শিবগঞ্জে পদ্মায় নৌকা ডুবে শিশু নিখোঁজ

শিবগঞ্জে পদ্মায় নৌকা ডুবে শিশু নিখোঁজ শিবগঞ্জে নানীর বাড়ি যাবার সময় পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবে আয়েশা খাতুন নামে এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। আজ বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলার পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মিজানুর রহমান। এর আগে গতকাল বিকেলে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বোগলাউড়ি-জ্যাটপাড়া ঘাট পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। ওয়ার্ড সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল বিকেলে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বোগলাউড়ি-জ্যাটপাড়া ঘাট থেকে একটি নৌকায় কয়েকজন যাত্রী ও মুদি দোকানের মালামাল নিয়ে দশ রশিয়া বাজার যাচ্ছিল। এ সময় বৈরী আবহাওয়ায় পদ্মায় নৌকাটি ডুবে যায়। মাঝি ও অন্যান্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও পদ্মায় ডুবে নিখোঁজ হয় শিশু আয়েশা খাতুন।
নাচোলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক ব্যাক্তির পানিতে ভাসমান অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

নাচোলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক ব্যাক্তির পানিতে ভাসমান অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার নাচোল উপজেলা থেকে ঢেনা মুর্মু নামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক ব্যাক্তির পানিতে ভাসমান প্রায় অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি নাচোল সদর ইউনিয়নের পীরপুর সাহানাপাড়া গ্রামের বুদ্ধাই মুর্মুর ছেলে। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ঢেনা মুর্মু গত সোমবার সকাল ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরের ঝিকরা গ্রামে তাঁর নাতনির বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেন নি। পরে গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিকড়া গ্রাম সংলগ্ন একটি বিলের পানি নিস্কাষন খাঁড়িতে কচুরিপানার মধ্যে ঢেনার ভাসমান মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ৯টার দিকে খাঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নাচোল থানার অফিসার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, মরদেহে প্রাথমিকভাবে বাহ্যিক আঘাতের কোন চিহ্ন মেলেনি। ঢেনা তাঁর ভাগ্নি মরিয়ম মার্ডির মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঝিকড়া গ্রামে যান। পরে বিয়ে খেয়ে আসার পথে কোনভাবে ওই খাঁড়িতে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ওসি আরও জানান, ঢেনা নিজ বাড়িতে রওনা দিলে তাঁর ভাগ্নির পরিবার ধারণা করে, তিনি নিজ বাড়িতে চলে গেছেন। কিন্তু তিনি বাড়ি না ফিরলেও তাঁর নিজ পরিবার ধারণা করে, তিনি ভাগ্নির বাড়িতেই আছেন। ফলে ২ দিন কোন পরিবরাই তাঁর কোন খোঁজ করেন নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে,অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনি খাঁড়ির পানিতে পড়ে মারা যান। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রকিয়াধীন বলেও জানান ওসি।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের দিনভর কর্মসূচি

শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের দিনভর কর্মসূচি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক সচেতনতামূলক এক সভা বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা ও ক্রীড়া উপকরণ এবং সৌন্দর্যবর্ধক বাগানবিলাস, কাঠগোলাপ, কৃষ্ণচূড়া, চন্দ্রপ্রভা ও রেভেনিয়া গাছের চারা এবং আগুন ও বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। অন্যদিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উদ্বোধন করা হয়েছে ৩ দিনব্যাপী মৌসুমি ফলের মেলা ও প্রদর্শনী। এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজাহার আলীসহ অন্যরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৬২ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ৬২ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬২ জন ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ জন। আর হাসপাতালটির বহির্বিভাগে শনাক্ত হয়েছেন আরো ৩৭ জন। তারা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটে ২ জন করে শনাক্ত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তারা শনাক্ত হন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২১ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ, ৮ জন মহিলা ও ১ জন শিশু রয়েছেন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। জেলা হাসপাতালের বুধবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্বের মোট ভর্তি রোগী ছিলেন ৫৮ জন। তাদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও ২৭ জন মহিলা এবং ৮ জন শিশু ছিলেন। একই সময়ে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২৩ জনকে। এই ২৩ জনের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও ৯ জন মহিলা ও ১ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২ জন পুরুষ রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫৪ জন। এই ৫৪ জনের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ২৬ জন মহিলা ও ৮ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া বুধবার শিবগঞ্জে ২ জন ও ভোলাহাটে ২ জন আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮২৮ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৯৬ জনে।
বাল্যবিয়ে রোধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে

বাল্যবিয়ে রোধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে আমাদের সমাজে এখনো মায়েরা ছেলে সন্তানকে বেশি প্রাধান্য দেন উল্লেখ করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেছেন, বাল্যবিয়ের কারণে একজন কন্যাসন্তানের সব স্বপ্নকে ভ্রূণেই হত্যা করা হচ্ছে। তার শিক্ষা-দীক্ষা থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, বাল্যবিয়ে রোধে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরসহ তার অংশীদার অন্যান্য দপ্তরগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে দরিদ্র মা-বাবাকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বোঝাতে হবে, জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাল্যবিয়ে রোধে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রচারপত্র বিতরণ করতে হবে। জুম্মার নামাজে খুৎবায় এ বিষয়ে কথা বলতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে আমাদের কন্যাসন্তানদের রক্ষা করতে হবে। বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বাল্যবিয়ে নিরোধ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথাগুলো বলেন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং ইউএনএফপিএ’র যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন অ্যাকসিলারেটিং অ্যাকশন টু অ্যান্ড চাইল্ড ম্যারিজ ইন বাংলাদেশ ফেজ-২ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। যুগ্ম সচিব ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী আরো বলেন— যারা অবৈধভাবে এফিডেভিটের নামে ছেলেমেয়েদের বয়স কমবেশি করেন তাদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন— ইমামদের জন্য অনলাইনে ডাটাবেজ তৈরির কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। সেখানে সকল ইমামের তথ্য থাকবে, কারা বাল্যবিয়ে পড়ান তাদের চিহ্নিত করা হবে। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন— জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. আফাজ উদ্দিন, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. সুলতানা পাপিয়া, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ’র প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট মো. আবু নাসের, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য দেন— জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপরিচালক সাহিদা আখতার। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিপ্লব কুমার মজুমদার, জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল ওদুদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা, জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পেশ ইমাম মাওলানা মুখতার আলী, জেলা কাজী সমিতির সভাপতি সভাপতি কাজী সেতাউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল বারীসহ আরো অনেকে। জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এই কর্মশালার আয়োজন করে। কারিগরি সহযোগিতায় ছিল জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ, বাংলাদেশ। কর্মশালায় বাল্যবিয়ের কারণ, প্রতিরোধে করণীয়, আইন, তালাক, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও মৃত্যুসহ বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হলো সেলাইমেশিন

প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হলো সেলাইমেশিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জীবিকায়নে মহিলাদের দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ১০ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে সেলাইমেশিন বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সেলাইমেশিন তুলে দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। এসময় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুস সামাদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. আফাজ উদ্দিন, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক উজ্জ্বল কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সালমা আখতার, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাহিদা আখতারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ২৩ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরো ২৩ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬২ জন। এছাড়া গত কাল সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন করে আরো ২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২১ জন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে এবং শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুরে ১ জন করে শনাক্ত হয়েছেন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। জেলা হাসপাতালের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ বলা হয়েছে, পূর্বের মোট ভর্তি রোগী ছিলেন ৪৮ জন। তাদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ২২ জন নারী এবং ১০ জন শিশু ছিলেন। একই সময়ে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৬ জনকে। এই ৬ জনের মধ্যে ৫ জন পুরুষ ও ১ জন নারী রয়েছেন। এছাড়া ৩ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬০ জন। এই ৬০ জনের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ, ২৬ জন মহিলা ও ১১ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুরে ১ জন করে ভর্তি আছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭৭৭ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৩৪ জনে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিষপানে গৃহবধুর মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিষপানে গৃহবধুর মৃত্যু চাঁপাইনবাবঞ্জ সদর উপজেলা থেকে মিতু রানী নামে এক তরুনী গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে। তিনি গোবরাতলা এলাকার আমপাড়া শ্রমিক শ্রী আনন্দের স্ত্রী এবং সদর উপজেলার আমনুরা মিশন গুচ্ছগ্রামের সচীন কর্মকারের মেয়ে। মিতুর দেড় বছরের একটি কন্যা শিশু রয়েছে। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ পারিবারিক কলহের জেরে মিতু স্বামীর বাড়িতে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাললেট খেয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। মরদেহ উদ্ধারকারী সদর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আরিফুল ইসলাম প্রাথমিক তদন্তের পর বলেন, গতকাল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ হয়। এরই জেরে আজ সকালে মিতু গ্যাস ট্যাবলেট খায়। সকাল ১০টার দিকে জেলা হাসপাতাল নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা আরিফ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বড়ভাইকে খুনের দায়ে ছোটভাই ও তাঁর দুই ছেলের যাবজ্জীবন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বড়ভাইকে খুনের দায়ে ছোটভাই ও তাঁর দুই ছেলের যাবজ্জীবন চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে মাইনুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আপন ছোট ভাই এবং তাঁর দুই ছেলে (নিহতের ভাতিজা) সহ ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৬ মাস করে কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। আজ দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দায়রা জজ মো: মিজানুর রহমান আসামীদের উপস্থিতিতে আদেশ প্রদান করেন। দন্ডিতরা হলেন, শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ি গ্রামের মৃত সহিমুদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো: মোস্তফা এবং তাঁর দুই ছেলে নয়ন আলী ও মিলন আলী। নিহত মাইনুল ইসলাম একই গ্রামের বাসিন্দা। একই মামলায় অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় নিহত মাইনুল ও দন্ডিত মোস্তফার অপর ভাই আব্দুল কাদের এবং শরিফুল ইসলাম নামে অপর দু’জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায় এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুল ওদুদ বলেন, ২০২১ সালের ২ জুন সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে ছোটভাই মোস্তফা এবং তাঁর দুই ছেলে নয়ন ও মিলনের হামলার আহত হন মাইনুল। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২১ সালের ৬ জুন তিনি মারা যান। এর আগে মাইনুলকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ২০২১ সালের ৩ জুন শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন তাঁর ছেলে মাইনুর রহমান। পরবর্তীতে যা হত্যা মামলায় রুপান্তর হয়। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এবং শিবগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) বরুন সরকার আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ৯ জনের সাক্ষ্য,প্রমাণ এবং শুনানী শেষে আদালত সোমবার মোস্তফা এবং তাঁর দুই ছেলে নয়ন ও মিলনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন।
আমরা বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি : এনসিপি’র আহ্বাক নাহিদ ইসলাম

আমরা বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি : এনসিপি’র আহ্বাক নাহিদ ইসলাম জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র ‘বিচার, সংস্কার, ও দেশ পূনর্গটনের লক্ষ্যে জনতার দুয়ারে জুলাই’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদযাত্রা ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৬ জুলাই) দুপুরে জেলা শহরে শান্তিমোড় থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে জেলা শহর। পদযাত্রাটি বাতেন খাঁর মোড়-নিমতলা-বড়ইন্দারা মোড় ও গাবতলা হয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে গিয়ে পথসভায় মিলিত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে আমের রাজধানী উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন-এটি একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা হওয়া সত্বেও এই জেলার আম শিল্পকে বিশ্বাজারে তুলে ধরতে অতীতে কোনো সরকারই উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। তা ছাড়া আমরা জানি এই চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেশমশিল্পের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু দিনে দিনে এই রেশম শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এই জাতীয় শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে কোনো ধরনের উদ্যোগই নেয়া হয়নি। আমরা চাই বাংলাদেশের যেসব শিল্প রয়েছে সেগুলোগে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা জানি আপনারা দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃনগর ট্রেনের জন্য আন্দোলন করছেন। আমরা এই সমাবেশ থেকে আপনাদের এই দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই সরকার যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই দাবি মেনে নেয়। এনসিপি নেতা নাহিদ বলেন—চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমাদের সীমান্তের প্রতিরোধের প্রতীক। সীমান্ত মানে কাস্তে হাতে বসে থাকা সেই কৃষক। আমরা সেই কৃষকের সন্তান। বুক পেতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, বুলেট গুলি বুক পেতে নিয়েছি। এই মঞ্চে শহিদ তাকের হোসেনের পরিবার উপস্থিত রয়েছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুইজন সন্তান শহিদ হয়েছেন। জুলাই গণঅথুত্থানে যারা জীবন দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য সেদিন দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছিল, আমরা যেন সেই বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারি। নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছি। গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার চেয়েছি। গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা গণহত্যাকারীদের বিচার চেয়েছি। আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র এবং জুলাই সনদ চেয়েছি।’ নাহিদ বলেন, ‘আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের একটা বার্তা নিয়ে এসেছি, যে বার্তা একটা ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েমের জন্য আমাদেরকে স্বপ্ন দেখায়, যে বার্তা একটা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায়। আমরা সেই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।’ নাহিদ ইসলাম আরো বলেন, ‘সীমান্তে বিএসএফ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এখানে গ্রেনেড মারে, বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। আমরা এইসব আগ্রাসন আর মেনে নিব না। সীমান্তে অনেক বাহাদুরি করেছে দাদারা। সীমান্তে আর যদি কোনো দাদাগির করতে দেয়া হবে না। সীমান্তে আর যদি আগ্রসন চালানো হয়, সীমান্তে আমার ভাইদের ওপর হত্যা চেষ্টা চালানো হয়, আমরা সীমান্তে লং মার্চ ঘোষণা করব। আমাদের সীমান্ত আমরাই রক্ষা করব।’ সমাবেশে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশকে নতুন কাঠামোতে, নতুন কায়দায় পরিচালনার জন্য নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। বাংলাদেশের মৌলিক সংস্কারকে কেউ যদি বাধাগ্রস্থ করে, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্রকেকেউ যদি আটকে রাখতে চায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ এনসিপি’র প্রধান সমন্বয়কারী আলাউল হকের সভাপতিত্বে এবং এনসিপি’র উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য দেন, এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক তাসনুভা জারিন, এনসিপি’র কেন্দ্রীয় সদস্য আসিফ মোস্তফা জামাল। কর্মসূচিতে এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী, তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এনসিপি নেতৃবৃন্দ গণঅভ্যুত্থানে শহিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জের তারেকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং এনসিপির জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন।