বয়স ৫০ পেরিয়েও সুস্থ থাকার ৫ উপায়

বয়স ৫০ পেরিয়েও সুস্থ থাকার ৫ উপায় বর্তমান ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকা যেন একটি চ্যালেঞ্জ। মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত জীবনযাপন সব মিলিয়ে শরীর ও মনের উপর পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। তবে প্রতিদিনের রুটিনে কিছু সহজ অভ্যাস যোগ করলেই দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা সম্ভব। এই বয়সে ভারী ব্যায়াম না করে সাঁতার, নিয়মিত হাঁটা, যোগব্যায়াম ও তাই চির মতো ধীর-গতির অনুশীলন উপকারী। এতে করে মাংসপেশি সক্রিয় থাকে, জয়েন্টে চাপ পড়ে না এবং মানসিক চাপও হ্রাস পায়। সমাজের সঙ্গে যুক্ত থাকুন: সমাজচ্যুতি ও একাকীত্ব মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। নিয়মিত বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা, কমিউনিটি প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া এবং স্বেচ্ছাসেবী কাজে যুক্ত থাকা মস্তিষ্ককে সচল রাখে। প্রতিদিন মানসিক ব্যায়াম করুন : প্রতিদিন একটি ক্রসওয়ার্ড বা পাজল করলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চর্চা স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। ধূমপান সম্পূর্ণ ছাড়ুন : ধূমপান থেকে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়ে যায়। এখনই এই ক্ষতিকর অভ্যাস ত্যাগ করলে শারীরিক সক্ষমতা বাড়বে এবং আয়ু দীর্ঘ হবে। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন : বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাংসপেশি কমে যায়। ডিম, মাছ, বাদাম, দুধ ও লিন মাংস ও মুরগি —এই উপাদানগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে শরীর শক্তিশালী থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

ছুটি হোক আনন্দের

ছুটি হোক আনন্দের ব্যস্ততার জন্য কর্মজীবীরা পরিবার এবং বন্ধুদের সেভাবে সময় দিতে পারেন না। কারণ প্রতিটি কথা এবং কাজ তাদের করতে হয় সময়ের কাটা ধরে। সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনটির জন্য পরিবারের সবাই অপেক্ষা করি। বিশেষ এই দিনটিকে একবারে সাদামাটা না কাটিয়ে আনন্দময় করে তুললে পরবর্তী সপ্তাহে কাজের অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। সেসঙ্গে সবার মধ্যে সম্পর্ক আরও মধুর হয়। দিনটিকে আলাদা করতে যা করতে পারি- ছুটি নেওয়ার আগেই পরিকল্পনা করুন এই সময়টা কীভাবে সবচেয়ে বেশি আনন্দে ভরে তোলা যায়। * চেষ্টা করুন পরিবারের সবার একদিনেই ডে অফ নিতে। যেমন বাচ্চার স্কুল, কর্তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর গিন্নির অফিস ছুটি একদিনে নিন। * এই দিনটিতে চেষ্টা করুন অফিসের ব্যস্ততা এবং টেনশন দুটো থেকেই মুক্ত থাকতে। প্রতিদিন সকালে অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকে, তাই ভোরেই ঘুম থেকে উঠতে হয়, ছুটির দিনটিতে একটু আরাম করে ঘুমানো যায়। * ছুটি মানে সারাদিন সংসারের কাজ করে আর বাজার করেই কাটিয়ে দেবেন না যেন। সবার মধ্যে কাজ ভাগ করে দিন। সময় নির্দিষ্ট করে নিন, সেই সময়ের মধ্যে সবার সাহায্য নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে নিন। * বাসায় সবার পছন্দমতো রান্না করুন অথবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে একবেলা বাইরে খান। * সন্ধ্যায় কোনো আত্মীয়, বন্ধুর বাড়িতে অথবা পছন্দের কোনো জায়গায় বেড়াতে যান। * মাঝেমাঝে নিজের বাড়িতেও বন্ধুদের চায়ের আমন্ত্রণ করতে পারেন। * লক্ষ্য রাখবেন ছুটির দিনে মান অভিমান বা মনোমালিন্য করে সময় নষ্ট করবেন না। পরিবারে বয়স্ক কেউ থাকলে ছুটির দিনে তাকেও সময় দিন। আর বেড়াতে যাওয়ার সময় তাকেও সঙ্গে নিন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ছুটির দিনটিকে উপভোগ্য করে তুলুন।

তৈরি করুন ম্যাংগো ক্রিম পুডিং

তৈরি করুন ম্যাংগো ক্রিম পুডিং এখন আমের সময়। পাওয়া যাচ্ছে সবার প্রিয় পাকা আম। তাই তৈরি করতে পারেন দারুণ স্বাদের ম্যাংগো ক্রিম পুডিং। উপকরণ : পাকা মিষ্টি আমের রস-১ কাপ, ঘন দুধ ৩ কাপ, চিনি ১ কাপ, ডিম ৫টি, এলাচ গুঁড়া সামান্য, ক্রিম ২ টেবিল চামচ। যেভাবে করবেন : এক লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে অর্ধেক করুন। আমের রস ও ডিমের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দুধ, ডিম, চিনি, এলাচ গুঁড়া ও ক্রিম দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। চিনি দিয়ে ক্যারামেল করা পাত্রে মিশ্রণ ঢেলে পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে প্রেসার কুকারে পানি দিয়ে ৮ সিটি ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পুডিং নিজে থেকে ঠাণ্ডা হলে ওপরে আমের টুকরো দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। ক্যারামেল তৈরি : ঢাকনাসহ স্টিলের বক্সে প্রথমে একটু চিনি দিয়ে চুলায় দিন। যতক্ষণ চিনি বাদামি রং না হয় সে পর্যন্ত পাত্রটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব জায়গায় লাগিয়ে নিন। এবার ক্যারামেল ঠান্ডা করে পুডিং-এর মিশ্রণ ঢালুন।

কণ্ঠস্বর বসে গেলে যা করবেন

কণ্ঠস্বর বসে গেলে যা করবেন বর্ষা মৌসুম এলেই ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। বিশেষ করে সর্দি-কাশি ও কফের সমস্যা দেখা দেয়। এর সঙ্গে আবার গলা বসে কথা ফ্যাসফেসে হয়ে যাওয়া আপাতদৃষ্টিতে খুবই সাধারণ সমস্যা মনে হলেও আদতে তা না-ও হতে পারে। গলা বসে যাওয়া অনেকেই খুব একটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। কিন্তু এই গলা ভাঙাই অনেক সময় মারাত্মক কোনো রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গলা বসার কারণ হলো শ্বাসনালিতে সংক্রমণ। এমনকি সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা দীর্ঘক্ষণ জোরে কথা বললেও গলার স্বর ভাঙতে পারে। দীর্ঘদিন এ সমস্যা হচ্ছে, কিছুতেই সারছে না, বিশেষ করে আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন, কাজেই অবহেলা করবেন না! অল্পতেই তৎপর হন! তবে প্রথমেই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে গাদা গাদা অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে বরং ঘরোয়া উপায়ে এর মোকাবিলা করুন—লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করাটা সবচেয়ে সাধারণ এবং একই সঙ্গে কার্যকর পদ্ধতি। দিনে অন্তত চারবার লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করতে হবে। গলা ভাঙা উপশমে ভালো আরেকটি পদ্ধতি হলো গরম বাষ্প টানা। ফুটন্ত পানির বাষ্প যদি প্রতিদিন ১০ মিনিট মুখ ও গলা দিয়ে টানা হয়, তবে উপকার হবে। ভাঙা গলায় হালকা গরম লেবুপানি ও আদা বেশ কার্যকর। শুকনো আদায় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছে, যা গলার বসে যাওয়া স্বরকে স্বাভাবিক করে তুলতে পারে। নাক, কান ও গলা বিভাগের চিকিৎসক জানাচ্ছেন, ১০ মিনিট গরম পানির ভাপ মুখ ও নাক দিয়ে নিলে গলার স্বর দ্রুত স্বাভাবিক হতে পারে। কণ্ঠস্বরেরও যত্ন দরকার। প্রথমেই চিৎকার-চেঁচামেচি থেকে বিরত থাকতে হবে। ঠান্ডা লেগে যদি গলা বসে যায়, তবে কথা বলা বন্ধ করতে হবে বা কমিয়ে দিতে হবে। এমনকি ফিসফিস করেও কথা বলবেন না তখন। ধূমপান গলার যে কোনো সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয় বা জটিল করে তোলে। তাই ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।

কাঁঠালের বিচির জাদুকরী স্বাস্থ্য উপকারিতা

কাঁঠালের বিচির জাদুকরী স্বাস্থ্য উপকারিতা কাঁঠালের বিচি শুধুই ফেলে দেওয়ার বস্তু নয়—এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং স্বাস্থ্যের জন্য রয়েছে একাধিক উপকারিতা। খেতেও সুস্বাদু। প্রতি ১শ গ্রাম বিচি থেকে শক্তি পাওয়া যায় ৯৮ ক্যালরি। এতে কার্বোহাইড্রেট ৩৮ দশমিক ৪ গ্রাম, প্রোটিন ৬ দশমিক ৬ গ্রাম, ফাইবার ১ দশমিক ৫ গ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক ৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম শূন্য দশমিক ৫ থেকে শূন্য দশমিক ৫৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস শূন্য দশমিক ১৩ থেকে শূন্য দশমিক ২৩ মিলিগ্রাম, আয়রন ১ দশমিক ২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম ও পটাসিয়াম ৪ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম রয়েছে। যেসব উপকারিতা মিলবে কাঁঠালের বিচি খেলে, আসুন জেনে নিই: * কাঁঠালের বিচি আয়রনের একটি বড় উৎস। নিয়মিত এটি খেলে রক্তস্বল্পতা ও অন্যান্য রক্তরোগের ঝুঁকি দূর হয়। এছাড়া আয়রন মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্র সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। * হেলথলাইন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে বলা হচ্ছে, কাঁঠালের বিচিতে ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান রয়েছে। এর উপরিভাগ ছোট ছোট কণা দ্বারা আবৃত থাকে যা ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান হিসেবে কাজ করে। কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। * ফাইবার ও রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চসমৃদ্ধ কাঁঠালের বিচি খেলে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষুধা নিবারণ করা সহজ হয়। এরা শরীরে সহজে হজম হয় না। কিন্তু অন্ত্রে থাকা উপকারী। * ব্যাকটেরিয়াদের খাদ্য হিসেবে কাজ করে। * রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় কাঁঠালের বিচি। * স্টাইলক্রেজ ওয়েবসাইট বলছে, কাঁঠালের বিচিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যগুলো ফ্রি র‌্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। *অকাল বার্ধক্য ও বলিরেখা থেকে দূরে থাকা যায়। ঠান্ডা দুধে কাঁঠালের বিচি পিষে ত্বকে লাগালে ত্বক টানটান থাকে। * কাঁঠালের বিচি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়ায়। * কাঁঠালের বিচিতে থাকা উচ্চ মানের প্রোটিন আমাদের পেশি তৈরিতে সাহায্য করে। * কাঁঠালের বিচি বদহজম রোধ করে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। * কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে আসে। * কাঁঠালের বিচি প্রোটিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস সমৃদ্ধ যা মানসিক চাপ কমায়। * বলিরেখা দূর ও ত্বকের বিভিন্ন রোগ সারাতে সাহায্য করে। * প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে কাঁঠালের বিচিতে। চোখের জন্য উপকারি ও রাতকানা রোগ কাটাতেও সাহায্য করে। * চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করে ও চুল পড়া কমে। *নিয়মিত কাঁঠালের বিচি খেলে শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়বে। এটি খেলে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতাও দূর হবে।

জেল্লা বাড়াতে ত্বকের ধরন অনুযায়ী মাস্ক

জেল্লা বাড়াতে ত্বকের ধরন অনুযায়ী মাস্ক ত্বকের দীপ্তি ফেরাতে বাজারে নানা রকম উপাদানে তৈরি মাস্ক রয়েছে। কোন ত্বকের জন্য কোনটি ভালো, না বুঝে ব্যবহার করলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। ত্বক তৈলাক্ত। মুখময় ব্রণ। সেই মুখে যে মাস্ক ব্যবহার করা যায়, সেটাই কি মাখতে পারেন যাদের ত্বকের ধরন শুষ্ক, তারাও? কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেকেই শুধু মাস্কের উপযোগিতা বিচার করে মুখে মাখছেন। উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে ত্বকের সমস্যা বা ধরন। তবে বিউটিশিয়ানদের পরামর্শ, সমস্যা এবং ত্বকের ধরন বুঝেই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। যে কোনো প্রসাধনী যেমন যে কোনো ত্বকের উপযোগী নয়, তেমনই মাস্কও সব ত্বকের জন্য এক রকম হতে পারে না। আর সে কারণেই বাজারে নানা রকম উপাদানে তৈরি মুখের মাস্ক রয়েছে। বেছে নেবেন কোনটি? শুষ্ক ত্বক: ত্বকের ধরন কারও কারও বেশ শুষ্ক হয়। মুখে কোনো ঔজ্জ্বল্য থাকে না। এমন ত্বকের জন্য দরকার হয় আর্দ্রতার। সেজন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে হাইড্রেটিং জেল বা ক্রিম মাস্ক। এই ধরনের মাস্ক ত্বকে আর্দ্রতার জোগান দিতে এবং সেই আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যুক্ত শিট মাস্ক বা অন্য কোনও মাস্ক এ জন্য আদর্শ। কারণ, মুখে আর্দ্রতা জোগাতে এই উপাদান একাই একশো। জেল্লাহীন ত্বক: কারও ত্বক শুষ্ক না হলেও জেল্লা থাকে না। মুখের কোনও কোনও অংশ কালচে হয়। এমন ত্বকের জন্য অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যুক্ত প্রসাধনী জরুরি। দরকার হয় এক্সফোলিয়েশনের, যাতে ত্বকে জমা মৃত কোষ পরিষ্কার করা যায়। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন সি যুক্ত কোনও মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের কালচে ভাব দূর করে দীপ্তি ফেরাতে কাজে আসতে পারে নিয়াসিনামাইডও। স্পর্শকাতর: কারও ত্বক হয় স্পর্শকাতর। এমন ত্বকে যে কোনো জিনিস মাখা যায় না। সুগন্ধী, অ্যালকোহল মিশ্রিত কোনো প্রসাধনী বা মাস্ক এমন ত্বকের উপযোগী নয়। বরং ক্যালেন্ডুলা, ক্যামোমাইল অয়েল রয়েছে এমন উপাদান মিশ্রিত মাস্ক বেছে নেওয়া যায়। পরামর্শ, মুখের জন্য মাস্ক বেছে নেওয়ার আগে সেটি ত্বকের ওপর পরীক্ষিত কি না জেনে নেওয়া প্রয়োজন। ত্বকের ধরন স্পর্শকাতর হলে ক্লে মাস্ক বা এক্সফোলিয়েটিং মাস্ক এড়িয়ে চলা ভালো।

প্রতিদিন একটি কলা খেলে কী হয়?

প্রতিদিন একটি কলা খেলে কী হয়? কলা সবচেয়ে সহজলভ্য ফলের একটি। এটি প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি, ফাইবার এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থে ভরপুর যা আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। আপনি যদি প্রতিদিন মাত্র একটি কলা খাওয়া শুরু করেন তবে কী হবে? প্রতিদিন কলা খেলে শরীরে কী ঘটে? চলুন জেনে নেওয়া যাক দিনে একটি করে কলা খেলে তা আপনার শরীরের জন্য কী উপকারিতা নিয়ে আসতে পারে- ১. হজমশক্তি বৃদ্ধি পায় ২০২১ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, কলা ডায়েটারি ফাইবার, বিশেষ করে পেকটিন দিয়ে ভরপুর, যা অন্ত্রের গতিবিধি মসৃণ করতে সাহায্য করে। যদি প্রায়ই খাবারের পরে পেট ফাঁপা বোধ করেন, তাহলে দিনে একটি কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি ভালো হজমে সহায়তা করে। কলায় প্রিবায়োটিক থাকে যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। এটি নরম, সহজে হজমযোগ্য এবং হজমকে মসৃণ রাখার জন্য উপযুক্ত। ২. শক্তি বৃদ্ধি করে কলা হলো গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করার দ্রুত উৎস, যা আপনাকে স্থির শক্তি দেবে। ২০১২ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, এটি ক্রীড়াবিদদের কাছে প্রিয় ফল। ওয়ার্কআউটের আগে বা মধ্য-সকালের ঝিমঝিমের সময় একটি কলা খেলে তা শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি বৃদ্ধি করে। কলা ভিটামিন বি৬-তেও ভরপুর, যা খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। ৩. হৃদরোগ দূরে রাখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, একটি মাঝারি কলায় ৪২২ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা ধীরে ধীরে হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি কমতে পারে। এই ফলে চর্বি এবং সোডিয়াম কম থাকে, যা হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো। ৪. স্ট্রেস দূর করে কলায় থাকা ভিটামিন বি৬ শরীরে সেরোটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করতে পারে, যা মানসিক চাপ দূর করে আমাদের প্রাণবন্ত রাখতে কাজ করে। তাই ক্লান্ত ও হতাশ বোধ করলে নিয়মিত কলা খেতে পারেন। এটি একটি প্রাকৃতিক খাবার যা জাঙ্ক ফুডের মতো রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। বরং ক্লান্তি দূর করে হাসিখুশি থাকতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী সবজি

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী সবজি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খাবারের ক্ষেত্রে নানা নিষেধ মেনে চলতে হয়। এমনকী কিছু কিছু সবজিও এড়িয়ে চলতে হয়। তবে কিছু সবজি আছে যেগুলো ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। কারণ সেগুলোর গ্লাইসেমিক সূচক কম। এ ধরনের সবজি নিয়মিত খেলে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন সবজিগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী- ১. ব্রোকলি ব্রোকলি এমন একটি সবজি যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। ২০১২ সালে রিসার্চ গেটে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, ব্রোকলির গ্লাইসেমিক সূচক কম এবং এতে সালফোরাফেন থাকে, যা শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ব্রোকলি ফাইবারে ভরপুর, যা চিনির শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরিয়ে রাখে। ব্রোকলি, সেদ্ধ যেভাবেই খান না কেন এটি আপনার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। তাই ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত এই সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। ২. পালং শাক এই সবুজ পাতাযুক্ত শাক রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। পালং শাকের গ্লাইসেমিক সূচক ১৫, যার অর্থ এটি হঠাৎ করে সুগার স্পাইক তৈরি করে না। এটি ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর, যা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১৬ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, সবুজ পাতাযুক্ত শাক-সবজি খেলে তা টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনার স্মুদি, তরকারি, সালাদ বা পরোটায় নিশ্চিন্তে পালং শাক যোগ করে নিন। এতে স্বাদ ও পুষ্টি দুটিই মিলবে। ৩. ফুলকপি পালং শাকের মতো ফুলকপিও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিচিত। এই সবজির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ১৫ এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি, যার অর্থ এটি ধীরে ধীরে হজম হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা আপনার শরীরকে সামগ্রিকভাবে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। আপনি এটি ভাজতে পারেন, সুস্বাদু সবজি তৈরি করতে পারেন অথবা স্যুপে যোগ করতে পারেন, ফুলকপি নানাভাবে খাওয়া যায় আবার খেতেও সুস্বাদু। তাই ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত এই সবজি খেতে পারেন। এতে আরও অনেক উপকার মিলবে।

জামের বীজের গুঁড়া খাওয়ার  উপকারিতা জেনে নিন

জামের বীজের গুঁড়া খাওয়ার  উপকারিতা জেনে নিন জাম গ্রীষ্মের সুস্বাদু ফলের মধ্যে একটি। এটি কেবল সুস্বাদুই নয়, বরং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণেও ভরপুর। সাধারণত এর আমরা ফেলে দিই। তবে আপনি জেনে অবাক হবেন যে, জামের বীজ গুঁড়া করে খাওয়া হলে তা স্বাস্থ্যের জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। হজমশক্তি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা পর্যন্ত, খালি পেটে জামের বীজের গুঁড়া খাওয়ার পাঁচটি উপকারিতা জেনে নিন- ১. রক্তে শর্করার মাত্রায় ভারসাম্য রাখে ডায়াবেটিসে ভুগছেন এমন রোগীদের জন্য জামের বীজের গুঁড়া দারুণ উপকারী বলে মনে করা হয়। কারণ জাম্বোলিন এবং অ্যালকালয়েডের মতো যৌগের উপস্থিতি। এই দুটিই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পরিচিত। এশিয়ান প্যাসিফিক জার্নাল অফ ট্রপিক্যাল বায়োমেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, জামের বীজের নির্যাস ডায়াবেটিক ইঁদুরের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে, যা এর ডায়াবেটিস-বিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকার প্রমাণ দেয়। ২. হজমশক্তি উন্নত করে আপনি কি হজমের সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে জামের বীজের গুঁড়া খাওয়া উপকারী হতে পারে। এটি হজম স্বাস্থ্যের জন্য এটি এত ভালো কেন? কারণ এর অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট এবং কার্মিনেটিভ বৈশিষ্ট্যে, যা পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করে। সকালে খালি পেটে এই বীজের গুঁড়া খেলে অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে। সেইসঙ্গে পেট ফাঁপা এবং অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে। ৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় জামের বীজের গুঁড়া খাওয়ার আরেকটি আশ্চর্যজনক সুবিধা হলো, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, যা ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিক্যাল থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। একবার আপনি নিয়মিত এর গুঁড়া খাওয়া শুরু করলে, লক্ষ্য করবেন যে অসুস্থ হওয়ার ফ্রিকোয়েন্সি অনেকটাই কমে গেছে। ৪. ওজন কমাতে সহায়তা করে ওজন কমানো বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে জামের বীজের গুঁড়া খেলে তা সহজ হতে পারে। উচ্চ ফাইবারের কারণে খালি পেটে এটি খেলে ক্ষুধা কমতে পারে এবং পেট ভরে যেতে পারে। এটি দিনের বেলা অতিরিক্ত খাওয়াও প্রতিরোধ করতে পারে। দ্য ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ওবেসিটির মতে, জাম ফ্যাট বিপাক রোধ করতে এবং চর্বি জমা কমাতেও সাহায্য করতে পারে। ৫. ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে যেহেতু জাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, তাই এটি আমাদের ত্বকের জন্যও দুর্দান্ত। এই বৈশিষ্ট্যগুলো ব্রণ, পিগমেন্টেশন এবং কালচে দাগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। শুধু তাই নয়, এর গুঁড়া খেলে অকাল বার্ধক্য এবং নিস্তেজ ত্বকও প্রতিরোধ করা যায়। তাই আপনি যদি সুস্থ এবং উজ্জ্বল ত্বক অর্জন করতে চান, তাহলে জামের বীজের গুঁড়া খাওয়া শুরু করুন।

পুরোনো স্বাদের ঝুরা মাংস

পুরোনো স্বাদের ঝুরা মাংস ঝুরা মাংস রান্না করতে হলে ধাপে ধাপে কয়েকদিন লাগিয়ে রান্না করতে হবে। বাংলার পুরনো রেসিপি এটি। ঐহিত্যবাহী এই পদ রান্নার রেসিপি রইলো। উপকরণ: গরুর চাকা মাংস: ৪ কেজি পেঁয়াজকুচি: ১ কেজি রসুনবাটা: ৩ টেবিল চামচ আদাবাটা: আধা কাপ দারুচিনি:৬ টুকরা এলাচি: ১০টি তেজপাতা: ৪টি তেল: আধা লিটার লবণ: পরিমাণমতো প্রথম ধাপ: মাংস ধুয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। এরপর ধুয়ে পানি ঝরতে দিন। দ্বিতীয় ধাপ: চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে তেল গরম করে পেঁয়াজ অল্প ভেজে নিতে হবে। এরপর সব মসলা কষিয়ে গোশত দিয়ে দিন। অল্প আঁচে রান্না করতে হবে। তৃতীয় ধাপ: কয়েক দিন ধরে রান্না করতে থাকুন। ভেঙে ঝুরঝুরে হয়ে গেলে হাঁড়ি থেকে ঝুরা মাংস তুলে সংগ্রহ করতে হবে।