দেশের উন্নতির জন্যই শাকিবের বিদেশি নায়িকা চান না দীপা

দেশের উন্নতির জন্যই শাকিবের বিদেশি নায়িকা চান না দীপা আগামী ঈদুল ফিতরে নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হবেন শাকিব খান। নাম ‘ওয়ানস আপন আ টাইন ইন ঢাকা’। ট্যাগলাইন- ‘আমি কালা’। ঢাকার নব্বই দশকের আন্ডারওয়ার্ল্ডকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই সিনেমার কাহিনী অনেকটাই সত্য ঘটনা অবলম্বনে। শাকিব অভিনয় করবেন এক সময়ের আলোচিত সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীরের চরিত্রে। এ সিনেমার মাধ্যমে ছোট পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ পা রাখছেন বড় পর্দায়। সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করার কথা শোনা যাচ্ছে টলিউডের মধুমিতা সরকারের। আর এই খবর ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অভিনেত্রী দীপা খন্দকার গতকাল এক পোস্টে লিখেছেন, ‘এটা কি যৌথ প্রযোজনার সিনেমা? যদি শুধু বাংলাদেশের হয়, তাহলে আমাদের দেশে কি লিড ফিমেল (নায়িকা) রোল করার মতো কোনো শিল্পী নেই? কেন এমন কাস্টিং হচ্ছে?’ দীপার এই মন্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তার জবাবেই আজ (৮ জুলাই) মঙ্গলবার অভিনেত্রী আরও একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি স্পষ্ট করেছেন কেন শাকিবের বিদেশি নায়িকা নিয়ে তার আপত্তি। মূলত দেশের উন্নতির স্বার্থেই তিনি শাকিবের সঙ্গে দেশের নায়িকা চান বলে দাবি করেন। দীপা তার পোস্টে লিখেছেন, ‘জি আমি স্বার্থপর। আমি চাই আমার দেশের উন্নতি হোক। আমার মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি হোক। আর্টিস্টদের লাভ হোক। শাকিব খানের সিনেমা মানেই বিশাল কিছু। সেখানের একটা অংশ কেন আমরা অন্যদের দিয়ে দিব?’ শাকিবের সিনেমায় নারী লিড রোলে বেশি সুযোগ থাকে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেখানে নারী লিড রোলের সুযোগ খুব বেশি থাকে না। যাও দুই একটা থাকে তা যদি অন্য দেশের আর্টিস্টদের দিয়ে দেয়া হয় তাহলে আমাদের আর্টিস্টদের জন্য কি থাকল? অলরেডি অনেক আর্টিস্টই সিনেমায় প্রমাণিত। চিন্তা ভাবনা বদলাতে হবে। গল্প নির্ভর সিনেমা বানাতে হবে।’ শাকিব খানের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার ‘ভাইজান এলোরে’ সিনেমায় অভিনয় করেন দীপা খন্দকার।
নেশাগ্রস্ত চরিত্রে অভিনয় করাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল: উপমা

নেশাগ্রস্ত চরিত্রে অভিনয় করাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল: উপমা মেজবাহ শিকদার নির্মাণ করেছেন একক নাটক ‘শেষ ভালোবাসা’। নাটকটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী ফারজানা মেহমুদ উপমা। ঢাকার বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে নাটকটির দৃশ্যধারণের কাজ হয়েছে। গল্পটি আবর্তিত হয়েছে একটি উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়েকে ঘিরে, যে বাবা-মায়ের অবহেলায় ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় নেশার অন্ধকার জগতে। বন্ধুদের আড্ডা দিয়ে শুরু, এরপর নেশার লোভে জড়িয়ে পড়ে অনৈতিক সম্পর্কে। পারিবারিক দূরত্ব বাড়ে, প্রেমিকও একসময় সরে যায়। শেষ পর্যন্ত নিজেকে খুঁজে ফেরার আর্তনাদে, গল্পটি এগিয়ে যায় চূড়ান্ত পরিণতির দিকে। নাটকে উপমার প্রেমিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন এরফান অনিক। নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে উপমা বলেন, “একজন নেশাগ্রস্ত তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করাটা আমার জন্য ছিল এক নতুন চ্যালেঞ্জ। চরিত্রটি খুব বাস্তব ও হৃদয়স্পর্শী। নাটকটি সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দেবে—নেশা শুধু একজন মানুষ নয়, গোটা পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।” নাটকটি নিয়ে আশাবাদী ফারজানা মেহমুদ উপমা বলেন, “শেষ ভালোবাসা’ আমার অভিনীত অন্যতম সেরা কাজ হয়ে থাকবে।” ফারজানা মেহমুদ উপমা ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার আলোচিত কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে—আমি তোমাকেই ভালোবাসি, মেট্রোপলিটন বিভ্রম, অ্যাডালথুড, নিয়তির খেলা এবং সুপার গার্ল ওয়েব সিরিজ।
মা হতে চান তানজিন তিশা

মা হতে চান তানজিন তিশা সদ্যই এক টক শোতে হাজির হয়ে মা হওয়ার ইচ্ছার কথা জানান দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। জায়েদ খানের সঞ্চালনায় এক টক শোতে উপস্থিত হয়ে এ অভিনেত্রী জানান, তিনি মা হতে চান। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর প্রকাশ্যে আনলেন তিশার সন্তানের ছবি! শনিবার (৫ জুলাই) জাওয়াদ নির্ঝর তিনটি ছবি প্রকাশ করেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, এটি তিশার সন্তানের ছবি। দুটি ছবিতে দেখা যায়, একটি শিশুকে কোলে নিয়ে তিশার গভীর মমতায় স্নেহ করার দৃশ্য। অপর একটিতে দুটি শিশুর দোলনায় বসে থাকার ছবি পোস্ট করেছেন নির্ঝর। তবে মুখ ঢেকে দিয়েছেন সেই ছবির। ছবিগুলো পোস্ট করে নির্ঝর লিখেছেন, ‘সেলিব্রিটি হওয়ার পর মানুষ কি তার গর্ভের সন্তানকেও অস্বীকার করতে পারে। অভিনেত্রী তানজিন তিশা দাবি করেছেন, তার আগের বিয়ের খবর এবং পুত্রসন্তানের খবরগুলো মিথ্যা। যে ছবিগুলো দেখছেন, সেগুলো তিশার মিডিয়ায় আসার আগে। তার সাবেক স্বামী এখন দুবাইতে বসবাস করেন। সেই ঘরে তিশার একটি পুত্রসন্তান হয়েছিল। সেই পুত্রের সঙ্গেই ছবিগুলো। তিশার সেই পুত্রসন্তানটি এখন ঢাকায় তার দাদির সঙ্গে থাকে।’ তিশা সন্তান নিয়ে মিথ্যাচার করেছে দাবি করে নির্ঝর আরো লেখেন, ‘তিশা টক শোতে মিথ্যা কথা বলেছেনে। বছরখানেক আগে তানজিন তিশাকে নিয়ে স্টোরি করতে গিয়ে আমরা তার পুত্রসন্তান এবং সাবেক স্বামীকে খুঁজে বের করেছিলাম। তিশা আপনি প্রমাণ করেন, এই বাচ্চা আপনার ছিল না।’
‘সাগরের তীর থেকে’ গানের শিল্পী জীনাত রেহানা মারা গেছেন

‘সাগরের তীর থেকে’ গানের শিল্পী জীনাত রেহানা মারা গেছেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী জীনাত রেহানা মারা গেছেন। বুধবার (২ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন জীনাত রেহানা। তার চিকিৎসা চলছিল। জীনাত রেহানার স্বামী ছিলেন দেশের টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মোস্তফা কামাল সৈয়দ। শিল্পীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার জোহরের নামাজের পর গুলশান আজাদ মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে জীনাতের দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। ১৯৬৪ সালে জীনাত রেহানা বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হন। ১৯৬৮ সালে জীনাত রেহানার ‘সাগরের তীর থেকে’ গানটি রেকর্ড করা হয়। এটি প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ১৯৬৫ সাল থেকে টেলিভিশনের শিল্পী হিসেবে গান শুরু করেন জীনাত। জীনাতের গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘একটি ফুল আর একটি পাখি বলতো কি নামে তোমায় ডাকি’, ‘আমি কাকন দিয়ে ডেকেছিলেম মুখে লজ্জা ছিল বলে’, ‘কপালে তো টিকলি পরব না’, ‘আমি যার কথা ভাবছি মনে আনমনে’ প্রভৃতি।
শাকিব খানকে ‘মেগাস্টার’ মানতে নারাজ জাহিদ হাসান!

শাকিব খানকে ‘মেগাস্টার’ মানতে নারাজ জাহিদ হাসান! ঢাকাই সিনেমায় ২৬ বছর ধরে অভিনয় করছেন শাকিব খান। বহু সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে ইন্ড্রাস্ট্রিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। ভক্তরা তাকে ভালোবেসে কখনও কিং খান, সুপারস্টার, নবাব বিভিন্ন খেতাব দিয়েছেন। ইদানিং দেখা যায় শাকিব খানের নামের আগে ব্যবহার করা হয় ‘মেগাস্টার’ । তবে এ তারকার নামের আগে এই শব্দচয়ন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের লাইভ টক শোতে শাকিব খানকে ঘিরে প্রচলিত বিশেষ ট্যাগ নিয়ে খোলামেলা প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। ওই সাক্ষাৎকারে উঠে আসে আয়ের দিক থেকে ‘উৎসব’ সিনেমা ‘তাণ্ডব’কে ছাড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জাহিদ হাসান শাকিবের নামের আগে ব্যবহার করা ‘মেগাস্টার’ শব্দটি নিয়ে জোরালোভাবেই আপত্তি জানান। গত কয়েক বছর ধরে যেন একরকম রীতিতে পরিণত হয়েছে ঈদ মানেই শাকিব খানের সিনেমা। আর শাকিবের সিনেমা মানেই সুপারহিট। তবে এবার কোরবানি ঈদে শাকিবের ‘তাণ্ডব’ মাল্টিপ্লেক্সে ব্যবসা করতে পারলেও সিঙ্গেল স্ক্রিনে দর্শক টানতে পারেননি। ই প্রসঙ্গে অভিনেতা জাহিদ হাসান বলেন, শেক্সপিয়ারের একটা কথা আছে ‘কোনো কিছু হওয়া বড় ব্যাপার না। কোনো কিছু হয়ে থাকাটা বড় ব্যাপার। ’ আমি বলছি, এতগুলো হল পেয়েছি। শেষ পর্যন্ত সেটি আর থাকছে না। এটা কিন্তু অপমানজনক। যতটা বিনয়ীভাবে এগোনো যায় ততটাই ভালো। সবশেষে জাহিদ হাসান বলেন, “তাণ্ডব’, ‘উৎসব’, ‘এশা মার্ডার’, ‘নীলচক্র’ বা ‘ইনসাফ’ সবগুলোই তো আমাদের সিনেমা। আমরা চাই প্রতিটা সিনেমা ভালো হোক। সিনেমা ভালো হলে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক বাড়বে। আমি মন থেকে চাই দর্শক প্রতিটি সিনেমা দেখুক।
মৌসুমীকে বিয়ে করা কি ভুল ছিল ওমর সানীর

মৌসুমীকে বিয়ে করা কি ভুল ছিল ওমর সানীর নব্বই দশকের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানী। ভালোবেসে বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমীকে। শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের মধ্যে বিয়ের হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি থাকলেও, বিয়ে টিকে থাকার প্রবণতা কম। সেক্ষেত্রে এই জুটি ব্যতিক্রম। তিন দশকের বেশি সময়ের সংসার এই তারকার জুটির। আলোচিত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের একটি শোতে উপস্থিত ছিলেন ওমর সানী। উপস্থাপকের প্রশ্ন ছিলো, অনেকে বলেন আপনি মৌসুমীকে বিয়ে করে ভুল করেছেন? আসলেই কি তাই? উত্তরে ওমর সানী বলেন, ‘‘ওরা বোকা। দিন শেষে তিরিশ বছর পরে একটা পুরুষ আর একটা মেয়ের কাছে এর চেয়ে বড় প্রাপ্য তো আর কিছু থাকে না। তথাকথিত মানুষেরা বলে যে, আমাদের বিয়ে টেকে না। বিশেষ করে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মানুষ যারা আছে, টেলিভিশনের মানুষ যারা আছে এবং যারা শোবিজের সঙ্গে রিলেটেড তাদের বিয়ে একদমই টেকে না। কিন্তু সেদিক দিয়ে তো আমরা সফল। একটি কথাই শুধু বলবো আলহামদুলিল্লাহ।’’ ওমর সানী আরও বলেন,‘‘যখন আমার ছেলের দিকে তাকাই, মেয়ের দিকে তাকাই তখন আমার মনে হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কাজটিই আমি করেছি।’’ উল্লেখ্য, ঢালিউডে ওমর সানীর অভিষেক ঘটে ‘চাঁদের আলো’ সিনেমার মাধ্যমে।
১২৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মিষ্টির

১২৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মিষ্টির ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা মিষ্টি জান্নাত। কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যিনি বেশি আলোচনায় থাকেন। এবার মানহানির অভিযোগে ১২৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন এই চিত্রতারকা। বুধবার (২৫ জুন) অফিশিয়াল ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান এই অভিনেত্রী। সেখানে মিষ্টি জান্নাত লেখেন, কিছু পেজ, ‘সো-কলড’ জার্নালিস্ট নামক ভিউ ব্যাবসায়ীদের নাম, কিছু কনটেন্ট ক্রিয়েটরের নামসহ ১২৭ জন আমার পেজে বাজে কমেন্টকারীর স্ক্রিনশট, লিংক সব এন্টি করা হয়েছে। সাথে কিছু ‘সো-কলড’ ফেসবুকার, টিকটকারের নাম নিয়ে আমার ল ইয়ার এবং আমার ফ্যান-ফলোয়ার, পরিবার কাজ করছেন। অতি শিগগিরই এদের আইনের আওতায় আনা হবে আমার মানহানি করার জন্য। বর্তমানে দুবাইয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন মিষ্টি জান্নাত। সেখানে সফরে যাওয়ার পর বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই চিত্রনায়িকা। সামাজিকমাধ্যমে নেটিজেনরা বিভিন্নরকম বিদ্রুপমূলক, বাজে মন্তব্য করছেন; যা তার নজর এড়ায়নি। দুবাই থেকে মিষ্টি জান্নাত ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, একদল লোক পিছনে লেগেই আছে, এখন তাদের আর কোনো ক্ষমা নেই। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, মিষ্টির এই পোস্টেও নেটিজেনদের অনেকে নোংরা মন্তব্য করেছেন। ২০১৪ সালে ‘লাভ স্টেশন’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় ক্যারিয়ার শুরু করেন মিষ্টি জান্নাত। এরপর থেকে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে মিষ্টি জান্নাত একজন দন্ত চিকিৎসক।
শাকিব খানকে নিয়ে বাঁধনের পোস্ট

শাকিব খানকে নিয়ে বাঁধনের পোস্ট ঢালিউডের শীর্ষ তারকা শাকিব খান। দুই দশকের বেশি সময় ধরে রাজত্ব করে যাচ্ছেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে। ঈদ মানেই শাকিবের সিনেমা, আর হলে উপচেপড়া দর্শক। এই সুপারস্টারকে নিয়ে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা প্রকাশ করে পোস্ট দিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। সোমবার (২৩ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন। তাতে শাকিব খানের প্রশংসা করে বাঁধন লিখেছেন, “আমার জীবনে বহু মানুষ আছেন যারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। এর মানে এই নয় যে, আমি তাদের সব মতের সঙ্গে একমত। কিন্তু তাদের জীবনের কিছু দিক, মানসিক দৃঢ়তা, সিদ্ধান্ত আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে। ঠিক তেমন একজন হচ্ছেন আমাদের সুপারস্টার শাকিব খান।” শ্রদ্ধা জানিয়ে আজমেরী হক বাঁধন লেখেন, “শাকিব খান যেভাবে নিজেকে তৈরি করেছেন, তার জন্য আমি শ্রদ্ধা জানাই। এমন তারকাখ্যাতি অর্জন করা সহজ নয়। এটা সম্ভব হয় বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম আর নিজের কাজের প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকলে। তার এই অধ্যবসায় ও অঙ্গীকারই তাকে আজকের শাকিব বানিয়েছে।” শাকিবকে ঘিরে দর্শকদের ভালোবাসার প্রসঙ্গ টেনে বাঁধন লেখেন, “মানুষ তাকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসেন, সেটাই সবচেয়ে বড় অর্জন। আমি বিশ্বাস করি, খ্যাতির সঙ্গে দায়িত্বও বাড়ে। আমার ধারণা, শাকিব সেটা গভীরভাবে উপলব্ধি করেন। তার সব কাজের জন্য শুভকামনা রইল।” ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘তাণ্ডব’। সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ, আফরান নিশো, সাবিলা নূর, রোজী সিদ্দিকী, এজাজ, এফএস নাঈম, ফজলুর রহমান বাবু ও কাজী রাকায়েত। অন্যদিকে ঈদেই মুক্তি পেয়েছে বাঁধন অভিনীত থ্রিলারধর্মী সিনেমা ‘এশা মার্ডার’। এতে একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় এসেছেন তিনি। এটি পরিচালনা করেছেন সানী সানোয়ার।
আম ব্যবসায়ী ওমর সানী

আম ব্যবসায়ী ওমর সানী নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী। কয়েক বছর আগে রেস্তোরাঁ ব্যবসায় নেমেছেন তিনি। এবার জানা গেল অভিনেতা আম ব্যবসাও করছেন। ‘মাটির কোলে’ নামে একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সরাসরি মানুষের ঘরে ঘরে আম পৌঁছে দিচ্ছেন। এ নিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ওমর সানী। তাতে তিনি বলেন, “কাঁচা আম, পাকা আম— সারা পৃথিবীর একটা আশ্চর্যের বিষয়। আমরা গর্ব করে বলতে পারি, আমার জেলা চাঁপাই নবাবগঞ্জ, আমাদের জেলা রাজশাহী। যারা এই সুস্বাদু আমগুলো পেতে চান, তারা আমাদের অনলাইন পেজে অর্ডার করুন, এই জেলার বাগান থেকে ফরমালিন মুক্ত আম সরাসরি আপনার বাসায় পৌঁছে যাবে।” ওমর সানীর এ ভিডিওতে নেটিজেনদের অনেকে মন্তব্য করেছেন। অনেকে আম নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন— আম খারাপ হলে ফেরত নেবেন কি না! তবে আমের দাম ‘বেশি’ বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। বর্তমানে চলচ্চিত্রে খুব একটা নিয়মিত না হলেও নানারকম ব্যাবসায়ীক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ওমর সানী। চলচ্চিত্রে অভিনয় থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও, সমাজ ও দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা রাখতে চান এই নায়ক। ওমর সানি ১৯৯২ সালে নুর হোসেন বলাই পরিচালিত ‘এই নিয়ে সংসার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এরপর ‘চাঁদের আলো’, ‘দোলা’, ‘আখেরি হামলা’ এবং ‘মহৎ’সহ একাধিক ব্যবসাসফল সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন।
আমরা জাতি হিসেবে অত্যন্ত বেহায়া-নির্লজ্জ: শবনম ফারিয়া

আমরা জাতি হিসেবে অত্যন্ত বেহায়া-নির্লজ্জ: শবনম ফারিয়া ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। এতদিন নাটক-টেলিফিল্মের কাজ নিয়েই অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকতেন। তবে তুলনামূলক এখন কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। স্বভাবে অনেকটা—ঠোঁটকাটা। যার কারণে প্রায় সময়ই আলোচনায় থাকেন তিনি। গত বছর গণঅভ্যত্থানে ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান শবনম ফারিয়া। কিন্তু কিছু মানুষের আচরণে ভীষণভাবে আহত তিনি। কেবল তাই নয়, জাতি হিসেবে অত্যন্ত বেহায়া, নির্লজ্জ বলে উপলদ্ধি তার। বুধবার (১৮ জুন) শবনম ফারিয়া তার ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে কখনো অভিমান, কখনো ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই অভিনেত্রী। একটি গল্প দিয়ে লেখা শুরু করেন শবনম ফারিয়া। তিনি লেখেন, “একটা গল্প আছে না, শীতের সকালে একজন ইমাম আর একজন চোরের! ইমাম ভাবে, কি ভালো একটা মানুষ এই ঠান্ডায় ফজরের নামাজ পড়তে এসেছে। চোর ভাবে, কি ভদ্রলোক দেখতে, দাড়িদুড়ি রেখে আবার চুরি করে! এই গল্প থেকে আমরা কি শিখেছিলাম? শিখেছিলাম যে যেমন, যার চিন্তাধারা যেমন, অন্যদেরও তাদের সেইম মনে হয়!” শবনম ফারিয়ার দাবি, পৃথিবীর সব মানুষ টাকার জন্য নীতি বিক্রি করেন না। তার মতে, “বিশ্বাস করেন, পৃথিবীর সব মানুষ ‘টাকার’ (ডলারও পড়তে পারেন) কাছে তাদের ‘এথিক্স’ বিক্রি করে না। দুনিয়ার ‘সব মানুষের’ কাছে টাকাই ‘সব’ না। কিন্তু মানুষ নিজস্বতায় বিশ্বাস করে! স্রোতের বিপরীতেও যায়! রিস্ক নেয়!” গণঅভ্যত্থানের সময়ের একটি ঘটনা বর্ণনা করে শবনম ফারিয়া লেখেন, “জুন মাসে যখন আন্দোলন তুঙ্গে, ইন্টারনেট চলে যাওয়ার পরপর যেসব সেলিব্রিটিদের কাছে, মেট্রোরেল/বিটিভিতে আগুন দেয়ার প্রতিবাদ করার জন্য ভিডিও বানাতে বলা হয়, আমিও তাদের মধ্যে একজন। আমি প্রথমে সময় চেয়ে বলি, ভেবে জানাব! স্বাভাবিক, সে সময় ডাইরেক্ট না করার মতো সাহস যোগার করতে পারিনি। তারাও বলে সময় নেন, আপাতত এমনেতেই ইন্টারনেট নাই। যেহেতু হোয়াটসআপ বন্ধ, তাও সিয়ামকে ডাইরেক্ট মেসেজ দেই, তুমি কি ‘এস’ ভাইয়ের কল পেয়েছো? ও রিপ্লাই করে, ‘হ্যাঁ পেয়েছি এবং না বলেছি।’ তখন সাহস পাই এবং আমিও তখন না বলি।” এই ঘটনা প্রকাশ করার কারণ জানিয়ে শবনম ফারিয়া লেখেন, “এইসব কথা অযথা বলে বেড়ানোর কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না! সেসময় এইটাই করার কথা, না বলেছি বলে আমি বিশেষ কোন ক্রেডিট নিতে চাইনি। যেহেতু আমি ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ কোনোভাবেই জড়িত না, অদূর ভবিষ্যতেও কোনো ইচ্ছা কিংবা পরিকল্পনা নেই তাও যখন দেখি কেউ লেখে, ‘এরা তো ডলার খাইছে’ মার্কা কল্পনিক গল্প, হাসা ছাড়া কিছু করার থাকে না। ভাই, আমি এমন অনেক মানুষকে চিনি, যারা মন থেকে আওয়ামীলীগ ভালোবাসে কিন্তু জুলাইতে লাল ডিপি দিসিলো! হয়তো জুলাইকে আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে যেভাবে সে সময় পোট্রে করা হইছে এখন বিষয়টা তেমন নাই, কিন্তু সেসময় আপনি যদি মানুষ হয়ে থাকেন, অমানুষ না হন তাহলে আপনি কোনো মানুষকে হত্যা করার প্রতিবাদ না করে থাকতে পারতেন না, আপনার রাজনৈতিক পরিচয় কিংবা মতাদর্শ যাই হোক!” আর রাজনৈতিক কোনো স্ট্যাটাস দেবেন না শবনম ফারিয়া। তার কারণ ব্যাখ্যা করে এই অভিনেত্রী লেখেন, “এই স্ট্যাটাস দিয়ে বাংলাদেশের পলিটিক্স নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়া বন্ধ করলাম! কারণ ফাইনালি আমি বুঝে গেছি, জাতি হিসেবে আমরা অত্যন্ত বেহায়া এবং নির্লজ্জ, আমরা কক্ষনো ভালো হবো না, যত আন্দোলন হোক, সরকার পরিবর্তন হোক, যতই শান্তিতে নোবেল পাওয়া মানুষ আসুক, আমাদের কেউ দুর্নীতি এবং চুরি করা থেকে আটকাতে পারবে না! শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ যেই ক্ষমতা পাবে সেই অসৎভাবে ব্যবহার করবে। আমি আর আমার নিজ দেশের কাছে আর কোনো প্রত্যাশা রাখি না! পরিশেষে বলতে চাই, সত্যি সত্যি ডলার পেলে আসলে ভালোই লাগতো! শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে ২৫ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে ২০০ ডলার পাসপোর্টে এন্ডোরর্স করতে খুবই কষ্ট হইছে।”