‘বরবাদ’ নির্মাতার সঙ্গে অহনার সম্পর্ক ছিল, দাবি শামীমের

‘বরবাদ’ নির্মাতার সঙ্গে অহনার সম্পর্ক ছিল, দাবি শামীমের কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী অহনা রহমান তার প্রাক্তনকে গালিগালাজ করেছিলেন। অনেকেই মনে করেছিলেন সেই প্রাক্তন শামীম হাসান সরকার। অহনার বক্তব্যের পর শামীম বলেছিলেন, সেটা তিনি নন। তবে সেই প্রেমিককে শামীম তখন নাম না বললেও এবার বলেই ফেললেন। অহনার প্রাক্তন সেই প্রেমিক শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘বরবাদ’ সিনেমার পরিচালক মেহেদি হাসান হৃদয়। এর আগে অহনা বলেছিলেন, আমার প্রাক্তন একটা জানো…য়া…র, একটা ভয়ংকর লেভেলের অমানুষ। ওকে দেখার পর অন্য মানুষের ওপর থেকে আমার বিশ্বাস উঠে গেছে। এই সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। মন্তব্যবাক্সে শামীম হাসান সরকারের কথা উল্লেখ করেন অনেকে। সেখানেই অভিনেতা জানান, তিনি সেই ব্যক্তি নন। অহনা যাকে নিয়ে কথা বলছেন শামীম তাকে চেনেন বলেও জানান। শামীম তখন নাম না বললেও এবার বলে দিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ কিছু গুরুতর অভিযোগের জবাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শামীম। সেখানে কথা প্রসঙ্গে অহনার সেই মন্তব্য নিয়ে অভিনেতা বলেন, সকলে অহনার ইন্টারভিউয়ের ক্লিপ কেটে দিয়ে ‘প্রাক্তন একটা জানো…য়া…র’- এসব ট্যাগ আমাকে বিয়ের পরও ইনবক্সে পেতে হয়েছে। আর এটা আমার জন্য খুব কষ্টদায়ক। এখন ওই প্রাক্তন জানো…য়া…রটার সাথে আমি নেই। সেই প্রাক্তনের পরিচয় জানিয়ে শামীম বলেন, অহনা তো নামটা বলতে পারেনাই, ওটা মেহেদী হাসান হৃদয়, বরবাদ সিনেমার ডিরেক্টর। তার সঙ্গে ৬-৭ বছরের রিলেশন ছিল। আমি মাঝে অহনার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছি, সে সময়ও তার (মেহেদী) এর সাথে সম্পর্কে ছিল। আমার এ কারণেই ওর সঙ্গে (অহনা) সম্পর্ক টেকে নাই।

মনিরের মৃত্যু: শাকিবকে রত্নার খোলা চিঠি

মনিরের মৃত্যু: শাকিবকে রত্নার খোলা চিঠি কয়েক দিন আগে শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমার শুটিং সেটে স্টান্টম্যান মনির হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মনিরের মৃত্যু শোক ছড়িয়েছে গোটা চলচ্চিত্রাঙ্গনে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা মনিরকে যখন মৃত ঘোষণা করেন, তখন সহকর্মীদের কেউ তার পাশে ছিলেন না। সবচেয়ে বেদনার ব্যাপার— শুটিং সেটে উপস্থিত থাকার পরও একবারের জন্য হাসপাতালে যাননি সুপারস্টার শাকিব খান। এমনকি, মনিরের পরিবারের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়াননি। এসব খবর বাইরে আসার পর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। এবার কড়া ভাষায় সমালোচনা করে শাকিবের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি দিলেন রত্না। নিজের ফেসবুকে দীর্ঘ চিঠিটি পোস্ট করেছেন এই নায়িকা। রত্নার এই চিঠি শুধু ক্ষোভ নয়, যেন গোটা ইন্ডাস্ট্রির বেদনাবিধুর ভাষ্য। রত্না তার চিঠিতে বলেন, “সুপ্রিয় খান সাহেব! এই যে যুগের পর যুগ হাততালি পেয়ে যান, ভিলেনের ওপরে উড়ে এসে পড়েন, নায়িকাকে ভিলেন থেকে বাঁচান, তার পুরো কৃতিত্ব কিন্তু দর্শক না জানলেও আপনার আমার জানা। কাল আপনার ‘তাণ্ডব’ সিনেমার সেটে মনির মারা গেলেন। আপনি একবারও তার পাশে দাঁড়ালেন না। এটা নতুন নয়, আপনি কখনো পেছনের গল্প মনে রাখেন না। এখন সময় এসেছে পর্দায় নয়, বাস্তবে নায়ক হয়ে ওঠার। সিনেমা থেকে অনেক কিছু নিয়েছেন খান সাহেব, এবার দিতে শিখুন। মনিরের পরিবারের জন্য কিছু করুন, এটুকুই আশা।”শাকিব খানকে খানিকটা কটাক্ষ করে রত্না বলেন, “আপনার প্রেমিকা প্রায়োরিটি বরাবরই ছিল নায়িকা, অনেক উঠতি নায়িকার স্বপ্ন ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, বেকারত্বকে বরণ করে আপনার চাইতেও অনেক কর্মঠ নায়িকা দেশ ছেড়েও চলে গিয়েছিল। এটা অবশ্য আপনার দোষ না, পর্দার নায়ক হিসেবে আপনি সত্যিই অতুলনীয়-অসাধারণ, সেটা নিয়ে দুঃখ নেই।” রুপালি পর্দার পাশাপাশি বাস্তব জীবনে নায়ক হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে রত্না বলেন, “এখন বাস্তবে নায়ক হয়ে দেখান, সিনেমা থেকে অনেক পেয়েছেন অনেক নিয়েছেন। এখন দিতে শিখুন। যতই ইংরেজি শিখেন পাকিস্তানি ভাষা বলতে পারেন আর হিন্দি ভাষা বলে বাহবা পান। আপনি কিন্তু বাংলা চলচ্চিত্র আর বাংলাদেশেরই একজন মানুষ।”  প্রয়াত স্টান্টম্যান মনিরের পরিবারের জন্য কিছু করার আহ্বান জানিয়ে রত্না বলেন, “আজকের এই শাকিব খান হওয়ার পিছনে, যে অবদানগুলো ছিল, আর কেউ না জানলেও আপনি কিন্তু জানেন। সব ভুলে যান দুঃখ নেই। কিন্তু যারা এখনো আপনার সাথে লেগে আছে, তাদেরকে ভুলে যাবেন না, তাদের পাশে একটু দাঁড়াবেন আশা করছি। স্টানম্যান মনিরের পরিবারের জন্য অবশ্যই কিছু করবেন প্রত্যাশা রাখলাম।” নারায়ণগঞ্জের সন্তান স্টান্টম্যান মনির। সিনেমার ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যগুলো আড়ালে থেকে বাস্তবে রূপ দিতেন। তার শেষ বিদায়টাও খুব নীরবে হয়ে গেল।

ভয়ংকর রূপে মোশাররফ করিম

ভয়ংকর রূপে মোশাররফ করিম গেল মুক্তি পাওয়া ‘চক্কর’ সিনেমায় দেখা গেছে মোশাররফ করিমকে। মাসখানেকের ব্যবধানে একেবারে অন্যরূপে হাজির হয়ে সবাইকে চমকে দিলেন এই অভিনয়শিল্পী। নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দারের পরিচালনায় আসন্ন সিনেমা ‘ইনসাফ’র দ্বিতীয় পোস্টারে পাওয়া গেল তার রক্তাক্ত ভয়ংকর অবতার। যেখানে চোখে সানগ্লাস, মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি, পোশাকে রক্তের ছিটেফোঁটা, হাতে কুড়াল, আর ঘাড়ে ঝুলছে থেটোস্কোপ, সবমিলিয়ে এক প্রতিশোধপরায়ণ চরিত্রে হাজির হয়েছেন তিনি। রোববার (৪ মে) সন্ধ্যায় ‘ইনসাফ’র দ্বিতীয় পোস্টার উন্মোচন করেন নির্মাতা। তিনি বলেন, এই ডাক্তার রোগ নয়, পাপ সারায়! রক্তই তার ভাষা, ইনসাফই তার শপথ! এতে স্পষ্ট হয়ে যায়, সিনেমার গল্পে প্রতিশোধ ও ন্যায়বিচারের জোরালো উপস্থাপন থাকবে। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল প্রকাশিত হয় সিনেমাটির প্রথম পোস্টার, যেখানে রক্তাক্ত কুড়াল হাতে, ঠোঁটে রহস্যময় হাসি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সিনেমার নায়ক শরীফুল রাজ। নতুন পোস্টারে মোশাররফ করিমের চরিত্র প্রকাশ পেলেও তিনি ইতিবাচক না নেতিবাচক, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য দেননি নির্মাতা। জানা গেছে, অ্যাকশন থ্রিলার ঘরানার ‘ইনসাফ’র শুটিং শুরু হয় গেল ফেব্রুয়ারিতে। বর্তমানে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। আসন্ন ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিনেমাটি। সিনেমায় নায়িকা হিসেবে থাকছেন নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ তাসনিয়া ফারিণ, যিনি এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বড় পর্দার পুরোপুরি কমার্শিয়াল সিনেমায় নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন। প্রযোজনায় রয়েছে তিতাস কথাচিত্র এবং টিওটি ফিল্মস।

জায়েদ খানের বিয়ের গুঞ্জনের রহস্য ফাঁস!

জায়েদ খানের বিয়ের গুঞ্জনের রহস্য ফাঁস! ঢাকাই সিনেমার রঙিন দুনিয়ার চিরচেনা মুখ জায়েদ খান। পর্দার বাইরেও আলোচনায় থাকেন; মাঝেমধ্যে ক্যামেরার বাইরেই তিনি বেশি নাটকীয়! কখনো শিল্পী সমিতির নির্বাচন, কখনো ডিগবাজি, আবার কখনো তারকা কাণ্ড— সব মিলিয়ে তিনি যেন খবরের শিরোনামের ‘ডিফল্ট সেটিং’। তবে এবারের চমকটা একটু ভিন্ন। ঢাকায় গুঞ্জন উঠেছে— ভাইরাল এই নায়ক নাকি মার্কিন মুলুকে গোপনে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন! কনে একেবারে ‘হাই-ফাই’ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক! গোপনে সংসারও নাকি গুছিয়ে ফেলেছেন! সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়—‘অভিনন্দন জায়েদ ভাই’, ‘বউয়ের ছবি কই?’, ‘মধুচন্দ্রিমা কোথায়?’ এত উত্তেজনার শুরুটা কিন্তু ছিল বেশ নিরীহ। ঘটনাস্থল: মগবাজার, একটি টং দোকানের পাশে চায়ের আড্ডা। চরিত্র: তিন সাংবাদিক— ইমরুল শাহেদ, আমি এবং রুহুল আমিন ভূঁইয়া। আলোচনা চলছিল ফেসবুকে মনিটাইজেশন নিয়ে। আমিই বলেছিলাম, “আমার ফেসবুক মনিটাইজড, ছবি দিলেই ডলার আসে!”মজা করেই বলা। এ কথা শুনে রুহুল আমিনও বলল, “তাহলে আমিও ছবি দিব।” এবং সে দিয়েও দিলো জায়েদ খানের সঙ্গে একটি পুরোনো ছবি। ক্যাপশন নিয়ে একটু ভাবনা-চিন্তা হলো। আমি বললাম, ‘‘শুভ কামনা’ দিয়ে দাও।” ব্যস, রুহুল আমিন ক্যাপশনে লিখে দিলো : “শুভ কামনা রইলো।”আর তাতেই ফেসবুকবাসীর কল্পনার পালে পুরো হ্যারিকেন! কমেন্টে শুভেচ্ছার বন্যা। কেউ কেউ তো নিশ্চিত ভঙ্গিতে বলে বসলেন—“বিয়ে করে ফেলেছেন চুপিচুপি!” নিউ ইয়র্ক থেকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে হেসে ফেলেন জায়েদ খান। বলেন, “আমাকে নিয়ে মানুষ কিছু না কিছু মজা করতেই চায়। তাই এমন গুজব রটেছে।” বিয়ের গুঞ্জন পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আমি এখন নিউ ইয়র্কে। নতুন কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। শিগগিরই ভালো কিছু দেখতে পাবেন ইনশাআল্লাহ।” জানা গেছে, জায়েদ খান এখন আন্তর্জাতিক শো এবং মিডিয়া প্রজেক্ট নিয়েই ব্যস্ত। কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাই— সবখানে পারফর্ম করছেন। এর পাশাপাশি নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’–তে সেলিব্রিটিদের নিয়ে টক শো উপস্থাপনাও করছেন। তার সর্বশেষ সিনেমা ‘সোনার চর’ মুক্তি পেয়েছিল গত বছরের শুরুতে। সেখানে ছিলেন মৌসুমী, ওমর সানী, শহীদুজ্জামান সেলিম, শবনম পারভীন, পাপিয়া মাহির মতো তারকারা। তো আপাতত বিয়ের ঘণ্টা নয়— শুধুই কাজের সুর বাজছে জায়েদ খানের জীবনে। তবে কে জানে, পরবর্তী সিনেমার নাম হলেও হতে পারে ‘মার্কিন বধূ’!

সত্যিই কি সালমান-শাবনূরের প্রেম ছিল, যা জানালেন ডন

সত্যিই কি সালমান-শাবনূরের প্রেম ছিল, যা জানালেন ডন ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় জুটি সালমান শাহ, শাবনূর। এই জুটির কাছের বন্ধু জনপ্রিয় খল নায়ক ডন। সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন সালমান-শাবনূরের প্রেমের গুঞ্জন কতটা সত্য। সালমান শাহ-এর সঙ্গে শাবনূরের প্রেম ছিল নাকি ছিল না প্রশ্নের জবাবে ডন বলেন, ‘‘সালমান, শাবনূর একটা জুটি। এদের প্রেম-প্রীতির ওপরই একটা সিনেমা ডিপেন্ড করত। ফিল্মের নায়ক-নায়িকার মধ্যেতো প্রেম থাকতেই হবে, নাহলেতো সিনেমা হবে না। কিন্তু অরজিনাল প্রেম আর ফিল্মের প্রেমতো এক না।’’ বলা হয় অকাল প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ-এর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডন। তাকে সালমান শাহ-এর হত্যাকারীও মনে করেন সালমান শাহ-এর মা নীলা চৌধুরী। এ বিষয়ে, ডন বলেন, ‘সালমান শাহ যখন মারা গেলো আমি তখন ঢাকাতেই ছিলাম না, ছিলাম বগুড়াতে। মা হিসেবে ছেলের বিচার চাইতেই পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে সবাইকে জড়িয়ে, পেঁচিয়ে করবে এটা অস্বাভাবিক ব্যাপার।’’  ডন ওই সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, তার সঙ্গে সালমান শাহ-এর শেষ দেখা হয়েছিল সালমানের শ্বশুরবাড়িতে। রাতে সালমান, সামিরা এবং ডন একসঙ্গে ডিনার করেছিলেন। এরপর তারা তাকে ডলফিন কোচে উঠিয়ে দিয়েছিলেন। ওই কোচে বগুড়া গিয়েছিলেন ডন।

নেইমারের কাছ থেকে ‘উপহার’ পেলেন পলাশ!

নেইমারের কাছ থেকে ‘উপহার’ পেলেন পলাশ! ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা নেইমার ও তার ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে বিশেষ উপহার পেলেন কাবিলা’খ্যাত অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশ। একটি ভিনটেজ পানির বোতল সদৃশ বস্তু ও একটি জার্সি পলাশের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন নেইমারের পারিবারিক বন্ধু প্রবাসী বাংলাদেশি ও সামাজিক সংগঠক রবিন মিয়া। সেই রবিন সেলিব্রিটি ক্রিকেট খেলতে এখন ঢাকায়। আর ঢাকায় ফিরেই তাকে দেখা গেলো ব্রাজিল ফুটবল দল ও নেইমারের একনিষ্ট ভক্ত পলাশের সঙ্গে! এসময় পলাশের হাতে তুলে দিলেন বিশেষ উপহার!  এ নিয়ে একটি ভিডিও পোস্টও করেছেন পলাশ। যেখানে দেখা যায়, পলাশের হাতে একটি ভিনটেজ পানির বোতল সদৃশ বস্তু। তিনি এটি নিয়ে বলছিলেন, এটি একটি বিশেষ উপহার, যেটা পেয়েছি একজন স্পেশাল মানুষের কাছ থেকে! এসময় পানির সেই বোতলটি রবিন মিয়ার হাতে তুলে দিয়ে এটির বিশেষত্ব বর্ণনা করতে বলেন পলাশ। রবিন মিয়া বোতলটি হাতে নিয়ে বলেন, এটি মূলত জুনিয়র নেইমার ইনস্টিটিউটের, ঢাকায় বিশেষ মানুষের জন্য তিনি এটি ব্রাজিল থেকে বহন করে নিয়ে এসেছেন। এসময় রবিন মিয়াকে বলতে শোনা যায়, পলাশ এই বিশেষ উপহারটি ডিজার্ভ করে। কারণ সে হলো ডাইহার্ট ব্রাজিল ও নেইমারের সমর্থক। পাশে বসা পলাশকে বিশেষ এই উপহারটি তুলে দিয়ে রবিন মিয়া আরও বলেন, ‘আল্লাহ যদি চায়, তাহলে ভবিষ্যতে কোনো ইভেন্টে পলাশকে নেইমারের কাছে নিয়ে যাব। জিয়াউল হক পলাশ বলেন, আমি নিজেও ফাউন্ডেশন নিয়ে কাজ করি, এটি রবিন ভাই আগে থেকেই জানতেন। তার মাধ্যমেই নেইমার বিষয়টি জানতে পেরে খুশি হয়েছেন। তার ফাউন্ডেশন হাজার হাজার বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করে। ওই বোতলের ওপরে যে কাজগুলো- সব ওই বাচ্চাদের করা। এটা খুবই স্পেশাল। প্রসঙ্গত, নেইমার জুনিয়র ইনস্টিটিউট ব্রাজিলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং ক্রীড়াভিত্তিক উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে। আন্তর্জাতিকভাবে তারা বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে অংশ নেয়। আর এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি যুবক রবিন মিয়া।    

ইয়াশ-তটিনীর নতুন প্রেমের গল্প

ইয়াশ-তটিনীর নতুন প্রেমের গল্প আবারও রোমান্টিক জুটি হয়ে আসছেন এ প্রজন্মের আলোচিত জুটি ইয়াশ রোহান ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। মজুমদার শিমুলের রচনায় রাফাত মজুমদার রিংকুর পরিচালনায় নতুন নাটকে কাজ করেছেন তারা। প্রেমের গল্পের এ নাটকের নাম ‘কী মায়ায় জড়ালে’। গল্পে দেখা যাবে, সুস্মিতাদের বাড়ির দরজায় উঁকি দিয়ে ভেতরে দেখার চেষ্টা করছে সোহেল। সে সময় সুস্মিতা বাইরে থেকে আসে। সোহেলকে এ রকম করতে দেখে জিজ্ঞেস করে কী চায় এখানে? সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে পালায় সোহেল।  আসলে সুস্মিতাকে পছন্দ করে সোহেল। কিন্তু সামনে গিয়ে বলতে পারে না। দূর থেকে চুরি করে দেখার চেষ্টা করে। সুস্মিতা আগে থেকেই বিষয়টা জানে। মনে মনে সুস্মিতাও সোহেলকে পছন্দ করে, কিন্তু সে অপেক্ষা করে সোহেল তাকে সরাসরি বলবে। দিনের পর দিন চলে যায়, তাদের লুকোচুরি খেলা চলতে থাকে, কেউ কাউকে মুখ ফুটে বলতে পারে না। একদিন রাস্তায় একা পেয়ে সুস্মিতা অনেকটা চাপ সৃষ্টি করে সোহেলের মুখ থেকে কথা বের করে। এরপর থেকে তাদের মধুর সময় কাটে। বিপত্তি ঘটে যখন সুস্মিতার বড় বোন সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায়। বাচ্চাকে লালন-পালন করার জন্য পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত হয় বড় বোনের জামাইয়ের সাথে সুস্মিতার বিয়ে দিবে। বিষয়টা সোহেলকে জানায় সুস্মিতা। সোহেল তার বাবাকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে সুস্মিতাদের বাড়িতে পাঠায়। সুস্মিতার পরিবার রাজি হয় না। ইচ্ছের বিরুদ্ধে এমন একটা সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারে না সুস্মিতা। সোহেলকে জানায় সে আত্মহত্যা করবে। সোহেল বলে তাহলে তারা দু’জন একসাথে মরবে। বাজার থেকে বিষ এনে দু’জনে একটা গোপন জায়গায় গিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেটা কি তারা পারবে? আগামীকাল শুক্রবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার হবে ‘কী মায়ায় জড়ালে’ নাটকটি।

সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন পরীমণির গৃহকর্মী

সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন পরীমণির গৃহকর্মী ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন তার বাসায় দায়িত্ব পালন করা গৃহকর্মী পিংকি আক্তার। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৫ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পরীমণির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন তিনি। গৃহকর্মী পিংকি আক্তারের ভাষ্য, ‘‘পরীমণি আমাকে মারছে আর বলছে, তুই কি করতে পারবি। তোরে মাইরা যদি বক্সে ভইরা রাখি আমার দুই কোটি টাকা যাবে, আর কিছুই হবে না। বাচ্চার খাবার ইস্যু করে আমাকে নির্যাতন করছে। সাধারণত বাচ্চাকে দুই ঘণ্টা পর পর সলিড খাবার দিতে হয়। যখন আমি বাচ্চাকে খাবার দিচ্ছিলাম তখন দুই ঘণ্টা হয় নাই। বিশ থেকে পঁচিশ মিনিট বাকি আছে।’’ পিংকি আক্তার অভিযোগ করেন, পরীমণি একটি বাচ্চা দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত করার কথা বলে পরে বাসার সব কাজ করিয়েছেন। পিংকি আক্তার বলেন, ‘‘ উনি আমাকে বলে নিছে শুধু একটা বাচ্চার কাজ করার জন্য। কিন্তু আমি উনার বাসায় যখন যাই আমাকে দুইটা বাচ্চা দেখাশোনা করা, রান্না করাসহ যাবতীয় কাজই করতে হয়। দেখা গেছে রান্না করার কিছু নাই বাজারের লিস্ট লিইখা বলছে,  বাজারে যাওয়ার জন্য। আমি বাজারের লিস্ট লিখতেছি, কি কি লাগবে। সৌরভ বলতেছে, এইটা একটু পরে করো। আমি বলতেছি, ভাইয়া আপুতো বলতেছে এখনই দেওয়ার জন্য না হলে আবার আয়া বকাবকি শুরু করবো। আমার হয়ে গেছে আমি যাচ্ছি। তখন বলছে যে, ঠিক আছে। যখন আমি বাচ্চার কাছে যাই পনেরো থেকে বিশ মিনিট পরে আবার সৌরভ আসে। বললো যে, পিংকি ওকে একটু সলিড খাবার দাও। আমি বলছি,  ভাইয়া বিশ মিনিট কি পঁচিশ মিনিট বাকি আছে তো সলিড খাবার একটু পরে দেই, এখন দুধ দেই। বাচ্চাটা আগে যে রাখতো, ও এরকমভাবে বাচ্চা কাঁদলে মাঝে মাঝে একটু দুধ দিতো। তার জন্য আমিও দুধ দিচ্ছি। হঠাৎ করে মেকআপ রুম থেকে বকে-বকে আসতেছে আবার বলতেছে, এই তুই কার কথায় দুধ দেছ। আমি আর কোনো কথা বলি নাই। আমার ধারে আইসে দাঁড়াইছে। বলতেছে যে, দুধ কি দিয়া বানাইছ? তখন আমি দুধ যেভাবে বানাই ওভাবে বলছি। পরে এইটা বলার পরে বলছে যে, তুই কার অনুমতিতে দুধ দিতেছোস? এই কথা বলে আমাকে থাপড়াইছে। কিন্তু সৌরভ দাঁড়িয়েছিলো, উনি কোনো কথাই বলে নাই। পরীকে ধরতেছেও না। আমি নিচে পড়তেছি আর উঠতেছি। এই রকম বিশ থেকে তিরিশ মিনিটের মতো আমাকে মারছে। ’’ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরে পিংকি আক্তার তার এজেন্সিকে জানিয়ে কোনো সহযোগিতা পাননি বলেও জানিয়েছেন। এরপর তিনি ৯৯৯- এ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা নিয়েছেন। পিংকি আক্তার বলেন, ‘‘আমি সেন্সলেস হয়ে যাই। এরপর বৃষ্টি নামের আরেকটি মেয়ে ছিল। সে বলে যে আপু ওর অবস্থা অনেক খারাপ। আমার বাম চোখ ফুলে গিযেছিল। ও বরফ দিছে, নাপা খাওয়াইছে। এরপর আমি যখন একটু কথা বলতে পারছি তখন বলছিযে, আপু আমি আপনার পায়ে পড়ি হয়তো আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান, না হয়তো ছেড়ে দেন। উনি গৃহকর্মীকে নির্যাতন করার পরেই তার ফোন নিয়ে নেয়। কিন্তু আমার ফোন সাইলেন্ট করা ছিল, ওয়ারড্রোবের ভেতরে ছিল। আমি  এজেন্সিকে ফোন দিছি। অনেক কান্নাকাটি করেছি। বলেছি আমাকে এক ঘণ্টার ভেতরে আইসা নিয়ে যান। নয়তো হাসপাতালে নিতে বলেন। উনি বলছে যে ঠিক আছে। এরপর দুই তিন ঘণ্টা চলে গেছে। এরপর নিরুপায় হযে আমি ত্রিপল নাইনে ফোন দেই। এরপর ভাটারা থানার এসআই আরিফুল ইসলাম, উনার ফোন নম্বর দেয়; উনাকে ফোন দেই। উনি বলছে, তোমাকে যে মারছে, যদি কোনো দাগ থাকে ছবি পাঠাও।  চোখের ছবি দিলাম। পরীমনি যখন বুঝতে পেরেছে পুলিশ আসতেছে, তখন বৃষ্টিকে বলছে, ওকে বের করা তাড়াতাড়ি।’’ পিংকি আক্তারের আরও অভিযোগ, ‘‘বৃষ্টি আমাকে বোরকা পরার টাইমটাও দেয় নাই। নেমে আমি গেইটে দাঁড়িয়ে থাকি। পুলিশ এসে আমাকে দেখে। বলে, তুমি কি এখান থেকে যাইতে পারবা নাকি আমরা তোমাকে হেল্প করবো। আমি বলছি যেতে পারবো। রিকশায় যাওয়ার পথে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। রিকশাওয়ালা আমাকে সিএনজিতে তুলে দেয়। উনি আমাকে কুর্মিটোলা হসপিটালে নিয়ে যায়। ওখানে যাওয়ার পরে ডাক্তার দুইটা ইনজেকশন দেয়। একটু সুস্থ হওয়ার পরে উনারা আমাকে বলে, তোমাকে ঢাকা মেডিকেলে যেতে হবে। এখানে সিট নাই। ভর্তি নিতে পারছি না। এজেন্সিকে ফোন দেই, কিন্তু কেউ আসে নাই। দুই-তিন দিন অপেক্ষা করাইছে যে, উনারা কোনো একটা ডিসিশন নিবে। বিচার পাইয়ে দেবে। আমাকে বলে যে, বিষয়টা কোর্টে যাচ্ছে। কিন্তু কোর্ট থেকে আমাকে কোনো ফোন দেয় নাই। নিরুপায় হইয়া আমি মামলায় যাই।’’ উল্লেখ্য, পিংকি আক্তারের আনা অভিযোগ কতটা সত্য, তা এখনও প্রমাণিত নয়।

তীর ছুঁড়েই সুখবর নিয়ে হাজির জেফার!

তীর ছুঁড়েই সুখবর নিয়ে হাজির জেফার! গেল ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমায় জেফার রহমানের গাওয়া ‘নিয়ে যাবে কি’ শিরোনামের গানটি নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। সেই গানের রেশ থাকতে না থাকতেই মঙ্গলবার নতুন গান উপহার দিলেন জেফার। গানের শিরোনাম—‘তীর’। জেফারের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে ‘তীর’ গানটি। এই গান গাওয়ার পাশাপাশি সুরও করেছেন জেফার। গানের কথা লিখেছেন যৌথভাবে জেফার ও আদিব কবির। ‘তীর’ গানটি প্রকাশ পেতেই জেফারের ভক্তদের জন্য এলো আরেক সুখবর। সেটি হলো—পরিচালক শিহাব শাহীনের নতুন প্রজেক্টে নায়িকা হচ্ছেন জেফার রহমান। ‘তুমি আমি শুধু’ শিরোনামের এই ওয়েবে নায়ক থাকছেন আলোচিত গায়ক প্রীতম হাসান। জানা গেছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জ-এর জন্য নির্মিত হবে এই ওয়েব ফিল্ম। আগামী ঈদে মুক্তির লক্ষ্যে কাজ চলছে ফিল্মটির। রোমান্টিক ঘরানার এ ওয়েব ফিল্মটির শুটিং শুরু হবে আগামী ৪ মে, ঢাকায়। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও কক্সবাজারের বিভিন্ন লোকেশনে এর চিত্রায়ণ হবে। সবশেষ ‘অ্যালেন স্বপন সিজন ২’-এ অভিনয় করতে দেখা গেছে জেফারকে। এর আগে, গত বছর ‘লাস্ট ডিফেন্স অব মনোগ্যামি’ নামের ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন তিনি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত সিনেমাটিতে তার সহশিল্পী ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী।

‘স্বপ্নে কেয়ামত হতে দেখে অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই’

‘স্বপ্নে কেয়ামত হতে দেখে অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই’ ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় মুখ নাহিদা আশরাফ আন্না। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। প্রায় অর্ধশত চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এই গ্ল্যামারকন্যা এখন রুপালি পর্দা থেকে অনেক দূরে। ব্যস্ততা তার পরিবার ও পার্লার ব্যবসা ঘিরে। অভিনয় ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে আন্না বলেন, “স্বপ্নে কেয়ামত হতে দেখে এক রাতের মধ্যেই অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। সঙ্গে সঙ্গে তওবা করেছি, আর কখনো অভিনয় করব না।” তবে অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা এখনো রয়েছে তার। আন্না বলেন, “অভিনয়কে আমি সবসময় ভালোবাসি। কারণবশত কাজটা ছেড়ে দিয়েছি। বর্তমানে পার্লার বিজনেস নিয়ে খুবই হ্যাপি। এখানে নারী উদ্যোক্তা হিসেবেও কাজ করছি।” চলচ্চিত্রজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আন্না বলেন, “মান্না ভাই, ডিপজল সাহেব, শাকিব, রিয়াজ, ফেরদৌস ভাই— সবার সঙ্গেই কাজ করেছি। আমি নিজেকে খুবই লাকি মনে করি।” তারকাদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখন সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন সবার সামনে চলে আসে। আমার চাওয়া, সবাই যেন পেশাটাকে হাইলাইট করে, ব্যক্তিজীবন নয়।” শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু করে আন্না হয়ে উঠেছিলেন পর্দার পরিচিত মুখ। ২০০৬ সালে ‘ফটোসুন্দরী’ প্রতিযোগিতায় রানারআপ হয়ে শোবিজে পা রাখেন। ২০০৯ সালে ‘মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার।