মৌসুমীকে বিয়ে করা কি ভুল ছিল ওমর সানীর

মৌসুমীকে বিয়ে করা কি ভুল ছিল ওমর সানীর নব্বই দশকের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানী। ভালোবেসে বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমীকে। শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের মধ্যে বিয়ের হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি থাকলেও, বিয়ে টিকে থাকার প্রবণতা কম। সেক্ষেত্রে এই জুটি ব্যতিক্রম। তিন দশকের বেশি সময়ের সংসার এই তারকার জুটির। আলোচিত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের একটি শোতে উপস্থিত ছিলেন ওমর সানী। উপস্থাপকের প্রশ্ন ছিলো, অনেকে বলেন আপনি মৌসুমীকে বিয়ে করে ভুল করেছেন? আসলেই কি তাই? উত্তরে ওমর সানী বলেন, ‘‘ওরা বোকা। দিন শেষে তিরিশ বছর পরে একটা পুরুষ আর একটা মেয়ের কাছে এর চেয়ে বড় প্রাপ্য তো আর কিছু থাকে না। তথাকথিত মানুষেরা বলে যে, আমাদের বিয়ে টেকে না। বিশেষ করে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মানুষ যারা আছে, টেলিভিশনের মানুষ যারা আছে এবং যারা শোবিজের সঙ্গে রিলেটেড তাদের বিয়ে একদমই টেকে না। কিন্তু সেদিক দিয়ে তো আমরা সফল। একটি কথাই শুধু বলবো আলহামদুলিল্লাহ।’’ ওমর সানী আরও বলেন,‘‘যখন আমার ছেলের দিকে তাকাই, মেয়ের দিকে তাকাই তখন আমার মনে হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কাজটিই আমি করেছি।’’ উল্লেখ্য, ঢালিউডে ওমর সানীর অভিষেক ঘটে ‘চাঁদের আলো’ সিনেমার মাধ্যমে।
১২৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মিষ্টির

১২৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মিষ্টির ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা মিষ্টি জান্নাত। কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যিনি বেশি আলোচনায় থাকেন। এবার মানহানির অভিযোগে ১২৭ জনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন এই চিত্রতারকা। বুধবার (২৫ জুন) অফিশিয়াল ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান এই অভিনেত্রী। সেখানে মিষ্টি জান্নাত লেখেন, কিছু পেজ, ‘সো-কলড’ জার্নালিস্ট নামক ভিউ ব্যাবসায়ীদের নাম, কিছু কনটেন্ট ক্রিয়েটরের নামসহ ১২৭ জন আমার পেজে বাজে কমেন্টকারীর স্ক্রিনশট, লিংক সব এন্টি করা হয়েছে। সাথে কিছু ‘সো-কলড’ ফেসবুকার, টিকটকারের নাম নিয়ে আমার ল ইয়ার এবং আমার ফ্যান-ফলোয়ার, পরিবার কাজ করছেন। অতি শিগগিরই এদের আইনের আওতায় আনা হবে আমার মানহানি করার জন্য। বর্তমানে দুবাইয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন মিষ্টি জান্নাত। সেখানে সফরে যাওয়ার পর বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই চিত্রনায়িকা। সামাজিকমাধ্যমে নেটিজেনরা বিভিন্নরকম বিদ্রুপমূলক, বাজে মন্তব্য করছেন; যা তার নজর এড়ায়নি। দুবাই থেকে মিষ্টি জান্নাত ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, একদল লোক পিছনে লেগেই আছে, এখন তাদের আর কোনো ক্ষমা নেই। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, মিষ্টির এই পোস্টেও নেটিজেনদের অনেকে নোংরা মন্তব্য করেছেন। ২০১৪ সালে ‘লাভ স্টেশন’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় ক্যারিয়ার শুরু করেন মিষ্টি জান্নাত। এরপর থেকে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে মিষ্টি জান্নাত একজন দন্ত চিকিৎসক।
শাকিব খানকে নিয়ে বাঁধনের পোস্ট

শাকিব খানকে নিয়ে বাঁধনের পোস্ট ঢালিউডের শীর্ষ তারকা শাকিব খান। দুই দশকের বেশি সময় ধরে রাজত্ব করে যাচ্ছেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে। ঈদ মানেই শাকিবের সিনেমা, আর হলে উপচেপড়া দর্শক। এই সুপারস্টারকে নিয়ে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা প্রকাশ করে পোস্ট দিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। সোমবার (২৩ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন। তাতে শাকিব খানের প্রশংসা করে বাঁধন লিখেছেন, “আমার জীবনে বহু মানুষ আছেন যারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। এর মানে এই নয় যে, আমি তাদের সব মতের সঙ্গে একমত। কিন্তু তাদের জীবনের কিছু দিক, মানসিক দৃঢ়তা, সিদ্ধান্ত আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে। ঠিক তেমন একজন হচ্ছেন আমাদের সুপারস্টার শাকিব খান।” শ্রদ্ধা জানিয়ে আজমেরী হক বাঁধন লেখেন, “শাকিব খান যেভাবে নিজেকে তৈরি করেছেন, তার জন্য আমি শ্রদ্ধা জানাই। এমন তারকাখ্যাতি অর্জন করা সহজ নয়। এটা সম্ভব হয় বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম আর নিজের কাজের প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকলে। তার এই অধ্যবসায় ও অঙ্গীকারই তাকে আজকের শাকিব বানিয়েছে।” শাকিবকে ঘিরে দর্শকদের ভালোবাসার প্রসঙ্গ টেনে বাঁধন লেখেন, “মানুষ তাকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসেন, সেটাই সবচেয়ে বড় অর্জন। আমি বিশ্বাস করি, খ্যাতির সঙ্গে দায়িত্বও বাড়ে। আমার ধারণা, শাকিব সেটা গভীরভাবে উপলব্ধি করেন। তার সব কাজের জন্য শুভকামনা রইল।” ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘তাণ্ডব’। সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ, আফরান নিশো, সাবিলা নূর, রোজী সিদ্দিকী, এজাজ, এফএস নাঈম, ফজলুর রহমান বাবু ও কাজী রাকায়েত। অন্যদিকে ঈদেই মুক্তি পেয়েছে বাঁধন অভিনীত থ্রিলারধর্মী সিনেমা ‘এশা মার্ডার’। এতে একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় এসেছেন তিনি। এটি পরিচালনা করেছেন সানী সানোয়ার।
আম ব্যবসায়ী ওমর সানী

আম ব্যবসায়ী ওমর সানী নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী। কয়েক বছর আগে রেস্তোরাঁ ব্যবসায় নেমেছেন তিনি। এবার জানা গেল অভিনেতা আম ব্যবসাও করছেন। ‘মাটির কোলে’ নামে একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সরাসরি মানুষের ঘরে ঘরে আম পৌঁছে দিচ্ছেন। এ নিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ওমর সানী। তাতে তিনি বলেন, “কাঁচা আম, পাকা আম— সারা পৃথিবীর একটা আশ্চর্যের বিষয়। আমরা গর্ব করে বলতে পারি, আমার জেলা চাঁপাই নবাবগঞ্জ, আমাদের জেলা রাজশাহী। যারা এই সুস্বাদু আমগুলো পেতে চান, তারা আমাদের অনলাইন পেজে অর্ডার করুন, এই জেলার বাগান থেকে ফরমালিন মুক্ত আম সরাসরি আপনার বাসায় পৌঁছে যাবে।” ওমর সানীর এ ভিডিওতে নেটিজেনদের অনেকে মন্তব্য করেছেন। অনেকে আম নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ জানতে চেয়েছেন— আম খারাপ হলে ফেরত নেবেন কি না! তবে আমের দাম ‘বেশি’ বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। বর্তমানে চলচ্চিত্রে খুব একটা নিয়মিত না হলেও নানারকম ব্যাবসায়ীক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ওমর সানী। চলচ্চিত্রে অভিনয় থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও, সমাজ ও দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা রাখতে চান এই নায়ক। ওমর সানি ১৯৯২ সালে নুর হোসেন বলাই পরিচালিত ‘এই নিয়ে সংসার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এরপর ‘চাঁদের আলো’, ‘দোলা’, ‘আখেরি হামলা’ এবং ‘মহৎ’সহ একাধিক ব্যবসাসফল সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন।
আমরা জাতি হিসেবে অত্যন্ত বেহায়া-নির্লজ্জ: শবনম ফারিয়া

আমরা জাতি হিসেবে অত্যন্ত বেহায়া-নির্লজ্জ: শবনম ফারিয়া ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। এতদিন নাটক-টেলিফিল্মের কাজ নিয়েই অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকতেন। তবে তুলনামূলক এখন কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। স্বভাবে অনেকটা—ঠোঁটকাটা। যার কারণে প্রায় সময়ই আলোচনায় থাকেন তিনি। গত বছর গণঅভ্যত্থানে ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান শবনম ফারিয়া। কিন্তু কিছু মানুষের আচরণে ভীষণভাবে আহত তিনি। কেবল তাই নয়, জাতি হিসেবে অত্যন্ত বেহায়া, নির্লজ্জ বলে উপলদ্ধি তার। বুধবার (১৮ জুন) শবনম ফারিয়া তার ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে কখনো অভিমান, কখনো ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই অভিনেত্রী। একটি গল্প দিয়ে লেখা শুরু করেন শবনম ফারিয়া। তিনি লেখেন, “একটা গল্প আছে না, শীতের সকালে একজন ইমাম আর একজন চোরের! ইমাম ভাবে, কি ভালো একটা মানুষ এই ঠান্ডায় ফজরের নামাজ পড়তে এসেছে। চোর ভাবে, কি ভদ্রলোক দেখতে, দাড়িদুড়ি রেখে আবার চুরি করে! এই গল্প থেকে আমরা কি শিখেছিলাম? শিখেছিলাম যে যেমন, যার চিন্তাধারা যেমন, অন্যদেরও তাদের সেইম মনে হয়!” শবনম ফারিয়ার দাবি, পৃথিবীর সব মানুষ টাকার জন্য নীতি বিক্রি করেন না। তার মতে, “বিশ্বাস করেন, পৃথিবীর সব মানুষ ‘টাকার’ (ডলারও পড়তে পারেন) কাছে তাদের ‘এথিক্স’ বিক্রি করে না। দুনিয়ার ‘সব মানুষের’ কাছে টাকাই ‘সব’ না। কিন্তু মানুষ নিজস্বতায় বিশ্বাস করে! স্রোতের বিপরীতেও যায়! রিস্ক নেয়!” গণঅভ্যত্থানের সময়ের একটি ঘটনা বর্ণনা করে শবনম ফারিয়া লেখেন, “জুন মাসে যখন আন্দোলন তুঙ্গে, ইন্টারনেট চলে যাওয়ার পরপর যেসব সেলিব্রিটিদের কাছে, মেট্রোরেল/বিটিভিতে আগুন দেয়ার প্রতিবাদ করার জন্য ভিডিও বানাতে বলা হয়, আমিও তাদের মধ্যে একজন। আমি প্রথমে সময় চেয়ে বলি, ভেবে জানাব! স্বাভাবিক, সে সময় ডাইরেক্ট না করার মতো সাহস যোগার করতে পারিনি। তারাও বলে সময় নেন, আপাতত এমনেতেই ইন্টারনেট নাই। যেহেতু হোয়াটসআপ বন্ধ, তাও সিয়ামকে ডাইরেক্ট মেসেজ দেই, তুমি কি ‘এস’ ভাইয়ের কল পেয়েছো? ও রিপ্লাই করে, ‘হ্যাঁ পেয়েছি এবং না বলেছি।’ তখন সাহস পাই এবং আমিও তখন না বলি।” এই ঘটনা প্রকাশ করার কারণ জানিয়ে শবনম ফারিয়া লেখেন, “এইসব কথা অযথা বলে বেড়ানোর কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না! সেসময় এইটাই করার কথা, না বলেছি বলে আমি বিশেষ কোন ক্রেডিট নিতে চাইনি। যেহেতু আমি ব্যক্তিগতভাবে রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ কোনোভাবেই জড়িত না, অদূর ভবিষ্যতেও কোনো ইচ্ছা কিংবা পরিকল্পনা নেই তাও যখন দেখি কেউ লেখে, ‘এরা তো ডলার খাইছে’ মার্কা কল্পনিক গল্প, হাসা ছাড়া কিছু করার থাকে না। ভাই, আমি এমন অনেক মানুষকে চিনি, যারা মন থেকে আওয়ামীলীগ ভালোবাসে কিন্তু জুলাইতে লাল ডিপি দিসিলো! হয়তো জুলাইকে আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে যেভাবে সে সময় পোট্রে করা হইছে এখন বিষয়টা তেমন নাই, কিন্তু সেসময় আপনি যদি মানুষ হয়ে থাকেন, অমানুষ না হন তাহলে আপনি কোনো মানুষকে হত্যা করার প্রতিবাদ না করে থাকতে পারতেন না, আপনার রাজনৈতিক পরিচয় কিংবা মতাদর্শ যাই হোক!” আর রাজনৈতিক কোনো স্ট্যাটাস দেবেন না শবনম ফারিয়া। তার কারণ ব্যাখ্যা করে এই অভিনেত্রী লেখেন, “এই স্ট্যাটাস দিয়ে বাংলাদেশের পলিটিক্স নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়া বন্ধ করলাম! কারণ ফাইনালি আমি বুঝে গেছি, জাতি হিসেবে আমরা অত্যন্ত বেহায়া এবং নির্লজ্জ, আমরা কক্ষনো ভালো হবো না, যত আন্দোলন হোক, সরকার পরিবর্তন হোক, যতই শান্তিতে নোবেল পাওয়া মানুষ আসুক, আমাদের কেউ দুর্নীতি এবং চুরি করা থেকে আটকাতে পারবে না! শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ যেই ক্ষমতা পাবে সেই অসৎভাবে ব্যবহার করবে। আমি আর আমার নিজ দেশের কাছে আর কোনো প্রত্যাশা রাখি না! পরিশেষে বলতে চাই, সত্যি সত্যি ডলার পেলে আসলে ভালোই লাগতো! শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে ২৫ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে ২০০ ডলার পাসপোর্টে এন্ডোরর্স করতে খুবই কষ্ট হইছে।”
ঢালিউড নায়িকাদের যুদ্ধ: শিল্পে নয়, লড়াই ফেসবুকে

ঢালিউড নায়িকাদের যুদ্ধ: শিল্পে নয়, লড়াই ফেসবুকে নায়িকারা রূপালি পর্দায় থাকেন রোমাঞ্চ ও সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে। অথচ তাদের বাস্তব জীবনে আড়ালে চলে—অসন্তোষ, দোষারোপ আর প্রতিযোগিতার লড়াই। ঢাকাই সিনেমার ইতিহাস ঘাঁটলে এমন বহু প্রমাণ পাওয়া যায়। সম্প্রতি অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর প্রকাশ্য বিবাদ আবারো সামনে এনেছে পুরোনো সেই প্রশ্ন—কেন বারবার নায়িকাদের দ্বন্দ্বে ইন্ডাস্ট্রি মুখর হয়ে ওঠে? ৮০–৯০-এর দশকে শাবানা-চম্পা কিংবা ডলি জহুর-রোজিনার মধ্যে সরাসরি বিবাদ না থাকলেও কে ‘প্রথম নায়িকা’ বা কে বেশি পারিশ্রমিক পান, তা নিয়ে চলত চাপা প্রতিযোগিতা। ২০০০ সালের দিকে মৌসুমী-শাবনূর বা শাবনূর-পূর্ণিমার মধ্যেও ছিল আলোচিত গুঞ্জন ও দ্বন্দ্ব। একবিংশ শতকে এসে অপু-বুবলীর মতামত, পোস্ট ও পাল্টাপাল্টি প্রতিক্রিয়া—সবকিছুই সোশ্যাল মিডিয়ায় দৃশ্যমান। অন্যদিকে পরীমণি ও মিমকে কেন্দ্র করে শরিফুল রাজের নাম জড়িয়ে যে উত্তাপ ছড়ায়, তা কোনো গুজব ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে একে অন্যকে পরোক্ষভাবে আক্রমণ করার উদাহরণ নতুন নয়। পরীমণি ও বুবলীর মধ্যেও দেখা গেছে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব। এছাড়া তমা মির্জা–মিষ্টি জান্নাত কিংবা অধরা খান–জাহারা মিতুর দ্বন্দ্বের খবরও চাউর হয়েছে। এই চিত্র কেবল ঢালিউডে সীমাবদ্ধ নয়। বলিউডে রেখা-জয়ার ঠান্ডা যুদ্ধ, ক্যাটরিনা-দীপিকা, কঙ্গনা-তাপসী কিংবা ঐশ্বরিয়া-ক্যাটরিনা—সবখানেই নায়িকা বনাম নায়িকার চাপা সংঘাত। টলিউডেও শ্রাবন্তী-পায়েল, কোয়েল-রচনা, সায়ন্তিকা-নুসরাত দ্বন্দ্ব মিডিয়ায় ঘুরেছে বহুবার। তবে আন্তর্জাতিক ইন্ডাস্ট্রিগুলো এসব সামলাতে ব্যবহার করে পেশাদার পিআর টিম। ঢাকাই সিনেমায় সেই কাঠামোর ঘাটতি স্পষ্ট। ফলে ব্যক্তিগত রেষারেষি প্রায়ই শিল্পের জায়গা দখল করে নেয়। এসব কারণে সবচেয়ে ক্ষতি হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির সামগ্রিক ভাবমূর্তির। নির্মাতারা পড়েন দোটানায়—কাকে নেবেন, কার বিরুদ্ধে গেলে ‘ব্যান’ হতে হবে। প্রযোজকরা ভয় পান দ্বন্দ্ব যেন প্রমোশন বা শুটিং ক্ষতিগ্রস্ত না করে। আর দর্শক? তারা ভক্তির জায়গা থেকে সরে গিয়ে অপছন্দ করতে শুরু করেন। এসব নায়িকাদের সিনেমার নাম না জানলেও, ব্যক্তিজীবনের রগরগে গল্প দর্শকরা মুখস্ত রাখেন। নায়িকাদের এই প্রতিযোগিতা যদি শিল্পের উৎকর্ষে হতো, তবে তা কল্যাণকর হতো। কিন্তু বাস্তবে তা হয়ে উঠেছে ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাসে জবাব-প্রতিজবাব, খোঁচা আর মুঠোফোনে দেওয়া গসিপের লড়াই। এভাবে চলতে থাকলে শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, শিল্পজীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এখন সময় এসেছে প্রশ্ন তোলার—নায়িকারা কী নিজেদের মধ্যে লড়াই থামিয়ে একে অপরকে শ্রদ্ধা করতে শিখবেন না?
আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি: অপু বিশ্বাস

আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি: অপু বিশ্বাস ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন ও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তিনি। এ পোস্টে অপু জানান, আর কোনো ‘অসুস্থ প্রতিযোগিতায়’ নেই। বরং নিজের সন্তান, কাজ এবং শান্তিপূর্ণ জীবনের পথেই হাঁটতে চান এই অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত নিজের কাজ ও ব্যক্তিজীবনের কিছু মুহূর্ত ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন অপু বিশ্বাস। গতকাল (১৫ জুন) একটি স্ট্যাটাসের সঙ্গে সাবেক স্বামী শাকিব খান ও পুত্র আব্রাম খান জয়ের একটি ছবিও শেয়ার করেন। ছবির ক্যাপশনে লেখেন, “সন্তানের সুন্দর শৈশবের জন্য বাবা-মা হিসেবে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। এটা নিয়ে কেউ যদি অস্বস্তি বোধ করে, সেটা আমার দায় নয়।” অন্য সাধারণ নারীর মতোই অপুর জীবন। এ তথ্য উল্লেখ করে অপু বিশ্বাস লেখেন, “আমি একজন মা, একজন অভিনেত্রী, একজন উদ্যোক্তা। ক্যামেরার বাইরে আমার জীবনটা অন্য সব নারীর মতোই—হাজারো কাজ, পরিকল্পনা আর স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলা। কাউকে কিছু প্রমাণ করার ইচ্ছা নেই। জীবনের প্রতিটি অধ্যায় দর্শকদের সামনে কেটেছে। এখানে লুকোচুরি বা নাটকের কিছু নেই।” অপু বিশ্বাসের দাবি, অসুস্থ কোনো প্রতিযোগিতায় নেই। তার ভাষায়, “অনেকদিন ধরেই দেখছি, আমার কোনো সাধারণ পারিবারিক পোস্টের পরেই কাউন্টার পোস্ট বা প্রচেষ্টা দেখা যায়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—আমি সেই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেই।”কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, “সম্মান অর্জন করতে হয় নিজের আচরণ দিয়ে, অন্যকে ছোট করে নয়। আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি। নিজের জায়গাতেই স্বাচ্ছন্দ্যে আছি। যারা আমাকে ভালোবাসেন, পাশে থাকেন—আপনাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমি আপনাদের বিশ্বাস ভাঙতে চাই না। আর নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে কারো সঙ্গে পা মেলাতে রাজি নই।”অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর পাল্টাপাল্টি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আলোচনা চলছে। দুই নায়িকাই চিত্রনায়ক শাকিব খানের সন্তানদের মা হওয়ায় ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন স্ট্যাটাসে একে অপরকে লক্ষ্য করে মন্তব্য করছেন বলে অনেকের ধারণা। অপু বিশ্বাস এবার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন। তার এই বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে এটি একটি পরিণত ও মর্যাদাপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
পরীমণির চমকপ্রদ স্বীকারোক্তি: ক্রাশ খান গোপনে, হাসেন একা

পরীমণির চমকপ্রদ স্বীকারোক্তি: ক্রাশ খান গোপনে, হাসেন একা ঢালিউডের আলোচিত ও বহুল চর্চিত নায়িকা পরীমণি। রূপ, রস, প্রেম-বিচ্ছেদ আর ব্যক্তিগত জীবনের নানা উত্থান-পতনে বারবার হয়েছেন শিরোনামের কেন্দ্রবিন্দু। এখন ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবেই দুই সন্তানকে ঘিরেই তার জীবনের ব্যস্ততা।পর্দার রূপসী পরী বাস্তবেও কম মুগ্ধ করেন না। অসংখ্য দর্শক-ভক্তের ‘ক্রাশ’ পরীমণি। কিন্তু পরীমণির নিজের ‘ক্রাশ’ কে? একান্ত এক সাক্ষাৎকারে সেই রহস্যের খানিকটা পর্দা তুলেছেন এ সাহসী অভিনেত্রী। “দুম করে একটা কি জানি হয়ে যায়! এটা খুব ডেঞ্জারাস। একা একাই ক্রাশ খাই আমি। একা একাই ভাবতে থাকি, হিহি করতে থাকি, নিজের মনের মধ্যেই চলতে থাকে সব। হয়তো তাকে বলিও নাই!”— বললেন পরীমণি, এক চিলতে হাসি মুখে। শুধু প্রেম নয়, ব্যক্তি জীবনেও পরীমণি ছিলেন খবরের পাতায় নিয়মিত। মামলা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আদালত—সব কিছুই জড়িয়ে গেছে তার জীবনের পর্দা-উত্তর গল্পে। তবে এসব নিয়েও বেশ নির্ভার ও রসবোধসম্পন্ন পরী। “মজাই লাগে আমার। তবু তো লোকজন কিছু একটা করুক! মনে হয়, পৃথিবীতে কোনো সাবজেক্ট না থাকলেও বাংলাদেশে একটা সাবজেক্ট রয়েছে— পরীমণি! যা মন চায় করো,” বললেন হাসতে হাসতে। জীবন, ক্যারিয়ার, সমালোচনা আর ক্রাশ—সব কিছু মিলিয়ে পরীমণির উপস্থিতি যেন এক বহুমাত্রিক গল্প, যার শেষ নেই, ক্লাইম্যাক্সও অনিশ্চিত।
মুক্তি পেল বসুন্ধরা টিস্যু পরিবেশিত ‘ক্যাপিটাল ড্রামা’র প্রথম নাটক

মুক্তি পেল বসুন্ধরা টিস্যু পরিবেশিত ‘ক্যাপিটাল ড্রামা’র প্রথম নাটক একটি অফিসগামী বাস, অফিস ও দুজন কর্মীর মধ্যকার খুনসুটি আর প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘প্রিয় প্রজাপতি’। নাটকটিতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও তাসনিয়া ফারিণ। বসুন্ধরা টিস্যুর পরিবেশনায় জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সাদাত হোসাইনের ‘বিলবোর্ড’ গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটকটি নির্মাণ করেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা জাকারিয়া সৌখিন। রোববার (৮ জুন) সন্ধ্যায় নাটকটি উন্মুক্ত হয়েছে ‘ক্যাপিটাল ড্রামা’ ইউটিউব চ্যানেলে। ঈদের বিশেষ এই নাটকের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে নতুন এই ইউটিউব চ্যানেলটি। নাটকটি প্রসঙ্গে এর নির্মাতা বলেন, “এটি একটি পরিপূর্ণ ফিল-গুড কনটেন্ট। খাঁটি রোমান্টিক-কমেডিও বলা যেতে পারে। সাদাত হোসাইনের লেখা আমার ভালো লাগে। নিয়মিত পড়ি। তার ‘বিলবোর্ড’ গল্পটি পড়ার পর সেটাকে নাটকে রূপ দেওয়ার ভাবনা মাথায় আসে। অপূর্ব-ফারিণের দারুণ অভিনয়ে ঈদের উপভোগ্য একটি নাটক হবে এটি। ”‘প্রিয় প্রজাপতি’ নাটকটিতে একটি গান রয়েছে, যেটার কথা লিখেছেন সোমেশ্বর অলি। জাহিদ নিরবের সুর-সংগীতে এতে কণ্ঠ দিয়েছেন জাহিদ ও আতিয়া আনিসা।
হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা জাহিদ হাসান

হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা জাহিদ হাসান শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও প্রযোজক জাহিদ হাসান। গত চার দিন ধরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। অভিনেতার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ১০ জানুয়ারি নাটকের শুটিংয়ে নেপাল গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ঠান্ডা লাগে। সাত দিন নেপালে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর ১৭ তারিখ শুটিং শেষে নেপাল থেকে ফিরেই সাধারণ চেকআপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন জাহিদ হাসান। তখন তার শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, অ্যাজমার সমস্যা প্রকট হওয়ায় তাকে আনা হয়েছিল। তিনি হাসপাতালের সি ব্লকের একটি কেবিনে আছেন। চিকিৎসকরা জানান, ঠান্ডার সমস্যা, প্রেসার, ডায়াবেটিস এ কারণে জাহিদ হাসান অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন তার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভালো। হাসপাতালে জাহিদ হাসানের দেখাশোনা করছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ ও দুই সন্তান। নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান। এখনো কাজ করে যাচ্ছেন সমানতালে। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাতেও সময় দিচ্ছেন তিনি। ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে জাহিদ হাসান অভিনীত সিনেমা ‘উৎসব’। তানিম নূর পরিচালিত পারিবারিক গল্পের এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন আফসানা মিমি, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী, জয়া আহসান প্রমুখ।