তার মাথায় আসেনি। এ সময় রবি শঙ্করকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আশা ভোঁসলে বলেন, আজকাল শুনতে পাই, দম্পতিরা প্রতি মাসে ডিভোর্স লেটার পাঠায়। গুরুদেব, এমনটা কেন ঘটছে? এ প্রশ্নের জবাবে রবি শঙ্কর বলেন, আপনি গান গেয়ে সবাইকে আনন্দ দিচ্ছেন। সৃষ্টিকর্তার ওপরে আপনার বিশ্বাস আছে, কষ্ট সহ্য করা এবং সমস্যার মোকাবিলা করার শক্তিও আপনার আছে। কিন্তু আজকালের মানুষজনের কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা নেই বললেই চলে। ’ বর্তমান প্রজন্ম দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নেয় বলে মন্তব্য করেন আশা ভোঁসলে। তার মতে, আমি আমার জীবনের অধিকাংশ বছর এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়েছি, অনেক মানুষকে দেখেছি। এখনকার প্রজন্মের মতো এত দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নিতে আগে দেখিনি। আমার মনে হয়, তারা পরস্পরের প্রতি দ্রুত ভালোবাসা অনুভব করে এবং তারা দ্রুত বিরক্ত হয়ে যায়। সম্ভবত, এ কারণে বিবাহবিচ্ছেদের হার বেড়েছে।
আশা ভোঁসলের এ বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করে রবি শঙ্কর। তিনি বলেন, আজকাল আকর্ষণ ভালোবাসাকে ছাড়িয়ে গেছে। বড় বোন লতা মঙ্গেশকরের সেক্রেটারি গণপতরাও ভোঁসলেকে প্রথম বিয়ে করেন আশা ভোঁসলে। তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর আর গণপতের বয়স ছিল ৩১ বছর। ১৯৬০ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। ১৯৮০ সালে গায়ক আরডি বর্মনকে বিয়ে করেন আশা। ১৯৯৪ সালে মারা যান আশা ভোঁসলের দ্বিতীয় স্বামী আরডি বর্মন।