অবশ্যই এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে, এর জন্য অপমান আমার প্রাপ্য: জয়
অবশ্যই এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে, এর জন্য অপমান আমার প্রাপ্য: জয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একেবারেই নির্লিপ্ত থেকে সমালোচনা ও ধিক্কারের মুখে পড়েন অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় । এজন্য এক ভিডিও বার্তায় জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমাও চান তিনি। সেই সমালোচনার রেশ কাটার আগেই এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘আদর্শ মা’ সম্বোধনে তার লেখা এক আবেদনপত্র ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে ফের সমালোচনার মুখে পড়লেন এ অভিনেতা-উপস্থাপক। চিঠিটি পোস্ট করে জয়কে ‘চাটুকার’ তকমা দিয়েছেন নেটিজেনদের অনেকে। এ বিষয়ে এ অভিনেতাও স্বীকার করে বললেন, ‘অবশ্যই এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে। এর জন্য অপমান আমার প্রাপ্য। ’শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা লেখেন জয়। উল্লেখ্য, চিঠিটি ২০১৪ সালের। পূর্বাচলে এক খণ্ড জমি পাওয়ার আশায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী ও আদর্শ মা বলে সম্বোধন করে সেই চিঠি লিখেছিলেন জয়। এ বিষয়ে জানতে মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে না পাওয়া গেলেও ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে বক্তব্য দিলেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে শাহরিয়ার নাজিম জয় লিখেছেন, ‘আলো আসবেই গ্রুপে পান নাই। ইউটিউবারদের ষড়যন্ত্রে পান নাই। তাই বলে আমাকে ছেড়ে দেবেন কেন? ২০১৪ সালের একটি চিঠি এই নিয়ে ১৪ বার ভাইরাল করলেন। সাবেক সরকারের কাছ থেকে অনেকেই জমি নিয়েছেন। সেই প্লটগুলো ১৩-এ ধারা। এই সরকার ইতোমধ্যে সব প্লট বাতিল ঘোষণা করেছে। তার পরও ফেসবুকে এই চিঠি নিজস্ব লোকেরা পোস্ট করছেন, আমার নম্বর ভাইরাল করছেন এবং আমাকে সামাজিকভাবে হেনস্তা করছেন। ’ তিনি চিঠি প্রসঙ্গে লেখেন, ‘অবশ্যই এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যেই পড়ে। এর জন্য অপমান আমার প্রাপ্য। কিন্তু দেখেন শাস্তিটা বেশি দিয়ে ফেলেন না। আল্লাহ তবে আপনাদেরও ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ যে আছেন এবং যথাসময়ে পাপের শাস্তি হয়, তা আমরা তো সবাই বুঝে গেছি তাই না? ঘৃণা না ছড়িয়ে শান্ত হন। সবাই মিলে ভালো থাকি। চলুন, সবাই যার যার ভুল সংশোধন করি। ’ পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ চেয়ে কী লেখা রয়েছে জয়ের সেই চিঠিতে? শুরুতেই শেখ হাসিনাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী ও আদর্শ মা’ সম্বোধন করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। এরপর তিনি লিখছেন, ‘আপনার সুযোগ্য পুত্রের নামের আরেক পুত্র শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সালাম রইল আপনার প্রতি। আমি জয়, বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নায়ক (টিভি ও চলচ্চিত্র)। আপনার দোয়ায় গত ১৭ বছর ধরে আমি বাংলাদেশের জনগণের বিনোদনের অন্যতম উৎস হয়ে আছি টিভি পর্দায় এবং সুস্থ চলচ্চিত্রে। ’ শেখ হাসিনার রাজনীতির প্রশংসা জানিয়ে জয় লেখেন, ‘আপনি অত্যন্ত দরদি এবং বাংলার মানুষের বিপদের বন্ধু। শুধু তাই নয়, গত নির্বাচনকালীন সময়ে আপনি যে বলিষ্ঠ সাহসী এবং জ্ঞানদীপ্ত আদর্শের উপর বলীয়ান ছিলেন, তা আমাদের মতো মানুষকে আজীবন আপনার নেতৃত্বকে স্যালুট জানানোর অঙ্গীকার করিয়েছে। ’ আবেদনের তৃতীয় প্যারায় তিনি নিজের চাওয়া স্পষ্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘মা, আপনার নিকট একজন শিল্পীর আবেদন, আমার সমসাময়িক সকল শিল্পীই পূর্বাচলে ১০ কাঠা, ৫ কাঠার প্লট পেয়েছে। আমি দেশের বাইরে শুটিংয়ে থাকার জন্য অ্যাপ্লাই করতেই পারিনি। পরবর্তীতে ঝিলমিলে অ্যাপ্লাই করলে লটারিতে তা পাইনি। ’ আবেদনপত্রটি তিনি শেষ করেছেন পূর্বাচলে একটি প্লটের জোরালো দাবি জানিয়ে। তিনি লেখেন, ‘মা, পূর্বাচলে একটা জমি আমার স্বপ্ন- আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ। আমি আপনার কাছে আবদার করলাম, আপনি আপনার এই সন্তানের আবদার ফেলে দেবেন না আমি জানি (ইনশাআল্লাহ)। ’ ওই আবেদনপত্রে জয়ের ছবির পাশে তৎকালীন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের সিলও রয়েছে। সুপারিশকারী হিসেবে তৎকালীন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের স্বাক্ষরও রয়েছে।
ঢাকায় ৩৪ ডিগ্রি, উষ্ণতা আরও বাড়ালেন পরীমনি
ঢাকায় ৩৪ ডিগ্রি, উষ্ণতা আরও বাড়ালেন পরীমনি গরমে যখন অস্থির ঢাকার মানুষ, ঠিক তখনই ভক্তদের মনকে উসকে দিলেন ঢালিউড তারকা পরীমনি। ওপরে বৃষ্টি, নিচে সুইমিং পুল। বৃষ্টিস্নাত পরীমনির সেই ছবি যেন উষ্ণতা বাড়িয়ে দিল ঢাকার। পরীমনির পোস্ট করা ছবিতে সে কথাই জানিয়েছেন ভক্তরা। খোলা ছাদের সুইমিংপুলে পা ডুবিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছিলেন পরী। পরনে সাদা ব্লাউজ-নেভি ব্লু শাড়ি, মুখে প্রশান্তির হাসি। চোখ বুজে তিনি অনুভব করছিলেন বৃষ্টির ফোটা। মুষলধারে বৃস্টি তখন খেলছিল তার খোলা চুলে। ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে নিজের ফেসবুকে ছবিগুলো পোস্ট করেন ঢালিউড তারকা পরীমনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘বসনে বর্ষার রং।’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন গাছ, বৃষ্টি ও প্রজাপতির ইমোজি। প্রিয় অভিনেত্রীকে এমন বৃষ্টি উদযাপন করতে দেখে আনন্দ পেয়েছেন ভক্তরাও। ভক্তরা মন্তব্য করে সে কথা জানিয়েছেনও। ফারজানা নামের একজন লিখেছেন, ‘সুন্দর এবং আকর্ষণীয়।’ জান্নাতুল ফেরদৌস লিখেছেন, ‘অসাধারণ সুন্দর লাগছে।’ রায়হান লিখেছেন, ‘মেয়েটা আসলেই একটা পরী।’ কখনো ব্যক্তিগত, কখনো পেশাগত কারণে বছরজুড়ে আলোচনায় থাকেন পরীমনি। শরিফুল রাজের সঙ্গে সংসার ভাঙার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন তিনি। কাজ ও দুই সন্তানকে নিয়ে পার করছেন ব্যস্ত সময়। শিগগিরই তাকে দেখা যাবে ‘রঙিলা কিতাব’ নামে একটি ওয়েব সিরিজে। নির্মাণ করেছেন অনম বিশ্বাস।
‘আলো আসবেই’ গ্রুপের শিল্পীদের বিচার চান ফারুকী
‘আলো আসবেই’ গ্রুপের শিল্পীদের বিচার চান ফারুকী সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া কিছু স্ক্রিনশটে দেখা গেছে দলীয় ট্যাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে কথা বলেছেন কয়েকজন শিল্পী। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিকমাধ্যমে ঝড় উঠেছে। এই গ্রুপে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়েও কথা হয়। ফলে ফারুকী বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেননি। এটিকে মানবতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে এর বিচার চেয়েছেন। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের শিল্পীদের সমালোচনা করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এসময় তিনি তাদের গণহত্যায় প্রত্যক্ষ উস্কানিদাতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ফারুকী লেখেন, এটা নিশ্চয়ই বেদনার যে আমাদের দেশে শিল্পীর সাইন বোর্ড নিয়ে এমন লোকজন ঘুরে বেড়াতো যারা গণহত্যায় প্রত্যক্ষ উস্কানিদাতা অথবা কেউ কেউ নিরব সমর্থক ছিলো। এরা শুধু শিল্পী হিসাবে না, মানুষ হিসাবেও নীচু প্রকৃতির। একাত্তরে জন্ম নিলে এরা রাজাকারের দায়িত্ব পালন করতো। ফলে এদের এযুগের রাজাকার বলতে পারেন। নিশ্চয়ই এদের বিচার হবে গণহত্যায় সমর্থন এবং উস্কানী দেয়ার অপরাধে। তিনি আরো বলেন, আশার দিকটা আপনাদের বলি। দেখবেন এই গ্রুপের বেশিরভাগই আসলে কোনো শিল্পচর্চার সঙ্গে সেই অর্থে জড়িত না। আমাদের মেইনস্ট্রিম (মানে টেলিভিশন, ওটিটি, এবং ফিল্মে যারা প্রধান শিল্পী; তথাকথিত এফডিসি বোঝানো হয়নি মেইনস্ট্রিম শব্দটা দিয়ে) অভিনয় শিল্পী বা ফিল্মমেকারদের কেউই এদের সঙ্গে নাই। এরাই আমাদের প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার। ‘আলো আসবেই’ নামক সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত ও সংসদ সদস্য ফেরদৌসসহ ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাজু খাদেমসহ অনেকেই। তবে প্রকাশিত স্ক্রিনশটে সক্রিয় ছিলেন অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাসসহ কয়েকজন।
বন্যায় শাকিবের ভূমিকা নিয়ে ভক্তদের প্রশ্ন
বন্যায় শাকিবের ভূমিকা নিয়ে ভক্তদের প্রশ্ন দেশে ঘটে যাওয়া যে কোনো ঘটনায় অন্তত ফেসবুকে সরব থাকেন ঢালিউড তারকা শাকিব খান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রহস্যময় নিরবতা ভর করেছিল তার ওপর। এবার ভয়াবহ বন্যায় দেশ ভেসে গেলেও তিনি নিরব ভূমিকা পালন করছেন। বরং গত ২০ আগস্ট ফেসবুকে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় তার সিনেমা ‘তুফান’ মুক্তির খবর। সেখানে ভক্তরা দেশের বন্যাকবলিতদের জন্য তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে সক্রিয় বিনোদন অঙ্গনের তারকারা। কেউ কেউ বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন দুর্গত মানুষের কাছে। এ রকম সময়ে ঢালিউডের প্রধানতম তারকা শাকিব খােনর নিরবতায় বিস্মিত হয়েছেন অঙ্গনের অনেকে। শাকিব কি কোনো জটিলতায় পড়েছেন? জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি। তার এই নিরবতায় কটাক্ষ করেছেন নেটিজেনদের অনেকে। একজন লিখেছেন, ‘দেশের চরম দুঃসময়ে ঘুমিয়ে আছেন শাকিব খান। এভাবে সবসময় দেশের বিপদে ঘুমিয়ে থাকুন।’ শাকিবের সর্বশেষ পোস্ট মালয়েশিয়ায় ‘তুফান’ ছবির প্রচারণা। সেখানে ইমদাদ মিলন লিখেছেন, ‘প্রিয় খান সাহেব, বন্যা বা বানভাসিদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি, ভক্ত হিসেবে এইটুকু অনুরোধ।’ এম এ মাসুদ লিখেছেন, ‘তুফান পরে নিয়ে আসেন, আগে বন্যায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। আপনার কাছে জাতি এটা আশা করে। চুপচাপ থাকলে আপনাকে এ জাতি ছাড়বে না। সময়ের ব্যবধানে তা দেখতে পাবেন।’ মির্জা এম ইসলাম মউদুদ লিখেছেন, ‘ভাই, বন্যার্ত মানুষের জন্য আপনার পক্ষ থেকে ত্রাণ-সাহায্য দিন।’ এমডি আনিস বিডি নামের একটি আইডি থেকে লেখা হয়েছে, ‘খান সাহেব, আপনি কোথায় আছেন। পারলে বন্যায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। আপনাকে এই কয়েক দিন ধরে দেখা যায় না কেন?’ প্রসঙ্গত ২০২২ সালেও বন্যায় ডুবেছিল সিলেট-সুনামগঞ্জ। সেবার নিউইয়র্ক থেকে অফিসিয়াল ফেসবুকে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন শাকিব। বাস্তবে সেই ত্রাণ পৌঁছেছিল কি না তা জানা যায়নি। তবে অসমর্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, শাকিব খানের কোম্পানির পক্ষ থেকে এবারের বন্যায় সহযোগিতা পাঠানো হয়েছে। এ কারণে ব্যক্তিগত অংশগ্রহণ নিয়ে সরব নন এই তারকা। গত ঈদুল আজহায় দেশে মুক্তি পায় শাকিব অভিনীত ছবি ‘তুফান’। পরে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে ছবিটি মুক্তির খবর শোনা যায়। গত ২৩ আগস্ট মালয়েশিয়ার কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে বলে জানা গেছে। স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ এই বন্যায় শাকিব নিরব থাকলেও সরব ছিলেন তার দুই নায়িকা ও সাবেক দুই স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন তারা। ভক্তদের প্রত্যাশা শাকিবও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুপ্রাণিত করবেন সবাইকে। এই মুহূর্তে তিনি অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। জানা গেছে, শিগগিরই ভারতে নতুন সিনেমার শুটিংয়ে যাবেন তিনি।
নির্মিত হবে ‘হারুনের ভাতের হোটেল’
নির্মিত হবে ‘হারুনের ভাতের হোটেল’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা গণ-আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেছেন। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। এ সময়ে দেশের মানুষ একের পর এক নানা আলোচিত ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে। এই ইস্যু কাজে লাগানোর চেষ্টায় আছেন কয়েকজন পরিচালক ও প্রযোজক। তারা এসব ঘটনা নিয়ে সিনেমা বানাতে চান।সিনেমার উপজীব্য হিসেবে তালিকায় আছে সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের আলোচিত ভাতের হোটেলও। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে থাকার সময় তিনি বিভিন্নজনকে ডেকে খাওয়াতেন। খাওয়ানোর সেসব স্থিরচিত্র ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতেন।
‘দুষ্টু কোকিল’ গানে প্রসঙ্গে যা বললেন মিমি
শাকিব খানের ‘তুফান’ ঝড় তুলেছে সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে। সিনেমাটি দুই দশকের ইতিহাসে বাংলা চলচ্চিত্রের মধ্যে সর্বোচ্চ শোর রেকর্ড গড়েছে। সিনেমাটির গান দুটো সুপারহিট। গান দুটোতেই কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী রয়েছেন। বাংলাদেশে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে ‘দুষ্টু কোকিল’। তিনি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘তুফান’ সিনেমা নিয়ে কথা বলেছেন। জানা গেছে, গত শুক্রবার সিনেমাটি একযোগে মুক্তি পাবে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও বেলজিয়ামে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকি। এরইমধ্যে আরও একটি ইতিহাস গড়ার রেকর্ডের কথা জানিয়েছেন নির্মাতা রায়হান রাফী।এদিকে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘তুফান’ সিনেমা প্রসঙ্গে মিমি চক্রবর্তী বলেন, ‘অনেক দিন পরে বাণিজ্যিক বাংলা ছবির গান এত জনপ্রিয় হল। ‘তুফান’ শাকিব খানের ছবি জেনেই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু ছবির মেকিং এত ভাল হবে ভাবনাতে ছিল না। এতে শাকিব খান একদম আলাদা হয়ে ধরা দিয়েছে। এই ছবি বাংলাদেশের ২০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।’ অভিনেত্রী আরও জানান, শুধুমাত্র ‘তুফান’ ছবি দেখার জন্য বাংলাদেশে নতুন প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ভাল কাজকে দারুণ ভাবে গ্রহণ করতে জানে। এসি ছাড়া হলে এই গানের সঙ্গে অসংখ্য লোক নাচে। আর কলকাতায় এ গান শুনে মানুষ খারাপ মন্তব্য করতে ব্যস্ত। বাঙালিরা নাকউঁচু হয়ে যাচ্ছে। ভেবেই নিচ্ছে নাচ-গান খারাপ। বলছে বাণিজ্যিক ছবি দেখে না। তা হলে ‘দুষ্টু কোকিল’, ‘উরা ধুরা’ কারা দেখছে?। মিমি বলেন, শাকিবের সঙ্গে কাজের সূত্রেই বেশ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। সে অনেক আন্তরিক। ‘দুষ্টু কোকিল’ গানের দৃশ্যে অভিনয়ের সময় শাকিব যখন বন্দুক দেখিয়ে নাচতে বলেছিলো সেই নাটকীয়তা আমার বেশ ভালো লেগেছিলো। প্রসঙ্গত, তুফান সিনেমা দেখার পর এমন কোনো দর্শক এখনও পাওয়া যায়নি যারা সিনেমাটির খারাপ রিভিউ দিয়েছে, এমনই দাবি প্রযোজকের। সিনেমাটি দেখার জন্য মধুমিতা হলে ভাংচুর হয়েছে। সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, আর গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। আছেন দুই নায়িকা ঢাকার মাসুমা রহমান নাবিলা ও কলকাতার মিমি চক্রবর্তী। আরও রয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু ও গাজী রাকায়েত। পুরোপুরি অ্যাকশন ধাঁচের এ সিনেমায় শাকিব খান একজন গ্যাংস্টারের চরিত্রে ধরা দিয়েছেন রুপালি পর্দায়।
সিনেমায় অভিনয় না করার কারণ জানালেন পড়শী
গান বাইরে অভিনয়েও নিজেকে জানান দিয়েছেন সংগীত শিল্পী সাবরিনা পড়শী। দুই বছর ধরে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। গত ঈদেও অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘প্রথম ভালোবাসা’ নামে একটি নাটকে কাজ করেছেন। এর আগে, সিনেমায় দেখা গেছে তাকে। ২০১৬ সালে ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে ‘মেন্টাল’ সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর আর বড় পর্দায় দেখা যায়নি এই গায়িকাকে। কেন আর সিনেমায় দেখা যায়নি তা নিয়ে মুখ খুলেছেন পড়শী। সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার অভিনয় শুধুমাত্র নাটকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চান; এর বাইরে আর তাকে দেখা যাবে না। পড়শী বলেন, ‘নাটক পর্যন্ত ঠিক আছে; নাটকের ক্ষেত্রে তিন-চারদিনের কাজের সেই সময়টুকু নেওয়ার ক্ষমতা আমার রয়েছে। আমি মনে করি যে, এই তিন-চারদিন পর্যন্ত ডিরেক্টর আমাকে সহ্য করতে পারবেন। এর বেশি সময় ডিরেক্টর আমাকে সহ্য করতে পারবে না।’ চলচ্চিত্রের কাজ তার জন্য দুঃসাহসিকতা বলেও মনে করেন এই শিল্পী। তার ভাষ্য, ‘আমি যেটি করেছি, পুরোটাই পছন্দের জায়গা থেকে। যেহেতু আমি পেশাদার না, সেই জায়গাতে এমন দুঃসাহস করতেও যাব না।’ সাবরিনা পড়শী ছোটবেলাতেই সংগীত প্রতিযোগিতায় নাম লেখিয়ে গানের জগতে জায়াগা করে নেন। উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান। সবশেষ গত শনিবার মুক্তি পেয়েছে পড়শীর ডুয়েট গান ‘ভালোবাসা বলে কি তারে’। গানটিতে তার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল।