অ্যাডভোকেসি সভা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের

‘পরিকল্পিত পরিবার—নিরাপদ মাতৃত্বের অঙ্গীকার’— এই স্লোগানকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সমম্মেলন কক্ষে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় এই সভার আয়োজন করে।
আগামী ৬ থেকে ১১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. শাহাদাত হোসেন মাসুদ। জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক শুকলাল বৈদ্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিপ্লব কুমার মজুমদার, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু মাসুদ খানসহ অন্যরা।
সভায় পরিকল্পিত পরিবার গড়ে তোলার গুরুত্ব, দেশের মা ও শিশু মৃত্যুর হার, বাল্যবিয়ের কুফল, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকাণ্ড, সেবা প্রদান ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন উপপরিচালক শুকলাল বৈদ্য। সভায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে বলা হয়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০-এ নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৯ সালে কেনিয়াতে অনুষ্ঠিত আইসিপিডি+২৫ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সকল দেশ শূন্য মাতৃমৃত্যু, নারীর প্রতি শূন্য সহিংসতা এবং অপূর্ণ চাহিদা শূন্য অর্জন করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে। এ তিন শূন্য অর্জনে অন্যতম বড় বাধা বাল্যবিয়ে। বাংলাদেশের বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী বিয়ের আইনগত বয়স মেয়েদের ১৮ বছর হলেও বিডিএইচএস, ২০২২ অনুযায়ী ২০-২৪ বছর বয়সী নারীদের বিয়ের গড় বয়স ১৬ বছর। ১৫-১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে গর্ভধারণের হার অর্থাৎ কৈশোরকালীন মাতৃত্বের হার ২৪ শতাংশ। কিশোর বয়সে সন্তান ধারণ করলে শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, মৃত সন্তান প্রসব, অপরিপক্ব প্রসব, কম ওজনের শিশুর জন্ম, মায়ের প্রজননতন্ত্রের নানারকম স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়। অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবারের সেবা ও প্রচার সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— ‘পরিকল্পিত পরিবার, নিরাপদ মাতৃত্বের অঙ্গীকার’।