মাংসপেশির ক্ষয়রোগ সম্পর্কে জেনে রাখুন

মাংসপেশির ক্ষয়রোগ সম্পর্কে জেনে রাখুন সারকোপেনিয়া বা মাংসপেশির ক্ষয়রোগ হলো বয়সজনিত এমন এক অবস্থা, যেখানে ধীরে ধীরে পেশির ভর, শক্তি ও কার্যক্ষমতা কমে যায়। সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের পর থেকে এ ক্ষয় শুরু হয় এবং বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তীব্রতাও বাড়তে থাকে। সারকোপেনিয়ার প্রধান কারণ হলো বার্ধক্য। তবে এর সঙ্গে আরও কিছু বিষয় জড়িত। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের অভাব, অর্থাৎ শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা এ রোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। পুষ্টিহীনতা, বিশেষ করে প্রোটিন ও ভিটামিন-ডি’র ঘাটতি সারকোপেনিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া হরমোনজনিত পরিবর্তন, যেমন- টেস্টোস্টেরন, গ্রোথ হরমোন ও ইনসুলিনের মাত্রা হ্রাস এ রোগের জন্য দায়ী হতে পারে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি বা ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগ, দীর্ঘদিন স্টেরয়েড বা কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ সেবন এবং শরীরে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ থাকলেও সারকোপেনিয়া দেখা দিতে পারে। সারকোপেনিয়া ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। সাধারণত পেশিশক্তি কমে যাওয়া, শরীরের ওজন হ্রাস পাওয়া, বিশেষ করে মাংসপেশি শুকিয়ে যাওয়া, হাঁটার গতি ধীর হয়ে যাওয়া, অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া এবং দৈনন্দিন কাজে অসুবিধা হওয়া এর প্রধান লক্ষণ। চেয়ার থেকে উঠতে, সিঁড়ি ভাঙতে কষ্ট হওয়া, ভারসাম্য হারানো বা বারবার পড়ে যাওয়ার ঘটনাও এ রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা যায়। সারকোপেনিয়ার নির্দিষ্ট কোনো একক ওষুধ নেই। তবে সঠিক জীবনযাপন ও চিকিৎসার সমন্বয়ের মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং পেশিক্ষয় কমানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ব্যায়াম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে স্ট্রেংথ ট্রেনিং ও রেজিস্ট্যান্স ব্যায়াম অত্যন্ত কার্যকর। ওয়েট ট্রেনিং, রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ড এক্সারসাইজ, স্কোয়াট, লাঞ্জ, পুশ-আপ, নিয়মিত হাঁটা ও হালকা দৌড় পেশিশক্তি বাড়াতে সহায়ক। পুষ্টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, যেমন- মাছ, মুরগি, ডিম, ডাল ও দুধজাত খাবার নিয়মিত খেতে হবে। পাশাপাশি ভিটামিন-ডি, ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত ক্যালরি নিশ্চিত করা জরুরি। প্রয়োজন অনুযায়ী ভিটামিন-ডি, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী হরমোন থেরাপি উপকারী হতে পারে। মাংসপেশির শক্তি বৃদ্ধির জন্য ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন থেরাপি ও বিভিন্ন থেরাপিউটিক এক্সারসাইজও কার্যকর ভূমিকা রাখে। সারকোপেনিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন অত্যন্ত প্রয়োজন। ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করতে হবে, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে এবং নিয়মিত শরীরচর্চা ও সক্রিয় জীবনযাপন বজায় রাখতে হবে। প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ৪০ বছর বয়স পার হওয়ার পর থেকেই নিয়মিত ব্যায়াম শুরু করা উচিত। প্রতিদিন শরীরের ওজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত প্রোটিন (প্রতি কেজি ওজনে ১-১.২ গ্রাম) গ্রহণ করা প্রয়োজন। হাড় ও পেশি শক্ত রাখতে ভিটামিন-ডি এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি যেন না থাকে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলো সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং ফিজিওথেরাপিতে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডা. এম. ইয়াছিন আলী লেখক : বাতব্যথা ও প্যারালাইসিস রোগে ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে কাতারের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে আজ মধ্যরাতের পরে বা কাল ভোরে বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে। সেখানে একটি হাসপাতালের সঙ্গে এরইমধ্যে যোগাযোগও হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমরা আশাবাদি। তিনি আবারও ফেরত আসবেন সবার মাঝে। লন্ডনে যাত্রাপথে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য তার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা থাকবেন।
বড় ব্যবধানে হারিয়ে ভারতকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিল দক্ষিণ আফ্রিকা

বড় ব্যবধানে হারিয়ে ভারতকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিল দক্ষিণ আফ্রিকা পরাজয়ের সম্ভাবনা চতুর্থ দিন শেষ বিকেলেই ফুটে উঠেছিল। কিন্তু পঞ্চম দেখার বাকি ছিল বাকি শক্তি নিয়ে কতদূর লড়াই করতে পারে ভারত এবং ব্যবধান কত কমিয়ে আনতে পারে! কিন্তু না, ন্যুনত লড়াইও করতে পারেনি ভারতীয় ব্যাটাররা। অলআট হয়ে গেলো মাত্র ১৪০ রানে। যার ফলে ৪০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয় বরণ করলো ভারত। সে সঙ্গে হোয়াইটওয়াশ হলো ২-০ ব্যবধানে। গুয়াহাটির যে উইকেটটি তৈরি করা হয়েছিল ভারতীয় ব্যাটারদের জন্য, উল্টো সেখানে রাজত্ব করলো দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার এবং স্পিনাররা। প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়ারা তুলেছিল ৪৮৯ রান। জবাব দিতে নেমে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২০১ রানে অলআউট ভারত। ২৮৮ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমে ২৬০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে ৫৪৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নামতে হয় ভারতীয়দের। এতবড় রানের দিকে তাকিয়েই হয়তো পিলে চমকে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছে রিশাভ পান্তদের। যে কারণে নিজেদের স্পিনারদের জন্য তৈরি করা স্পিনিং ট্র্যাকে রাজত্ব করলো প্রোটিয়া স্পিানররা। সাইমন হারমার আর কেশভ মাহারাজদের তোপের মুখে থরথর করে কেঁপেছে ভারতের তথাকথিত বিখ্যাত ব্যাটিং লাইনআপ। এক রবিন্দ্র জাদেজা যদি ৫৪ রানের ইনিংসটি না খেলতেন, তাহলে ১০০’র আগেই অলআউট হওয়া লাগতো স্বাগতিকদের। সাইমন হারমার একাই নেন ৬ উইকেট। কেশভ মাহারাজ ২টি, সেনুরান মুথুসামি ও মার্কো ইয়ানসেন নেন ১টি করে উইকেট। অর্থ্যাৎ, ৯টি উইকেটই নিয়েছে স্পিনাররা। একবছরের ব্যবধানে ঘরের মাঠে দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশ হলো ভারত। গতবছর অক্টোবর-নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ভারতীয় দল। ঠিক এক বছরের ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো তারা। দুইটি হোয়াইটওয়াশের ঘটনা ঘটলো গৌতম গম্ভীরের অধীনে। ইডেন গার্ডেন্সে প্রথম টেস্টে প্রোটিয়াদের বধ করার জন্য পুরোপুরি স্পিনিং ট্র্যাক বানিয়েছিল ভারত। সেই ট্র্যাকে উল্টো গর্তে পড়লো তারা। লো স্কোরিং ম্যাচ শেষ হয়েছিল আড়াই দিনে। জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে ১২৪ রানও করতে পারেনি ভারত। অলআউট হয়েছিল মাত্র ৯৩ রানে। এরপর গুয়াহাটিতে তৈরি করলো ব্যাটিং উইকেট। যেখানে রাজত্ব করলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতীয় দল এখানেও ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ। আগের দিনের ২ উইকেটে ২৭ রান নিয়ে পঞ্চম দিন ব্যাট করতে নেমেছিল ভারত। সাই সুদর্শন ও কুলদিপ যাদব দ্রুত আউট হয়ে যান। ১৪ রান করে সাই সুদর্শন। ৫ রান করেন কুলদিপ যাদব। ধ্রুব জুরেল আউট হন মাত্র ২ রান করে। অধিনায়ক রিশাভ পান্ত ১৩ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। প্রতিরোধ গড়ে দাঁড়ান রবিন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দর। ৩৫ রানের জুটি গড়েন তারা। ওয়াশিংটন ১৬ রান করে আউট হন। ৫৪ রান করেন রবিন্দ্র জাদেজা। শেষ দিকে নিতিশ কুমার রেড্ডি ও মোহাম্মদ সিরাজ শূন্য রানে আউট হতেই শেষ হয়ে যায় ভারতীয়দের ব্যাটিং।
নারী কাবাডি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ, নিশ্চিত প্রথম পদক

নারী কাবাডি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ, নিশ্চিত প্রথম পদক চলমান নারী কাবাডি বিশ্বকাপে আজ শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে নিশ্চিত করল সেমিফাইনালের টিকিট। তাতে নিশ্চিত হলো নারী বিশ্বকাপের ইতিহাসে দেশের প্রথম পদকও। ঢাকায় চলমান আসরের শুরু থেকেই পদকের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে আসছিলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে সেমিফাইনাল এবং পদক নিশ্চিত করার পর লাল-সবুজ শিবিরে ছিল উচ্ছ্বাস। দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দিলেন লাল-সবুজ পতাকা নেড়ে। থাইল্যান্ড টস জিতে রেইড বেছে নেয়। থানিয়ালাক বেনরিথ বোনাস পয়েন্ট নিয়ে শুরু করেন। দ্বিতীয় রেইড থেকে শ্রাবণী মল্লিক বাংলাদেশকে প্রথম পয়েন্ট এনে দেন। ওটা ছিল বোনাস পয়েন্ট। পরের রেইডে শ্রাবণী একজনকে আউট করেন। শুরু থেকে এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমবারের মতো লিড এনে দেন মেইবি চাকমা। ম্যাচ চলতে থাকে সমান তালে। রেখা আক্তারি ট্যাকল করতে গিয়ে পয়েন্ট দেন, ফিরতি রেইড থেকে পয়েন্ট নিয়ে আসেন বৃষ্টি বিশ্বাস। নবম মিনিটে ইনজুরি নিয়ে ম্যাট ছাড়েন বাংলাদেশি রেইডার শ্রাবণী মল্লিক। ১১-১১ সমতা থেকে বৃষ্টি এক রেইডে দুইজনকে আউট করেন, লিড পায় বাংলাদেশ। ১৪-১২ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। বিরতির পর দ্রুতই প্রতিপক্ষকে অলআউট করে বাংলাদেশ, এগিয়ে যায় ১৮-১৩ পয়েন্টে। সময়ের সঙ্গে অধিপত্য বাড়তে থাকে বাংলাদেশের। এই সময় রেইড এবং ট্যাকল; দুই বিভাগেই দারুণ নৈপুণ্য দেখায় লাল-সবুজরা। দ্বিতীয়বারের মতো থাইল্যান্ডকে অলআউট করে ৩১-১৮ পয়েন্টে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। শেষদিকে থাইল্যান্ড মরিয়া হয়ে লড়াই করেছে বটে, তা হারের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে। ৪০-৩১ পয়েন্টের জয়ে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো পদক নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আগামী শনিবার ৩ দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন তিনি। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে সফরের প্রথম দিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। প্রতিনিধিপর্যায়ে বৈঠকের আগে দুই সরকারপ্রধান একান্ত আলাপে অংশ নিতে পারেন। দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, যোগাযোগ, শিক্ষা, পর্যটন, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয় আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে দুই দেশের মধ্যে তিনটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনসহ কয়েকজন উপদেষ্টা ভুটানের সরকার প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সফর শেষে তিনি আগামী সোমবার ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বিশ্বমঞ্চে ‘বাংলার রানি’ মিথিলা

বিশ্বমঞ্চে ‘বাংলার রানি’ মিথিলা একসময় বাংলার অভিজাত শ্রেণির জন্য বোনা হতো জামদানি শাড়ি, যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বহন করে চলেছে একই শিল্পরীতি, সৌন্দর্যবোধ আর সাংস্কৃতিক গৌরবের নিদর্শন। বাংলার প্রাচীন তাঁতশিল্প থেকে উঠে আসা এই ন্যাশনাল কস্টিউম একটি হাতে বোনা জামদানি শাড়ি। এতে মিশে আছে ঐতিহ্য, সৌন্দর্য আর দৃঢ়তার গল্প। এর শিকড় সতের শতকের মোগল আমলে, যখন জামদানি ছিল রানি, নবাব পরিবারের নারী ও অভিজাতমহলের বিলাসী আর রুচির প্রতীক। সূক্ষ্ম সুতায় বোনা এই শাড়ির প্রতিটি সুতা তৈরি হয়েছে বাছাই করা তুলা থেকে। যে সুতার ওপরে ফুটে উঠেছে সোনালি জরির কারুকাজ। ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা তীরের দক্ষ তাঁতিদের হাতে এসব নকশা নতুন জীবন পেয়েছে। ২০১৩ সালে ইউনেসকো জামদানিকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এর শিল্পগুণ ও ঐতিহ্যের প্রতি বিশ্বব্যাপী শ্রদ্ধার প্রমাণ এটি। মিথিলার পুরো শাড়িতে ফুটে উঠেছে শাপলার মোটিফ। এই মোটিফ বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে মিথিলা বলেন, “শাপলা এই মাটির শান্তি, পবিত্রতা ও অপরাজেয় মনোভাবের প্রতীক। এই বিশেষ জামদানি শাড়িটি পুরোপুরি হাতে তৈরি করা, বানাতে সময় লেগেছে প্রায় ১২০ দিন। শাড়িটির ডিজাইন করেছেন আফরিনা সাদিয়া সৈয়দা।” জামদানি শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নিয়েছেন ব্লাউজ ও গহনা; যা বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। পুরো সেটটি তৈরি করেছে সিক্স ইয়ার্ড স্টোরি। গহনার পুরো সেটটি বানাতে ১২ জন কারিগরের সময় লেগেছে আড়াই মাস। মিথিলা চেয়েছিলেন সাদা জামদানির সঙ্গে পুরো গহনায় থাকবে সোনালি লুক। এ কারণে ২২ ক্যারেট সোনার প্রলেপ দেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণ গহনায়। টিকলি, চোকার, ঝুমকা, বালা, মোটা চূড়া, রতনচূড়, বাজু, বিছা, চাবির গোছা, আঁচলের ওপর বসানো গহনার সবকিছুতেই শাপলার থিম রয়েছে। গলার হারের ঝুলে থাকা সবুজ পাথরগুলো শাপলা পাতার রং থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছে। মিথিলাকে এমন সাজপোশাকে দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। শফিকুল আলম বাবু লেখেন, “মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো।” ওপার বাংলার আদিত্রী লেখেন, “মা সরস্বতীর লুকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা। পদ্মফুলের সঙ্গে মা লক্ষ্মীর আভা বজায় রাখা। তাহলে আপনি কি উভয় বাংলার প্রতিনিধিত্ব করছেন?” সৈয়দা মরিয়ম সিরাত লেখেন, “এটা কীভাবে সম্ভব! আমি একমাস আগে অনেক পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম, ‘মিথিলা আপুর মধ্যে ‘ওয়াটার লিলির’ মতো আভা আছে। সরল, নরম, মার্জিত অথচ সুন্দর।” এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে কমেন্ট বক্সে।
রাজশাহীর দূর্গাপুরে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

রাজশাহীর দূর্গাপুরে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার রাজশাহীর দূর্গাপুরে গাঁজা ক্রয়-বিক্রয়ের সময় মাদক ব্যবসায়ী পারভেজ মোশারফ কে গাঁজাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাব-৫ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়ে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বিকেলে তরিপতপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। র্যাব জানায়, পারভেজ এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং নিয়মিতভাবে গাঁজা বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে দূর্গাপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৬

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৬ চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ৪ জন ও বহির্বিভাগে ২ জন শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৭ জন রোগী এবং ৩ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ৩ জন পুরুষ ও ১০ জন, শিবগঞ্জে ২ জন পুরুষ ও ১ জন নারী, গোমস্তাপুরে ১ জন নারী রোগী রয়েছেন। অন্যদিকে জেলা হাসপাতাল থেকে ৩ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে এবং ১ জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৮৪১ জন এবং জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৮০ জন। সিভিল সার্জন অফিস ও জেলা হাসপাতালের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বর্নাঢ্য আয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

বর্নাঢ্য আয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন জেলায় দীর্ঘদিনের খেলা শূণ্যতা কাটিয়ে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে বর্নাঢ্য আয়োজনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বিকাল ৪টায় জেলা ষ্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার যৌথ আয়োজনে বেলুন উড়িয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) আলি আকবর আজিজী। জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার রেজাউল করিম ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া অফিসার আবু জাফর মাহমুদুজ্জমান। অনুষ্ঠানে জানানো হয় লীগ পদ্ধতির এই খেলায় জেলার ৫টি অর্থাৎ সদর, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলা ফুটবল দল প্রত্যেকের সাথে প্রত্যেকে খেলার পর শীর্ষ দুই দলের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। মনোমুগ্ধকর করে সাজানো ষ্টেডিয়ামে বিপুল সংখ্যক দর্শক, ক্রীড়ামোদি, খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়া ও সরকারি কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে উদ্বোধনী খেলায় শিবগঞ্জ উপজেলা ফুটবল দল ২-০ গোলে সদর উপজেলা ফুটবল দলকে পরাজিত করে টুর্নামেন্টে শুভ সূচণা করে। সদর উপজেলা দলে ২ জন নাইজেরিয়ান বিদেশী খেলোয়াড় অংশ নেন।
নাচোলে মাসকলাই চাষে প্রণোদনা কার্যক্রমের উদ্বোধন

নাচোলে মাসকলাই চাষে প্রণোদনা কার্যক্রমের উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৩০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক পাচ্ছেন জনপ্রতি ৫ কেজি করে মাসকলাই বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ৫ কেজি করে এমওপি সার। সরকারের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে এই বীজ ও রাসায়নিক সার কৃষকদের দেয়া হচ্ছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মিজানুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুন নুর ও রায়হানুল ইসলাম, নাচোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, কসবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া আল মেহরাব এবং তালিকাভুক্ত কৃষকরা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের খরিফ-২ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় মাসকালাই ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার দেয়া হচ্ছে। প্রতিজন কৃষককে ৫ কেজি মাসকালাইয়ের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ৫ কেজি এমওপি সার দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম জানান, এবারের মৌসুমে মোট ১ হাজার ৩০০ জন কৃষককে এই সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ও কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কমাতে সরকার এ ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।