লালনের গান বিশ্বমঞ্চেও ছড়িয়েছেন ফরিদা পারভীন

লালনের গান বিশ্বমঞ্চেও ছড়িয়েছেন ফরিদা পারভীন দিদারুল আলম লালনকন্যা খ্যাত ফরিদা পারভীন, তিনি কেবল বাংলাদেশ নয়, লালনের গান ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বমঞ্চেও। লালনের গানে অসাধারণ গায়কী প্রতিভা ছিল তাঁর। তাইতো তিনি ‘লালন কন্যা’ ও লালনের গানের ‘সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে খ্যাত হন। লালন সাঁইয়ের ‘সত্য বল সুপথে চল’ ‘আমি অপার হয়ে বসে আছি, ‘বাড়ীর কাছে আরশীনগর’, ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘জাত গেল জাত গেল বলে’, ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’ সহ অসংখ্য গানকে তিনি তাঁর গায়কী ঢঙ দিয়ে কালজয়ী করেছেন। তাঁর গীত এসব গান শ্রোতাদের দিয়েছে গভীর মগ্নতা। লালনের আধ্যাত্মিক ও মানবতাবাদী দর্শন তাঁর কণ্ঠমাধুর্যে আরো তীব্র ও গভীর হয়ে উঠেছে যা মানবাত্মাকে করেছে সমৃদ্ধ। ফরিদা পারভীন ২০০১ সালে জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লালনের গানকে পরিচিত করে তোলেন। এছাড়া সুইডেন, ডেনমার্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি তাঁর কণ্ঠ দিয়ে ছড়িয়েছেন লালনের দর্শন। তাঁর কণ্ঠে লালনের গান কেবল সংগীত নয়, হয়ে উঠেছে এক অনন্য জীবনদর্শন। পরে তিনি গড়ে তোলেন ‘ফরিদা পারভীন ট্রাস্ট’, যার লক্ষ্য ছিল লালনের গান সংরক্ষণ, স্বরলিপি তৈরি এবং বাদ্যযন্ত্রের আর্কাইভ তৈরি। ফরিদা পারভীনের রক্তে ছিল গান। তাঁর দাদি গান করতেন। বাবার ছিল গানের প্রতি অনুরাগ। ১৯৬৮ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে কিশোরী ফরিদা শুরু করেছিলেন পেশাদার সঙ্গীতজীবন। সেই থেকে শুরু, গতকাল অবসান হলো তাঁর ৫৫ বছরের এই বর্ণাঢ্য সঙ্গীতজীবনের। ফরিদা পারভীনের প্রয়াণের মধ্যদিয়ে লালনসঙ্গীতের সুধাময় এক কণ্ঠের পরিসমাপ্তি হলো। তবে তার ধারণকৃত কণ্ঠ বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মনকে প্রশান্তি দেবে অনন্ত কাল। লালনের গান গেয়ে ফরিদা পারভীন নিজেকে গগনস্পর্শী উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সুধীজনের কাছে তিনি লালনসম্রাজ্ঞী। দেশের গানেও ছিল তাঁর অনন্য কণ্ঠ। তাঁর গাওয়া ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানটি আজও বাংলার মানুষকে স্মৃতিকাতর করে। নাটোরের সিংড়ায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন ছোটবেলায় ছিলেন চঞ্চল প্রকৃতির। প্রায় সারাক্ষণ দৌড়ঝাঁপ আর খেলাধুলায় মেতে থাকতেন। দাদা ও নানাবাড়ির মাঝখানে ছিল এক নদ। আত্রাইয়ের সেই শাখানদের নাম ছিল গুর। ওই নদ পার হয়ে তরুণ ফরিদা দাদার বাড়ি থেকে নানার বাড়ি যেতেন। নানার বাড়ির পাশে বিরাট এক বিল ছিল। শৈশবে খেলার সঙ্গী মামাতো ভাইবোনদের সঙ্গে মিলে সেই বিলে শাপলা তুলতে যেতেন। ফরিদার শৈশবের সময়টা তার কেটেছে মাগুরায়। স্কুলজীবনের শুরুটাও সেখানে। সে সময় ওস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে তাঁর সঙ্গীতে হাতেখড়ি। বাবার চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় থেকেছেন। পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুলে। পরে দীর্ঘদিন কুষ্টিয়া শহরে ছিলেন ফরিদা। কুষ্টিয়ার মীর মশাররফ হোসেন বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। ১৯৭৪ সালে কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে স্নাতক। ওই শহরেই দীর্ঘদিন তিনি চর্চা করেছেন লালনগীতি। শৈশব থেকেই ফরিদা পারভীনের পছন্দ ছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান। ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীন রাজশাহী বেতারে নজরুলশিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর লালনগীতির সঙ্গে তার আত্মিক বন্ধন তৈরি হয়। তখন তিনি কুষ্টিয়ায়। সেখানে তাদের পারিবারিক বন্ধু ছিলেন মোকছেদ আলী সাঁই। ১৯৭৩ সালে ফরিদা পারভীন তার কাছেই ‘সত্য বল সুপথে চল’ গানটি শিখে লালন সাঁইজির গানের তালিম নেন। মোকছেদ আলী সাঁইয়ের মৃত্যুর পর খোদাবক্স সাঁই, ব্রজেন দাস, বেহাল সাঁই, ইয়াছিন সাঁই ও করিম সাঁইয়ের কাছে লালনসঙ্গীত শেখেন তিনি। এরপর পুরোই মগ্ন হন লালনসঙ্গীতে। ফরিদা পারভীনের প্রথম স্বামী প্রখ্যাত গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী আবু জাফর। সেই সংসারে তাদের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। জিহান ফারিয়া, ইমাম নিমেরি উপল, ইমাম নাহিল সুমন ও ইমাম নোমানি রাব্বি। তার দ্বিতীয় স্বামী বাঁশিশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম। সঙ্গীতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৯৩ সালে ‘অন্ধ প্রেম’ সিনেমায় ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তিনি ২০০৮ সালে জাপানের সম্মানসূচক ফুকুওয়াকা পুরস্কার লাভ করেন। প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন(ইন্নালিল্লাহি….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্বামী ও চার সন্তান রেখে গেছেন। ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও সংস্কৃতি, মৎস উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টাগণ শোক প্রকাশ করেছেন। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। তাকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হতো। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তখন ডায়ালাইসিসের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখন চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়ে দিয়েছেন পুরোটা জীবন। সংগীত জীবনে তাঁকে পার হতে হয় অনেক চড়াই-উৎরাই। নানা ধরনের গান করলেও শিল্পীজীবনে পরিচিতি, জনপ্রিয়তা, অগণিত মানুষের ভালোবাসা মূলত লালন সাঁইয়ের গান গেয়েই। কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন চিরনিদ্রায় শায়িত হচ্ছেন কুষ্টিয়ায়। তাঁর মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর তাঁকে নেওয়া হচ্ছে কুষ্টিয়ায়। সেখানে বাদ মাগরিব নামাজে জানাজা শেষে কুষ্টিয়ার পৌর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে। ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম নিমেরি উপল সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাকে আমরা কুষ্টিয়ায় দাফন করব, তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী।’ সূত্র: বাসস
অবশেষে নিশোর সঙ্গী নাবিলা!

অবশেষে নিশোর সঙ্গী নাবিলা! জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো ও নির্মাতা ভিকি জাহেদ আবারো ফিরছেন নতুন গল্প নিয়ে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-তে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাদের নতুন সিরিজ ‘আকা’। এই সিরিজে যুক্ত হয়েছেন অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলা। ওটিটিতে এটাই তার প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাজ। গত কয়েক মাস ধরে গুঞ্জন উড়ছে, বড় পর্দায় অভিষেকের পর নিশো আবারো ফিরছেন ওটিটিতে। অবশেষে সেই খবর সত্যি হলো। প্রায় তিন বছর পর ওটিটির জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন ‘সুড়ঙ্গ’ তারকা। ‘আকা’ নিয়ে নিশো বলেন, “আমি সিরিজটি নিয়ে আশাবাদী। দর্শক নিশ্চয়ই ভিন্ন স্বাদের কিছু পাবেন।” পরিচালক ভিকি জাহেদ বলেন, “আকা’ নির্মাণ আমার কাছে এক আবেগের যাত্রা। এটি আমার প্রথম সামাজিক থ্রিলার। দর্শকদের সঙ্গে এক ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করেছি, প্রতিক্রিয়াই জানিয়ে দেবে সেটা কতটা সফল হয়েছে। নিশো ভাইয়ের সঙ্গে বহু কাজ করলেও সিরিজে এটাই প্রথম। নাবিলা আপুও দারুণ সহযোগী ছিলেন।” প্রথম সিরিজ নিয়ে আশা ব্যক্ত করে নাবিলা বলেন, “আকা’ আমার জন্য বিশেষ একটি কাজ। প্রথম সিরিজ হিসেবে আমি খুব আনন্দিত। আশা করি, দর্শকরা শুধু আমার চরিত্র নয়, পুরো গল্পকেই আপন করে নেবেন।” ন্যায়–অন্যায়, শোধ–প্রতিশোধ, সাসপেন্স ও রহস্যের মিশ্রণে নির্মিত হয়েছে ‘আকা’। ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে দৃশ্যধারনের কাজ হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে হইচইয়ে সিরিজটি মুক্তি পাবে।
মঙ্গলবার বাজারে আসছে নতুন ১০০ টাকার নোট

মঙ্গলবার বাজারে আসছে নতুন ১০০ টাকার নোট ১০০০, ৫০ এবং ২০ টাকার নতুন নোটের পর এবার আগামী মঙ্গলবার থেকে বাজারে ১০০ টাকার নতুন নোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক নুরুন্নাহার স্বাক্ষরিত কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্যের নতুন ডিজাইন ও সিরিজে সব মূল্যমানের নতুন নোট মুদ্রণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তার ধারাবাহিকতায়, ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোটের পর ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের স্বাক্ষরিত করা ১০০ টাকার নতুন নোট এবার বাজারে প্রচলন করা হবে। আরও বলা হয়, আগামী ১২ আগস্ট প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে এবং পরে দেশের অন্যান্য অফিস থেকে নতুন ১০০ টাকার নোট ইস্যু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বন্দী শাকিব, চোখে পানি!

বন্দী শাকিব, চোখে পানি! রায়হান রাফি পরিচালিত আলোচিত সিনেমা ‘তাণ্ডব’। ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমার কয়েকটি দৃশ্য হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকের বিভিন্ন প্রোফাইল, সিনেমা সংশ্লিষ্ট পেজ এবং গ্রুপে ছবিগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে শাকিব খানের একটি দৃশ্য, যেখানে শাকিব খানকে বন্দী অবস্থায় প্লেট হাতে ভাত খেতে দেখা যায়। ক্লান্ত চেহারা, মুখে গভীর কষ্টের ছাপ আর চোখে জল—এই স্থিরচিত্রে শাকিব খানের আবেগী অভিব্যক্তি দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে। অনেকেই ছবিটির মাধ্যমে তার অভিনয়শৈলী ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেছেন। ঢালিউডের নির্মাতা থেকে শুরু করে বিনোদন অঙ্গনের নানা পেশার মানুষ ছবিটি শেয়ার করে শাকিব খানের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। কেউ বলেছেন, “অভিনয়ের চেয়ে বেশি কিছু তিনি। একপ্রকার পর্দাজুড়ে আধিপত্য।” কেউ বলেছেন, “তার উপস্থিতিতেই বাংলাদেশি সিনেমা বাঁচে।” সিনেমাটির আলোচিত এই ছবিগুলো তুলেছেন ফটোগ্রাফার ফারহান রোমান। ছবিগুলো শেয়ার করে তিনি লেখেন, “শাকিব খানের মতো শিল্পীর ছবি তোলা মানে শুধু ছবি নয়, আবেগের চিত্রায়ন। শাকিব খান সেই বিরল শিল্পীদের একজন, যিনি নিজেকে চরিত্রে এতটাই মিশিয়ে দেন যে, কেউ ক্যামেরায় ধরছেন—তা হয়তো তিনি খেয়ালও করেন না।” এবারের ঈদে মুক্তি পায় ‘তাণ্ডব’ সিনেমা। মাল্টিপ্লেক্সে একসঙ্গে ২৮টি শো দিয়ে যাত্রা শুরু করে। সেইসঙ্গে দেশের শতাধিক সিঙ্গেল স্ক্রিনেও এটি প্রদর্শিত হয়। সিনেমাটির গল্পও রায়হান রাফির। এ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—শাকিব খান, সাবিলা নূর, জয়া আহসান, আফজাল হোসেন, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত প্রমুখ।
সেদিন রাতে আমি নোবেলের সঙ্গে ছিলাম না: সালসাবিল

সেদিন রাতে আমি নোবেলের সঙ্গে ছিলাম না: সালসাবিল গত ১৯ জুলাই মধ্যরাতে বিতর্কিত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে আটক করে পুলিশ। অবশ্য, জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে ছেড়ে দেয়। এদিকে, খবর ছড়িয়েছে—সেদিন রাতে নোবেলের সঙ্গে ছিলেন তার প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। তবে খবরটি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন সালসাবিল। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট দিয়েছেন সালসাবিল। পাশাপাশি একটি ভিডিও বার্তায় এ খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। তার ভাষায় আমি নোবেলের সঙ্গে ছিলাম না। আমি সারারাত আমার বাসায় ঘুমাচ্ছিলাম।” ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সালসাবিল মাহমুদ বলেন, “আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, আমার ফোনে অনেক মেসেজ, কল। এসব আমার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা করেছে। আমি নাকি নোবেলের সঙ্গে মদ্যপ অবস্থায় ছিলাম, সেই অবস্থায় পুলিশ নাকি আমাকে আটক করেছিল। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় আমার সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আমার আত্মীয়-স্বজন সকলেই আমাকে ফোন করে জানতে চাচ্ছে, আমি ছাড়া পেয়েছি কি না! এটা আমার জন্য খুবই বিব্রতকর সংবাদ।” প্রথম সারির একটি গণমাধ্যম তার নাম উল্লেখ করে খবরটি প্রকাশ করেছেন বলে দাবি সালসাবিলের। তিনি বলেন, “আমাকে নিয়ে এ ধরনের একটা নিউজ করা হলো। আমিও তো একটা সমাজে বসবাস করি। আমার পরিবার আছে। এ ধরনের একটা নিউজ একটা পরিবার, একটা মেয়ের জন্য খুবই অসম্মানের। নিউজটি করার আগে আমার সঙ্গে অন্তত যোগাযোগ করতে পারতেন। কারণ অনেক সাংবাদিকের কাছে আমার নাম্বার রয়েছে।” জানা যায়, শনিবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় উবারচালকের সঙ্গে মারামারি করেন কণ্ঠশিল্পী নোবেল। তিনি প্রাইভেটকার ভাড়া করে হাবুলের পুকুরপাড় এলাকায় আসেন। এ সময় তার সঙ্গে একজন নারীও ছিলেন। গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পরও নোবেল গাড়ি থেকে নামতে রাজি হচ্ছিলেন না। তিনি উদ্ভট কথাবার্তা ও গালাগালি করতে থাকেন। একপর্যায়ে উবারচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান নোবেল। পরে উত্তেজিত হয়ে গাড়িচালককে মারধর করেন তিনি। মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ রোমান বলেন, “একজন গাড়িচালকের সঙ্গে গায়ক নোবেলের তর্ক-বিতর্ক হয়। ওই সময় স্থানীয় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল বলে আমরা তাকে থানায় নিয়ে আসি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়।”
ময়না গানে বুবলীর সঙ্গে জীবনের ‘কেমিস্ট্রি’

ময়না গানে বুবলীর সঙ্গে জীবনের ‘কেমিস্ট্রি’ ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় মুখ শবনম বুবলী। এবার সিনেমার বাইরেও ধরা দিলেন নতুন এক অভিজ্ঞতায়— নাচলেন মিউজিক ভিডিওতে। ‘ময়না’ শিরোনামের গানটিতে তার সঙ্গে পারফর্ম করেছেন অভিনেতা ও নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবন। প্রথমবারের মতো দুজনকে একসঙ্গে দেখা যাবে একটি মিউজিক ভিডিওর রঙিন পরিবেশনায়। সম্প্রতি এফডিসিতে বিশাল সেট নির্মাণ করে শুটিং হয়েছে ময়নার। এটি ‘বাংলা অরিজিনালস’-এর প্রথম গান। মুক্তি পাবে ২৪ জুলাই। ‘ময়না’ গানটি গেয়েছেন কোনাল। আসিফ ইকবালের কথায় এর সুর-সংগীত করেছেন কলকাতার আকাশ সেন। কোনালের সঙ্গে এতে কণ্ঠ দিয়েছেন নিলয় ডি রকস্টার। গান প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, “বলতে পারেন এটা আমার জন্য একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা। এর আগে সিনেমার অনেক গানে নেচেছি। শুধু মিউজিক ভিডিওতে কাজ করাটা একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। গানটি এতোটাই পার্টি মুডের যে শুনলেই নাচতে ইচ্ছে করে। মনে হয়েছে, স্টেজে সব সময় যেটা পারফর্ম করা যায়, এমন একটি গান আমারও থাকা উচিত।”
ভারতীয় সিনেমায় জয়া, ঘোর আপত্তি জুঁই বিশ্বাসের

ভারতীয় সিনেমায় জয়া, ঘোর আপত্তি জুঁই বিশ্বাসের দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ওপারেও নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। বাংলাদেশের অনেক তারকাই এখন কলকাতার সিনেমা, ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন। তবে জয়া আহসান সেখানে অনেকটা ব্যতিক্রম। ভারতীয় বাংলা সিনেমার গণ্ডি পেরিয়ে বলিউডেও কাজ করছেন এই অভিনেত্রী। ভারতীয় সিনেমায় বাংলাদেশি শিল্পীদের কাজ করা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন কলকাতা পৌর করপোরেশনের নারী কাউন্সিল জুঁই বিশ্বাস। বিশেষ করে জয়া আহসানের কাজ নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন। জুঁই অভিনেত্রী না হলেও শোবিজ অঙ্গনে পরিচিত মুখ। এই অঙ্গনের তারকাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) জুঁই তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তাতে জয়ার কাজ করা নিয়ে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। জুঁই বলেন, “আমরা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা কী জেগে ঘুমিয়ে আছি? আমাদের শিল্পী, কলাকুশলী, ইভেন্ট অর্গানাইজাররা বাংলাদেশে কাজ করতে পারছেন না, আটক করে রাখা হচ্ছে, অথচ জয়া আহসানকে ভারতে রেড কার্পেট দিয়ে অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কোনো শিল্পীর কি প্রতিভা নেই, জয়া যে চরিত্রটি করেছেন সেখানে অভিনয় করার মতো? কেন ভারতীয় জাদুঘরে তার মিউজিক অ্যালবাম রিলিজ হয়?” জুঁইয়ের এই বক্তব্য নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো খবরও প্রকাশ করেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে জুঁই তার ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। এতে জুঁই বলেন, “এটি সত্যি যে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীরা বাংলাদেশে কাজ করতে গেলে প্রশাসনিক জটিলতা, ভিসা জট বা এমনকি ডিটেনশন-এর মতো ঘটনাও ঘটছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও দুশ্চিন্তার বিষয়। যদি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান হয়, তাহলে সেটা দুই-পক্ষের হওয়া উচিত—না যে এক তরফা উদারতা দেখাতে হবে, না এক তরফা বন্ধুত্ব মেনে নিতে হবে।” উদাহরণ হিসেবে আবারো জয়া আহসানকে টেনে আনেন জুঁই বিশ্বাস। তার ভাষায়, “বাংলাদেশ যদি ভারতীয় শিল্পীদের জন্য সুযোগ সীমিত করে রাখে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে, ভারত কেন বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য দরজা খোলা রাখছে? জয়া আহসান নিঃসন্দেহে একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রী, কিন্তু প্রশ্নটা প্রতিভার নয়—প্রশ্নটা ন্যায়বিচার ও ভারসাম্যের। যখন ভারতীয় শিল্পীরা সীমাবদ্ধতায় ভোগেন, অথচ বাংলাদেশি শিল্পীরা এখানে বড় সুযোগ পান, তখন তা সবার চোখে বৈষম্য বলে মনে হয়।” প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জুঁই বিশ্বাস বলেন, “এখানে পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কি সেই চরিত্রগুলো করতে অক্ষম? অবশ্যই না। তাহলে বারবার বিদেশি শিল্পীদের এমন ‘বাড়তি’ গুরুত্ব দেওয়ার যুক্তি কী? প্রযোজক-পরিচালকরা দেশ বিরোধী কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিৎ নয় কি? যেকোনো শিল্পচর্চা অবশ্যই মুক্ত হওয়া উচিত। কিন্তু তার মধ্যে দেশীয় শিল্পীদের সুযোগ দেওয়াটাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যখন তাদের কাজের সুযোগ বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে দেওয়া হয় (যেখানে সেই দেশ ভারতীয় শিল্পীদের আটকে দেয়), তখন সেটি দায়বদ্ধতার অভাব বলেই মনে হয়।” প্রতীকী সহযোগিতা নয়, স্থায়ী নীতিগত অবস্থান দরকার বলে মনে করেন জুঁই। তার মতে, “যদি পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারত নিষিদ্ধ করে, তাহলে বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য শর্তহীন মঞ্চ কেন? একতরফা সংস্কৃতিক দান কি আর রাজনীতি বা কূটনীতিতে কার্যকর? এটি নিছকই অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রশ্ন নয়। এটি একটি ‘সফট পাওয়ার’ বা সাংস্কৃতিক ক্ষমতার প্রশ্ন। যখন ভারতের শিল্পীরা অন্য দেশের বাজারে প্রবেশ করতে পারে না, অথচ বিপরীতে সেই দেশের শিল্পীরা ভারতে ব্যবসা, সম্মান এবং সুযোগ পান, তখন এটা কেবল ‘বাণিজ্য’ নয়—ভারসাম্যহীনতা ও আত্মমর্যাদার প্রশ্ন। আমরা উদারতা দেখাচ্ছি—কিন্তু তার মূল্য দিচ্ছে নিজেরাই। উদারতা কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি দিক হতে পারে, কিন্তু তার ভিত্তি হওয়া উচিত পারস্পরিকতা। বন্ধুত্ব কাঁধে কাঁধ রেখে চলে, হাঁটু গেড়ে নয়।”
‘কন্যা’ পর কনার নতুন ধামাকা ‘সোনা জান’

‘কন্যা’ পর কনার নতুন ধামাকা ‘সোনা জান’ সবশেষ ‘কন্যা’ গান দিয়ে শ্রোতাদের মনে দোলা দিয়েছেন সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। ভক্তদের জন্য সুখবর হলো এবার আরেকটা ধামাকা নিয়ে এসেছেন এই গায়িকা। কনার এবারের গানের শিরোনাম ‘সোনা জান’। ‘কন্যা’র পর এটিরও কথা লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আদিব কবির। রোববার (১৩ জুলাই) বিকালে গানটি প্রকাশ পেয়েছে ভিডিও আকারে। যেখানে রোমান্স করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় দুই অভিনয়শিল্পী অলিভিয়া সরকার ও অমিত পাল। বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে এটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন মোহন ইসলাম। কোরিওগ্রাফি করেছেন রোহান বেলাল। ট্রেন্ডি কথা-সুর ও ভরপুর ভালোবাসা সাজানো গান-ভিডিওটি তৈরি হয়েছে কেএম মিউজিকের ব্যানারে। প্রযোজনা করেছেন মাহামুদুল হাসান শোভন। গানটি প্রসঙ্গে শোভন বলেন, কনা আপু আমার খুব পছন্দের একজন গায়িকা। রবিউল ইসলাম জীবন ভাই এবং আদিব কবিরের কাজেরও ভক্ত আমি। সব মিলিয়ে তাদের নিয়ে কাজটি করা। গানটির মাধ্যমে আমরা শ্রোতা-দর্শকদের বিনোদন দিতে চেয়েছি। সবার ভালো লাগবে বিশ্বাস। তিনি বলেন, এই গানের ভিডিওতে অভিনয় করা দুজনই কলকাতার। বিশেষ করে অলিভিয়া সরকার স্টার জলশার অনেক পরিচিত মুখ। কয়েকটি সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজও করেছেন। দুই বাংলার শ্রোতাদের কথা মাথায় রেখেই কাজটি করা। গানটি উন্মুক্ত করা হয়েছে ইউটিউবে ‘কেএম মিউজিক’ চ্যানেলে।
স্বামীর নামে ‘প্রেম তালা’ লাগালেন মেহজাবীন

স্বামীর নামে ‘প্রেম তালা’ লাগালেন মেহজাবীন দেশের আলোচিত তারকা দম্পতি মেহজাবীন চৌধুরী ও নির্মাতা আদনান আল রাজীব। এক যুগের বেশি সময় সম্পর্কে ছিলেন তারা। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেন এই তারকা জুটি। এবার মেহজাবীন নিজদের ভালোবাসাকে তালাবন্দী করলেন, যেন এই ভালোবাসার তালা কখনোই খুলে না যায়। কেননা তালার চাবি কখনোই খুঁজে পাওয়া যাবে না, চাবি পড়ে রয়েছে নদীর তলদেশে। ফ্রান্সের একটি নদীর ব্রিজে নিজের ও স্বামী আদনান আল রাজীবের নাম লিখে তালা লাগিয়েছেন মেহজাবীন। সেই তালার চাবি ফেলে দিয়েছেন নদীতে। এরই কয়েকটি ছবি সামাজিকমাধ্যমে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লিখেছেন লক। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের এই সেতুর রেলিং-এ প্রেমিক-প্রেমিকারা তাদের ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে তালা লাগিয়ে দেন। সাইন নদীর উপর ‘পঁ দে আর্টস’ সেতুতে ‘প্রেম তালা’ লাগিয়ে চাবি নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া পর্যটকদের মধ্যে এক ধরনের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এই সেতুতেই তালা লাগিয়েছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। মেহজাবীন কখন এই তালা লাগিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। কেননা সম্প্রতি তিনি ইউরোপ ভ্রমণের ছবি পোস্ট করছেন। একদিন ইতালির মিলান শহরে ঘোরার ছবি পোস্ট করেছেন। তার আগে দিলেন সুইজ্যারল্যান্ডে ঘোরার ছবি। কিছুদিন আগে কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছিলেন, এই ভ্রমণ তখনকার নাকি, জানা যায়নি। যতবে ‘প্রেম তালা’ লাগিয়ে দেওয়ার পর ভক্তরাও আশা প্রকাশ করছেন এই তালা যেন কখনোই না খোলে, আর ভাঙতেও না হয়।
দেশ ছাড়লেন শাকিব খান!

দেশ ছাড়লেন শাকিব খান! ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমা ঈদুল আজহায় মুক্তির পর দেশজুড়ে সাড়া ফেলেছিল। এবার সিনেমাটির আন্তর্জাতিক যাত্রা শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্র দিয়ে। পরিচালক রায়হান রাফীর অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটি ইতোমধ্যে হিউস্টন, ক্যালিফোর্নিয়া, বোস্টন, অরল্যান্ডো, স্যাক্রামেন্টোসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১০টি শহরের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির দুই দিন পরই দেশ ছেড়েছেন ঢালিউডের এই মেগাস্টার। শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে বিমানের ভেতর তোলা নিজের একটি ছবি শেয়ার করে শাকিব লেখেন, “রোমাঞ্চকর যাত্রা শুরু হোক!” ছবিতে দেখা যায়, সাদা টি-শার্ট, চোখে সানগ্লাস, মাথায় ‘লুলুলেমন’ ব্র্যান্ডের ক্যাপ—জানালার পাশে বসে আছেন তিনি। যদিও পোস্টে সফরের নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করেননি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, ‘তাণ্ডব’-এর প্রিমিয়ার শো এবং প্রবাসী দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি ছবি দেখা-সংক্রান্ত আয়োজনে অংশ নিতে তার এই সফর। এদিকে, শাকিব খানকে ঘিরে আরেকটি নতুন গুঞ্জন ছড়িয়েছে। শোনা যাচ্ছে, নব্বইয়ের দশকের কুখ্যাত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ‘কালা জাহাঙ্গীর’-এর জীবনী নিয়ে একটি সিনেমা নির্মাণ হতে যাচ্ছে, সিনেমাটির নাম ভূমিকায় দেখা যেতে পারে শাকিব খানকে। আগামী ঈদে মুক্তির লক্ষ্যে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি।