শিবগঞ্জে গাছের নিচে চাপা পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু

শিবগঞ্জে গাছের নিচে চাপা পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে গাছ কাটতে গিয়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে তোহরুল ইসলাম (৫০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের কালুপুর মহাজনপাড়ায় একটি আমবাগানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া তোহরুল একই ইউনিয়নের কালুপুর গ্রামের সোলেমান আলীর ছেলে। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, সকালে কালুপুর গ্রামে মজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তির আমবাগানে শ্রমিক হিহোবে গাছ কাটছিলেন তোহরুল। এ সময় অসাবধানতাবশত গাছের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী’কে খুনের দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী’কে খুনের দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী ও ৩ সন্তানের জননী রোখসানা বেগমকে পারিবারিক কলহের জেরে গলাটিপে শ^াসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী জনি ইকবালকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে তাঁকে দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ছয়মাস কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। আজ বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ মিজানুর রহমান একমাত্র আসামী জনির উপস্থিতিতে আদেশ প্রদান করেন। দন্ডিত জনি শিবগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ঘোনটোলা গ্রামের এসাহাক মন্ডলের ছেলে। নিহত রোখসানা শিবগঞ্জের কমলাকান্তপুর গড়েপাড়া গ্রামের এসরাইল হোসেনের মেয়ে। মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায় এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ২০১৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে পিতার বাড়িতে স্বামীসহ ঘুমোতে যাবার পর খুন হন রোখসানা। পরদিন সকালে শোবার ঘর হতে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তাঁর স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। এ ঘটনায় ওইদিন শিবগঞ্জ থানায় জনিকে একমাত্র আসামী করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহতের পিতা। পরে ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর জনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জনি পেশায় ট্রাক চালক এবং রোখসানার দ্বিতীয় স্বামী চিলেন। ৩ সন্তানসহ তালাক হবার পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে রোখসানাকে বিয়ে করেন জনি। তবে তাঁদের সংসারে কলহ, মরাধর লেগেই থাকত। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর জনিকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এবং শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন পরিদর্শক(তদন্ত) সেলিম রেজা। ১৫ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানী শেষে আদালত জনিকে দোষি সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. সাইফুল ইসলাম রেজা।
শিবগঞ্জে বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানের ২৭০তম জন্ম বার্ষিকী পালন

শিবগঞ্জে বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানের ২৭০তম জন্ম বার্ষিকী পালন শিবগঞ্জে হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের আবিষ্কারক বিজ্ঞানী হ্যানিম্যানের ২৭০তম জন্ম বার্ষিকী পালন ও হোমিওপ্যাথি দিবস উপলক্ষে চার শতাধিক অসহায়, দুস্থ রােগীর মাঝে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষধ বিতরণ করা হয়েছে। আজ সকালে কানসাট সাইফুদ্দিন মেমোরিয়াল ফাজিল মাদ্রাসা চত্বরে হোমিও চিকিৎসক কল্যান সমিতির উদ্যোগে সমিতির সভাপতি ডা: জান মুহাম্মদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা: শামিম উদ্দীন বুলেট, সদস্য ডা: ইসাহাক আলী, ডা: নাসির উদ্দীন এবং ডা: আজিজুল হকসহ অন্যান্যরা। উল্লেখ্য, হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের আবিষ্কারক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান জার্মানির একজন বিখ্যাত চিকিৎসক ছিলেন, তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার আবিষ্কারক। হ্যানিম্যান ১৮০৫ সালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা চালু করেন।১৭৫৫ সনে ১০ এপ্রিল জার্মানীর অন্তর্গত স্যাকস্যানী প্রদেশের মিশন নগরীর পটুয়ার ঘরে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।১৮৪৩ সালে প্যারিসেই মৃত্যুবরণ করেন।
শিবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় ১০ গরু জব্দ

শিবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় ১০ গরু জব্দ শিবগঞ্জ সীমান্তে অবৈধ ও চোরাচালান করা ভারতীয় ১০টি গরু জব্দ করেছে বিজিবি। আজ ভোরে মনাকষা সীমান্ত থেকে গরুগুলো জব্দ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মনির-উজ-জামান। তিনি বলেন, পদ্মা নদীর চর দিয়ে গবাদিপশু চোরাচালান হচ্ছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে সেতারাপাড়া এলাকার একটি আমবাগানে অভিযান চালায় বিজিবি সদস্যরা। এ সময় আমবাগানের মধ্যে লুকিয়ে রাখা ১০টি ভারতীয় মালিকবিহীন গরু জব্দ করা হয়। তিনি আরও বলেন, গরুগুলো অবৈধভাবে ভারত হতে এনে ওই স্থানে বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে বিভিন্ন হাটে বিক্রয় করা হতো। জব্দ করা গরুগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ শুল্ক কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্তের কার্যক্রম চলছে।
শিবগঞ্জে পদ্মায় ভাসমান গ*লায় রশি পেঁচানো অর্ধগলিত মর*দেহ উদ্ধার

শিবগঞ্জে পদ্মায় ভাসমান গ*লায় রশি পেঁচানো অর্ধগলিত মর*দেহ উদ্ধার শিবগঞ্জে পদ্মা নদীতে ভাসমান অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যাক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের গলায় একটি রশি পেঁচোনো রয়েছে। আজ বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পাঁকা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাবুপুর বিশ^াসপাড়া এলাকায় স্থানীয়রা মরদেহটি ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে রাত সোয়া ৮টার পর ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। স্থানীয়দের ধারণা কে বা কাহারা ওই ব্যাক্তিকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দিয়েছে। সংশ্লিস্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক ও ওয়ার্ড সদস্য কাজল আলী বলেন, পদ্মা নদীর ওই শাখা অংশটি এখন মরা নদী নামে পরিচিত। এখন সরাসরি পদ্মার সাথে এর যোগাযোগ নেই। ফলে মরদেহটি মূল পদ্মা থেকে ভেসে আসার কোন সূযোগ নেই। আবদ্ধ পানিতে মরদেহটি পাওয়া গেছে। অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যাক্তিকে কেউ হত্যা করে মরদেহ ওই নদীতে ফেলে দিয়ে থাকতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত এলাকার কেউ ওই ব্যাক্তিকে চিনতে পারেন নি। ২/৩ দিন আগে ওই ব্যাক্তির মুত্য হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহের গলায় রশি পেঁচানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীণ বলেও জানান ওসি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা’র তীর রক্ষা বাঁধ ধ্বংস করে মাটি কাটা বন্ধে পাউবো’র জিডি’র আবেদন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা’র তীর রক্ষা বাঁধ ধ্বংস করে মাটি কাটা বন্ধে পাউবো’র জিডি’র আবেদন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকা ভাঙ্গণ থেকে রক্ষাকল্পে নির্মিত বামতীর বাঁধ ধ্বংস করে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন বন্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরীর (জিডি) আবেদন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ। গতকাল পাউবো, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. চাঁন মিয়া স্বাক্ষরিত জিডি আবেদন করেন। ওই আবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০০১-২০০৩ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আওতাধীন ‘পদ্মা নদীর ভাঙ্গণ হতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা রক্ষা প্রকল্প’ এবং পদ্মা নদীর ভাঙ্গণ হতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলাধীন পাঁকা ও দূর্লভপুর এলাকা রক্ষা’ প্রকল্পের মাধ্যমে দূর্লভপুর হতে সদর উপজেলার বাখের আলী এলাকা পর্যন্ত ২০.৪৮ কি.মি মাটির বাঁধ,৮টি স্পার ও ক্লোজার নির্মাণ করা হয়। গত ১৮ মার্চ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কালিনগর এলাকা পরিদর্শনকালে পাউবো কর্মকর্তারা স্থানীয়দের নিকট জানতে পারেন যে, বেআইনীভাবে অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা রাতের আঁধারে বাঁধের সিসি ব্লকের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরী করে পদ্মার চর থেকে এস্কেভেটর,ডাম্প ট্রাক,পাওয়ার টিলার ইত্যাদি ব্যবহার করে মাটি কাটছে ও বালু উত্তোলন করছে। ফলে ব্লক ভেঙ্গে ক্লোজার দূর্বল হয়ে মূল বাঁধ হুমকির মুখে। এর ফলে ক্লোজার ভেঙ্গে গেলে পদ্মার পানি জেলার পাগলা নদীতে প্রবেশ করবে। ফলে বর্ষায় ও বন্যায় সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা নদী ভাঙ্গণসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবে। আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ব্যাপারে মৌখিকভাবে কয়েকবার নিষেধ করলেও মাটি কাটা কার্যক্রম চলছে। এমতাবস্থায় প্রতিরক্ষামূলক বাঁধ তথা কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে আইনী পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। এ ব্যাপরে পাউবো, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, বিসয়টি উদ্বেগের। জেলা পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ ব্যাপাওে আলোচনা করা হবে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মতিউর রহমান বলেন,গত রোববার রাতে জিডি আবেদন পাওয়া গেছে। উর্ধতণ মহলের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লিস্ট ৬ নং বাঁধ এলাকার ইউপি সদস্য গোলাম আরিফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এমন ঘটনা নতুন নয়। দায়িত্বশীল অনেকেই এ ব্যাপারে অবগত।
ঈদ উপলক্ষে টানা ৯ দিন বন্ধের পর কর্মচঞ্চল সোনামসজিদ স্থলবন্দর

ঈদ উপলক্ষে টানা ৯ দিন বন্ধের পর কর্মচঞ্চল সোনামসজিদ স্থলবন্দর পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর-২০২৫ উপলক্ষে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ স্থলবন্দরে সকল প্রকার আমদানী-রপ্তানী ও সিএন্ডএফ সংক্রান্ত কার্যক্রম গত ২৮ মার্চ থেকে গত ৫ এপ্রিল শনিবার পর্যন্ত টানা ৯দিন বন্ধের পর গতকাল থেকে যথারীতি পূণরায় চালু হয়েছে। কর্মচঞ্চল হয়েছে বন্দর। বন্দর সূত্র জানায়, ৯ দিন বন্ধের মধ্যে গত ২৮ মার্চ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত ছিলো। এরপর সোনামসজিদ আমদানী রপ্তানীকারক গ্রুপ ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের যৌথ সিদ্ধান্তে ঈদ উপলক্ষে ২৯ মার্চ শনিবার থেকে ৮দিন টানা বন্দরে আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। তবে ছুটির মধ্যে বন্দরে আভ্যন্তরীন লোড-আনলোড, জরুরী পণ্য পরিবহনসহ কিছু কার্যক্রম চালু ছিল। সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন আহব্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ও বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারী অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার অপারেশন কামাল খান বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বন্দরে আমদানীকৃত ভারতীয় পন্যবাহী ট্রাক প্রবেশ শুরু করে। এর মধ্যে রয়েছে চাল,পাথর,খইল, ভূষি, নারিকেল সহ বিভিন্ন পন্যবাহী ট্রাক। এদিকে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন পথে ভারতের সাথে যাত্রী চলাচল ঈদের দিনসহ প্রতিদিনই চালু ছিল বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন সূত্র।
শিবগঞ্জে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য-অর্থ সহায়তা বিতরণ

শিবগঞ্জে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য-অর্থ সহায়তা বিতরণ শিবগঞ্জে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি পরিবারের মাঝে খাদ্য, নতুন পোশাক ও অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। আজ বিকেলে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শান্তির মোড় এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে এসব সহায়তা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজাহার আলী। এ সময় তিনি বলেন, গতকাল রাতে আগুনে চারটি পরিবারের বসতঘর ও বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খাদ্য, নতুন পোশাক ও অর্থ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে সব সময় রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে খাদ্য, পোশাক ও অর্থ সহায়তা পেয়ে শ্রী সুবাস আবেগ আপ্লত হয়ে পড়েন। উপজেলা প্রশাসনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান ক্ষতিগ্রস্তরা। এ সময় উপস্থিত শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজামুল হক রানাসহ জনপ্রতিনিধিরা। এর আগে গতকাল রাতে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের শান্তির মোড় এলাকায় আগুনে ৪ টি পরিবারের বসতঘরসহ আসবাবপত্র ভষ্মীভূত হয়। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার কাদেরী কিবরিয়ার দাবি, আগুনে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১০ লাখ টাকার মালামাল।
শিবগঞ্জে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান

শিবগঞ্জে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান শিবগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় সড়কের দুই পাশে গড়ে উঠা অবৈধভাবে স্থাপনা সরিয়ে নিতে ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালিয়ে উপজেলা প্রশাসন। আজ বিকেলে পৌর এলাকার নিউ মার্কেট, গমপট্টি ও পৌর মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহার আলী। এ সময় তিনি বলেন, পৌর এলাকার সড়কের দুই পাশে অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশনার পাশাপাশি সর্তক করা হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে হাবিব হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের ড্রেনেজের উপর চুলা তৈরি করায় তীব্র যানজটের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ায় হোটেল মালিককে সাতদিনের মধ্যে চুলা সরিয়ে নিতে নির্দেশনাও দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, পৌর মার্কেটের পূর্বপাশে গড়ে উঠা ফুটপাত দখলমুক্ত করতে বাড়তি সর্তক করা হয়েছে। তাছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে আগামী দুদিন মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। এরপরও যারা ফুটপাত দখল করে যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠা অবৈধ দোকানপাট নিজ দায়িত্বে সরিয়ে না নিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিক আজিজ, শিবগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল বাতেন, শিবগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মৃধা চাঁন ও কোষাধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান সুমনসহ অন্যান্যরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৭০০ কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ পাউবো’র

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৭০০ কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ পাউবো’র শিবগঞ্জে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পদ্মা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষায় ১৭০০ কোটি টাকার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আজ দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের দোভাগী, ঝাইলপাড়া গ্রামে পদ্মা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানিয়েছেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আ. ন. ম. বজলুর রশীদ। তিনি আরো বলেন-আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, পদ্মার নদীর ভাঙনের কারণে এই এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গত কয়েক বছর ধরে নদী ভাঙনের কারণে খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। পদ্মা নদীর অন্যান্য এলাকায় পাড় বেঁধে ফেলা হয়েছে। বাকি ২৫ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এমনকি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশাবাদী, সরকার অনুমোদন দিলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে। ২৫ কিলোমিটার এলাকায় নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ হলে পদ্মা নদীতে আর কোনো পাড় বাঁধায়ের কাজ থাকবে না এবং এতে ফসলী জমি ও বসতবাড়ি রক্ষা করা যাবে। বস্থায়ীভাবে বসতবাড়ি ও ফসলী জমি রক্ষার জন্য এই বড় প্রকল্পটি প্রয়োজন আছে এবং সরকারও এই অর্থের সংস্থান করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অতিরিক্ত সচিব ড. আ. ন. ম. বজলুর রশীদ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, প্রকল্পের আওতায় সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার ২৫ কিলোমিটার পদ্মা নদীর এলাকাজুড়ে বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে ৪ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই প্রকল্পে। আশা করছি, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে বাকি সকল ধাপ সম্পন্ন করতে পারব। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এই এলাকার লোকজন স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে অতিরিক্ত সচিব ড. আ. ন. ম. বজলুর রশীদ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহার আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীবসহ অন্যরা।