ক্ষুব্ধ হানিফ সংকেত, নিচ্ছেন আইনি ব্যবস্থা

ক্ষুব্ধ হানিফ সংকেত, নিচ্ছেন আইনি ব্যবস্থা দেশের তুমুল জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র উপস্থাপক হানিফ সংকেত। দেশের কিংবদন্তি এই উপস্থাপক এবার সরব হয়েছেন নিজের কণ্ঠস্বর নকল করে প্রচার চালানোর বিরুদ্ধে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি ভুয়া বিজ্ঞাপনে তার কণ্ঠ নকল করায় তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে হানিফ সংকেত লেখেন, প্রযুক্তির এই যুগে সুবিধার পাশাপাশি অপব্যবহারও বেড়েছে। এখন এমন এক সময়, যেখানে প্রযুক্তি দিয়ে প্রতারণাও সম্ভব। আমি লক্ষ্য করেছি, একটি প্রতারক চক্র ইত্যাদি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার ভঙ্গি ও আমার কণ্ঠ অনুকরণ করে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি ডায়াবেটিসবিষয়ক ভুয়া বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে। কণ্ঠ শুনলেই বোঝা যায়, এটা আসল নয়, বিদেশি উচ্চারণে নকল কণ্ঠ। তিনি লেখেন, আমি কখনোই কোনো বিজ্ঞাপনে অংশ নেইনি। অনেকবার প্রস্তাব পেয়েছি, তবুও রাজি হইনি। তাই কেউ যেন বিভ্রান্ত না হন। এই প্রতারণার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি এই প্রতারণার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। ফেসবুক পোস্টে হানিফ সংকেত আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার থেকে শিল্প-সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে এখনই নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি। তিনি লেখেন, ব্রিটেনের অনেক শিল্পী, সাহিত্যিক এআই-এর অপব্যবহার ঠেকাতে কপিরাইট আইন হালনাগাদ করার দাবি তুলেছেন। ডুয়া লিপা, এলটন জন, ডেভিড হেয়ার, কাজুও ইশিগুরোর মতো ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আমিও একমত। সবশেষে হানিফ সংকেত মন্তব্য করেন, এআই প্রযুক্তি যেন মানুষের অধিকার হরণ না করে, সেটা নিশ্চিত করতে সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর এখনই নীতিমালা করা উচিত।
বিয়ে করতে যাচ্ছেন সিদ্দিকের প্রাক্তন স্ত্রী মারিয়া মিম

বিয়ে করতে যাচ্ছেন সিদ্দিকের প্রাক্তন স্ত্রী মারিয়া মিম সময় নিজের গতিতে বয়ে চলে। সময়ের স্রোতে অনেক সম্পর্ক হারিয়ে যায়, কেবল জমা থাকে স্মৃতি। স্মৃতির গোদামে সময়কে রেখে নতুন জীবনের পথে হাঁটতে যাচ্ছেন অভিনেতা সিদ্দিকের প্রাক্তন স্ত্রী মারিয়া মিম। ২০১২ সালে সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন স্পেনপ্রবাসী মারিয়া মিম। সেই সূত্রেই বাংলাদেশে থিতু হন। শুরু করেছিলেন মডেলিং, স্বপ্ন দেখেছিলেন শোবিজে ক্যারিয়ার গড়ার। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের টানাপড়েনে সে স্বপ্ন আর এগোয়নি। সংসার আর পেশাগত পথচলার মাঝে তৈরি হয় দূরত্ব। সর্বশেষ ২০১৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে আলাদা হয়ে যান এই দম্পতি। এরপর কেটে গেছে ছয়টি বছর। জীবনের নতুন অধ্যায়ে ফের প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন মিম। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিও পোস্ট করে এই সম্পর্কের ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রেমিকের মুখ আড়ালে থাকলেও ক্যাপশনে মিম লেখেন— “আমার ভালোবাসা।” বিয়ের প্রসঙ্গে মারিয়া বলেন, “আমি প্রেম করছি। তবে আমার বয়ফ্রেন্ড মিডিয়ার কেউ নন, তিনি একজন সাধারণ মানুষ। খুব শিগগিরই আমরা বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হবো।” প্রাক্তন স্বামী সিদ্দিককে নিয়ে চলমান আলোচনার প্রসঙ্গে মারিয়া বলেন, “সিদ্দিক তো আমার প্রাক্তন। ডিভোর্স হয়ে গেলে দেখা করাটাও অনুচিত। তিনি এখন আমার জন্য পরপুরুষ। দয়া করে তাকে আমার সঙ্গে জড়াবেন না।”সম্প্রতি একটি ঘটনার জেরে আলোচনায় রয়েছেন অভিনেতা সিদ্দিক, যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য করা হচ্ছে। এর কিছু অংশ মারিয়াকে উদ্দেশ করে কটাক্ষ হিসেবে এসেছে। জবাবে মারিয়া সাফ জানিয়ে দেন, “ডিভোর্সের ৫-৬ বছর পরও কেউ জামাই থাকে না। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অকারণে মন্তব্য না করাই শ্রেয়।” নিজের মতামত ও জীবন নিয়ে স্পষ্টভাবে অবস্থান জানিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন মারিয়া মিম। এখন দেখার পালা— তার নতুন জীবনের সূচনা কীভাবে হয়।
মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে রিকশার হুডওয়ালা গাউনে বাংলাদেশের প্রতিযোগী

মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে রিকশার হুডওয়ালা গাউনে বাংলাদেশের প্রতিযোগী ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনার মাঝেই শনিবার (১০ মে) হায়দ্রাবাদের তেলেঙ্গনায় শুরু হলো বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস ওয়ার্ল্ডের ৭২তম আসর। এই প্রতিযোগীতায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে মডেল আকলিমা আতিকা কনিকা। শনিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অভিনব রিকশার ডিজাইনের গাউনে নজর কাড়েন আকলিমা। ছবিতে দেখা যায়, হুডসহ সত্যিকারের রিকশা ম্যাটেরিয়াল দিয়ে চোখধাঁধানো আউটফিটটি ডিজাইনের গাউনে র্যাম্পে হাজির হন আকলিমা। এরপর থেকেই বেশ আলোচনা হচ্ছে তার লাল টকটকে বেইসে বর্ণিল রিকশা গাউনটি নিয়ে। সেই সঙ্গে তার গ্রেসফুল হাঁটা ও সাবলীল উপস্থাপনে আবেদন বেড়েছে এই গাউনের। জানা যায়, আকলিমার এই পোশাকটি তৈরি করেছেন বাংলাদেশের শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ফ্যাশন শিক্ষার্থী রাইসা আমিন শৈলী। নিজের ডিজাইন করা এই অভিনব গাউনে মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিযোগীকে দেখে উচ্ছসিত রাইসা। এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যমেও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ধানমন্ডির জ্যামে বসে রিকশার ভিড়েই এই ডিজাইনের অনুপ্রেরণা পান রাইসা। তখনও জুলাই বিপ্লবের লাল রং একেবারে তাজা। মায়ের ঐকান্তিক সহযোগিতা আর ইন্সপিরেশনে এই তরুণ ডিজাইনার রিকশা ম্যাটেরিয়াল দিয়েই তৈরি করেছেন এই গাউন। এর বর্ণিল নকশার মাঝেই চোখে পড়ছে পেছনে লেখা মা-বাবার দোয়া। রাইসার ভাষ্য, রিকশার পেছনে প্রায়ই লেখা থাকে মা-বাবার দোয়া। মা-বাবারা যেমন সন্তানদেরকে পেছন থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস দিয়ে থাকেন, সেই ইন্সপিরেশন থেকেই গাউনে এই নকশা করেছি। বলে রাখা যায়, মিস ওয়ার্ল্ডের মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে আকলিমা শুধুমাত্র একজন সুন্দরী প্রতিযোগী নন, বরং একজন সচেতন, আত্মপ্রত্যয়ী ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের সঠিক প্রতিচ্ছবি তুলে ধরতে সক্ষম নারী। বাহ্যিক সৌন্দর্য ছাপিয়েও যোগ্যতা, ব্যক্তিত্ব এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে তুলে ধরার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে আকলিমার। তিনি ইতোমধ্যই দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত ফেস অব এশিয়া ২০২৪ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হয়ে লড়েছেন। ।
ফুল আর কুড়াল নিয়ে ফারিণের এ কেমন ‘ইনসাফ’

ফুল আর কুড়াল নিয়ে ফারিণের এ কেমন ‘ইনসাফ’ একের পর তারকাদের লুক প্রকাশ করে আলোচনায় রয়েছেন নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার। তার নতুন সিনেমা ‘ইনসাফ’র প্রধান নারী চরিত্র তাসনিয়া ফারিণের লুক প্রকাশ করছেন এই নির্মাতা। রোববার (১১ মে) সন্ধ্যায় সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তাসনিয়া ফারিণের একক পোস্টার। যেখানে ফারিণকে একেবারেই ভিন্ন আবহে দেখা গেছে। পোস্টারে এই অভিনেত্রীর এক হাতে ফুল আর অন্য হাতে কুড়াল দেখা গেছে। পোস্টার দেখে অনেকেই বলছেন, এ কেমন ‘ইনসাফ’? কেননা, এক হাতে ফুল, অন্য হাতে কুড়াল- এমন সাংঘর্ষিক চরিত্রে আগে কখনও দেখা যায়নি এই অভিনেত্রীকে। ফেসবুকে সিনেমার পোস্টার প্রকাশ করে সঞ্জয় সমদ্দার লেখেন, ‘রক্তের ইনসাফে গোলাপের স্থান নেই..’। পোস্টারটি একই ক্যাপশনসহ নিজের পেজেও শেয়ার করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। এর আগে গেল ৪ মে সন্ধ্যায় ‘ইনসাফ’র দ্বিতীয় পোস্টার উন্মোচন করেন নির্মাতা। রক্তাক্ত ভয়ংকর অবতারে দেখা যায় মোশাররফ করিমকে। যেখানে চোখে সানগ্লাস, মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি, পোশাকে রক্তের ছিটেফোঁটা, হাতে কুড়াল, আর ঘাড়ে ঝুলছে থেটোস্কোপ, সবমিলিয়ে এক প্রতিশোধপরায়ণ চরিত্রে হাজির হন এই অভিনেতা। তারও আগে সিনেমার আরেক অভিনেতা শরীফুল রাজের রক্তস্নাত পোস্টার প্রকাশ করে নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার। তিনটি পোস্টার দেখে আন্দাজ করা যাচ্ছে অ্যাকশন ও থ্রিলার ঘরানার একটি সিনেমা হতে যাচ্ছে ‘ইনসাফ’। বর্তমানে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। আসন্ন ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি। প্রযোজনায় রয়েছে তিতাস কথাচিত্র এবং টিওটি ফিল্মস।
‘বরবাদ’ নির্মাতার সঙ্গে অহনার সম্পর্ক ছিল, দাবি শামীমের

‘বরবাদ’ নির্মাতার সঙ্গে অহনার সম্পর্ক ছিল, দাবি শামীমের কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী অহনা রহমান তার প্রাক্তনকে গালিগালাজ করেছিলেন। অনেকেই মনে করেছিলেন সেই প্রাক্তন শামীম হাসান সরকার। অহনার বক্তব্যের পর শামীম বলেছিলেন, সেটা তিনি নন। তবে সেই প্রেমিককে শামীম তখন নাম না বললেও এবার বলেই ফেললেন। অহনার প্রাক্তন সেই প্রেমিক শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘বরবাদ’ সিনেমার পরিচালক মেহেদি হাসান হৃদয়। এর আগে অহনা বলেছিলেন, আমার প্রাক্তন একটা জানো…য়া…র, একটা ভয়ংকর লেভেলের অমানুষ। ওকে দেখার পর অন্য মানুষের ওপর থেকে আমার বিশ্বাস উঠে গেছে। এই সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। মন্তব্যবাক্সে শামীম হাসান সরকারের কথা উল্লেখ করেন অনেকে। সেখানেই অভিনেতা জানান, তিনি সেই ব্যক্তি নন। অহনা যাকে নিয়ে কথা বলছেন শামীম তাকে চেনেন বলেও জানান। শামীম তখন নাম না বললেও এবার বলে দিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ কিছু গুরুতর অভিযোগের জবাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শামীম। সেখানে কথা প্রসঙ্গে অহনার সেই মন্তব্য নিয়ে অভিনেতা বলেন, সকলে অহনার ইন্টারভিউয়ের ক্লিপ কেটে দিয়ে ‘প্রাক্তন একটা জানো…য়া…র’- এসব ট্যাগ আমাকে বিয়ের পরও ইনবক্সে পেতে হয়েছে। আর এটা আমার জন্য খুব কষ্টদায়ক। এখন ওই প্রাক্তন জানো…য়া…রটার সাথে আমি নেই। সেই প্রাক্তনের পরিচয় জানিয়ে শামীম বলেন, অহনা তো নামটা বলতে পারেনাই, ওটা মেহেদী হাসান হৃদয়, বরবাদ সিনেমার ডিরেক্টর। তার সঙ্গে ৬-৭ বছরের রিলেশন ছিল। আমি মাঝে অহনার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছি, সে সময়ও তার (মেহেদী) এর সাথে সম্পর্কে ছিল। আমার এ কারণেই ওর সঙ্গে (অহনা) সম্পর্ক টেকে নাই।
মনিরের মৃত্যু: শাকিবকে রত্নার খোলা চিঠি

মনিরের মৃত্যু: শাকিবকে রত্নার খোলা চিঠি কয়েক দিন আগে শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমার শুটিং সেটে স্টান্টম্যান মনির হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মনিরের মৃত্যু শোক ছড়িয়েছে গোটা চলচ্চিত্রাঙ্গনে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা মনিরকে যখন মৃত ঘোষণা করেন, তখন সহকর্মীদের কেউ তার পাশে ছিলেন না। সবচেয়ে বেদনার ব্যাপার— শুটিং সেটে উপস্থিত থাকার পরও একবারের জন্য হাসপাতালে যাননি সুপারস্টার শাকিব খান। এমনকি, মনিরের পরিবারের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়াননি। এসব খবর বাইরে আসার পর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। এবার কড়া ভাষায় সমালোচনা করে শাকিবের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি দিলেন রত্না। নিজের ফেসবুকে দীর্ঘ চিঠিটি পোস্ট করেছেন এই নায়িকা। রত্নার এই চিঠি শুধু ক্ষোভ নয়, যেন গোটা ইন্ডাস্ট্রির বেদনাবিধুর ভাষ্য। রত্না তার চিঠিতে বলেন, “সুপ্রিয় খান সাহেব! এই যে যুগের পর যুগ হাততালি পেয়ে যান, ভিলেনের ওপরে উড়ে এসে পড়েন, নায়িকাকে ভিলেন থেকে বাঁচান, তার পুরো কৃতিত্ব কিন্তু দর্শক না জানলেও আপনার আমার জানা। কাল আপনার ‘তাণ্ডব’ সিনেমার সেটে মনির মারা গেলেন। আপনি একবারও তার পাশে দাঁড়ালেন না। এটা নতুন নয়, আপনি কখনো পেছনের গল্প মনে রাখেন না। এখন সময় এসেছে পর্দায় নয়, বাস্তবে নায়ক হয়ে ওঠার। সিনেমা থেকে অনেক কিছু নিয়েছেন খান সাহেব, এবার দিতে শিখুন। মনিরের পরিবারের জন্য কিছু করুন, এটুকুই আশা।”শাকিব খানকে খানিকটা কটাক্ষ করে রত্না বলেন, “আপনার প্রেমিকা প্রায়োরিটি বরাবরই ছিল নায়িকা, অনেক উঠতি নায়িকার স্বপ্ন ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, বেকারত্বকে বরণ করে আপনার চাইতেও অনেক কর্মঠ নায়িকা দেশ ছেড়েও চলে গিয়েছিল। এটা অবশ্য আপনার দোষ না, পর্দার নায়ক হিসেবে আপনি সত্যিই অতুলনীয়-অসাধারণ, সেটা নিয়ে দুঃখ নেই।” রুপালি পর্দার পাশাপাশি বাস্তব জীবনে নায়ক হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে রত্না বলেন, “এখন বাস্তবে নায়ক হয়ে দেখান, সিনেমা থেকে অনেক পেয়েছেন অনেক নিয়েছেন। এখন দিতে শিখুন। যতই ইংরেজি শিখেন পাকিস্তানি ভাষা বলতে পারেন আর হিন্দি ভাষা বলে বাহবা পান। আপনি কিন্তু বাংলা চলচ্চিত্র আর বাংলাদেশেরই একজন মানুষ।” প্রয়াত স্টান্টম্যান মনিরের পরিবারের জন্য কিছু করার আহ্বান জানিয়ে রত্না বলেন, “আজকের এই শাকিব খান হওয়ার পিছনে, যে অবদানগুলো ছিল, আর কেউ না জানলেও আপনি কিন্তু জানেন। সব ভুলে যান দুঃখ নেই। কিন্তু যারা এখনো আপনার সাথে লেগে আছে, তাদেরকে ভুলে যাবেন না, তাদের পাশে একটু দাঁড়াবেন আশা করছি। স্টানম্যান মনিরের পরিবারের জন্য অবশ্যই কিছু করবেন প্রত্যাশা রাখলাম।” নারায়ণগঞ্জের সন্তান স্টান্টম্যান মনির। সিনেমার ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যগুলো আড়ালে থেকে বাস্তবে রূপ দিতেন। তার শেষ বিদায়টাও খুব নীরবে হয়ে গেল।
ভয়ংকর রূপে মোশাররফ করিম

ভয়ংকর রূপে মোশাররফ করিম গেল মুক্তি পাওয়া ‘চক্কর’ সিনেমায় দেখা গেছে মোশাররফ করিমকে। মাসখানেকের ব্যবধানে একেবারে অন্যরূপে হাজির হয়ে সবাইকে চমকে দিলেন এই অভিনয়শিল্পী। নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দারের পরিচালনায় আসন্ন সিনেমা ‘ইনসাফ’র দ্বিতীয় পোস্টারে পাওয়া গেল তার রক্তাক্ত ভয়ংকর অবতার। যেখানে চোখে সানগ্লাস, মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি, পোশাকে রক্তের ছিটেফোঁটা, হাতে কুড়াল, আর ঘাড়ে ঝুলছে থেটোস্কোপ, সবমিলিয়ে এক প্রতিশোধপরায়ণ চরিত্রে হাজির হয়েছেন তিনি। রোববার (৪ মে) সন্ধ্যায় ‘ইনসাফ’র দ্বিতীয় পোস্টার উন্মোচন করেন নির্মাতা। তিনি বলেন, এই ডাক্তার রোগ নয়, পাপ সারায়! রক্তই তার ভাষা, ইনসাফই তার শপথ! এতে স্পষ্ট হয়ে যায়, সিনেমার গল্পে প্রতিশোধ ও ন্যায়বিচারের জোরালো উপস্থাপন থাকবে। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল প্রকাশিত হয় সিনেমাটির প্রথম পোস্টার, যেখানে রক্তাক্ত কুড়াল হাতে, ঠোঁটে রহস্যময় হাসি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সিনেমার নায়ক শরীফুল রাজ। নতুন পোস্টারে মোশাররফ করিমের চরিত্র প্রকাশ পেলেও তিনি ইতিবাচক না নেতিবাচক, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য দেননি নির্মাতা। জানা গেছে, অ্যাকশন থ্রিলার ঘরানার ‘ইনসাফ’র শুটিং শুরু হয় গেল ফেব্রুয়ারিতে। বর্তমানে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। আসন্ন ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি। সিনেমায় নায়িকা হিসেবে থাকছেন নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ তাসনিয়া ফারিণ, যিনি এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বড় পর্দার পুরোপুরি কমার্শিয়াল সিনেমায় নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন। প্রযোজনায় রয়েছে তিতাস কথাচিত্র এবং টিওটি ফিল্মস।
জায়েদ খানের বিয়ের গুঞ্জনের রহস্য ফাঁস!

জায়েদ খানের বিয়ের গুঞ্জনের রহস্য ফাঁস! ঢাকাই সিনেমার রঙিন দুনিয়ার চিরচেনা মুখ জায়েদ খান। পর্দার বাইরেও আলোচনায় থাকেন; মাঝেমধ্যে ক্যামেরার বাইরেই তিনি বেশি নাটকীয়! কখনো শিল্পী সমিতির নির্বাচন, কখনো ডিগবাজি, আবার কখনো তারকা কাণ্ড— সব মিলিয়ে তিনি যেন খবরের শিরোনামের ‘ডিফল্ট সেটিং’। তবে এবারের চমকটা একটু ভিন্ন। ঢাকায় গুঞ্জন উঠেছে— ভাইরাল এই নায়ক নাকি মার্কিন মুলুকে গোপনে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন! কনে একেবারে ‘হাই-ফাই’ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক! গোপনে সংসারও নাকি গুছিয়ে ফেলেছেন! সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়—‘অভিনন্দন জায়েদ ভাই’, ‘বউয়ের ছবি কই?’, ‘মধুচন্দ্রিমা কোথায়?’ এত উত্তেজনার শুরুটা কিন্তু ছিল বেশ নিরীহ। ঘটনাস্থল: মগবাজার, একটি টং দোকানের পাশে চায়ের আড্ডা। চরিত্র: তিন সাংবাদিক— ইমরুল শাহেদ, আমি এবং রুহুল আমিন ভূঁইয়া। আলোচনা চলছিল ফেসবুকে মনিটাইজেশন নিয়ে। আমিই বলেছিলাম, “আমার ফেসবুক মনিটাইজড, ছবি দিলেই ডলার আসে!”মজা করেই বলা। এ কথা শুনে রুহুল আমিনও বলল, “তাহলে আমিও ছবি দিব।” এবং সে দিয়েও দিলো জায়েদ খানের সঙ্গে একটি পুরোনো ছবি। ক্যাপশন নিয়ে একটু ভাবনা-চিন্তা হলো। আমি বললাম, ‘‘শুভ কামনা’ দিয়ে দাও।” ব্যস, রুহুল আমিন ক্যাপশনে লিখে দিলো : “শুভ কামনা রইলো।”আর তাতেই ফেসবুকবাসীর কল্পনার পালে পুরো হ্যারিকেন! কমেন্টে শুভেচ্ছার বন্যা। কেউ কেউ তো নিশ্চিত ভঙ্গিতে বলে বসলেন—“বিয়ে করে ফেলেছেন চুপিচুপি!” নিউ ইয়র্ক থেকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে হেসে ফেলেন জায়েদ খান। বলেন, “আমাকে নিয়ে মানুষ কিছু না কিছু মজা করতেই চায়। তাই এমন গুজব রটেছে।” বিয়ের গুঞ্জন পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আমি এখন নিউ ইয়র্কে। নতুন কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। শিগগিরই ভালো কিছু দেখতে পাবেন ইনশাআল্লাহ।” জানা গেছে, জায়েদ খান এখন আন্তর্জাতিক শো এবং মিডিয়া প্রজেক্ট নিয়েই ব্যস্ত। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই— সবখানে পারফর্ম করছেন। এর পাশাপাশি নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’–তে সেলিব্রিটিদের নিয়ে টক শো উপস্থাপনাও করছেন। তার সর্বশেষ সিনেমা ‘সোনার চর’ মুক্তি পেয়েছিল গত বছরের শুরুতে। সেখানে ছিলেন মৌসুমী, ওমর সানী, শহীদুজ্জামান সেলিম, শবনম পারভীন, পাপিয়া মাহির মতো তারকারা। তো আপাতত বিয়ের ঘণ্টা নয়— শুধুই কাজের সুর বাজছে জায়েদ খানের জীবনে। তবে কে জানে, পরবর্তী সিনেমার নাম হলেও হতে পারে ‘মার্কিন বধূ’!
সত্যিই কি সালমান-শাবনূরের প্রেম ছিল, যা জানালেন ডন

সত্যিই কি সালমান-শাবনূরের প্রেম ছিল, যা জানালেন ডন ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় জুটি সালমান শাহ, শাবনূর। এই জুটির কাছের বন্ধু জনপ্রিয় খল নায়ক ডন। সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন সালমান-শাবনূরের প্রেমের গুঞ্জন কতটা সত্য। সালমান শাহ-এর সঙ্গে শাবনূরের প্রেম ছিল নাকি ছিল না প্রশ্নের জবাবে ডন বলেন, ‘‘সালমান, শাবনূর একটা জুটি। এদের প্রেম-প্রীতির ওপরই একটা সিনেমা ডিপেন্ড করত। ফিল্মের নায়ক-নায়িকার মধ্যেতো প্রেম থাকতেই হবে, নাহলেতো সিনেমা হবে না। কিন্তু অরজিনাল প্রেম আর ফিল্মের প্রেমতো এক না।’’ বলা হয় অকাল প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ-এর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডন। তাকে সালমান শাহ-এর হত্যাকারীও মনে করেন সালমান শাহ-এর মা নীলা চৌধুরী। এ বিষয়ে, ডন বলেন, ‘সালমান শাহ যখন মারা গেলো আমি তখন ঢাকাতেই ছিলাম না, ছিলাম বগুড়াতে। মা হিসেবে ছেলের বিচার চাইতেই পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে সবাইকে জড়িয়ে, পেঁচিয়ে করবে এটা অস্বাভাবিক ব্যাপার।’’ ডন ওই সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, তার সঙ্গে সালমান শাহ-এর শেষ দেখা হয়েছিল সালমানের শ্বশুরবাড়িতে। রাতে সালমান, সামিরা এবং ডন একসঙ্গে ডিনার করেছিলেন। এরপর তারা তাকে ডলফিন কোচে উঠিয়ে দিয়েছিলেন। ওই কোচে বগুড়া গিয়েছিলেন ডন।
নেইমারের কাছ থেকে ‘উপহার’ পেলেন পলাশ!

নেইমারের কাছ থেকে ‘উপহার’ পেলেন পলাশ! ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা নেইমার ও তার ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে বিশেষ উপহার পেলেন কাবিলা’খ্যাত অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ। একটি ভিনটেজ পানির বোতল সদৃশ বস্তু ও একটি জার্সি পলাশের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন নেইমারের পারিবারিক বন্ধু প্রবাসী বাংলাদেশি ও সামাজিক সংগঠক রবিন মিয়া। সেই রবিন সেলিব্রিটি ক্রিকেট খেলতে এখন ঢাকায়। আর ঢাকায় ফিরেই তাকে দেখা গেলো ব্রাজিল ফুটবল দল ও নেইমারের একনিষ্ট ভক্ত পলাশের সঙ্গে! এসময় পলাশের হাতে তুলে দিলেন বিশেষ উপহার! এ নিয়ে একটি ভিডিও পোস্টও করেছেন পলাশ। যেখানে দেখা যায়, পলাশের হাতে একটি ভিনটেজ পানির বোতল সদৃশ বস্তু। তিনি এটি নিয়ে বলছিলেন, এটি একটি বিশেষ উপহার, যেটা পেয়েছি একজন স্পেশাল মানুষের কাছ থেকে! এসময় পানির সেই বোতলটি রবিন মিয়ার হাতে তুলে দিয়ে এটির বিশেষত্ব বর্ণনা করতে বলেন পলাশ। রবিন মিয়া বোতলটি হাতে নিয়ে বলেন, এটি মূলত জুনিয়র নেইমার ইনস্টিটিউটের, ঢাকায় বিশেষ মানুষের জন্য তিনি এটি ব্রাজিল থেকে বহন করে নিয়ে এসেছেন। এসময় রবিন মিয়াকে বলতে শোনা যায়, পলাশ এই বিশেষ উপহারটি ডিজার্ভ করে। কারণ সে হলো ডাইহার্ট ব্রাজিল ও নেইমারের সমর্থক। পাশে বসা পলাশকে বিশেষ এই উপহারটি তুলে দিয়ে রবিন মিয়া আরও বলেন, ‘আল্লাহ যদি চায়, তাহলে ভবিষ্যতে কোনো ইভেন্টে পলাশকে নেইমারের কাছে নিয়ে যাব। জিয়াউল হক পলাশ বলেন, আমি নিজেও ফাউন্ডেশন নিয়ে কাজ করি, এটি রবিন ভাই আগে থেকেই জানতেন। তার মাধ্যমেই নেইমার বিষয়টি জানতে পেরে খুশি হয়েছেন। তার ফাউন্ডেশন হাজার হাজার বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করে। ওই বোতলের ওপরে যে কাজগুলো- সব ওই বাচ্চাদের করা। এটা খুবই স্পেশাল। প্রসঙ্গত, নেইমার জুনিয়র ইনস্টিটিউট ব্রাজিলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং ক্রীড়াভিত্তিক উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে। আন্তর্জাতিকভাবে তারা বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে অংশ নেয়। আর এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি যুবক রবিন মিয়া।