গুরুতর অভিযোগ তুলে মিস ইউনিভার্সের দুই বিচারকের পদত্যাগ

গুরুতর অভিযোগ তুলে মিস ইউনিভার্সের দুই বিচারকের পদত্যাগ ‘মিস ইউনিভার্স ২০২৫’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসরের কয়েক দিন আগে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দুই বিচারক। তাদের একজনের অভিযোগ—প্রতিযোগিতাটি সাজানো বা পক্ষপাতদুষ্ট। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসের। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার আট সদস্যের জুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য লেবানিজ-ফরাসি সংগীতশিল্পী ওমর হারফু। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। তাতে তিনি বলেন, “মিস ইউনিভার্সের চূড়ান্ত আসরের বিচারকের পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা ব্যাখ্যা করা জরুরি মনে করছি।” বিচারক ওমর কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। তার ভাষায়—“ফাইনালের দুই দিন আগে ১৩৬ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ৩০ জনকে প্রাক-নির্বাচনের জন্য একটি ‘গোপন ভোট’ নেওয়া হয়। যারা এই ভোট নিয়েছেন তারা জুরি বোর্ডের কোনো সদস্য নন। এখন পর্যন্ত কেউ জানেন না, নির্বাচিত সেই ৩০ জন কারা। একজন ব্যক্তির কাছে সেই তালিকাটি রয়েছে। এই ব্যক্তি অংশগ্রহণকারী একটি দেশের জাতীয় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত; যা স্পষ্টতই একটি ‘স্বার্থের সংঘাত’।” খানিকটা ব্যাখ্যা করে ওমর বলেন, “আমি জনসমক্ষে বা টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে এমন একটি ভোটকে বৈধতা দেওয়ার ভান করতে পারি না; যে ভোটে আমি অংশই নিইনি। এই প্রক্রিয়ায় যে দেশগুলো বাদ পড়েছে, তাদের মধ্যে কেউ যুদ্ধাবস্থায় থাকতে পারে, বৈষম্যের শিকার হতে পারে, অথবা ভূ-রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল হতে পারে। দর্শকরা ধরে নিতেন যে, এই সিদ্ধান্তগুলো জুরি বোর্ড নিয়েছে এবং এমন একটি প্রক্রিয়ার দায় আমি নিতে পারি না, যেটিতে আমি যুক্তই ছিলাম না। এর বিপরীত অবস্থান নেওয়া অসৎ আচরণ হতো।” ওমর এখানেই থেমে যাননি। এরপর আরো বেশ কয়েকটি পোস্ট দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়েরের পরিকল্পনা করেছেন। এ বিষয়ে নিউ ইয়র্কের অন্যতম শীর্ষ আইন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পরামর্শ করেছেন বলেও জানান তিনি। ওমরের পদত্যাগের ঘোষণার এক ঘণ্টা পরে ফরাসি ফুটবল ম্যানেজার ক্লদ মাকেলেলে জুরি বোর্ড থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে এ বিচারক ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর বসেছে থাইল্যান্ডে। এ আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তানজিয়া জামান মিথিলা। আগামী ২১ নভেম্বর এ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে।
৩২ নম্বরে বুলডোজার নিয়ে যাওয়া দলকে ‘রাজাকার’ বললেন শাওন

৩২ নম্বরে বুলডোজার নিয়ে যাওয়া দলকে ‘রাজাকার’ বললেন শাওন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার দিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ফের আনা হয়েছে দুটি বুলডোজার। আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে ট্রাকে করে বুলডোজার দুটি নেওয়া হয়। সে সময় ট্রাকের ওপরে হাতে মাইক নিয়ে কয়েকজন তরুণকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে একজন বলেন ‘রেড জুলাই’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সেখানে বুলডোজার দুটি আনা হয়েছে। তবে ৩২ নম্বরে যারা বুলডোজার নিয়ে গেছে তাদের রাজাকার আখ্যা দিয়েছেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। দুটি বুলডোজার ধানমন্ডির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন শিরোনামের বিবিসি বাংলার একটি সংবাদের কার্ড শেয়ার করে শাওন লিখেছেন, ‘মনের ভয়ই আসল ভয় বুঝেছিস গাধার দল! বারবার ভেঙে, বারেবারে আগুন দিয়েও তোদের ভয় যায়নি… এই ভাঙা বাড়ির প্রতিটা ধূলিকণা যে বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে মিশে আছে সেটাকে কীভাবে অস্বীকার করবিরে রাজাকার বাহিনী!’ ওই পোস্টে শাওন হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন #তুই_রাজাকার ও #ধানমন্ডি_৩২ এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে’ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটনার ছয় মাস পূর্তির দিন গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘বুলডোজার মিছিল’ কর্মসূচি থেকে ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙা হয়।
যেসব অভিযোগে মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

যেসব অভিযোগে মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। ব্যবসায় অংশীদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২৭ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ করা ও হত্যার হুমকি দেওয়ার’ অভিযোগে এ পরোয়ানা জারি করা হয়। ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আফরোজা তানিয়া গত ১০ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার বাদী আমিরুল ইসলাম রোববার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তথ্য নিশ্চিত করেন। আমিরুল বলেন, গত ১০ নভেম্বর মামলার আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ঠিক থাকলেও তারা আসেনি। এজন্য আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামি ১৮ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছে আদালত। মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আমিরুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ২৭ লাখ টাকা দেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় আমিরুল ইসলাম বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দিব, কালকে দিবো বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে। পরবর্তীতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকালে পাওনা টাকা চাইতে যান তিনি। তাকে ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা বলেন ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না। তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব’। এসব কথা বলে তারা আমিরুলকে জীবননাশের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেয়। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম গত ২৪ মার্চ বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানার খবর উড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন। অভিনেত্রী তার ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘অনলাইনে আমার নাম ব্যবহার করে কিছু ভিত্তিহীন ‘মামলা’ সংক্রান্ত খবর ছড়িয়ে পড়ছে। আমার সকল সাংবাদিক সহকর্মীদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে কোনো প্রকার যাচাইহীন ও সত্যতা-বিহীন সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকুন।
পরিচালকের বান্ধবী-স্ত্রী হতে চাননি বলেই দেশ ছেড়েছিলেন জয়া

পরিচালকের বান্ধবী-স্ত্রী হতে চাননি বলেই দেশ ছেড়েছিলেন জয়া অভিনয় দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে দুই বাংলায় নিজের প্রতিভার ছাপ রেখেছেন জয়া আহসান। ঢাকার মেয়ে হয়েও কলকাতার সিনেমায় দাপটের সঙ্গে অভিনয় করছেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। তবে ঢালিউডে তাকে দেখা যায় তুলনামূলক কম। কেন এমনটা সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সম্প্রতি এক পডকাস্টে। জয়া জানান, দেশে তিনি মনভরা কাজ পাচ্ছিলেন না। তাই শিল্পের প্রতি টান থেকেই কলকাতায় যাওয়া। তার ভাষায়, ‘তখন বাংলাদেশে আমি করতে পারি সে রকম কাজ পাচ্ছিলাম না। সেই কষ্টের জায়গা থেকে এবং শিল্পের প্রতি আমার প্যাশনের কারণেই কলকাতায় গিয়েছি। অভিনয় ছাড়া তো আমি কিছু করিনি বা পারি না। অভিনয় করতেই হতো আমাকে।’ দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে টিকে থাকতে অনেক সময় পরিচালকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকা লাগে এমন ইঙ্গিত দিয়ে জয়া বলেন, ‘যে পরিচালকদের জন্য আমি সব সময় হাজির থেকেছি তারা আমাকে প্রোপারলি ব্যবহার করেননি। বাংলাদেশে একটা সমস্যা, পরিচালকের হয় বান্ধবী থাকে, না হয় স্ত্রী। এটা আমার পক্ষে সম্ভব না। এসবে আমি যাইনি, যাবও না। তাই হয়তো আমাকে কর্নারড হতে হয়েছে। কিন্তু কলকাতায় তেমন হয়নি। সেখানে আউটসাইডার হয়েও তারা আমাকে গুরুত্ব দিয়েছে, আমার জন্য গল্প লিখেছে। আমার জন্য চরিত্র তৈরি করেছে।’ নারীশিল্পীকে কেন্দ্র করে সিনেমা নির্মাণে অনীহার কথাও তুলে ধরেন জয়া আহসান। তিনি বলেন, ‘এখনও বাংলাদেশে নারীকে কেন্দ্র করে কাজ করতে ভয় পান অনেক পরিচালক। করলেও হয় তার বান্ধবীকে নেবেন, না হয় স্ত্রীকে। অথবা কোনো মেগাস্টারকে নেবেন। একজন পিওর আর্টিস্টকে নিয়ে বাজি ধরতে চান না তারা। তবে এর বাইরেও অনেক প্রতিভাবান নির্মাতা আছেন যারা আমার কাছ থেকে বা আরও গুণী শিল্পীদের কাছ থেকে ভালো কাজ বের করতে পারতেন। কিন্তু করেননি।’ সর্বশেষ জয়া আহসান অভিনয় করেছেন বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনার ‘ফেরেশতে’ সিনেমায়। ইরানি নির্মাতা মুর্তজা অতাশ পরিচালিত ছবিটিতে তার সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু ও সুমন ফারুক।
লালনের গান বিশ্বমঞ্চেও ছড়িয়েছেন ফরিদা পারভীন

লালনের গান বিশ্বমঞ্চেও ছড়িয়েছেন ফরিদা পারভীন দিদারুল আলম লালনকন্যা খ্যাত ফরিদা পারভীন, তিনি কেবল বাংলাদেশ নয়, লালনের গান ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বমঞ্চেও। লালনের গানে অসাধারণ গায়কী প্রতিভা ছিল তাঁর। তাইতো তিনি ‘লালন কন্যা’ ও লালনের গানের ‘সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে খ্যাত হন। লালন সাঁইয়ের ‘সত্য বল সুপথে চল’ ‘আমি অপার হয়ে বসে আছি, ‘বাড়ীর কাছে আরশীনগর’, ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘জাত গেল জাত গেল বলে’, ‘মিলন হবে কত দিনে’, ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’ সহ অসংখ্য গানকে তিনি তাঁর গায়কী ঢঙ দিয়ে কালজয়ী করেছেন। তাঁর গীত এসব গান শ্রোতাদের দিয়েছে গভীর মগ্নতা। লালনের আধ্যাত্মিক ও মানবতাবাদী দর্শন তাঁর কণ্ঠমাধুর্যে আরো তীব্র ও গভীর হয়ে উঠেছে যা মানবাত্মাকে করেছে সমৃদ্ধ। ফরিদা পারভীন ২০০১ সালে জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লালনের গানকে পরিচিত করে তোলেন। এছাড়া সুইডেন, ডেনমার্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি তাঁর কণ্ঠ দিয়ে ছড়িয়েছেন লালনের দর্শন। তাঁর কণ্ঠে লালনের গান কেবল সংগীত নয়, হয়ে উঠেছে এক অনন্য জীবনদর্শন। পরে তিনি গড়ে তোলেন ‘ফরিদা পারভীন ট্রাস্ট’, যার লক্ষ্য ছিল লালনের গান সংরক্ষণ, স্বরলিপি তৈরি এবং বাদ্যযন্ত্রের আর্কাইভ তৈরি। ফরিদা পারভীনের রক্তে ছিল গান। তাঁর দাদি গান করতেন। বাবার ছিল গানের প্রতি অনুরাগ। ১৯৬৮ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে কিশোরী ফরিদা শুরু করেছিলেন পেশাদার সঙ্গীতজীবন। সেই থেকে শুরু, গতকাল অবসান হলো তাঁর ৫৫ বছরের এই বর্ণাঢ্য সঙ্গীতজীবনের। ফরিদা পারভীনের প্রয়াণের মধ্যদিয়ে লালনসঙ্গীতের সুধাময় এক কণ্ঠের পরিসমাপ্তি হলো। তবে তার ধারণকৃত কণ্ঠ বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মনকে প্রশান্তি দেবে অনন্ত কাল। লালনের গান গেয়ে ফরিদা পারভীন নিজেকে গগনস্পর্শী উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সুধীজনের কাছে তিনি লালনসম্রাজ্ঞী। দেশের গানেও ছিল তাঁর অনন্য কণ্ঠ। তাঁর গাওয়া ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানটি আজও বাংলার মানুষকে স্মৃতিকাতর করে। নাটোরের সিংড়ায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন ছোটবেলায় ছিলেন চঞ্চল প্রকৃতির। প্রায় সারাক্ষণ দৌড়ঝাঁপ আর খেলাধুলায় মেতে থাকতেন। দাদা ও নানাবাড়ির মাঝখানে ছিল এক নদ। আত্রাইয়ের সেই শাখানদের নাম ছিল গুর। ওই নদ পার হয়ে তরুণ ফরিদা দাদার বাড়ি থেকে নানার বাড়ি যেতেন। নানার বাড়ির পাশে বিরাট এক বিল ছিল। শৈশবে খেলার সঙ্গী মামাতো ভাইবোনদের সঙ্গে মিলে সেই বিলে শাপলা তুলতে যেতেন। ফরিদার শৈশবের সময়টা তার কেটেছে মাগুরায়। স্কুলজীবনের শুরুটাও সেখানে। সে সময় ওস্তাদ কমল চক্রবর্তীর কাছে তাঁর সঙ্গীতে হাতেখড়ি। বাবার চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় থেকেছেন। পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুলে। পরে দীর্ঘদিন কুষ্টিয়া শহরে ছিলেন ফরিদা। কুষ্টিয়ার মীর মশাররফ হোসেন বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। ১৯৭৪ সালে কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে স্নাতক। ওই শহরেই দীর্ঘদিন তিনি চর্চা করেছেন লালনগীতি। শৈশব থেকেই ফরিদা পারভীনের পছন্দ ছিল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান। ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীন রাজশাহী বেতারে নজরুলশিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর লালনগীতির সঙ্গে তার আত্মিক বন্ধন তৈরি হয়। তখন তিনি কুষ্টিয়ায়। সেখানে তাদের পারিবারিক বন্ধু ছিলেন মোকছেদ আলী সাঁই। ১৯৭৩ সালে ফরিদা পারভীন তার কাছেই ‘সত্য বল সুপথে চল’ গানটি শিখে লালন সাঁইজির গানের তালিম নেন। মোকছেদ আলী সাঁইয়ের মৃত্যুর পর খোদাবক্স সাঁই, ব্রজেন দাস, বেহাল সাঁই, ইয়াছিন সাঁই ও করিম সাঁইয়ের কাছে লালনসঙ্গীত শেখেন তিনি। এরপর পুরোই মগ্ন হন লালনসঙ্গীতে। ফরিদা পারভীনের প্রথম স্বামী প্রখ্যাত গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী আবু জাফর। সেই সংসারে তাদের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। জিহান ফারিয়া, ইমাম নিমেরি উপল, ইমাম নাহিল সুমন ও ইমাম নোমানি রাব্বি। তার দ্বিতীয় স্বামী বাঁশিশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম। সঙ্গীতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৯৩ সালে ‘অন্ধ প্রেম’ সিনেমায় ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তিনি ২০০৮ সালে জাপানের সম্মানসূচক ফুকুওয়াকা পুরস্কার লাভ করেন। প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন(ইন্নালিল্লাহি….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্বামী ও চার সন্তান রেখে গেছেন। ফরিদা পারভীনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও সংস্কৃতি, মৎস উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টাগণ শোক প্রকাশ করেছেন। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। তাকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হতো। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তখন ডায়ালাইসিসের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তখন চিকিৎসক তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এর পর থেকে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়ে দিয়েছেন পুরোটা জীবন। সংগীত জীবনে তাঁকে পার হতে হয় অনেক চড়াই-উৎরাই। নানা ধরনের গান করলেও শিল্পীজীবনে পরিচিতি, জনপ্রিয়তা, অগণিত মানুষের ভালোবাসা মূলত লালন সাঁইয়ের গান গেয়েই। কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীন চিরনিদ্রায় শায়িত হচ্ছেন কুষ্টিয়ায়। তাঁর মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর তাঁকে নেওয়া হচ্ছে কুষ্টিয়ায়। সেখানে বাদ মাগরিব নামাজে জানাজা শেষে কুষ্টিয়ার পৌর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে। ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম নিমেরি উপল সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাকে আমরা কুষ্টিয়ায় দাফন করব, তাঁর ইচ্ছে অনুযায়ী।’ সূত্র: বাসস
অবশেষে নিশোর সঙ্গী নাবিলা!

অবশেষে নিশোর সঙ্গী নাবিলা! জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো ও নির্মাতা ভিকি জাহেদ আবারো ফিরছেন নতুন গল্প নিয়ে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-তে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তাদের নতুন সিরিজ ‘আকা’। এই সিরিজে যুক্ত হয়েছেন অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলা। ওটিটিতে এটাই তার প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাজ। গত কয়েক মাস ধরে গুঞ্জন উড়ছে, বড় পর্দায় অভিষেকের পর নিশো আবারো ফিরছেন ওটিটিতে। অবশেষে সেই খবর সত্যি হলো। প্রায় তিন বছর পর ওটিটির জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন ‘সুড়ঙ্গ’ তারকা। ‘আকা’ নিয়ে নিশো বলেন, “আমি সিরিজটি নিয়ে আশাবাদী। দর্শক নিশ্চয়ই ভিন্ন স্বাদের কিছু পাবেন।” পরিচালক ভিকি জাহেদ বলেন, “আকা’ নির্মাণ আমার কাছে এক আবেগের যাত্রা। এটি আমার প্রথম সামাজিক থ্রিলার। দর্শকদের সঙ্গে এক ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করেছি, প্রতিক্রিয়াই জানিয়ে দেবে সেটা কতটা সফল হয়েছে। নিশো ভাইয়ের সঙ্গে বহু কাজ করলেও সিরিজে এটাই প্রথম। নাবিলা আপুও দারুণ সহযোগী ছিলেন।” প্রথম সিরিজ নিয়ে আশা ব্যক্ত করে নাবিলা বলেন, “আকা’ আমার জন্য বিশেষ একটি কাজ। প্রথম সিরিজ হিসেবে আমি খুব আনন্দিত। আশা করি, দর্শকরা শুধু আমার চরিত্র নয়, পুরো গল্পকেই আপন করে নেবেন।” ন্যায়–অন্যায়, শোধ–প্রতিশোধ, সাসপেন্স ও রহস্যের মিশ্রণে নির্মিত হয়েছে ‘আকা’। ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে দৃশ্যধারনের কাজ হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে হইচইয়ে সিরিজটি মুক্তি পাবে।
মঙ্গলবার বাজারে আসছে নতুন ১০০ টাকার নোট

মঙ্গলবার বাজারে আসছে নতুন ১০০ টাকার নোট ১০০০, ৫০ এবং ২০ টাকার নতুন নোটের পর এবার আগামী মঙ্গলবার থেকে বাজারে ১০০ টাকার নতুন নোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ রোববার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক নুরুন্নাহার স্বাক্ষরিত কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্যের নতুন ডিজাইন ও সিরিজে সব মূল্যমানের নতুন নোট মুদ্রণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তার ধারাবাহিকতায়, ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোটের পর ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের স্বাক্ষরিত করা ১০০ টাকার নতুন নোট এবার বাজারে প্রচলন করা হবে। আরও বলা হয়, আগামী ১২ আগস্ট প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে এবং পরে দেশের অন্যান্য অফিস থেকে নতুন ১০০ টাকার নোট ইস্যু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বন্দী শাকিব, চোখে পানি!

বন্দী শাকিব, চোখে পানি! রায়হান রাফি পরিচালিত আলোচিত সিনেমা ‘তাণ্ডব’। ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমার কয়েকটি দৃশ্য হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফেসবুকের বিভিন্ন প্রোফাইল, সিনেমা সংশ্লিষ্ট পেজ এবং গ্রুপে ছবিগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে শাকিব খানের একটি দৃশ্য, যেখানে শাকিব খানকে বন্দী অবস্থায় প্লেট হাতে ভাত খেতে দেখা যায়। ক্লান্ত চেহারা, মুখে গভীর কষ্টের ছাপ আর চোখে জল—এই স্থিরচিত্রে শাকিব খানের আবেগী অভিব্যক্তি দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে। অনেকেই ছবিটির মাধ্যমে তার অভিনয়শৈলী ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেছেন। ঢালিউডের নির্মাতা থেকে শুরু করে বিনোদন অঙ্গনের নানা পেশার মানুষ ছবিটি শেয়ার করে শাকিব খানের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। কেউ বলেছেন, “অভিনয়ের চেয়ে বেশি কিছু তিনি। একপ্রকার পর্দাজুড়ে আধিপত্য।” কেউ বলেছেন, “তার উপস্থিতিতেই বাংলাদেশি সিনেমা বাঁচে।” সিনেমাটির আলোচিত এই ছবিগুলো তুলেছেন ফটোগ্রাফার ফারহান রোমান। ছবিগুলো শেয়ার করে তিনি লেখেন, “শাকিব খানের মতো শিল্পীর ছবি তোলা মানে শুধু ছবি নয়, আবেগের চিত্রায়ন। শাকিব খান সেই বিরল শিল্পীদের একজন, যিনি নিজেকে চরিত্রে এতটাই মিশিয়ে দেন যে, কেউ ক্যামেরায় ধরছেন—তা হয়তো তিনি খেয়ালও করেন না।” এবারের ঈদে মুক্তি পায় ‘তাণ্ডব’ সিনেমা। মাল্টিপ্লেক্সে একসঙ্গে ২৮টি শো দিয়ে যাত্রা শুরু করে। সেইসঙ্গে দেশের শতাধিক সিঙ্গেল স্ক্রিনেও এটি প্রদর্শিত হয়। সিনেমাটির গল্পও রায়হান রাফির। এ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—শাকিব খান, সাবিলা নূর, জয়া আহসান, আফজাল হোসেন, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত প্রমুখ।
সেদিন রাতে আমি নোবেলের সঙ্গে ছিলাম না: সালসাবিল

সেদিন রাতে আমি নোবেলের সঙ্গে ছিলাম না: সালসাবিল গত ১৯ জুলাই মধ্যরাতে বিতর্কিত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে আটক করে পুলিশ। অবশ্য, জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে ছেড়ে দেয়। এদিকে, খবর ছড়িয়েছে—সেদিন রাতে নোবেলের সঙ্গে ছিলেন তার প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। তবে খবরটি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন সালসাবিল। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট দিয়েছেন সালসাবিল। পাশাপাশি একটি ভিডিও বার্তায় এ খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। তার ভাষায় আমি নোবেলের সঙ্গে ছিলাম না। আমি সারারাত আমার বাসায় ঘুমাচ্ছিলাম।” ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সালসাবিল মাহমুদ বলেন, “আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, আমার ফোনে অনেক মেসেজ, কল। এসব আমার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা করেছে। আমি নাকি নোবেলের সঙ্গে মদ্যপ অবস্থায় ছিলাম, সেই অবস্থায় পুলিশ নাকি আমাকে আটক করেছিল। এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় আমার সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আমার আত্মীয়-স্বজন সকলেই আমাকে ফোন করে জানতে চাচ্ছে, আমি ছাড়া পেয়েছি কি না! এটা আমার জন্য খুবই বিব্রতকর সংবাদ।” প্রথম সারির একটি গণমাধ্যম তার নাম উল্লেখ করে খবরটি প্রকাশ করেছেন বলে দাবি সালসাবিলের। তিনি বলেন, “আমাকে নিয়ে এ ধরনের একটা নিউজ করা হলো। আমিও তো একটা সমাজে বসবাস করি। আমার পরিবার আছে। এ ধরনের একটা নিউজ একটা পরিবার, একটা মেয়ের জন্য খুবই অসম্মানের। নিউজটি করার আগে আমার সঙ্গে অন্তত যোগাযোগ করতে পারতেন। কারণ অনেক সাংবাদিকের কাছে আমার নাম্বার রয়েছে।” জানা যায়, শনিবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় উবারচালকের সঙ্গে মারামারি করেন কণ্ঠশিল্পী নোবেল। তিনি প্রাইভেটকার ভাড়া করে হাবুলের পুকুরপাড় এলাকায় আসেন। এ সময় তার সঙ্গে একজন নারীও ছিলেন। গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পরও নোবেল গাড়ি থেকে নামতে রাজি হচ্ছিলেন না। তিনি উদ্ভট কথাবার্তা ও গালাগালি করতে থাকেন। একপর্যায়ে উবারচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান নোবেল। পরে উত্তেজিত হয়ে গাড়িচালককে মারধর করেন তিনি। মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ রোমান বলেন, “একজন গাড়িচালকের সঙ্গে গায়ক নোবেলের তর্ক-বিতর্ক হয়। ওই সময় স্থানীয় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল বলে আমরা তাকে থানায় নিয়ে আসি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়।”
ময়না গানে বুবলীর সঙ্গে জীবনের ‘কেমিস্ট্রি’

ময়না গানে বুবলীর সঙ্গে জীবনের ‘কেমিস্ট্রি’ ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় মুখ শবনম বুবলী। এবার সিনেমার বাইরেও ধরা দিলেন নতুন এক অভিজ্ঞতায়— নাচলেন মিউজিক ভিডিওতে। ‘ময়না’ শিরোনামের গানটিতে তার সঙ্গে পারফর্ম করেছেন অভিনেতা ও নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবন। প্রথমবারের মতো দুজনকে একসঙ্গে দেখা যাবে একটি মিউজিক ভিডিওর রঙিন পরিবেশনায়। সম্প্রতি এফডিসিতে বিশাল সেট নির্মাণ করে শুটিং হয়েছে ময়নার। এটি ‘বাংলা অরিজিনালস’-এর প্রথম গান। মুক্তি পাবে ২৪ জুলাই। ‘ময়না’ গানটি গেয়েছেন কোনাল। আসিফ ইকবালের কথায় এর সুর-সংগীত করেছেন কলকাতার আকাশ সেন। কোনালের সঙ্গে এতে কণ্ঠ দিয়েছেন নিলয় ডি রকস্টার। গান প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, “বলতে পারেন এটা আমার জন্য একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা। এর আগে সিনেমার অনেক গানে নেচেছি। শুধু মিউজিক ভিডিওতে কাজ করাটা একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। গানটি এতোটাই পার্টি মুডের যে শুনলেই নাচতে ইচ্ছে করে। মনে হয়েছে, স্টেজে সব সময় যেটা পারফর্ম করা যায়, এমন একটি গান আমারও থাকা উচিত।”