01713248557

কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করবে না পুলিশ : নবাগত পুলিশ সুপার

কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করবে না পুলিশ : নবাগত পুলিশ সুপার চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাগত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেছেন, পুলিশ কোনো রাজনৈতিক দলের বা গ্রুপের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করবে না। পুলিশ আইনের মধ্যে থেকেই তার দায়িত্ব পালন করবে। পুলিশ বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীন কাজ করছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি কথাগুলো বলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশ সুপার হিসেবে তার যোগদান উপলক্ষে এই মতবিনিময়ের আয়োজন করে জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার বলেন, মাদকের মতন খারাপ জিনিস হয় না, মাদক জাতিকে ধ্বংস করে দেয়, কাজেই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাবে পুলিশ, পুলিশের কোনো সদস্যও যদি জড়িত থাকে এবং তার বিরুদ্ধে যদি তথ্যপ্রমাণ মিলে তাহলে তার বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আয়নাঘর সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোনো আয়নাঘর থাকবে না, আইনের আলোকে যতটুকু সময় আটকে রাখার বিধান আছে, ততটুকুই রাখা হবে। এখানে কীভাবে এটা হয়েছে তা আমি দেখছি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন- কোনো ঘটনা ঘটলে তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া থাকবে অথবা যে থানার অধীন ঘটনা ঘটবে সেই থানার ওসি কিংবা এসআই তথ্য দিবেন। যদি না দেন তাহলে আপনারা আমাকে ফোন করবেন। জরুরি কোনো বিষয় হলে প্রয়োজনে একাধিকবার ফোন করবেন। অথবা মেসেজ দেবেন। তবে আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ হচ্ছে, কোনো বক্তব্য নেয়ার পর যদি দেখেন কোনো অসামঞ্জস্য থেকে গেছে তাহলে সেই বক্তব্যটুকু বাদ দেবেন। পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেছেন, জঙ্গি নাটক তদন্ত করা হবে। তবে শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জই নয়, সারাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। পুলিশ বিশাল একটা বাহিনী, এটি একটি বড় কাজ। নবাগত পুলিশ সুপার বলেন- দেখেন ৫ আগস্টের পর মাঠপর্যায়ে পুলিশের যে স্থবিরতা তা আস্তে আস্তে কাঠিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেটার জন্য আগের সেটআপকে বদলি করা হচ্ছে এবং নতুন সেটআপ হচ্ছে অর্থাৎ পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের এখান থেকেই প্রায় ৫০-৬০ জন বদলি হয়ে গেছে, সেই জায়গায় নতুন লোক আসবে। আমি বলতে পারি, পুলিশ ইতোমধ্যেই সক্রিয় হয়ে গেছে। তবে আরেকটু সময় লাগবে, আপনারা সহযোগিতা করেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের ওপর গুরুত্বারোপ করে পুলিশ সুপার বলেন- আমার প্রতিদিন সকাল হলেই স্থানীয় পত্রপত্রিকা দেখার প্রয়োজন। ঢাকার পত্রিকার খবর পরে দেখলেও চলবে কিন্তু স্থানীয় সংবাদ আগে দেখার দরকার। কারণ, কোনো সংবাদের গুরুত্ব থাকলে সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি, তা না হলে হয় বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যাবে। তাই স্থানীয় পত্রপত্রিকাকে অধিক গুরুত্ব দিই। পুলিশ সুপার মতবিনিময়কালে বলেন- আমি জেনে খুবই খুশি হলাম, এখানে কমিউনিটি রেডিও আছে। সুযোগ পেলে রেডিওটি পরিদর্শনের ইচ্ছে ব্যক্ত করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবুল কালাম সাহিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অফস) মো. নুরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবাবগঞ্জ সার্কেল) মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাকরিয়া। সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ, সিটি প্রেস ক্লাব-চাঁপাইনবাবগঞ্জ’র সভাপতি কামাল সুকরানা ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ অন্যান্য প্রেস ক্লাবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং দেশের বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধিগণ। এছাড়া স্থানীয় পত্রিকা হিসেবে দৈনিক চাঁপাই দৃষ্টির প্রকাশক ও সম্পাদক এমরান ফারুক মাসুম, দৈনিক গৌড় বাংলার প্রকাশক ও সম্পাদক হাসিব হোসেন, দৈনিক চাঁপাই দর্পণের প্রকাশক ও সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু এবং চাঁপাই চিত্রের নির্বাহী সম্পাদক ওয়ালিউজ্জামান রুবেল উপস্থিত ছিলেন। পরিচয়পর্বের পর সাংবাদিকদের কাছ থেকে জেলার বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন পুলিশ সুপার। এসময় তিনি জানান, দেশের পরিস্থিতির উন্নতির সাথে সাথে আমাদের জেলার সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। এই জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন। উল্লেখ্য, ২৫তম বিসিএসের সদস্য পুলিশ সুপার রেজাউল করিম এর আগে সিরাজগঞ্জে পিবিআইয়ে কর্মরত ছিলেন। বরগুনা জেলার পাথরঘটা উপজেলার বাসিন্দা রেজাউল করিম ১৯৯২ সালে কালমেঘা মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯৪ সালে বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ২০০০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে বিএসএস (অনার্স), এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০০৬ সালের ২১ আগস্ট পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। পুলিশ সুপার রেজাউল করিম ২ কন্যাসন্তানের জনক।

চাঁপাইনবাবঞ্জে পদ্মা’র তীরবর্তী ধানের জমিতে ১৪টি রাসেলস ভাইপার সাপ মারল কৃষকরা

চাঁপাইনবাবঞ্জে পদ্মা’র তীরবর্তী ধানের জমিতে ১৪টি রাসেলস ভাইপার সাপ মারল কৃষকরা শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী পাঁকা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের গমেরচর জামাইপাড়া এলাকার নদীঘেঁষা একটি ধানক্ষেতে আজ, গতকাল ও গত সোমবার ৩ দিনে বড়, ছোট ও মাঝারি তিন আকৃতির ১৪টি চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার সাপ পিটিয়ে মেরে নদীতে ভাসিয়ে ও মাটিতে পুঁতে ফেলেছে জমির মালিক ও স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্র জানায়, পদ্মাপাড়ের ওই এলাকায় বহুপূর্ব থেকেই রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব রয়েছে। কয়েকটি দূর্ঘটনাও ঘটেছে অতীতে। কৃষকরাসহ স্থানীয় সকলেই সাপটির প্রজাতি ভাল করে চেনে ও জানে। ইন্টারনেটের কারণে এখন তারা ওই সাপ সহজেই শনাক্ত করতে পারে বলেও দাবি স্থানীয়দের। গত ৩দিনে সাপগুলি কেটে রাখা ধানের নীচে পাওয়ার পর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিস্ট ইউপি সদস্য মো.জালাল, গ্রাম পুলিশ জমশেদ আলী,২বিঘা ওই জমির মালিক কৃষক ইব্রাহীমের(৫৬) ছেলে সৈয়বুর(২৬) ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন(২৮)। জানা গেছে, কেটে জমিতে ফেলে রাখা ধান গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে আঁটি বাঁধতে গেলে ধানের নীতে সাপ দেখতে পান ইব্রাহীম ও তার ছেলেরা। তারা সোমবার ৬টি সাপ মারেন। এ সময় আশেপাশের বহু লোক জড়ো হয়ে যায়। ওইদিন পাশের জমির মালিক একরামুলে ছেলে টুটুল,মন্টুর ছেলে হবু, হুমায়ুন কবিরের ছেলে রুবেলরা আরও ৩টি সাপ মারেন। মঙ্গলবার দিনব্যাপী ইব্রাহীম ও তার ছেলেরা আরও ৩টি সাপ মারেন। বুধবার মারা পড়ে আরও ২টি সাপ।

শিবগঞ্জে ইট ভাটাকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা

শিবগঞ্জে ইট ভাটাকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা   শিবগঞ্জে একটি ইট ভাটাকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বিকেলে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কয়লা দিয়াড় এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌফিক আজিজ। তিনি জানান, বিকেলে কয়লা দিয়াড় এলাকায় ৫টি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় স্মার্ট ব্রিকসের মালিক মামুনুর রশীদকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধিত) আইন, ২০১৯ এর ধারা ৪ লঙ্ঘনের অপরাধে ১৪ ধারায় ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও পরবর্তী কার্যক্রম বন্ধ করার বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়। তিনি আরো জানান, এলাকার বিভিন্ন সচেতন নাগরিকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অপর ইট ভাটাগুলোতে সহকারী পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অভিযান পরিচালনায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও শিবগঞ্জ থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন  মোঃ আব্দুস সামাদ। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের  সংস্কার ও গবেষণা অনুবিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২৪বিসিএস  ব্যাচের একজন সদস্য।  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন- ১ শাখার উপসচিব মোঃ ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানা গেছে।  একই প্রজ্ঞাপনে ৩৪ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জেলায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যক্রম হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। এদিকে, দেশের আরো ৩৪ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে নতুন করে প্রত্যাহার করা ডিসিদের জায়গায় ৩৪ জনকে পদায়নও করা হয়েছে। আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। সূত্র জানায়, ৩৪ জেলা থেকে ডিসি প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং নতুন করে ৩৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন শাখা থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ পদায়নের কথা জানানো হয়।  

সীমান্তে দিনভর সামাজিক কার্যক্রম ৫৩ বিজিবির

সীমান্তে দিনভর সামাজিক কার্যক্রম ৫৩ বিজিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত এলাকার ৭৯০ জনকে দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ দিয়েছে বিজিবি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৩ বিজিবি) এই সেবা প্রদান করে। এছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণকে স্বাবলম্বী করার লক্ষে সেলাইমেশিন বিতরণ করা হয়। সেই সঙ্গে ছাতা, গামবুট ও রেইনকোট এবং যুবসমাজকে খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধকরণের জন্য যুবকদের মধ্যে ফুটবল ও ২২ সেট জার্সি বিতরণ করা হয়। রবিবার জেলার সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নে দিনভর এইসব সামাজিক কার্যক্রম চালায় ৫৩ বিজিবি। ৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মনির-উজ-জামানের নেতৃত্বে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদকদ্রব্য, অন্যান্য দ্রব্যাদি চোরাচালান, গরু চোরাচালান এবং অবৈধ পারাপার রোধে এলাকার মানুষদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে জেলার সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাতাসমোড় মাহমুদা মহিউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেনÑ ৫৩ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর আসরারুল হক, মেডিকেল অফিসার ডা. ফুয়াদ কবিরসহ জহুরপুর বিওপির বিভিন্ন পদবির বিজিবি সদস্যরা। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষাসহ ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকা- চলমান রাখবে বলে জানানো হয়।  

ভোলাহাটে মহানন্দা নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু

ভোলাহাটে মহানন্দা নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু ভোলাহাট উপজেলায় মহানন্দা নদীতে ডুবে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতব্যক্তি ভোলাহাট সদর ইউনিয়নের যাদুনগর গ্রামের সেন্টু মিয়ার ছেলে মামুন। তিনি পেশায় রিক্সাচালক ছিলেন। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানায়, আজ দুপুর ১টার দিকে বাড়ির অদূরে মহানন্দার ঘাটে গোসলে নেমে ডুবে যান মামুন। স্থানীয়রা তাকে পৌনে ২টার দিকে পানি থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ভোলাহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল পাশা বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

গোমস্তাপুরে র‌্যাবের হাতে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন ও ৭ বছর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেপ্তার

গোমস্তাপুরে র‌্যাবের হাতে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন ও ৭ বছর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেপ্তার গোমস্তাপুর উপজেলায় র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন ও ৭ বছর সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামী জহিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়েছে। সে গোমস্তাপুরের চৌডালা ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলাম ওরফে কুলুর ছেলে। র‌্যাব জানায়, আজ ভোরে নিজ গ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‌্যাব ক্যাম্পের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জহিরুল পেশাদার শীর্ষ অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী। ২০২২ সালের ১ জুন অস্ত্র বহনের সময় সে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়। এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়। পরে ওই আসামী জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক থাকে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন আদালত তাকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন ও আরও ৭ বছর করাদন্ডে দন্ডিত করেন। গ্রেপ্তার জহিরুলকে গোমস্তাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৩টি স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৩টি স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৩টি স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির মাঝে ৬ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মহিলা কল্যাণ পরিষদের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অনুমোদনকৃত এসব চেক বিতরণ করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাহিদা আক্তার ও বিভিন্ন মহিলা সমিতির প্রতিনিধিরা।

গোমস্তাপুরে বৃত্তিপাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

গোমস্তাপুরে বৃত্তিপাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা গোমস্তাপুরে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির বৃত্তিপাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে রহনপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওই এসোসিয়েশনের সভাপতি জিন্নাউল আউয়াল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য দেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইসাহাক আলী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার হাবিবের সঞ্চালনায় অন্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন রহনপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, রহনপুর স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি নাজমুল হুদা খান রুবেল, রহনপুর শিল্প ও বণিক সমিতি সভাপতি মাসুদ রানা, মেসার্স মারুফ ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল মামুনসহ অন্যরা। এ সময় বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক, শিক্ষার্থীরা। আলোচনা শেষে গোমস্তাপুর উপজেলা কিন্ডারগার্ডেন এসোসিয়েশনের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির বৃত্তিপ্রাপ্তসহ ১১২ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এনজিও কর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এনজিও কর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন চাঁপাইনবাবগঞ্জে খাতিজা খাতুন নামে একজন এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণ শেষে হত্যা এবং ওই নারীর ৪ বছর বয়সী চাচাতো বোন তাবাসুমকে হত্যা চেষ্টার দায়ে নারী ও শিশু নির্যাতণ দমন আইনে দায়ের একটি মামলায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১ লক্ষ টাকা করে অর্থদন্ড,অনাদায়ে ২ বছর কারাদন্ডসহ একই মামলার অন্য ধারায় দন্ডিত ৪ জনের বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারক আদেশে উল্লেখ করেছেন, সকল দন্ডিতের ক্ষেত্রে সকল দন্ড একত্রে কার্যকর হবে। এছাড়া মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ৪ আসামীকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। আজ বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতণ দমন ট্রাইবুনালের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার দন্ডিতদের উপস্থিতিতে আদেশ প্রদান করেন। দন্ডিতরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার আখিরা গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে আব্দুল জলিল, একই গ্রামের মন্টুর ছেলে মোহাম্মদ আলী সাদ্দাম, আব্দুল মান্নানের ছেলে হেলাল আলী ও মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে আওয়াল হোসেন। মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায় এবং ষ্পেশাল পিপি এনামুল হক বলেন, দন্ডিত হেলালের সাথে মোবাইলের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক হয় খাতিজার। ২০১৮ সালের ৯ আগষ্ট দিবাগত রাতে দন্ডিত হেলাল ও তার সহযোগিরা হেলালের সাথে খাতিজার বিয়ের তারিখ ঠিক করার কথা বলে খাতিজা ও তার শিশু বোনকে আখিরা গ্রামের একটি আখক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে একাধিকজন তাকে ধর্ষণ করে,একাধিকজন অপরাধ সংগঠনে সাহায্য করে ও পরে তাদের কেউ কেউ খাতিজাকে শ^াসরোধে ও আঘাতে হত্যা করে, কেউ কেউ বাধা না দিয়ে অপরাধ সংগঠিত হতে দেয় এবং অপরাধিরা শিশু তাবাসুমকেও হত্যার জন্য আছাড় মারে। তবে সে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। পরদিন সকালে আখক্ষেত থেকে খাতিজার মরদেহ ও তাবাসুম জীবিত উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ওইদিন শিবগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা করেন নিহতের পিতা ও শিবগঞ্জের লাওঘাটা গ্রামের আলাউদ্দিন। ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল পিবিআই,রাজশাহীর উপ-পরিদর্শক(এসআই) সাইদুর রহমান ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করেন। ২২ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানী শেষে আদালত আজ ৪ জনকে দোষি সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষনা করেন। আসামীপক্ষে মামলা পরিচালননা করেন এড, মিজানুর রহমান ও অন্যরা।