ইসরায়েলের ব্যাপক হামলার আতঙ্কে ফিলিস্তিনিরা

ইসরায়েলের ব্যাপক হামলার আতঙ্কে ফিলিস্তিনিরা গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল। এর মাধ্যমে শেষ হতে যাচ্ছে দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। চুক্তিটি কার্যকর হবে আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে।  আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির খবরে গাজাবাসীর মনে স্বস্তি ফিরে এলেও নিরাপদ বোধ করতে পারছেন না তারা। তাদের শঙ্কা, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগের ৭২ ঘণ্টায় গাজায় তীব্র হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পর মিশ্র অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন গাজাবাসীরা। একদিকে যুদ্ধবিরতির স্বস্তি, অন্যদিকে হামলা জোরদারের শঙ্কা। তার ওপরে তো স্বজন হারানো শোক রয়েছেই।  গাজার বাসিন্দাদের শঙ্কা, চুক্তিটি আগামী রবিবার থেকে কার্যকর হবে- এর অর্থ হলো এখনও ৭২ ঘণ্টা সময় আছে। এ সময়ে ইসরায়েলি বিমান হামলা আরো জোরদার হতে পারে। ফিলিস্তিনিরা বুঝতে পারছেন যে চুক্তিটি আগামী রবিবার কার্যকর হবে। এর অর্থ হল আমাদের কাছে এখনও ৭২ ঘন্টা আছে যা … বিমান হামলা এবং উত্তেজনায় পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং কাতারি কর্মকর্তারা চুক্তিটি ঘোষণা করার পর আজ সকালে এটি শুরু হয়েছিল। ফিলিস্তিনিরা জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরেও তারা আকাশে ইসরায়েলি ড্রোন ও যুদ্ধবিমান দেখেছে; যা মাটিতে থাকা সবাইকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। বেসামরিক লোকেরা এখনও উপত্যকায় হামলার মাত্রা বৃদ্ধির বিষয়ে ভীত হয়ে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।  গত ২৪ ঘন্টায়, গাজায় আবাসিক ভবন ও বেসামরিক সমাবেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বেসামরিক বাসিন্দারা খোলা জায়গায় বা যেকোনো ধরনের বিপদের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় থাকা এড়িয়ে নিরাপদ থাকার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। এদিকে হামাস কর্মকর্তা খলিল আল-হায়া বলেছেন, “ফিলিস্তিনিরা মনে রাখবে কারা তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে, কারা গণমাধ্যমে নৃশংসতার ন্যায্যতা প্রমাণ করেছে এবং কারা তাদের ঘরবাড়িতে বোমা ফেলেছে।” বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি আরো বলেন, “ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এবং তার সমর্থকরা ৪৬৭ দিন ধরে যে বর্বর যুদ্ধ চালিয়েছে … তা আমাদের জনগণ এবং বিশ্বের স্মৃতিতে আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ গণহত্যা হিসেবে চিরকাল খোদাই করা থাকবে।”

দিল্লিতে ৪৬ বাংলাদেশি আটক

দিল্লিতে ৪৬ বাংলাদেশি আটক দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শনাক্তকরণ ও ফেরত পাঠাতে দুই মাসব্যাপী অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এই অভিযানে গত ১০ থেকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৬ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের বরাত দিয়ে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিল্লি পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের শনাক্ত ও নির্বাসনের জন্য দুই মাসের অভিযানের অংশ হিসাবে ১০ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। আটক ৪৬ জনের মধ্যে ৩৬ জনকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্য ১০ জন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারতে বসবাস করছিলেন। এরই মধ্যে আটক ৪৬ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অভিবাসীবিষয়ক সংস্থা ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)। আটক এক বাংলাদেশির নাম জাহাঙ্গীর শেখ। তার সম্পর্কে দিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিম জেলার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সুরেন্দ্র চৌধুরী বলেন, “ঢাকার জাহাঙ্গীর শেখ এবং পারিনা বেগম দম্পতি বন পাড়ি দিয়ে ভারতে ঢুকে। সেখান থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে দিল্লিতে ঢুকে পড়ে। এরপর দিল্লিতে স্থায়ী হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে যান স্ত্রী-সন্তানদের আনতে। তারা তাদের বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র নষ্ট করে নয়াদিল্লির রঙ্গপুরিতে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন।” গত শনিবার অপর এক অভিযানে ফতেপুর বেরির আরজান গড় মেট্রো স্টেশনের কাছে সাত বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার মধ্যে পাঁচজন নারী। দক্ষিণ জেলার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অঙ্কিত চৌহান বলেন, “আটক সবাইকেই এফআরআরওর কাছে ফেরত পাঠানোর জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।” দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা ১০ ডিসেম্বর দিল্লি পুলিশ ও সরকারকে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত ও ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই অভিযানের সময় ১৬ হাজার ৬৪৫ জনকে যাচাই করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৫ হাজার ৭৪৮ জনের নথি বৈধ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, ৮৫১ জনের নথি এখনো যাচাই প্রক্রিয়াধীন।

১৯৬ কোটি টাকার পাম-সয়াবিন তেল কিনবে সরকার

১৯৬ কোটি টাকার পাম-সয়াবিন তেল কিনবে সরকার স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৩৮ লাখ ১০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল এবং ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পাম অয়েল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এজন্য ব্যয় হবে ১৯৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এছাড়া ৯৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা দিয়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্ট বলেন, আমরা তাড়াতাড়ি প্রসেস করে, যৌক্তিক যে জিনিসগুলো ক্রয় করা প্রয়োজন সেগুলো অনুমোদন দিয়ে থাকি। আজকে আমরা বিভিন্ন ধরনের সার কেনার অনুমোদন দিয়েছি। এলএনজি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছি। তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে নবম, দশম শ্রেণির পাঠ্যবই মুদ্রণের অনুমোনদ দেওয়া হয়েছে। জেনারেল এডুকেশন প্লাস মাদ্রাসার। পাঠ্যবই আমরা দ্রুত চাচ্ছি। জানুয়ারির মধ্যে আমরা পাঠ্যবই করে ফেলতে বলেছি। চেষ্টা করবে, তবে জানুয়ারির মধ্যে হয়তো সবগুলো করে ফেলতে পারবে না। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৩৮ লাখ ১০ হাজার লিটার পরিশোধিত লুজ সয়াবিন তেল ক্রয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে এই সয়াবিন তেল কেনা হবে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৪০ টাকা। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আর এক প্রস্তাবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার লুজ পাম অয়েল কেনার প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়। এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে এই পাম অয়েল কেনা হবে। প্রতি লিটার পাম অয়েল’র দাম ধরা হয়েছে ১৩০ টাকা। এতে মোট ব্যয় হবে ১৪৩ কোটি টাকা। এই পাম অয়েলও টিসিবির জন্য কেনা হবে। এছাড়া ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার আর একটি প্রস্তাব নিয়ে আসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৫ টাকা ৯৭ পয়সা। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। রাজশাহীর নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে এই মসুর ডাল কেনা হবে।

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে ইরান 

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে ইরান  ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলোতে ৬ হাজারের বেশি নতুন সেন্ট্রিফিউজ স্থাপন ও ইতোমধ্যে স্থাপিত সেন্ট্রিফিউজের কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা করছে ইরান। জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সিকে (আইএইএ) ইরান এ কথা জানিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর সংস্থাটির একটি গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। আইএইএ’র প্রতিবেদনে ইরানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিস্তারিত লেখা রয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে আইএইএ’র ৩৫টি দেশের বোর্ড অফ গভর্নরদের পাস করা একটি প্রস্তাবের জবাবে ইরান এই ঘোষণা দিয়েছে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সক্ষমতা বাড়ানোর অর্থ হলো ইরান আরও দ্রুত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে, যা পরমাণু অস্ত্র প্রসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্য অস্বীকার করলেও ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমারা। উল্লেখ্য, এটি অস্ত্রমানের প্রায় ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধতার কাছাকাছি। পারমাণবিক অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিটি দেশই এই বিশুদ্ধতার সীমা অতিক্রম করেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন সেন্ট্রিফিউজগুলোর জন্য নির্দিষ্ট মাত্রায় ৫ শতাংশ বিশুদ্ধতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। এটি ৬০ শতাংশের তুলনায় অনেক কম। বিশেষ করে ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্রে এই নিম্ন বিশুদ্ধতার পরিকল্পনাটি ইরানের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যেতে পারে, যেহেতু তারা ইউরোপীয় শক্তিগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ খুঁজছে। তবে পরবর্তীতে সমৃদ্ধকরণের মাত্রা পরিবর্তন করা সহজ। বর্তমানে নাতানজ ও ফোর্দোতে দুটি ভূগর্ভস্থ এবং নাতানজের একটি ভূপৃষ্ঠস্থ পরীক্ষামূলক কেন্দ্রে ১০ হাজারের বেশি সেন্ট্রিফিউজ পরিচালনা করছে তেহরান। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরান ১৬০টি মেশিনের বেশি নিয়ে গঠিত ৩২টি নতুন ক্যাসকেড স্থাপনের পরিকল্পনা করছে ও এক হাজার ১৫২টি উন্নত আইআর-সিক্স মেশিন নিয়ে একটি বিশাল ক্যাসকেড তৈরি করবে। এছাড়া, পরিকল্পিত সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা ইতোমধ্যেই স্থাপিত সেন্ট্রিফিউজগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। তবে এগুলো চালু করতে ইউরেনিয়াম ফিডস্টক ব্যবহার করতে হবে, যা এখনও কার্যকর করা হয়নি বলে আইএইএ নিশ্চিত করেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফোর্দো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্টে নতুন ক্যাসকেড স্থাপনের পর তাদের জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে এমন সব তথ্য তেহরানকে জানিয়েছে আইএইএ। ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্রের বিষয়ে বাড়তি সতর্ক অবস্থানে আছে সংস্থাটি। কারণ এটি একটি পাহাড়ের মধ্যে নির্মিত ও এখানে ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চলছে। নাতানজেও একই মাত্রার সমৃদ্ধকরণ করা হচ্ছে।

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১০ মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮৬

দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১০ মৃত্যু, শনাক্ত ৮৮৬ দেশে গতকাল সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ভাইরাসটি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮৮৬ জন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, একদিনে সারা দেশে ৯৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮১ হাজার ৪৫৬ জন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪৪৮ জনের।

শিবগঞ্জে ভটভটির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু

শিবগঞ্জে ভটভটির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিৎপুর বাজার সংলগ্ন একটি ফিলিং ষ্টেশনের সামনে সোনামসজিদ স্থলবন্দর মহাসড়কে গরুবোঝাই একটি ভটভটির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উপর রাজারামপুর এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে আব্দুল ওয়াহাব। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আজ বিকেলে শিবগঞ্জ থেকে সোনামসজিদ মহাসড়ক ধরে একাই মোটরসাইকেল চালিয়ে চাঁপাইনববাবগঞ্জ যাবার পথে ছত্রাজিৎপুর বাজারের নিকট বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গরুবোঝাই ভটভটির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে ওয়াহাবের মোটরসাইকেলের। এতে তিনি সড়কে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর বিকাল ৫টার দিকে তিনি মারা যান। শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই ভটভটি চালক ভটভটি নিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে শনাক্ত ও আটকে অভিযান শুরু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ।

হাসিনাকে গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি

হাসিনাকে গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতক নেতাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) চিঠি দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর। গত ৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের পক্ষ থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়। আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয়। এর আগে ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরোনো ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ গণহত্যার অভিযুক্ত পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।

শিবগঞ্জে গাছে খড়ি সংগ্রহের সময় বিদূৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

শিবগঞ্জে গাছে খড়ি সংগ্রহের সময় বিদূৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবজপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামে একটি আমগাছে উঠে বাড়ির জ¦ালানির জন্য শুকনো লকড়ি সংগ্রহকালে বিদ্যূৎস্পৃষ্টে মারুফ নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে ওই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে ও ভোলাহাট চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ সকালের বাড়ির প্রায় এক কিলোমিটার দূরের ওই গাছে চড়ে লকড়ি সংগ্রহ করছিল মারুফ। একপর্যায়ে অসাবধানতাবশত গাছ ঘেঁষে যাওয়া পল্লী বিদূতের সঞ্চালণ তারের সংস্পর্শে বিদ্যূৎস্পৃষ্ট হয়ে গাছেই তার মৃত্যু হয়। ডালে আটকে ঝুলতে থাকে তার মরদেহ। পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা গাছ থেকে মরদেহ নামায়। শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মারুফের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে আইনী কার্যক্রম শেষে মরদেহ আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

আজ পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রুলের শুনানি 

আজ পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে রুলের শুনানি  তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য্য রয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চের ৬ নভেম্বরের কার্যতালিতায় পৃথক রিট শুনানির জন্য রয়েছে। এর আগে গত ৩০ অক্টোবর প্রথম দিনের শুনানি শেষে ৬ নভেম্বর বুধবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়েছিলো। আদালতে বদিউল আলম সুজনসহ ৫ বিশিষ্ট ব্যক্তির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। জামায়াতের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদ উদ্দিন। গত ১৯ আগস্ট জনস্বার্থে পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তির করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

উত্তরাখন্ডে পাহাড়ি রাস্তায় বাস গভীর খাদে পড়ে নিহত অন্তত ২৮

উত্তরাখন্ডে পাহাড়ি রাস্তায় বাস গভীর খাদে পড়ে নিহত অন্তত ২৮ ভারতের উত্তরাখন্ডের পাহাড়ি রাস্তায় যাত্রীবাহী একটি বাস গভীর খাদে পড়ে এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে সেখানে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স। আজ সকাল ৯টার দিকে উত্তরাখ-ের আলমোরায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মার্চুলার সল্ট এলাকায় পাহাড়ের খাদে গড়িয়ে পড়ে যাত্রীবাহী বাসটি। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজে সহায়তা করেছেন স্থানীয়রাও। সেখানকার পুলিশ জানিয়েছে, বাসটিতে কমপক্ষে ৩৫ জন যাত্রী ছিলেন। বাসটি পুরোপুরি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।