আমার রিজিক কেড়ে নিলেন: জয়

আমার রিজিক কেড়ে নিলেন: জয় অভিনেতা, নির্মাতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। অভিনয় দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও পরবর্তীতে পরিচালনা ও উপস্থাপনায় সরব হন। বিতর্কিত উপস্থাপন ও নানা ধরনের মন্তব্য করে প্রায়ই আলোচনায় থাকেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে নানাভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে। ইতিমধ্যে তাকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে, সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না এই অভিনেতার। এ পরিস্থিতিতে ক্ষমা চেয়ে জয় বলেন, ‘আমার পরিবারের মানুষ চিন্তিত।’ তা ছাড়া নানা বিতর্কের কারণে শোবিজাঙ্গনেও কাজ হারাচ্ছেন তিনি। এমন এক অভিযোগ সামনে এনে জয় জানান, ‘ত্রিভুজ’ নামের একটি ওয়েব ফিল্মে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। গত ১০ অক্টোবর ফিল্মটি মুক্তিও পেয়েছে। অন্যতম প্রধান চরিত্রে কাজ করলেও প্রচারণায় রাখা হয়নি তাকে। কেন এমনটা ঘটছে সেই প্রশ্নও তুলেছেন এই অভিনেতা।

আরও একটা ভুল, বুঝতে দেরি হলো পরীমণি!

আরও একটা ভুল, বুঝতে দেরি হলো পরীমণি! ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। বিচ্ছেদের পর দুই সন্তানকে (পুত্র শাহীম মুহাম্মদ পূণ্য ও কন্যা সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম) নিয়েই কাটছে তার সময়। ফিরেছেন অভিনয়েও।  এদিকে নায়িকার ভক্তরা জানেন, পশুপ্রেমী পরীর একটি কুকুর আছে, নাম পুটু। আদরের এই কুকুরের সঙ্গে পরীর সখ্যতাও বেশ। তবে পুত্রসন্তানের মা হওয়ার পর পুটুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে পরীর। যা নায়িকাকে ভাবিয়ে তুলেছে ইদানীং। আর সেই ভাবনা পরীমণি প্রকাশ করেছেন তার লেখনীতে। এক ফেসবুক পোস্টে পরী লেখেন, একটা ভুল করেছি আমি। আমার এই পোষা প্রাণীর নাম পুটু। অনেকেই দেখে থাকবেন হয়ত। পুটু আমার সঙ্গে আছে ১০ বছর ধরে! আমার ছেলে হবার আগে ও সবসময় আমার সঙ্গে ঘেঁষে থাকত। আমার কোলের মধ্যে ঘুমাত। আমার ছেলে আসার পর থেকে পুটুকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমাই না। তখন থেকে ওর আলাদা বিছানা হয়ে গেল। প্রথম দিকে খুব কষ্ট হচ্ছিল মানিয়ে নিতে। তারপর আস্তে আস্তে একটা সময় মানিয়ে নিল। তখন থেকেই আমাদের মধ্যে একটা দূরত্ব হয়ে গেল। পরী আরও লেখেন, যখন আমর ছেলে হাঁটা শুরু করল, তখন ফ্লোরে ছেলের সঙ্গে পুটুও দৌড়ে ওর কাছে আসতে চাইত। আমি ভয় পেতাম। ভাবতাম পুটু যদি কামড় দিয়ে দেয় বা ওর ডাকে ছেলে যদি ভয় পায়। সেই ভেবে পুটুকে ছেলের সামনেই ধমক দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতাম। ইদানীং হঠাৎই আমি খেয়াল করলাম ছেলেও পুটুর সঙ্গে দূর দূর করতে থাকে। পুটুকে দেখলেই বলে ‘এই পুটু যাও যাও’। আমি বুঝতে পারলাম এটা আমারই ভুল। বাচ্চা যা দেখবে তাই তো শিখবে! এমন ভুল না করার আহ্বান জানিয়ে পরীমণি লেখেন, এরপর আমি লেগে পড়লাম ওদের সুন্দর একটা বন্ধুত্ব তৈরি করার। ছেলের সামনে পুটুকে খাওয়ানো, গোসল করানো, আদর করা, কথা বলা, একসঙ্গে ছেলেকে নিয়ে খেলা…আস্তে আস্তে ছেলে অনেকটা স্বাভাবিক আচরণ করা শুরু করল পুটুর সঙ্গে। আমার ভালো লাগলো। কিন্তু আরও একটা বড় ভুল হয়ে গেল যেটা আমাকে অনেক গিল্টিতে ফেলে দিল। ছেলে সব খেলনা ছেড়ে এখন যখন খুব করে পুটুর সঙ্গে থাকতে চায়, পুটুর সঙ্গেই খেলতে চায় তখন দেখলাম পুটুর ভয়টা এখনো কাটেনি! আমি চেষ্টা করছি…হয়ত ওর ভয় কাটিয়ে উঠবে। আমার মতন এই ভুল কেউ করবেন না আশা করি। বোবা প্রাণী আর বাচ্চারা দুটোই ভীষণ কোমলমতি প্রাণ। বুঝতে দেরি হয়ে গেলো আমার…। এদিকে, সবশেষ কাজ করেছেন ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’-এ। এটি নির্মাণ করেছেন অনম বিশ্বাস। সিরিজটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

এবার বুসানে সাবা’র সঙ্গে মেহজাবীন

এবার বুসানে সাবা’র সঙ্গে মেহজাবীন নিজের প্রথম চলচ্চিত্র ‘সাবা’ নিয়ে বিশ্বব্যাপী ঘুরছেন দেশের শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় তারকা মেহজাবীন। টরন্টোর পর এবার বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (২-১১ অক্টোবর) মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত প্রথম ছবি ‘সাবা’। উৎসবে ছবিটি প্রদর্শিত হয় ৪ অক্টোবর। মাকসুদ হোসাইন পরিচালিত ছবিটি প্রযোজনাও করেছেন মেহজাবীন। প্রিমিয়ারে দর্শক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। গতকাল বিকেলে উৎসব প্রাঙ্গণ থেকে তোলা বেশ কয়েকটি ছবি অভিনেত্রী শেয়ার করলেন ফেসবুকে। আজ (সোমবার) ও ৯ অক্টোবর ছবিটির আরো দুটি প্রদর্শনী হবে। যার টিকিট এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। বুসানে এ বছর ৬৩টি দেশের ২৭৯টি ছবি প্রদর্শিত হবে। ‘সাবা’ ছবিটির দৈর্ঘ্য ৯০ মিনিটের। এর আগে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয় ‘সাবা’। অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।

আন্দোলনে বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের বিয়ের জন্য আসিফের টিপস

আন্দোলনে বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রীদের বিয়ের জন্য আসিফের টিপস সামাজিকমাধ্যমে বেশ সরব থাকেন বাংলা গানের ‘যুবরাজ’ আসিফ আকবর। এবার এই গায়ক জানালেন, শিক্ষার্থীদের সময়মতো বিয়ে করার মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসল সফলতা আসবে। শুধু তাই নয় মজার ছলেই বললেন, এজন্য প্রয়োজনে রাষ্ট্র পদ্ধতিতে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করার কথাও। বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে আসিফ আকবর লেখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসল সফলতা আসবে ছাত্র-ছাত্রীদের সময়মতো বিয়ে করার মাধ্যমেই। আমি ২৪/২৫ বছর বয়সে বিয়ের পক্ষে। এতে সংসার শুরু করা যায় দ্রুত। তারাও বাবা মা হতে পারে, আমরাও দাদা/ নানা হতে পারি সুন্দর সময়ে। সন্তানদের বিয়ের জন্য বাবা মাকে এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করেন আসিফ। তিনি লেখেন, কবে স্টাডি শেষ হবে, তারপর প্রতিষ্ঠা পাবে, তারপর টাকা জমিয়ে বিয়ে করতে হবে। এরমধ্যে চলে যাবে যৌবনের সুন্দর সময়। স্বর্ণের ভরি এখন এক লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা। অন্যান্য সামাজিকতার খরচ ধরলে কেউ ২৪/২৫ বছর বয়সে বিয়ে করতে পারবে না। সন্তানদের বিয়ের জন্য এগিয়ে আসতে হবে বাবা-মা’কে। তিনি আরও লেখেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, ছাত্র আন্দোলনের বাঘা বাঘা নেতা এবং তাদের সহকর্মীরা এখনো ব্যাচেলর, অথচ আমি ঐ বয়সে দুই ছেলের বাবা হয়েছি। তাদের উচিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় তরুণদের বিয়ের জন্য একটা পদ্ধতি তৈরি করা, ব্যাংক ঋণ দিবে এবং সেটা দূরবর্তী সময়ের কিস্তিতে আস্তে আস্তে পরিশোধ করা হবে কোন প্রেশার ছাড়া। আন্দোলনে বিজয়ী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য একটা ফ্রি টিপস দিলাম, এখনই সময়। বড় ছেলে শাফকাত আসিফের বিয়ের বিষয়ে উল্লেখ করে এই সংগীতশিল্পী লেখেন, এদিকে দেখতে দেখতে আমার বড় ছেলে শাফকাত আসিফ এবং শেহরীন ঈশিতার দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পূরণ হয়েছে আজ। দুজনেই কানাডার টরন্টোয় স্টাডিতে আছে। তবে আপাতত দাদা হওয়ার মতো কোনো সুখবর নেই। সবশেষ আসিফ লেখেন, ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম, সে বললো ‘প্ল্যান নাকি আছে’। বললাম ‘তোমার জন্মের সময় কোন প্ল্যান আমাদের ছিল না, অথচ দুর্ভাগ্য তোমার কাছ থেকে প্ল্যানের গল্প শুনতে হলো’। পরিস্থিতি যাই ঘটুক ২০২৬ সালের শুরুতেই আমার ছোট ছেলে শাফায়াত রুদ্রর বিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ, সেই অপেক্ষায় অস্থির হয়ে আছি। রণ-ঈশিতা তোমাদের বিয়ে বার্ষিকীর শুভেচ্ছা। আনন্দে বাঁচো বাবা। ভালবাসা অবিরাম।

ভক্তরা ভেবেছিল শাকিব খান, আসলে জিৎ

ভক্তরা ভেবেছিল শাকিব খান, আসলে জিৎ নির্মাণের নেশা চেপে বসেছে রায়হান রাফীর। তাই বলে শাকিব ভক্তদের মন ভেঙে দেবেন তা কে ভেবেছিল! শোনা যাচ্ছিল, ‘তুফান-২’ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠছেন তিনি। হঠাৎ জানা গেল, ‘তুফান’ নয়, ‘লায়ন’ নামে নতুন এক ছবির কাজে হাত দিচ্ছেন তিনি। আর তাতে শাকিব নয়, থাকছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তারকা জিৎ। চলতি বছরের শেষদিকে শুরু হবে এই ছবির শুটিং। নতুন এই সিনেমা প্রসঙ্গে রায়হান রাফী বলেন, ‘নতুন গল্পে বৈচিত্র্যময় থ্রিলার সিনেমা হবে এটি, যা দেশের দর্শক আগে দেখেননি। এই জার্নিতে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা জিৎকে নতুনভাবে পর্দায় হাজির করা হবে।’ রাফী জানান, শুধু জিৎ নয়, ‘লায়ন’ ছবিতে থাকবেন বাংলাদেশের অভিনেতা শরিফুল রাজ। রাফী বলেন, ‘শরীফুল রাজের চরিত্রে চমক আছে। আমার “পরাণ”, “সুড়ঙ্গ”, “তুফান”-এর চেয়েও “লায়ন-১” বেশি আলোচিত হবে। সেভাবেই আমরা প্রজেক্টটি দাঁড় করাচ্ছি।’ তিনি জানান, ডিসেম্বর মাস থেকে ‘লায়ন’-এর শুটিং শুরু করবেন। তিন কিস্তিতে শেষ হবে সিনেমা। ‘লায়ন-১’ থেকে শুরু করে শেষ হবে লায়ন-৩-এ। প্রথম কিস্তি মুক্তি পাবে ঈদুল ফিতরে। গতকাল মুক্তি পেয়েছে রাফী নির্মিত নতুন ওয়েব ফিল্ম ‘মায়া’। এতে অভিনয় করেছেন মামনুন ইমন ও সারিকা সাবরিন। নতুন ছবি প্রসঙ্গে রাফী বলেন, ‘এটা আমার একদম অন্যরকম একটা ছবি। আপনারা জানেন, আমি সিনেমার পাশাপাশি ওয়েব ফিল্ম বানাই। “মায়া” বানিয়েছিলাম তুফানেরও আগে। এটা বানানোর আগে চিন্তা করছিলাম, এই সিনেমায় আমি এমন দুজনকে কাস্ট করব, যারা একসময় বড় স্টার ছিল, অনেক জনপ্রিয় ছিল এবং এখনও কাজ করছেন। চিন্তামতো ওই সময়ের একটা জনপ্রিয় জুটিকে নিয়েই কাজ করার চেষ্টা করেছি। তারা হলেন ইমন-সারিকা। আমার চ্যালেঞ্জ ছিল, দুজনকে নতুন করে আবিষ্কার করা। সেটা আমি করেছি। বাকিটা দর্শক বলবেন।’

কলকাতার সিনেমায় অপূর্বর অভিষেকের অপেক্ষা, সঙ্গী রাইমা

কলকাতার সিনেমায় অপূর্বর অভিষেকের অপেক্ষা, সঙ্গী রাইমা ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব দেশের পাশাপাশি ওপার বাংলায়ও জনপ্রিয়। কলকাতার ‘চালচিত্র’ সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন তিনি। এত তার সঙ্গী হয়েছেন— রাইমা সেন ও স্বস্তিকা দত্ত। আগামী ২০ ডিসেম্বর কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এটি। ‘চালচিত্র’ নামের এই সিনেমা নির্মাণ করেছেন কলকাতার প্রতিম ডি গুপ্ত। সিনেমাটির মাধ্যমে কলকাতার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক হতে যাচ্ছে অপূর্বর। রহস্যময় একটি চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। তা ছাড়াও চারজন পুলিশের চরিত্রে দেখা যাবে টোটা রায় চৌধুরী, অনির্বাণ চক্রবর্তী, শান্তনু মাহেশ্বরী এবং ইন্দ্রজিৎ বসুকে। সিনেমাটি নিয়ে পরিচালক প্রতিম ডি গুপ্ত বলেন, শহরে পর পর খুন হতে থাকে। আর খুনের পর মরদেহগুলোকে যেভাবে সাজিয়ে রাখা হয় সেটার সঙ্গে ১২ বছরের পুরোনো একটি কেসের মিল পায় টোটার চরিত্র। সত্যিই কি সেই কেসের সঙ্গে এই কেসের মিল আছে, নাকি তদন্তে নতুন কিছু উঠে আসবে সেটা নিয়েই এই সিনেমা।

ব্যক্তিগত জীবনে এতটা সাহসী নই: মেহজাবীন

ব্যক্তিগত জীবনে এতটা সাহসী নই: মেহজাবীন প্রথমবারের মতো টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশের সিনেমা ‘সাবা’। সিনেমার প্রিমিয়ারের পর বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এক সাক্ষাৎকারে তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনেমার পরিচালক মাকসুদ হোসাইন, অভিনেতা মোস্তফা মন্ওয়ার। ওই সাক্ষাৎকারে মেহজাবীন বলেন, সিনেমাটির জন্য অনেক রিহার্সাল করেছি। কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। এটা একই সঙ্গে আমার পরিচালকের শাশুড়ির কথা, চিত্রনাট্যকারের মায়ের গল্প। যে কারণে অনেক গভীরভাবে চরিত্র সম্পর্ককে আলোচনা করতে পেরেছি। ‘চিত্রনাট্য পড়ে কি আপনার মনে হয়েছিল এই চরিত্রটিই আপনার জন্য?’ এমন প্রশ্নে মেহজাবীন বলেন, অনেকটাই সে রকম। ১২ বছর ধরে আমি বিভিন্ন রকম নাটকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। কিন্তু আমি এই সময়ে কখনোই সিনেমার গল্প পছন্দ করিনি। আমি সব সময়ই অপেক্ষা করেছি এ রকম একটি চরিত্রের জন্য, যে চরিত্রটি ভার বহন করে। যেটা হবে একেবারেই আলাদা। যে চরিত্রে দর্শক আগে আমাকে দেখেননি, সেটাই বলবেন দর্শক। পরে পরিচালক মাকসুদের প্রস্তাব ও সিনেমাটি নিয়ে আত্মবিশ্বাস আমাকে আকৃষ্ট করেছে। একসময় সিনেমার জন্য বড় সময় নাটক থেকে বিরতি নেন, যা দর্শকদের বুঝতে দেননি মেহজাবীন। ‘সাবা’ হয়ে ওঠার পেছনের এই গল্পটি নিয়ে মেহজাবীন বলেন, সাবার চিত্রনাট্য পড়ে অন্য রকম অনুভূতি হয়। সাবা এমন একটা মেয়ে, যে অনেক সাহসী। সিনেমাটি দেখলেই বুঝবেন। আমি কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে এতটা সাহসী নই। এটা আগেই বলে রাখলাম। পরে আমাকে চরিত্রের জন্য সাহসী ভূমিকা নিতে হয়েছে। এই সাহসকে প্রত্যক্ষ করার জন্যই চরিত্র আমাকে আরও বেশি টানে। আসলে বাস্তবে আমি এতটা সাহসী নই। এবার টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছিল ‘সাবা’ সিনেমাটি। এই বিভাগে আরও ২৩টি সিনেমা জায়গা করে নেয়। পরিচালক মাকসুদ জানান, সিনেমাটি এবার বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ান প্রিমিয়ার হবে। আগামীকাল থেকে ২৯তম বুসান উৎসব চলবে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত। উৎসবে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তাদের।

আমি এভাবেই নেচে নেচে ফটোশুট করি: মাহি

আমি এভাবেই নেচে নেচে ফটোশুট করি: মাহি পরনে কালো-খয়েরি রঙের শাড়ি। মাথার চুলগুলো আলগা করে ছেড়ে দেওয়া। চোখে কাজল, মুখে হাসি। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে হিন্দি গান। এ গানের সঙ্গে নাচছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। নিজের ফেসবুকে ১ মিনিট ২৯ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের একটি পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। নেট দুনিয়ায় যা এখন রীতিমতো ভাইরাল। মাহি ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখেছেন— ‘এভাবেই নেচে নেচে ফটোশুট করি আমি।’ ভিডিওতে মাহির লুক, অভিব্যক্তি ও নাচ দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। মিলাদ ভূঁইয়া লেখেন, ‘ইদানীং নাচে মনোযোগী দেখা যাচ্ছে।’ এ মন্তব্যের জবাবে মাহি লেখেন, ‘এটা ফটোশুট।’ সাফা নুজহাত আগুনের ইমোজি দিয়ে লেখেন, ‘উফ!’ সিফাত নুসরাত লেখেন, ‘ওয়াও!’ শিবলি লেখেন, ‘আপনি নাচে অসাধারণ।’ আফিফা লেখেন, ‘গর্জিয়াস আপু।’ ফাহমিদা লেখেন, ‘এইটা একটু বেশি সুন্দর হইছে।’ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী লেখেন, ‘ভালো তো নিষেধ করেছে কে?’ অনেক দিন সিনেমায় নেই মাহিয়া মাহি। চলচ্চিত্রে ফেরার আহ্বান জানিয়ে ওয়াসিম লেখেন,  ‘বাংলাদেশের একজন নাম্বার ওয়ান নায়িকা ধীরে ধীরে এভাবে দর্শকদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, তাতে ভক্তকূল খুবই হতাশা। নতুনভাবে নতুন সিনেমাতে ঝলক দেখতে চান দর্শক।’ মাহি এ মন্তব্যের জবাব দেননি। তবে একটি গণমাধ্যমকে মাহিয়া মাহি বলেন, “আমি ব্যস্ত অভিনেত্রী হতে চাই না। খুব বেশি কাজ আমার দরকার নেই। ভারতে যেমন ‘পুষ্পা’, ‘কেজিএফ’, ‘কাল্কি’-এর জন্য একজন আল্লু অর্জুন, একজন প্রভাস যেমন বছরের পর বছর অপেক্ষা করে, তেমনি আমি অপেক্ষা করতে চাই। মানুষ যেন আমাকে ব্যস্ত অভিনেত্রীর তকমা না দেয়, তারা যেন আমার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়, তৃপ্ত হয়।”

পরীমণির জবানবন্দি শেষ, জেরা ২২ জানুয়ারি

পরীমণির জবানবন্দি শেষ, জেরা ২২ জানুয়ারি মারধর, বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন অভিনেত্রী পরীমণি।  রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকার আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি। গত ২৯ নভেম্বর এ মামলায় পরীমণির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তবে সেদিন তার সাক্ষ্যগ্রহণ জবানবন্দি শেষ হয়নি। দীর্ঘদিন পর আজ তিনি আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেন। দুপুর ১২টায় আদালতে এলেও দুপুর ২টার দিকে সাক্ষ্য দিতে বিচারকের খাসকামড়ায় প্রবেশ করেন তিনি। বিকেল সাড়ে ৩টায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর আসামিপক্ষ জেরার জন্য সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে আগামী ২২ জানুয়ারি জেরার দিন ধার্য করেন। এ মামলার তিন আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহিদুল আলম এদিন আদালতে হাজির ছিলেন। খাসকামড়ায় সাক্ষ্যগ্রহণের সময় দুই আসামি ও উভয় পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।  পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) এ তথ্য জানান। ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মামলায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহিদুল আলম নামে আরেক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন। এরপর ২০২২ সালের ১৮ মে একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।  ২০২১ সালের ১৪ জুন সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। মামলা দায়েরের পর অভিযানে নামে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিনই নাসির উদ্দিনসহ পাঁচজনকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আটক করা হয়। অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। এরপর রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার শিকদার বাদী হয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় নাসিরসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

কাজ করেই কূল পাই না, আবার প্রেম করব কখন

কাজ করেই কূল পাই না, আবার প্রেম করব কখন মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন ছোট পর্দার আলোচিত অভিনেত্রী ফারিন খান। তবে তার লক্ষ্য ছিল— রুপালি পর্দা। নিজের টার্গেট পূর্ণও করেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার হাত ধরে। একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও ফারিন নজর কাড়েন কাজল আরেফিন অমি নির্মিত ‘ফিমেল’ নাটকের মাধ্যমে। বর্তমানে নাটকের কাজ নিয়েই অধিক ব্যস্ত ফারিন। সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেন এই অভিনেত্রী। বাস্তব জীবনের প্রেম নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ফারিন। বাস্তব জীবনে প্রেমের প্রস্তাব পাওয়া প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আর বলবেন না! আমার কপালটাই এমন। সাভারে জন্ম, সেখানেই বেড়ে ওঠা। একটা সময় পুরো সাভারই লেগে গেল আমার পেছনে (হা হা হা)।’ একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফারিন খান বলেন, ‘ক্লাস সেভেনে পড়ার সময়ের একটা ঘটনা বলি। মায়ের সঙ্গে স্কুলে যাই। স্কুলে যাওয়ার পথে চারটা মোড় পড়ত। চার মোড়ে চারটা ছেলে রোজ দাঁড়িয়ে থাকত। হা করে তাকিয়ে থাকত। আমার মা তো বিষয়টা বুঝতে পারতেন। তবে ছেলেগুলোকে কিছু বলার সুযোগ দিতেন না। একসময় মা-ই খোঁজ নিয়ে বের করলেন ছেলে চারটা একই বাড়ির। ওরা আপন চাচাতো ভাই। এরপর তো আমার পরিবারের সদস্যরা গেলেন বিচার নিয়ে। পরে বিষয়টি পারিবারিকভাবেই সমাধান হয়।’ এখন প্রেম করেন কিনা না? এ প্রশ্নের জবাবে ফারিন খান বলেন, ‘কাজ করেই কূল পাই না আবার প্রেম করব কখন! সত্যি বলছি, আমি প্রেম করি না। করলে খোলামেলা জানিয়ে দিতাম। এটা নিয়ে লুকোচুরির কী আছে? অনেকে দেখবেন প্রেম করলেও বলেন, ওমা! আমি তো প্রেম করি না। আবার দেখবেন দুদিন পরে বাগদান সেরে ফেলেছেন। আমি এ ধরনের মানুষ নই।’