লেটুসপাতার ৭ গুণ

লেটুসপাতার ৭ গুণ লেটুসপাতার ৭ গুণসালাদসহ ফাস্টফুড খাবারে ব্যবহার করা হয় লেটুসপাতা। লেটুসপাতা সবাই খেয়েছেন, অন্তত চেনেন তো নিশ্চয়ই। এর পুষ্টিগুণ অনন্য। এতে নানা রকম ভিটামিন ছাড়াও রয়েছে একেবারে কম ক্যালরি। সালাদসহ ফাস্টফুড খাবারে ব্যবহার করা হয় লেটুসপাতা। লেটুসের সাতটি গুণাগুণ জেনে নিন। ফাইবার: আঁশযুক্ত খাবার দেহের জন্য উপকারী। এটি হজমও হয় দ্রুত। লেটুস একটি আঁশযুক্ত সবজি। এতে অতি অল্প পরিমাণ কোলেস্টরেল রয়েছে এবং হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। ভিটামিন ‘এ’ : বিস্ময় বোধ করছেন? কিছু লেটুসের জাত রয়েছে যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে। বিপাকক্রিয়ায় এর ভূমিকা অপরিহার্য। তাছাড়া এই পুষ্টি উপাদানকে বলা হয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ভিটামিন ‘এ’র অন্যান্য গুণের কথা সবাই জানেন। আয়রন: সব ধরনের সবুজ পাতার সবজিতে কিছু না কিছু আয়রন রয়েছে। নারীদের ঋতু চলাকালে যে রক্ত বের হয়ে যায়, সে সময় আয়রনের প্রয়োজন হয়। গর্ভবতী অবস্থাতেও আয়রনের প্রয়োজন পড়ে। তাই খাবারের সঙ্গে পছন্দমতো উপায়ে লেটুস ব্যবহার করুন। প্রোটিন: খুব অল্প পরিমাণ প্রোটিন থাকলেও প্রতিদিন পেতে লেটুস একটি উপায় হতে পারে। প্রোটিন দেহের পেশি গঠনে মূল ভূমিকা রাখে। তাই সালাদে শিমের বিচির সঙ্গে লেটুস ব্যবহার করলে প্রচুর প্রোটিন পাবেন। ক্যালসিয়াম: এই উপাদানটিও খুব বেশি থাকে না। তবুও নিয়মিত ক্যালসিয়াম পেতে পারেন লেটুস থেকে। হাড় এবং দাঁতের গঠনে ক্যালসিয়ামের বিকল্প নেই। অন্যান্য ক্যালসিয়ামপূর্ণ খাবারের সঙ্গে লেটুস মেশাতে পারেন। ‘বি’র সব ভিটামিন: ভিটামিন ‘বি’র বিভিন্ন ধরন রয়েছে। এগুলো ভিন্ন ভিন্ন খাবারের উৎস থেকে আসে। বিশেষ করে মাংসে পাওয়া যায়। কিন্তু লেটুসে কয়েক ধরনের ভিটামিন ‘বি’ রয়েছে। তাই লেটুস খেতে পারেন। পটাসিয়াম: এই উপাদানটি রক্তের জন্য উপকারী। রক্তে পটাসিয়ামের পরিমাণ অতিমাত্রায় কমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। লেটুসপাতা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ পটাসিয়াম পাওয়া যায়।
দূরে কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন? ভ্রমণ হোক আনন্দময়

দূরে কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন? ভ্রমণ হোক আনন্দময় ভ্রমণের সময় অনেকেই নানা ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত হন। অনেকের দূরে কোথাও যাওয়ার কথা শুনলেই যেন গায়ে জ্বর আসে। ভয়ে বুক হিম হয়ে যায়। অনেকের মাথা ঘোরায়, অনেকের আবার বমিও হয়। অনেকে আবার ছোট ছেলে-মেয়েকে নিয়ে পড়েন মহাবিপকে। তবে একটু খেয়াল করলে এবং কিছুটা সচেতন হয়ে সামান্য কয়েকটা বিষয় মনে রাখলেই এই বিপাক থেকে মুক্তি মেলে। সেই সঙ্গে আপনার ভ্রমণটাও হয়ে উঠবে অনেক আনন্দদায়ক। ভ্রমণ পিপাসু এবং ট্রাভেলার্স নোটবুকের লেখকদের ভ্রমণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ১০ টিপস: * আপনি যদি দেশের বাইরে বেড়াতে যান তবে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ জিনিস হলো পাসপোর্ট। পাসপোর্ট ছাড়া আপনি কখনোই বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না। উপরন্তু এজন্য আপনাকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এমনকি আপনি হয়তো আপনার ফ্লাইট, বাস কিংবা ট্রেন মিস করতে পারেন। কাজেই ঘর থেকে বের হওয়ার আগে শেষবারের মতো আপনার ব্যগ চেক করে নিন। * দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো আপনার টিকিট। আপনি বাস, ট্রেন বা প্লেন যেভাবেই যান না কেন টিকটি খুবই গুরত্বপূর্ণ। যদি আপনি ঠিক সময় টিকিট এবং বোর্ডিংপাস দেখাতে না পারেন তবে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে আপনাকে। * আপনার যদি কোনো বড় ধরনের স্বাস্থ্যগত জটিলতা থেকে থাকে তবে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার পারিবারিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই সিদ্ধান্ত নেবেন। এতে আপনি যদি কখনো কোনো ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আক্রান্ত হনও তবে যেন সঙ্গে সঙ্গে সে বিষয়ে দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। আর সেসঙ্গে আপনার প্রয়োজনীয় ওষুধ, প্রেসক্রিপশন নিতেও ভুলবেন না। যদি আপনার কোনো বিষয়ে ফোবিয়া থাকে তবে সে সংক্রান্ত ওষুধও সঙ্গে নিতে ভুলবেন না একেবারেই। * আপনি যদি চশমা ব্যবহান করেন এবং চশমা ছাড়া যদি আপনার কোনো কিছু দেখতে সমস্যা হয় তাহলে চশমা সঙ্গে নিতে ভুলবেন না। কেননা বাস, ট্রেন বা এয়ারপোর্টে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ দেখার প্রয়োজন হতে পারে আপনার। আর রোদ থেকে বাঁচতে রোদ চশমাকেও সঙ্গী করুন। * কোথাও যাওয়ার সময় আপনার সেলফেনটিও সঙ্গে নিন। সেইসঙ্গে চার্জার নিতে ভুলবেন না যেন। চার্জার গুছিয়ে রাখুন হাতের কাছেই। নইলে প্রয়োজনের সময় খুঁজে পাবেন না। আর আপনি যদি দেশের বাইরে বেড়াতে যান সেক্ষেত্রে সম্ভব হলে সেদেশের কোনো মোবাইল অপারেটরের সিমকার্ড কিনে ফেলুন। এতে বাড়ির মানুষ যেমন আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে তেমনি আপনিও প্রয়োজনে তা ব্যবহার করতে পারবেন। * আপনি চাকরিজীবী বা শিক্ষার্থী যাই হোন না কেন আপনার আইডিকার্ডটি সঙ্গেই রাখুন। যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যায় তবে সহজেই আপনার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ফোন নম্বর, আপনার নাম-ঠিকানা একটি কাগজে লিখে মানিব্যাগে বা হ্যান্ডব্যাগে রাখুন। * ভ্রমণের সময় অতিরিক্ত কাপড় না নেওয়াই ভালো। আপনি যদি রিমোট এরিয়ায় যান তবে সেখানে আপনাকে অনেক সময় খাবার এবং পানি বহন করতে হবে। হয়তো অতিরিক্ত বোঝা কোথাও রাখার জায়গাই পাবেন না! সেক্ষেত্রে এমন কাপড় নির্বাচন করুন যা একাধিকবার ব্যবহার করা যায়, এক্ষেত্রে জিন্সপ্যান্টের কোনো বিকল্প নেই। এর সঙ্গে টিশার্ট, ফতুয়া বা মেয়েরা কামিজ নিতে পারেন। আর অবশ্যই একাধিক জুতো রাখবেন সঙ্গে। বলাতো যায় না কখন কোথায় হোঁচট খেয়ে জুতো জোড়া অকেজো হয়ে যায়! * আপনি যদি ব্যবসায়িক কাজে ভ্রমণে বের হন তবে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে দেখে নিন সব কাগজপত্র ঠিক আছে কি না। আর যদি কোনো জরিপে বের হন তাহলে দেখে নিন সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় উপকরণ আপনার সঙ্গে আছে কি না। * ঘুরতে বের হলে হয়তো আদরের সন্তানটিকে বাসায় রেখে যেতে মন চাইবে না, সেক্ষেত্রে সবার আগে তার জন্য প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত খাবার আর ওষুধ নিয়ে নিন। সেই সঙ্গে শিশু হলে ডায়াপার, প্রয়োজন ও ঋতু অনুযায়ী পোশাক তার কিছু টুকিটাকি খেলনা ইত্যাদি সঙ্গে নিতে ভুলবেন না একদমই। * সব শেষে এবার আপনার টুকিটাকি অথচ অপরিহার্য জিনিস যেমন সাবান, শ্যাম্পু, টাওয়াল, ব্রাশ, পেস্ট, চিরুনি, সেভিং ক্রিম, বডি স্প্রে, টুকিটাকি কিছু ওষুধ, যেমন প্যারাসিটামল, বোমির ওষুধ, স্যালাইন, প্যাটের সমস্যার ওষুধ, গ্যাসের ওষুধ, প্রয়োজনে সানস্কিন, ছাতা ইত্যাদি।
থানকুনি পাতার যত গুণ

থানকুনি পাতার যত গুণ ভেষজগুণে সমৃদ্ধ থানকুনি গাছ বা থানকুনি পাতার রসে রয়েছে শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী খনিজ ও ভিটামিন জাতীয় পদার্থ। থানকুনি পাতার রস নিয়মিত পান করলে- • ত্বকের সতেজতা বাড়বে • ঘন ঘন জ্বর বা আমাশয় থেকে রক্ষা পেতেও থানকুনির রস কাজে দেয় • মুখে ঘায়ের সমস্যায় থানকুনি পাতা সেদ্ধ পানি দিয়ে কুলকুচি করুন • চুল ঝড়ে যাচ্ছে? প্রতিদিন দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান পাঁচ-ছয় ফোটা থানকুনির রস। দেখবেন ধীরে ধীরে উপকার পাচ্ছেন, কমে যাচ্ছে চুল পড়ার হার • ছেলেবেলায় যেসব শিশুরই কথা জড়িয়ে যায়, সেসব শিশুর উদ্বিগ্ন মায়েদের দুশ্চিন্তা অবসানে রয়েছে থানকুনি গাছ। প্রতিদিন এক চামচ করে থানকুনি পাতার রস গরম করে শিশুকে খাওয়ান, দেখবেন ধীরে ধীরে কথার অস্পষ্টতা কেটে যাচ্ছে। • আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অনেকেরই ঠান্ডা লেগে যায়। তাদের। তাদের জন্যও সমাধান রয়েছে থানকুনি পাতার রসেই। • আধা চা চামচ থানকুনির রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন। কাঁচা বাজারগুলোতে একটু খোঁজ করলেই মিলবে থানকুনি পাতা। আর ইচ্ছে করলেই বাড়ির ছাদে অথবা বারান্দার এক কোনায় টবের ভেতরই লাগাতে পারেন থানকুনি গাছ।
ফুরফুরে মেজাজ পেতে এক কাপ চা!

ফুরফুরে মেজাজ পেতে এক কাপ চা! সকালে উঠে গরম চায়ে চুমুক না দিলে আপনার কি ঘুম ভাঙে না? অফিসে কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝেই এক-দু’ কাপ চা চাই-ই-চাই। এক কাপ চা আপনাকে সতেজ করে তুলতে পারে। এনে দিতে পারে ফুরফুরে মেজাজ। একইসঙ্গে ডায়াবেটিসের মতো নাছোড়বান্দা অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও চায়ের জুড়ি নেই। হ্যাঁ, নির্দিষ্ট কয়েকটি ভেষজ চা নিয়মিত পান করলে আপনার ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। রক্তে শর্করার মাত্রাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে শুরু করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব ভেষজ চায়ের কথা: গ্রিন টি : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি শরীরের প্রদাহ এবং কোষের ক্ষতি কমাতে পারে, পাশাপাশি ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও অত্যন্ত সহায়ক। দিনে দু’বার সবুজ চা পান করলে ওজন কমবে, রক্তে চিনির পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এর সঙ্গে এক চিমটি জায়ফল গুঁড়া যোগ করলে ঘুম ভালো হয়। হিবিস্কাস টি : হিবিস্কাস টি চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত সহায়ক। এটা প্রদাহ কমায়, ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপও নিয়ন্ত্রিত থাকে। ব্ল্যাক টি : ব্ল্যাক টি প্রাকৃতিকভাবে ইনসুলিন লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে। দারুচিনির চা : দারুচিনির চা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। এটি স্থূলতা কমানোর পাশাপাশি, হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতেও সহায়তা করে। শর্করার মাত্রা কমায়, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। ক্যামোমাইল টি : অনিদ্রা সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ঘুমের মান উন্নত করতেও এই চা অত্যন্ত সহায়ক। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও এর জুড়ি নেই। প্রতিদিন দু-তিন কাপ ক্যামোমাইল টি পান করলেই পাবেন উপকার। হলুদ চা : চায়ের মধ্যে হলুদ দিয়ে বানানো চাকেই হলুদ চা বলে। হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। কারকিউমিন ইনসুলিনের সংবেদনশীলতাকে উন্নত করে, রক্তে স্বাস্থ্যকর শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।
নিমে যে রোগের নিরাময় হয়

নিমে যে রোগের নিরাময় হয় নিমে যে রোগের নিরাময় হয়নিমের পাতা থেকে আজকাল প্রসাধনীও তৈরি হচ্ছে। নিম ওষুধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস, সবই কাজে লাগে। শুধু নিম দিয়েই নিরাময় হয় ২২টি রোগ। নিমের পাতা থেকে আজকাল প্রসাধনীও তৈরি হচ্ছে। কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকর। নিমের কাঠও খুবই শক্ত। এ কাঠে কখনো ঘুণ ধরে না। পোকা বাসা বাঁধে না। উইপোকা খেতে পারে না। নিমের এই গুণাগুণের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ বলে ঘোষণা করেছে। নিমে যে ২২টি রোগের নিরাময় হয়: খোস পাচড়া বা চুলকানি : নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে স্নান করলে খোসপাচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়। পাতা ভেজে গুড়া করে সরিষার তেলের সাথে মিষিয়ে চুলকানিতে লাগালে যাদুর মতো কাজ হয়। নিম পাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ পিষে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ আকারে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে খোস-পাঁচড়া ও পুরনো ক্ষতের উপশম হয়। নিম পাতা ঘিয়ে ভেজে সেই ঘি ক্ষতে লাগালে ক্ষত অতি সত্বর আরোগ্য হয়। কৃমিনাশক : পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেটে বড় হয়। চেহারা ফ্যকাশে হয়ে যায়। বাচ্ছাদের পেটে কৃমি নির্মূল করতে নিমের পাতার জুড়ি নেই। শিশুরাই বেশি কৃমি আক্রান্তের শিকার হয়। এ জন্য ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের ছালের গুড়া দিন ৩ বার সামান্য গরম জল সহ খেতে হবে। আবার ৩-৪ গ্রাম নিম ছাল চূর্ণ সামান্য পরিমাণ সৈন্ধব লবণসহ সকালে খালি পেটে সেবন করে গেলে কৃমির উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়া যায়। নিয়মিত এক সপ্তাহ সেবন করে যেতে হব। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১-২ গ্রাম মাত্রায় সেব্য। রূপচর্চায় : বহুদিন রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। ব্রণ দূর করতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন। আবার ঘরে তৈরি নিমের বড়িও খাওয়া যেতে পারে। বড়ি তৈরি করতে নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে বেটে নিন। এবার হাতে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করুন। বড় ডিশে ফ্যানের বাতাসে একদিন রেখে দিন। পরদিন রোদে শুকোতে দিন। নিমের বড়ির জল একেবারে শুকিয়ে এলে এয়ারটাইট বয়ামে সংরক্ষণ করুন। নিমপাতা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী। তাই ত্বকের সুরক্ষায় এর জুড়ি নেই। ব্রণের সংক্রমণ হলেই নিমপাতা থেঁতো করে লাগালে ভালো ফল নিশ্চিত। মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে। নিয়মিত নিমপাতার সাথে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও স্কিন টোন ঠিক হয়। তবে হলুদ ব্যবহার করলে রোদ এড়িয়ে চলাই ভালো। নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ কম হবে। নিমপাতা সিদ্ধ জল গোসলের জলর সাথে মিশিয়ে নিন। যাদের স্কিন ইরিটেশন এবং চুলকানি আছে তাদের এতে আরাম হবে আর গায়ে দুর্গন্ধের ব্যাপারটাও কমে যাবে আশা করা যায়। দাঁতের রোগ : দাঁতের সুস্থতায় নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই। নিমের পাতা ও ছালের গুড়া কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত হবে মজবুত, রক্ষা পাবেন দন্ত রোগ থেকেও। কচি নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ভালো থাকে। নিম পাতার নির্যাস জলে মিশিয়ে বা নিম দিয়ে মুখ আলতোভাবে ধুয়ে ফেললে দাঁতের আক্রমণ, দাঁতের পচন, রক্তপাত ও মাড়ির ব্যথা কমে যায় এবং বুকে কফ জমে গেলে নিম পাতা বেটে এর ৩০ ফোঁটা রস সামান্য গরম জলে মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার খেলে উপকার পাওয়া যায়। রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে : নিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার ভাবে কাজ করে। নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্ত নালীকে প্রসারিত করে রক্ত সংবহন উন্নত করে। ভালো ফল পেতে নিমের কচি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। চুল উজ্জ্বল,সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন চুল পেতে নিম পাতার অবদান অপরিসীম। চুলের খুশকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ জল দিয়ে চুল ম্যাসেজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি দূর হয়ে যাবে। চুলের জন্য নিম পাতার ব্যবহার অদ্বিতীয়। চুলে প্রতি সপ্তাহে ১ দিন নিমপাতা ভালো করে বেটে চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার মতো রাখুন। এবার ১ ঘণ্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল পড়া কমার সাথে সাথে চুল নরম ও কোমল হবে। মধু ও নিমপাতার রস একত্রে মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ দিন চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগান। এবার ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করুন আর অধিকারী হোন ঝলমলে সুন্দর চুলের। এক চা চামচ আমলকির রস, এক চা চামচ নিমপাতার রস, এক চা চামচ লেবুর রস, প্রয়োজন অনুযায়ী টকদই মিশিয়ে সপ্তাহে ২ দিন চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু করুন। উকুন বিনাশে : নিমের ব্যবহারে উকুনের সমস্যা দূর হয়। নিমের পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন, তারপর মাথা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এবং উকুনের চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ান। সপ্তাহে ২-৩ বার ২ মাস এভাবে করুন। উকুন দূর হবে। খুশকি বিনাশে : নিমের ব্যাকটেরিয়া নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে। খুশকির চিকিৎসায় নিমের ব্যাকটেরিয়া নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে। চার কাপ জলে এক মুঠো নিমের পাতা দিয়ে গরম করতে হবে যতক্ষণ না জলটা সবুজ বর্ণ ধারণ করে এই জল ঠান্ডা হলে চুল শ্যাম্পু করার পর এই জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। নিমের জল কন্ডিশনারের মত কাজ করবে। সপ্তাহে ২-৩বার ব্যবহার করুন যতদিন না খুশকি দূর হয়। ওজন কমাতে : যদি আপনি ওজন কমাতে চান বিশেষ করে পেটের তাহলে নিমের ফুলের জুস খেতে হবে আপনাকে। নিমফুল মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে শরীরের চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। একমুঠো নিমফুল চূর্ণ করে নিয়ে এর সাথে এক চামচ মধু এবং আধা চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশান। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটি পান করুন। দেখবেন কাজ হবে। রক্ত পরিষ্কার করে : নিমপাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এছাড়াও রক্ত চলাচল বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের গতি স্বাভাবিক রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও নিমের জুড়ি নেই। ঠান্ডাজনিত বুকের ব্যথা : অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। এ জন্য ৩০ ফোটা নিম পাতার রস সামান্য গরম জলে মিশিয়ে দিতে ৩/৪ বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে। গর্ভবতীদের জন্য ঔষধটি নিষেধ। পোকা-মাকড়ের কামড় : পোকা মাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোঁটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে। জন্ডিস : জন্ডিস হলে প্রতিদিন সকালে নিম পাতার রস একটু মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে। ২৫-৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস একটু মধুর সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে জন্ডিস আরোগ্য হয়। জন্ডিস
দিনে কতগুলো ডিম খাওয়া নিরাপদ?

দিনে কতগুলো ডিম খাওয়া নিরাপদ? ডিম একটি স্বাস্থ্যকর প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার, তবে তার পরিমাণ জানা ও বুঝে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনের উৎস হিসেবে ডিমের তুলনা খুব কমই আছে। কিন্তু প্রোটিনের জন্য প্রতিদিন কয়টি ডিম খাওয়া নিরাপদ? তার আগে জেনে নিন ডিমে কী কী পুষ্টি উপাদান থাকে? একটি মাঝারি আকারের ডিমে থাকে প্রায়: প্রোটিন ৬-৭ গ্রাম, কোলেস্টেরল ১৮৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন B12, D, A ও কোলিন লুটিন ও জিয়্যাক্সানথিন চোখের যত্নে কার্যকর ওমেগা-৩ (বিশেষ করে DHA) মস্তিষ্ক এবং হৃদয়ের জন্য উপকারী। দিনে কয়টি ডিম খাওয়া নিরাপদ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি দিন ১-৩টি ডিম খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ, যদি আপনার কোনও কোলেস্টেরল বা হৃদরোগজনিত সমস্যা না থাকে। এই বিষয়ে একজন পুষ্টিবিদরা বলছেন, ‘দিনে তিনটি ডিম মানে আপনি প্রায় ১৮-২১ গ্রাম প্রোটিন পাচ্ছেন, যা একজন সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক প্রোটিন চাহিদার এক বড় অংশ পূরণ করে।’ দিনে বেশি ডিম খাওয়া কি ক্ষতিকর? কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে : একটি ডিমে ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। দিনে ৩টির বেশি ডিম খেলে হার্ট অ্যাটাক বা ব্লকেজের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে, বিশেষ করে যাদের আগে হাই কোলেস্টেরল ছিল, তাদের ক্ষেত্রে সম্ভাবনা আরও বেশি থাকে। কিডনির ওপর চাপ পড়তে পারে : অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ দীর্ঘমেয়াদে কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, বিশেষ করে যদি পর্যাপ্ত পানি পান না করেন। বদহজম ও গ্যাস : কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে ডিম খাওয়ার পর পেট ফাঁপা, ঢেকুর বা গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে কীভাবে ডিম খাবেন? সেদ্ধ ডিম সবচেয়ে ভালো: কম ক্যালোরি ও কোলেস্টেরল অল্প তেলে পোচ বা স্ক্র্যাম্বলড: ভাজা ডিমে ট্রান্সফ্যাট ও কোলেস্টেরল বেশি হয় সকালে নাস্তার সঙ্গে খেলে বেশি উপকারী, কারণ এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাট রাখতে সাহায্য করে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ : সাধারণ সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দিনে ১-২টি ডিম খেতে পারেন। যারা ব্যায়াম করেন বা পেশী গঠনের চেষ্টা করছেন, তারা দিনে ৩টি পর্যন্ত খেতে পারেন। যাদের ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরল, কিডনির সমস্যা রয়েছে—তাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডিমের পাশাপাশি অন্য প্রোটিন উৎস কী কী? ডিম ছাড়াও আপনি মুরগির মাংস, মাছ (বিশেষ করে টুনা, স্যামন), ডাল ও ছোলা, দুধ ও দই, বাদাম ও বীজ খাবারগুলো থেকেও প্রোটিন পেতে পারেন। ডিম একটি স্বাস্থ্যকর প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার, তবে তার পরিমাণ জানা ও বুঝে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি সুস্থ হন, তবে দিনে ১-৩টি ডিম খাওয়া নিরাপদ এবং উপকারী। তবে সবসময় খেয়াল রাখুন আপনার দৈনিক খাদ্যতালিকায় ভারসাম্য বজায় থাকছে কি না। আসলে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য সঠিক পুষ্টি এবং পরিমাণই সবথেকে বড় চাবিকাঠি।
বয়স ৫০ পেরিয়েও সুস্থ থাকার ৫ উপায়

বয়স ৫০ পেরিয়েও সুস্থ থাকার ৫ উপায় বর্তমান ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকা যেন একটি চ্যালেঞ্জ। মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত জীবনযাপন সব মিলিয়ে শরীর ও মনের উপর পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। তবে প্রতিদিনের রুটিনে কিছু সহজ অভ্যাস যোগ করলেই দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা সম্ভব। এই বয়সে ভারী ব্যায়াম না করে সাঁতার, নিয়মিত হাঁটা, যোগব্যায়াম ও তাই চির মতো ধীর-গতির অনুশীলন উপকারী। এতে করে মাংসপেশি সক্রিয় থাকে, জয়েন্টে চাপ পড়ে না এবং মানসিক চাপও হ্রাস পায়। সমাজের সঙ্গে যুক্ত থাকুন: সমাজচ্যুতি ও একাকীত্ব মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। নিয়মিত বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা, কমিউনিটি প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া এবং স্বেচ্ছাসেবী কাজে যুক্ত থাকা মস্তিষ্ককে সচল রাখে। প্রতিদিন মানসিক ব্যায়াম করুন : প্রতিদিন একটি ক্রসওয়ার্ড বা পাজল করলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চর্চা স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ধূমপান সম্পূর্ণ ছাড়ুন : ধূমপান থেকে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়ে যায়। এখনই এই ক্ষতিকর অভ্যাস ত্যাগ করলে শারীরিক সক্ষমতা বাড়বে এবং আয়ু দীর্ঘ হবে। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন : বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাংসপেশি কমে যায়। ডিম, মাছ, বাদাম, দুধ ও লিন মাংস ও মুরগি —এই উপাদানগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে শরীর শক্তিশালী থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
ছুটি হোক আনন্দের

ছুটি হোক আনন্দের ব্যস্ততার জন্য কর্মজীবীরা পরিবার এবং বন্ধুদের সেভাবে সময় দিতে পারেন না। কারণ প্রতিটি কথা এবং কাজ তাদের করতে হয় সময়ের কাটা ধরে। সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনটির জন্য পরিবারের সবাই অপেক্ষা করি। বিশেষ এই দিনটিকে একবারে সাদামাটা না কাটিয়ে আনন্দময় করে তুললে পরবর্তী সপ্তাহে কাজের অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। সেসঙ্গে সবার মধ্যে সম্পর্ক আরও মধুর হয়। দিনটিকে আলাদা করতে যা করতে পারি- ছুটি নেওয়ার আগেই পরিকল্পনা করুন এই সময়টা কীভাবে সবচেয়ে বেশি আনন্দে ভরে তোলা যায়। * চেষ্টা করুন পরিবারের সবার একদিনেই ডে অফ নিতে। যেমন বাচ্চার স্কুল, কর্তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর গিন্নির অফিস ছুটি একদিনে নিন। * এই দিনটিতে চেষ্টা করুন অফিসের ব্যস্ততা এবং টেনশন দুটো থেকেই মুক্ত থাকতে। প্রতিদিন সকালে অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকে, তাই ভোরেই ঘুম থেকে উঠতে হয়, ছুটির দিনটিতে একটু আরাম করে ঘুমানো যায়। * ছুটি মানে সারাদিন সংসারের কাজ করে আর বাজার করেই কাটিয়ে দেবেন না যেন। সবার মধ্যে কাজ ভাগ করে দিন। সময় নির্দিষ্ট করে নিন, সেই সময়ের মধ্যে সবার সাহায্য নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে নিন। * বাসায় সবার পছন্দমতো রান্না করুন অথবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে একবেলা বাইরে খান। * সন্ধ্যায় কোনো আত্মীয়, বন্ধুর বাড়িতে অথবা পছন্দের কোনো জায়গায় বেড়াতে যান। * মাঝেমাঝে নিজের বাড়িতেও বন্ধুদের চায়ের আমন্ত্রণ করতে পারেন। * লক্ষ্য রাখবেন ছুটির দিনে মান অভিমান বা মনোমালিন্য করে সময় নষ্ট করবেন না। পরিবারে বয়স্ক কেউ থাকলে ছুটির দিনে তাকেও সময় দিন। আর বেড়াতে যাওয়ার সময় তাকেও সঙ্গে নিন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ছুটির দিনটিকে উপভোগ্য করে তুলুন।
তৈরি করুন ম্যাংগো ক্রিম পুডিং

তৈরি করুন ম্যাংগো ক্রিম পুডিং এখন আমের সময়। পাওয়া যাচ্ছে সবার প্রিয় পাকা আম। তাই তৈরি করতে পারেন দারুণ স্বাদের ম্যাংগো ক্রিম পুডিং। উপকরণ : পাকা মিষ্টি আমের রস-১ কাপ, ঘন দুধ ৩ কাপ, চিনি ১ কাপ, ডিম ৫টি, এলাচ গুঁড়া সামান্য, ক্রিম ২ টেবিল চামচ। যেভাবে করবেন : এক লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে অর্ধেক করুন। আমের রস ও ডিমের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দুধ, ডিম, চিনি, এলাচ গুঁড়া ও ক্রিম দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। চিনি দিয়ে ক্যারামেল করা পাত্রে মিশ্রণ ঢেলে পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে প্রেসার কুকারে পানি দিয়ে ৮ সিটি ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পুডিং নিজে থেকে ঠাণ্ডা হলে ওপরে আমের টুকরো দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। ক্যারামেল তৈরি : ঢাকনাসহ স্টিলের বক্সে প্রথমে একটু চিনি দিয়ে চুলায় দিন। যতক্ষণ চিনি বাদামি রং না হয় সে পর্যন্ত পাত্রটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব জায়গায় লাগিয়ে নিন। এবার ক্যারামেল ঠান্ডা করে পুডিং-এর মিশ্রণ ঢালুন।
কণ্ঠস্বর বসে গেলে যা করবেন

কণ্ঠস্বর বসে গেলে যা করবেন বর্ষা মৌসুম এলেই ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। বিশেষ করে সর্দি-কাশি ও কফের সমস্যা দেখা দেয়। এর সঙ্গে আবার গলা বসে কথা ফ্যাসফেসে হয়ে যাওয়া আপাতদৃষ্টিতে খুবই সাধারণ সমস্যা মনে হলেও আদতে তা না-ও হতে পারে। গলা বসে যাওয়া অনেকেই খুব একটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। কিন্তু এই গলা ভাঙাই অনেক সময় মারাত্মক কোনো রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গলা বসার কারণ হলো শ্বাসনালিতে সংক্রমণ। এমনকি সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা দীর্ঘক্ষণ জোরে কথা বললেও গলার স্বর ভাঙতে পারে। দীর্ঘদিন এ সমস্যা হচ্ছে, কিছুতেই সারছে না, বিশেষ করে আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন, কাজেই অবহেলা করবেন না! অল্পতেই তৎপর হন! তবে প্রথমেই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে গাদা গাদা অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে বরং ঘরোয়া উপায়ে এর মোকাবিলা করুন—লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করাটা সবচেয়ে সাধারণ এবং একই সঙ্গে কার্যকর পদ্ধতি। দিনে অন্তত চারবার লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করতে হবে। গলা ভাঙা উপশমে ভালো আরেকটি পদ্ধতি হলো গরম বাষ্প টানা। ফুটন্ত পানির বাষ্প যদি প্রতিদিন ১০ মিনিট মুখ ও গলা দিয়ে টানা হয়, তবে উপকার হবে। ভাঙা গলায় হালকা গরম লেবুপানি ও আদা বেশ কার্যকর। শুকনো আদায় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছে, যা গলার বসে যাওয়া স্বরকে স্বাভাবিক করে তুলতে পারে। নাক, কান ও গলা বিভাগের চিকিৎসক জানাচ্ছেন, ১০ মিনিট গরম পানির ভাপ মুখ ও নাক দিয়ে নিলে গলার স্বর দ্রুত স্বাভাবিক হতে পারে। কণ্ঠস্বরেরও যত্ন দরকার। প্রথমেই চিৎকার-চেঁচামেচি থেকে বিরত থাকতে হবে। ঠান্ডা লেগে যদি গলা বসে যায়, তবে কথা বলা বন্ধ করতে হবে বা কমিয়ে দিতে হবে। এমনকি ফিসফিস করেও কথা বলবেন না তখন। ধূমপান গলার যে কোনো সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয় বা জটিল করে তোলে। তাই ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।